শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ | ৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

শুভ জন্মদিন চিরতরুণ রুমী

প্রাণপ্রিয় পাশা মামা,
অবাক হয়ো না। এটা লেখা হয়েছে আর তোমার কাছে পৌঁছেছে। আর পড়ার পর চিঠিটা নষ্ট হলে ফেলো। এ নিয়ে আম্মাকেও কিছু লিখো না। তা হলে তাদের বিপদে পড়তে হবে। তাড়াহুড়া করে লিখলাম। আমার হাতে সময় খুব কম। বেস ক্যাম্পের উদ্দেশে কাল এখান থেকে চলে যেতে হবে।
আমরা একটা ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ লড়ছি। আমরা জয়ী হব। আমাদের সবার জন্য দোয়া করো। কী লিখবো বুঝতে পারছি না- কত কী নিয়ে যে লেখার আছে। নৃশংসতার যত কাহিনী তুমি শুনছ, ভয়াভহ ধ্বংসের যত ছবি তুমি দেখছ, জানবে তার সবই সত্য। ওরা আমাদের নৃশংসতার সঙ্গে ক্ষতবিক্ষত করছে, মানব ইতিহাসে যার তুলনা নেই। আর নিউটন আসলেই যথার্থ বলেছেন, একই ধরনের হিংস্রতা নিয়ে আমরাও তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ব। এরই মধ্যে আমাদের যুদ্ধ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্ষা শুরু হলে আমরা আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেব।
জানি না আবার কখন লিখতে পারব। আমাকে লিখো না। সোনার বাংলার জন্য সর্বোচ্চ যা পারো, করো। এখনকার মতো বিদায়।

উপরের লিখাটুকু সৈয়দ মোস্তফা কামাল পাশাকে চিঠিতে লিখেছিলেন শাফী ইমাম রুমী।

শাফী ইমাম রুমী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন গেরিলা যোদ্ধা। তিনি ছিলেন শহীদ জননী খ্যাত জাহানারা ইমামের বড় ছেলে। জাহানারা ইমাম রচিত একাত্তরের দিনগুলি গ্রন্থে রুমী অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখা দেয় এবং তার মৃত্যুর জন্য জাহানারা ইমাম শহীদ জননী উপাধি পান। আজ এ মুক্তিযোদ্ধা শাফী ইমাম রুমীর ৭১ তম জন্মদিন।

বাবা শরীফ ইমামের কোলে রুমী

রূমীর জন্ম ১৯৫১ সালের ২৯ মার্চ। বাবা শরীফ ইমাম ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মা জাহানারা ইমাম শিক্ষক। রুমীর জন্ম হয় তার বাবা শরিফ ইমামের বন্ধু ডা. এ. কে খানের তত্ত্বাবধানে। বাবা ইঞ্জিনিয়ার ছিল বলে সদ্যভূমিষ্ঠ রুমী সম্পর্কে ডাক্তার তার মাকে বলেছিল, 'এটি ১৯৫১ সাল। ২০ বছর পরে ১৯৭১ সালে এই ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে।' প্রিয় কবি জালালউদ্দিন রুমীর মত জ্ঞানী ও দার্শনিক হবে ভেবে পিতা-মাতা ছেলের নাম রেখেছিল রুমী।

ছাত্র হিসেবে রুমী ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ১৯৬৮ সালে স্টার মার্কস নিয়ে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৭০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু ক্লাস শুরু হতে বিলম্ব হওয়ায় কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়াশোনা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে রুমী ছিলেন তুখোড় বিতার্কিক। ১৯৭১ সালে আমেরিকার ইলিনয় ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভর্তি হওযার সুযোগ পান রুমী। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সেখানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবার পর আদর্শগত কারণে দেশকে যুদ্ধের মধ্যে রেখে বিদেশে নিরাপদ আশ্রয়ে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য পড়তে যাননি।

রুমী যুদ্ধ যেতে চান। মাকে জানালে মা শুনে আঁতকে ওঠেন। কুড়ি বছর বয়সী একটি ছেলে যুদ্ধের কী বোঝে?
অনেকের মতো রুমী ও হয়তো মা-বাবাকে না জানিয়ে লুকিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারতেন; কিন্তু লুকিয়ে বা পালিয়ে কিছু করতে নেই। সে শিক্ষা তো মা-ই দিয়েছেন। মাকে বোঝাতে লাগলেন, ‘আম্মা, দেশের এই অবস্থায় তুমি যদি আমাকে জোর করে আমেরিকায় পাঠিয়ে দাও, আমি হয়তো যাব শেষ পর্যন্ত; কিন্তু তাহলে আমার বিবেক চিরকালের মতো অপরাধী করে রাখবে আমাকে। আমেরিকা থেকে হয়তো বড় কোনো ডিগ্রি নিয়ে এসে বড় ইঞ্জিনিয়ার হব; কিন্তু বিবেকের ভ্রুকুটির সামনে কোনো দিনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না। তুমি কি তাই চাও, আম্মা?
মা হার মেনে বললেন, ‘দিলাম তোকে দেশের জন্য কোরবানি করে। যা, তুই যুদ্ধে যা।’

ছেলে যুদ্ধে চলে গেল। নিজেই গাড়ি চালিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেন মা। কিন্তু পথে ঝামেলার কারণে ফিরে আসতে হলো। সবকিছু ব্যবস্থা করে ১৪ জুন রুমী চলে যান যুদ্ধে। তিনি সেক্টর-২ এর অধীনে মেলাঘরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই সেক্টরটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন খালেদ মোশাররফ ও রশিদ হায়দার। প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি ঢাকায় ফেরত আসেন এবং ক্র্যাক প্লাটুনে যোগ দেন।

ক্র্যাক প্লাটুন

রুমী ও তার দলের ঢাকায় আসার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন হামলা করা। এ সময় তাকে ঝুঁকিপূর্ণ আক্রমণ পরিচালনা করতে হয় যার মধ্যে ধানমণ্ডির ১৮ ও ৫ নম্বর রোডের একটি আক্রমণ ছিল উল্লেখযোগ্য। সেখানে একটি পাকিস্তানি সেনা জিপ তাদের বহনকারী গাড়ির পিছু নিলে তিনি গাড়ির পেছনের গ্লাস ভেঙে ‘লুক লুক, এ জিপ ইজ ফলোয়িং আস’ বলে স্টেনগান ব্রাশফায়ার করেন।

তার গুলিতে পাকিস্তানি জিপের ড্রাইভার নিহত হয় এবং গাড়ি ল্যাম্পপোস্টে গিয়ে ধাক্কা খায়। বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা তার গুলিতে মারা যায়। ধানমণ্ডি রোডের অপারেশনের পর রুমী তার সহকর্মীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

এই ক্র্যাক প্লাটুন নিয়ে সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের মন্তব্য ছিল 'দিজ অল আর ক্র্যাক পিপল! বললাম, ঢাকার বাইরে বিস্ফোরণ ঘটাতে আর ওরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এসেছে।'

