শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ক্ষুরধার লেখনী ঢাকাপ্রকাশকে নিয়ে গেছে অনন্য মাত্রায়

স্বল্প সময়ে অনলাইন পত্রিকা ঢাকাপ্রকাশ দেশের পাঠকদের কাছে সমাদৃত হয়ে তৈরি করেছে অনন্য উদাহরণ। আসছে ১ ডিসেম্বর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে এই পত্রিকা। পত্রিকাটির অনুসন্ধানী সংবাদগুলো আমাকে সত্যি মুগ্ধ করে। সেইসঙ্গে ক্ষুরধার লেখনী এই পত্রিকাকে নিয়ে গেছে আলাদা মাত্রায়। বস্তুনিষ্ঠ, বিশ্লেষণভিত্তিক মতামত সকল পাঠকের কাছে অন্যরকম একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছে। বর্তমান সময়ের তরুণ লেখকরা এই অনলাইন পত্রিকার সাহিত্য এবং মতামত বিভাগের লেখা পড়ে বেশ সমৃদ্ধ হচ্ছেন।

বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, অঞ্চল থেকে এই গণমাধ্যমের প্রতিনিধি রয়েছে। যাদের মাধ্যমে সবধরনের সংবাদ দ্রুত পাঠকের সামনে তুলে ধরছে পত্রিকাটি। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, অধিকার নিয়ে নিয়মিত লেখা প্রকাশ করে যাচ্ছে ঢাকাপ্রকাশ।

শুধু তাই নয়, সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও দেওয়ার মধ্য দিয়েও ঢাকাপ্রকাশ পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। সাধারণ মানুষের অধিকার, ন্যায্য দাবি পূরণে ও বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে এগিয়ে নিতে এই পত্রিকার অবদান স্বীকার করতে হবে অকপটে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নিয়মিত সাহসী প্রতিবেদন করেছে ঢাকাপ্রকাশ। যেখানেই মানুষের অধিকার হরণ হয় সেখানেই এই পত্রিকার ভূমিকা দেখা যায় সাহসীভাবে।

ঢাকাপ্রকাশ এ পর্যন্ত অনেক জাতীয় বেশকিছু বিষয়ে সাহসী রিপোর্ট করেছে। যা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। এ পত্রিকায় সব পেশা, শ্রেণি ও ধর্ম গোত্রের সব খবরা খবর প্রকাশ হয়। এখানে সত্য ও সঠিক মতামতসহ সবগুলো বিভাগ পাঠকের মন জয় করতে পেরেছে। এই পত্রিকার বিভাগগুলোও মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারাদেশ, সারাবিশ্ব, বিনোদন, খেলাধুলা, সাহিত্য, লাইফস্টাইল, স্বাস্থ্য, মতামত, বিশেষ প্রতিবেদন, ফিচার এমনকি পাঠকের কথা বিভাগও রয়েছে। সত্যি বলতে এ সব বিভাগ পাঠকের চাওয়াকে সমৃদ্ধ করেছে।

ঢাকাপ্রকাশের এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বর্তমানেও। আমি মনে করি, সময় যত গড়াবে এই পত্রিকা আরও এগিয়ে যাবে। অল্প সময়ে এ পত্রিকা নতুন প্রজন্মকে সাথে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ পত্রিকার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, গবেষক, তৈরি হচ্ছে। ঢাকাপ্রকাশ লেখক তৈরির একটা প্ল্যাটফর্ম বললেও ভুল হবে না। সাহিত্য চর্চা, সংস্কৃতি, ধর্মীয়, সভা, সম্মেলন সব বিষয়ের সংবাদ এ পত্রিকায় অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে প্রচার করা হয়। পাঠকদের কথা তুলে ধরতে এই পত্রিকা সবসময় সচেষ্ট থাকে।

পাঠকদের মনের কথা, ভালো লেখা নিয়মিত প্রকাশ করে থাকে এই পত্রিকা। সাবলীল এবং সুন্দর সংবাদ পরিবেশনের কারণে এই পত্রিকার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। আমার বিশ্বাস এই ধারবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ঢাকাপ্রকাশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে। আর এই সাফল্য ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠতা।

এই পত্রিকার আরও একটা বিষয় বেশ ভালো লাগে। বিভিন্ন সময় এই পত্রিকায় দেওয়া হয় প্রতিযোগিতা। সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষার গল্পসহ আরও নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ঢাকাপ্রকাশ। যা সত্যি পাঠকদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ। সেইসাথে পাঠকরা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম পেয়েছে যেখানে তারাও লিখতে পারে।

পরিশষে এ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক, প্রতিবেদক, রিপোর্টার ও সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ রইল। সব লেখক-পাঠকদেরও শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা জানাই। ঢাকাপ্রকাশ এগিয়ে যাবে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে।

লেখক: শিক্ষার্থী, ওমরগণি এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম

আরএ/

Header Ad

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে কলকাতায় গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে কেউ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার।

মমতার এমন মন্তব্যে আপত্তিও জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পৌঁছে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবহিত। আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি আমি অন্যদের থেকে ভালো জানি। আমাকে শেখানোর দরকার নেই। বরং সঠিক নিয়মগুলো ওরাই শিখে নিক।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটায় তাহলে আমি তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেবো। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উদ্বাস্তু হলে তাকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা, উত্তেজনাতে না যাই। ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আপত্তি জানায়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ধরনের মন্তব্যে বিভ্রান্তি বাড়বে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল জানিয়ে দেন, অন্য কোনও রাষ্ট্র সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন।

‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে ।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর বিচার দেশবাসীর কাছে চাই। আন্দোলনের নামে এতোগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব্য কার? আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে সরকার।’

বিস্তারিত আসছে......

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী দিমিত্রি বুলগাকভকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

দিমিত্রি বুলকাভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রসদ বিভাগের প্রধান ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদচ্যুত করা হয় তাকে। তারপর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইন্টারফ্যাক্সকে জানিয়েছেন এফএসবির এক কর্মকর্তা।

বস্তুত, দিমিত্রি বুলগাকভের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল রুশ প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী তিমুর ইভানভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে পদচ্যুত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিমুর ইভানভ সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

তারপর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫ জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সর্বশেষ গ্রেপ্তার হলেন বুলগাকভ। তার গ্রেপ্তারের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

৬৯ বছর বয়সী বুলগাকভ রুশ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের একজন ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তার বেশ প্রভাব ছিল। সামরিক খাতে অবদানের জন্য বেশ কিছু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘হিরো অব রাশিয়া’-ও পেয়েছেন তিনি।

 

সর্বশেষ সংবাদ

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী