শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

গৃহযুদ্ধ ও সহিংসতায় মিয়ানমারে জান্তা শাসনের আরও এক বছর

১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের ২ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। সামরিক জান্তার ক্ষমতারোহনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের কবর রচনার ফলে দেশটি এক গভীর সংকটকাল পার করছে। দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষ ও দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি এখন তীব্র গৃহযুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়েছে। জান্তাবিরোধী প্রধান শক্তি পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এবং অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আগের চেয়ে আরও বেশি সংগঠিত হওয়ায় দেশটিতে জান্তা শাসকগোষ্ঠী অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে এনএলডি নেতাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং পাতানো বিচারের মাধ্যমে দন্ড প্রদানের হিড়িক চলছে। সহিংসতা আর গৃহযুদ্ধের দুবছর পেরোলেও সামরিক শাসনের অন্ধকার থেকে বেরোতে মিয়ানমারকে আর কত পথ পাড়ি দিতে হবে তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে।

২০২১ সালের ১ জানুয়ারি সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর নেতৃত্বে তাতমাদো নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে তৎকালীন ক্ষমতাসীন এনএলডি সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে। ক্ষমতা গ্রহণের সাথেই দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি সহ বেশ কয়েকজন এনএলডি নেতাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এর প্রতিক্রিয়ায় সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় নেমে জান্তার বিরুদ্ধে আন্দালন শুরু করলে তাদের উপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হয়। জান্তা ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যেই সক্রিয় হয়ে ওঠে দেশটির বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো, যা দেশটিতে গৃহযুদ্ধ অনিবার্য করে তোলে। তাতমাদোর বিরুদ্ধে সামরিক ফ্রন্টে লড়াইয়ের জন্য এনইউজির সশস্ত্র বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফ্রন্ট বা পিডিএফ গঠিত হয়।

তাতমাদোকে মোকাবেলায় ২০২১ সালের এপ্রিলে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য সরকার বা এনইউজি নামে একটি ছায়া সরকার গঠিত হয়। এনইউজি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পিপলস ডিফেন্স ফোরাম (পিডিএফ) নামে তার সামরিক ফ্রন্ট গঠন করে। এনইউজির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ফলে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পিডিএফ এর প্রতিরোধ আরো তীব্র হয়েছে। সেইসাথে যোগ হয়েছে আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তীব্র প্রতিরোধ। জান্তা সেনাবাহিনী একইসাথে পিডিএফ ও অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে। গত বছর সেনাবাহিনী বিমান হামলা ও আর্টিলারি ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শণের পরও দেশটির অধিকাংশ এলাকায় জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণ কার্যত হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে, মিয়ানমারের মাত্র ১৭ শতাংশ এলাকায় জান্তা সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

অভ্যুত্থানের পর দুই বছরে যুদ্ধ ও সংঘাত জীবনের সব ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ করে তুলেছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তার হাতে ২৮৯০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৭৬৭ জন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হেফাজতে থাকাবস্থায় হত্যার শিকার হয়েছে। দুবছরে অন্তত ১৬ হাজার নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘাতের কারণে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেশের অভ্যন্তরে ঘরছাড়া হয়েছে এবং ৭০ হাজার মানুষ সীমান্তের অতিক্রম করে থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা সেনাবাহিনীর এই ধ্বংসযজ্ঞকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতারোধে সামরিক সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৩ জনেরও বেশি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে এবং স্বাধীন সংবাদমাধ্যগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকার রাজনৈতিক প্রতিরোধ দমনের কৌশল হিসেবে এনএলডি নেতাদেরকে ব্যাপকভাবে গ্রেফতার করে। মিয়ানমারের কয়েক দশকের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কয়েকজন গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালের ২৫ জুলাই জান্তা চারজন গণতান্ত্রিক নেতার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছে। সর্বশেষ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি কে ৭ বছরের কারাদন্ড দেয় দেশটির সামরিক আদালত। প্রহসনের বিচারে সর্বমোট ৩৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সু চি অভ্যুত্থানের দিন থেকেই গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন।

রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে সাথে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেশটিকে সীমাহীন অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশব্যাপী সংঘাত, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও বিদেশী বিনিয়োগ প্রত্যাহার অর্থনীতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনধারণের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে, মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, যুদ্ধ ও সহিংসতা ব্যবসা-বানিজ্য ও উৎপাদন কার্যক্রমকে ব্যাহত করেছে, যা দেশটির মুদ্রা কিয়াটের দরপতনের মাধ্যমে তীব্র মূল্যস্ফীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিয়ানমারের সংঘাত শুধু দেশটির অভ্যন্তরেই প্রভাব ফেলছে না, বরং সীমান্ত পেরিয়ে তা প্রতিবেশীদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করেছে। মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার ভারত, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। একাধিকবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের তুমব্রুতে প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

মিয়ানমারের অস্থিরতা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও জটিল ও প্রলম্বিত করে তুলছে। প্রত্যাবাসন প্রশ্নে জান্তা সরকার বরাবরই ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে আসছে। এছাড়াও রাখাইনে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফেরার জন্য নিরাপদ ও টেকসই পরিবেশ তৈরির প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাখাইনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে তীব্র সংঘাতের ফলে তুমব্রু সীমান্তের শূণ্য রেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে আশাব্যঞ্জক দিক হলো, এ সবের মধ্যেও ক্ষমতার বাইরে থাকা এনইউজি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব স্বীকার নিয়ে নিয়েছে। রাখাইনের স্বায়ত্বশাসনের জন্য যুদ্ধরত আরাকান আর্মিও রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

মিয়ানমারে চলমান মানবিক সংকট দুই বছর অতিক্রম করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতির উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। বৃহৎ শক্তিগুলো তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে জান্তার সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। মিয়ানমারের দুই প্রতিবেশী ও বৃহৎ দুই আঞ্চলিক শক্তি চীন ও ভারতের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। তবে গত বছর থেকে মিয়ানমার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে । জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দুই সদস্য রাশিয়া এবং চীন জান্তাকে সমর্থন দেওয়ায় এতকাল উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে না পারলেও সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে প্রথম রেজ্যুলেশন পাশ করতে সফল হয়েছে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা নিধনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘বার্মা অ্যাক্ট’ও পাস করেছে। সামনের দিনগুলোতে মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা বাড়বে- এমনটাই ধারণা করছে বিশ্লেষকরা।

মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের গতি-প্রকৃতি এটাই ইঙ্গিত করে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ ছাড়া এর কোনো টেকসই সমাধান এখনই সম্ভব নয়। গণতন্ত্রকে ভূলুন্ঠিত করে নাগরিকদের উপর খড়গহস্ত হয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে দৃষ্টান্ত মিয়ানমার স্থাপন করেছে, তাকে আর দীর্ঘায়িত হতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। শান্তিপূর্ণ ও গনতান্ত্রিক মিয়ানমার প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারত, রাশিয়ার মত শক্তিগুলো এবং জাতিসংঘ ও আসিয়ানের মত জোটগুলোর এখনই এগিয়ে আসা উচিত।

লেখক: আন্তর্জাতিক রাজনীতির গবেষক।

/এএস

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

টাঙ্গাইলে নারীর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকে দেওয়ায় সংঘাত, আহত ৪

আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি মকবুল হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক নারীর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার প্রতিবাদ করায় বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে। এই হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওই নারীর মা, ভাই বোনসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মো. মকবুল হোসেন (২৫), তার মা মোছা: নূরন্নাহার বেগম (৬০), বোন মোছা: ফাতেমা বেগম (২৪) ও স্ত্রী মোছা: সুমাইয়া বেগম (২৩)। আহতদের মধ্যে মকবুল হোসেন ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি রয়েছে। অপর আহতরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক থেকে চিকিৎসা নেয়।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের বেলটিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার আহত মকবুল হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, প্রায় ১ বছর আগে আমার ছোট বোনের অর্ধনগ্ন ছবি প্রতিবেশী চাঁন মিয়া তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে। পরে ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জানাজানি হয় এবং বিষয়টি আমরা জেনে স্থানীয় জনপ্রতিধি ও মাতব্বরদের জানালে তারা মীমাংসার আশ্বাস দিয়েও পরে সমাধান দেয়নি।

তিনি আরও জানান, এর কিছুদিন পর আমার বোনের নামে ফেক আইডি খুলে চাঁন মিয়া তার নিজের ছবিই ফেসবুকে পোস্ট করে আমার উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে এনিয়ে বিভিন্ন সময় আমাদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতো। এনিয়ে আবারও মাতব্বরদের জানালে তারা সমাধান না দিয়ে কতিপয় কিছু মাতব্বর উলটো আমাদের উপর দোষ চাপায়।

