শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

যে কারণে কানাডা ছেড়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

বহু বছর ধরে কানাডাকে স্বর্গরাজ্য ভেবে এসেছে নানা দেশের দক্ষ কর্মীরা। তবে কানাডার সেই আকর্ষণে এবার কিছুটা ভাটা পড়েছে হয়তো। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসস্থানসংকট ছাড়াও জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং ভাড়ার ফলে উল্টো কানাডা থেকেই অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে কানাডা থেকে অন্য দেশে অভিবাসিত হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার মানুষ। এর আগে ২০২২ সালে কানাডা ছেড়েছিল ৯৩ হাজার ৮১৮ জন। ২০২১ সালে দেশটি ছেড়ে গিয়েছিল ৮৫ হাজার ৯২৭ জন।

তবে অভিবাসনসংক্রান্ত অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ‘ইনস্টিটিউট ফর কানাডিয়ান সিটিজেনশিপ’ (আইসিসি)-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ কানাডা ছেড়েছে ২০১৯ সালে। পরে কোভিড মহামারির জন্য কানাডা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কিছুটা কমে এলেও বর্তমানে এই সংখ্যা আবারও দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে অন্য দেশ থেকে কানাডায় প্রবেশ করেছে ২ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ। সেই তুলনায় দেশটি ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা অনেক কম হলেও এই প্রবণতা ভাবিয়ে তুলেছে কিছু পর্যবেক্ষককে।

কানাডা ছেড়ে অন্য দেশে অভিবাসন গড়েছেন কিংবা ছেড়ে যেতে চাইছেন-এমন অন্তত এক ডজন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে রয়টার্স। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির ফলেই কানাডায় বসবাস খুব কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। দেশটির জনসংখ্যার একটি বিপুল অংশ এখন বয়স্ক। মূলত অভিবাসীদের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে দেশটির অর্থনীতিকে।

২০২২ সালে হংকং থেকে শরণার্থী হয়ে কানাডায় প্রবেশ করা ২৫ বছর বয়সী ক্যারা বলেন, ‘কখনোই ভাবিনি যে পশ্চিমা দেশগুলোতে আপনি শুধু একটি কক্ষের ভাড়া জোগাড় করতে সক্ষম হবেন।’

ক্যারা জানান, বেসমেন্টে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। এর জন্য তাঁকে ৬৫০ কানাডিয়ান ডলার পরিশোধ করতে হয় (বাংলাদেশি প্রায় ৫৩ হাজার টাকা)। এর ফলে তাঁর মাসিক আয়ের ৩০ শতাংশই চলে যায় বাসা ভাড়া দিয়ে। বাকি খরচ মিটিয়ে মাস শেষে তাঁর এক পয়সাও অবশিষ্ট থাকে না। অথচ হংকংয়ে থাকা অবস্থায় তিনি যে অর্থ আয় করতেন, তার এক-তৃতীয়াংশ সঞ্চয় করা যেত।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বেনাপোল স্থলবন্দরের ২৬ নম্বর সেড থেকে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রাফেজা সুলতানা। তার সঙ্গে ছিলেন কাস্টমস পরীক্ষণ টিম এবং এনএসআই কর্মকর্তারা।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৬ নম্বর সেডে অভিযান চালিয়ে সেখানে গোপনে রাখা ছয় বস্তা মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ ৬০ কেজি, ৯৬ হাজার পিস জিলেট ব্লেড, ৬০ পিস শাড়ি কাপড়, ২২০০ পিস মোবাইলের ডিসপ্লে এবং আনুমানিক এক কেজি ওজনের সাদা রঙের গুঁড়া পাউডার। জব্দ করা মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

এ বিষয়ে সেড ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, পণ্যগুলো আমদানি করেছে দলিলুর রহমান অ্যান্ড সন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পণ্য ছাড় করানোর দায়িত্বে ছিল ‘সার্ভিস লাইন’ নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

এ ব্যাপারে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সরকারি ছুটি থাকার কারণে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯

ফাইল ছবি

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা যেন থামছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৯ জন।

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া দুজনই বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪০ জনে।

একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নতুন ১৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) রয়েছে সবচেয়ে বেশি—১০৭ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, ঢাকা বিভাগের বাইরে ১২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫ জন, দক্ষিণ সিটিতে ছয়জন, রাজশাহী বিভাগে ছয়জন এবং সিলেটে দুজন শনাক্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন আট হাজার ১৬২ জন।

চলতি বছরের ২৭ জুন পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ২২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নারী ৪১ দশমিক ২ শতাংশ।

গত বছরের তুলনায় এখনও সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা কম হলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে রোগের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন এক হাজার ৭০৫ জন এবং রোগী ভর্তি হয়েছিল তিন লাখ ২১ হাজারের বেশি। ২০২৪ সালে (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭৫ জন।

Header Ad
Header Ad

ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেচড়া ও মারধরের মামলার প্রধান আসামি নাসিম ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৭টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

বিষয়টি দুপুরে নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব। গ্রেপ্তার হওয়া নাসিম ভূঁইয়া ঘিওরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে বাচ্চু ভূঁইয়ার ছেলে।

এর আগে গত সোমবার (২৩ জুন) রাত ৯টার দিকে ঘিওরের বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত ‘মানিক কম্পিউটার’ দোকানে ঢুকে মালিক আলী আজম মানিকের দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া করেন নাসিম। এরপর অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করেন তিনি। ঘটনার সময় দোকানে থাকা অন্যান্য লোকজন হতভম্ব হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী মানিক পরে ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, নাসিম প্রায়ই দোকানে কাজ করাতে এসে ঠিকমতো টাকা দিতেন না। বরং পাওনা টাকা চাইলে হুমকি দিতেন এবং দোকান বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন।

ঘিওর থানা পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত নাসিম পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর ডিবি পুলিশ তাকে খুঁজে বের করতে মাঠে নামে। অবশেষে আজ সকালে ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব বলেন, “ঘিওরের ওই ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখি। এরপর অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।”

এদিকে স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাড়ি ধরে টানাহেঁচড়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। স্থানীয়রা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