'বিন্দুতে সিন্দু দর্শন একটা কথা আছে না আম্মা? হয়তো জীবনের পুরোটা তোমাদের মতো জানি না, ভোগও করিনি, কিন্তু জীবনের যত রস-মাধুর্য, তিক্ততা-বিষ-সবকিছুর স্বাদ আমি এর মধ্যেই পেয়েছি আম্মা। যদি চলেও যাই, কোনো আক্ষেপ নিয়ে যাব না।' সেদিন সেই বিষণ্ণ বিকেলে রুমী তার মাকে বলেছিলেন তার জীবনের প্রথম ও শেষ প্রেম-বিরহ-মিলন-বিচ্ছেদের এক অনুক্ত কাহিনী। একটি পরমা সুন্দরী মেয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তারচেয়ে দু ক্লাস সিনিয়র ছিল। সেই মেয়ে তাকে হাতে ধরে প্রেমের আনন্দ বেদনার রাজ্যে প্রবেশ করিয়েছিল। শেষে মেয়েটির ছলনার শিকার হয়েছিলেন তিনি, রুমী তাতে প্রচন্ড দুঃখও পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে মেয়েটির ওপর তার কোন রাগ ছিল না। কারণ মেয়েটি তার কাছে তখন আর কোন রক্তমাংসের মানবী ছিল না। তখন সে তার মনের মধ্যে হয়ে উঠেছিল বিশুদ্ধ প্রেমের প্রতীক স্বরূপিনী। এই কথাগুলো রুমী তার মা জাহানারা ইমামকে বলেন ১৯৭১ সালের ২৮ আগস্ট (একাত্তরের দিনগুলি, পৃষ্ঠা-২০২)। পরদিনই গভীর রাতে (২৯ মার্চ) বাবা, ভাই, বন্ধু, চাচাতো ভাইসহ রুমীকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আটক করেছিল ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য শিল্পী আবুল বারক আলভীকেও। তিনি বেঁচে যান। নির্যাতনের বর্ণনা আছে তার লেখায়। তিনি লিখেছেন: ‘৩০ আগস্ট ভোরবেলা সুরকার আলতাফ মাহমুদের বাসা পাক সেনারা ঘিরে ফেলে। আলতাফ মাহমুদ ও অন্যান্যদের সঙ্গে আমাকেও ধরে নিয়ে যায়। ওখানে দেখলাম আমাদের অনেকেই ধরা পড়েছে। সেই পরিচিত মুখগুলোর মধ্যে ছিল রুমী, জুয়েল, বদি, হাফিজ, চুন্নু ভাই, বেলায়েত ভাই (ফতেহ আলীর দুলাভাই), উলফাতের বাবা, আলমের ফুফা আরও অনেকে।

‘রুমীকে শুধু একদিনই দেখেছি। রুমীকে বেশ বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল প্রচণ্ড টর্চার করা হয়েছে। দুপুরের পর ওকে নিয়ে গেল। তারপর আর দেখা হয় নাই। আমাকেও আমার সহযোদ্ধা অন্যান্য গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কথা বের করার জন্য অনেক টর্চার করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছে দেহ, আঙুলগুলো ভেঙে গেছে। হাত-পিঠ ফেটে রক্ত বেরিয়েছে। থেঁতলে দিয়েছে সারা শরীর। অতএব আমিও জানি, রুমীর কাছ থেকেও কথা বের করতে এই নির্দয় পাক সেনারা কি কি করতে পারে।’

কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে রুমী তার পরিবারের অন্য সদস্যদের কোনো কিছু স্বীকার করতে নিষেধ করেন, সব দায়ভার নিজে বহন করেন। তিনি বলেন, 'তোমরা কেউ কিছু স্বীকার করবে না, তোমরা কেউ কিছু জানো না, আমি তোমাদের কিছু বলিনি।' তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘পাকবাহিনী তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন এবং এর সব দায়দায়িত্ব তিনি নিজেই নিতে চান।’

একই সময়ে ধরা পড়া রুমীর সহযোদ্ধা মাসুদ সাদেক জানান, চরম অত্যাচার সহ্য করেও রুমী কারও নাম প্রকাশ করেনি। দুদিন ধরে অমানসিক নির্যাতন চালানোর পর পরিবারের অন্য সদস্যদের ছেড়ে দেয়া হলেও রুমীকে ছাড়া হয়নি।

ফিরে আসার সময় বাবা শরীফ ইমাম রুমীর কথা জিজ্ঞেস করলে পাকিস্তানি কর্নেল জানায়, রুমী একদিন পর যাবে, ওর জবানবন্দি নেয়া শেষ হয়নি। কিন্তু পরের সেই দিনটি আর আসেনি। ৩০ আগস্টের পর রুমী ও তার সহযোদ্ধা বদি এবং চুল্লুকেও আর দেখা যায়নি।

ঘাতক ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিলে রুমীর অনেক আত্মীয় তার জন্য আবেদন করতে বলেন। কিন্তু রুমী যে বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ধরা পড়েছে, তাদের কাছেই ক্ষমা চাইতে রুমীর বাবা দেশপ্রেমিক শরীফ ইমাম রাজি ছিলেন না। ইয়াহিয়া যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন, সেটা পাকিস্তানি সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকেরই পছন্দ ছিল না। তাই এর আগের রাতে অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর তাড়াহুড়ো করে শ খানেক বন্দীকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। ধারণা করা হয় সেই বন্দীদের সাথে ৪ সেপ্টেম্বর রুমী শহীদ হন।

২৯ মার্চ, ১৯৭১-এ রুমির জন্মদিনে জাহানারা ইমাম ও শরীফ ইমাম লিখেছিলেন, ‘বজ্রের মত হও, দীপ্ত শক্তিতে জেগে ওঠ, দেশের অপমান দূর কর, দেশবাসীকে তার যোগ্য সম্মানের আসনে বসাবার দুরূহ ব্রতে জীবন উৎসর্গ করো।’ শহীদ শাফী ইমাম রুমী তা-ই করে গেছেন। পরাধীন, অত্যাচারিত দেশকে মুক্ত করার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে জাহানারা ইমাম রুমীর জীবনীগ্রন্থ লেখার কাজ শুরু করেছিলেন। শুরুতেই ১৯৫১ সালে সদ্য ভূমিষ্ঠ রুমীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ডাক্তার এ. কে. খানের মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে লেখেন— রুমী ১৯৭১ সালে ইঞ্জিনিয়ার হতে পারেনি, তবে কিছু একটা হয়েছিল। সে দেশের জন্য শহীদ হয়েছিল। ২৯ আগস্ট, ১৯৭১ রুমী সহ যেসব গেরিলাযোদ্ধা পাকিস্তানীদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন, যারা আর কখনোই ফিরে আসেনি, সেইসব শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে আজীবন অমর হয়ে থাকবেন। রুমী আমাদের কাছে ২০ বছরের তরুণই থাকবেন। রুমী চিরকাল সব প্রজন্মের প্রেরণার অফুরন্ত উৎস। রুমী হারিয়ে গেলেও আমাদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

Header Ad
Header Ad

বারিধারায় চলছে বাড়ির সংস্কার, শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান    

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবিঃ সংগৃহীত

চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফিরতে পারেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

বুধবার (১৯ মার্চ) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক।

তিনি বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।

এম এ মালেক বলেন, ডাক্তাররাও সে অনুপাতে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাডামকে সেভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দুই-এক দিন এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে ম্যাডাম দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

এসময় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি বলেন, আমাদের লিডারের দেশে যাওয়ার সময় নিয়ে এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছুদিন পরে হয়তো তিনি দেশে ফিরবেন। একসাথে দুইজন অবশ্যই যাবেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি।

অবশ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার ব্যাপারটি বেশ জোর দিয়েই জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, এটি এখন সম‌য়ের ব‌্যাপার মাত্র। তারেক রহমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর আগেই দেশে ফিরবেন। ঢাকায় তার থাকার জন্য বাসা সংস্কারসহ সব প্রস্তু‌তি চলছে।

বাড়ির বিষয়ে জানা গেছে, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তার বড় বোন শাহীনা জামান বিন্দুর উত্তরাধীকার সূত্রে বারিধারা ডিওএইচএসে এক‌টি বাড়ি আছে। বাড়িটি তারেক রহমানের শ্বশুর সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খানের সূত্রে পাওয়া। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে ঢাকায় মারা যান তিনি। বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। তারেক রহমান সস্ত্রীক ঢাকায় গিয়ে এই বাড়িতেই উঠতে চান। সেই লক্ষ্যে বাড়িটিতে বড় ধরনের সংস্কার কাজ চলছে। বাড়ির কিচেন, বাথরুমসহ অনেক অংশ ভেঙে আধু‌নিক ডিজাইনে কাজ করানো হচ্ছে।

গত ২০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে সব মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলটির আইনজীবীরা বলছেন, এখন তিনি দেশে ফিরে সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন।

 

Header Ad
Header Ad

গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর    

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবিঃ সংগৃহীত

২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী কৌশলে গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে সবাইকে এই বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে একটি গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি পল্টন থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ করে আবার গণ অধিকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, নতুন করে এটা নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধে ৫ আগস্টেই জনগণ রায় দিয়েছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফারুক হাসান, হাসান আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকারের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

Header Ad
Header Ad

সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের ঘোষণা সেনাবাহিনীর  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ফের প্যারালিমিটারি বাহিনীর হাত থেকে দখলে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকফুটে ছিল। তবে সম্প্রতি সাফল্য অর্জন করতে শুরু করে এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে দেশের কেন্দ্রস্থল পুনরুদ্ধার করেছে।

এদিকে আরএসএফ পশ্চিমাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ সুসংহত করেছে, যুদ্ধে তাদের অবস্থান শক্ত করেছে এবং দেশকে কার্যত বিভক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আরএসএফ তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে একটি সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে।

যদিও তারা বড় আকারে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা মধ্য খার্তুমের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সামরিক সূত্র জানিয়েছে, আরএসএফ যোদ্ধারা প্রায় ৪০০ মিটার দূরে সরে গেছে।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে সেনা সদস্যদের উল্লাস করার ভিডিও শেয়ার করেছে সেনাবাহিনী। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের জানালার কাচ ভেঙে গেছে এবং দেওয়াল বুলেটের দাগে ভরা।রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আবদাল্লাহ জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছে।

আবদাল্লাহ জানিয়েছেন, আমাদের বাহিনী শত্রু যোদ্ধাদের পুরো সরিয়ে দিয়েছে এবং তাদের বিরাট অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জয় পুরোপুরি না আসা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। তবে এনিয়ে আরএসএফে মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে সশস্ত্র বাহিনীতে আধাসামরিক বাহিনীর একীকরণকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের এপ্রিলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আরএসএফ দ্রুত খার্তুমের প্রাসাদসহ শহরের বাকি অংশও দখল করে নেয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বারিধারায় চলছে বাড়ির সংস্কার, শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান    
গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর    
সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের ঘোষণা সেনাবাহিনীর  
আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নিয়ে আমার সাথে আলোচনা হয়নি : সোহেল তাজ
দুপুরের মধ্যে তিন বিভাগে কালবৈশাখী আঘাত হানবে  
গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালও ধ্বংস করে দিল ইসরায়েল  
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক এনসিপির
ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ: নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ
শেখ হাসিনার মতো নব্য ফ্যাসিবাদীরা জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: জি এম কাদের
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের মিছিল, যুবলীগ নেত্রীসহ আটক ৩
তাসকিনের আইপিএল অভিষেকের সম্ভাবনা, যোগাযোগে মিলেছে ইতিবাচক সাড়া!
স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসনের সুযোগ পায়, এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না: তারেক রহমান
ট্রেনের ১৩০ টিকিটসহ নৌবাহিনী কর্মচারী আটক
জনগণ সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিএনপির কিছু বলার নেই: রিজভী
বিচারের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ নেই : মামুনুল হক
টাঙ্গাইলে আগুনে পুড়ল ২১ দোকান, ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি
ব্যাংককে ড. ইউনূস-মোদির মধ্যে বৈঠক হচ্ছে না
রাত ১টার মধ্যে ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
পৃথিবীর সর্বত্র আজ দিন-রাত সমান
নরসিংদীতে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০