বাড়িতে ভাঙচুর। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

 

এরই জেরে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলমের মদতে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অভিযুক্ত চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে ফিরোজ, সজিব, বাবলু, ফিরোজ, সোহেল, ১৪/১৫ জন লোক বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাকেসহ আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে মারধর করে এবং আমার বোনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এদিকে, অভিযুক্ত চাঁন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম ঢাকাপ্রকাশকে জানান, মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া মকবুল আমাকে ফাঁসানোর জন্য আপনাদের কাছে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা বলেন, বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের খবরের বিষয়টি জানতাম না। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাই। ভুক্তভোগীরা যাতে আইনি সহায়তা পায় সে ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, হামলার ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে: রিজভী

নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে যান রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর ও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে। কারণ তাদের সাথে কোনো জনগণ নাই, তাদের জনগণের ভোটের কোনো প্রয়োজন হয় না।’

সন্ত্রাসনির্ভর সরকারের পরিণতি ভালো হবে না বলে এসময় হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন রিজভী।

রিজভী আরো বলেন, নাটোরের এমপি শিমুলের সন্ত্রাসী বাহিনী ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে, তার উপর গুলি চালিয়েছে। ফরহাদ জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিল। সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামে সে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার ওপর ক্ষুদ্ধ। কিন্তু হত্যা করে, নিপীড়ন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান ওরফে শাহীনকে (৪২) মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ফেলে দেয়ার পর পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যাচেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তারা সবাই এমপি শিমুলের অনুসারি বলে অভিযোগ করে বিএনপি।

ফাঁকা বাড়িতে বয়ফ্রেন্ডকে ডেকে ধরা পড়েছিলেন অনন্যা!

অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত

বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে একবার বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডেকেছিলেন অনন্যা পাণ্ডে। সেই বিষয়টি টের পেয়ে যান বাবা চাঙ্কি পাণ্ডে। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন এ অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত

 

অনন্যা বলেন, আমার বাবা লিভিংরুমে ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম, আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছেন। আমি খুব ভীতু প্রকৃতির মেয়ে, কখনো বাবা-মায়ের সঙ্গে মিথ্যা বলি না। আমার যখন বয়স আরও কম ছিল, তখন আমি প্রথম একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াই। ওই সময়ে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমি কি তার প্রস্তাবে রাজি হব? আসলে, আমি এমন মেয়ে তখন ছিলাম, এখনো আছি।

অভিনেত্রী বলেন, আমি সেদিন কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু নিজেকে সাহসী মনে হচ্ছিল। তবে খুব শান্ত ছিলাম। সেদিন লিভিংরুমে বসে তার (বয়ফ্রেন্ড) সঙ্গে শুধু কথাই বলেছিলাম। বাবা আমাদের ভিডিও দেখেছিলেন। বাবা আমাকে বলেছিলেন, তুমি আমাকে হতাশ করেছ। এ ঘটনার পর বাবা-মাকে ৫ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছিলাম।

বর্তমানে আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন অনন্যা রায়। এ কথা তারা সরাসরি স্বীকার না করলেও তাদের সব জায়গায় একসঙ্গে দেখা যায়। এমনকি বিদেশে একসঙ্গে ছুটি কাটাতেও দেখা যায় এই জুটিকে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নারীর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকে দেওয়ায় সংঘাত, আহত ৪
সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে: রিজভী
ফাঁকা বাড়িতে বয়ফ্রেন্ডকে ডেকে ধরা পড়েছিলেন অনন্যা!
চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
গোলাগুলি-বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সেন্ট মার্টিন
রাতেই ঢাকাসহ ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কা
রাস্তা থেকে ৩০০ ফুট খাদে পড়ল গাড়ি, নিহত ১০
চট্টগ্রামে জুতা কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
বিএনপি ইফতার পার্টি করে মিথ্যাচার চালাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে লরি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
সন্তানের মুখ দেখার আগেই ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবার
আগুনে পুড়লো ‘ভূঞাপুর থানা’ মার্কেটের ৪ দোকান
পছন্দের শীর্ষে ভারতীয় নায়ক-নায়িকাদের নামে দেশে তৈরি পোশাক
‘জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা
যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী