শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

গৃহযুদ্ধ ও সহিংসতায় মিয়ানমারে জান্তা শাসনের আরও এক বছর

১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের ২ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। সামরিক জান্তার ক্ষমতারোহনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের কবর রচনার ফলে দেশটি এক গভীর সংকটকাল পার করছে। দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষ ও দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি এখন তীব্র গৃহযুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়েছে। জান্তাবিরোধী প্রধান শক্তি পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এবং অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আগের চেয়ে আরও বেশি সংগঠিত হওয়ায় দেশটিতে জান্তা শাসকগোষ্ঠী অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে এনএলডি নেতাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং পাতানো বিচারের মাধ্যমে দন্ড প্রদানের হিড়িক চলছে। সহিংসতা আর গৃহযুদ্ধের দুবছর পেরোলেও সামরিক শাসনের অন্ধকার থেকে বেরোতে মিয়ানমারকে আর কত পথ পাড়ি দিতে হবে তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে।

২০২১ সালের ১ জানুয়ারি সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর নেতৃত্বে তাতমাদো নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে তৎকালীন ক্ষমতাসীন এনএলডি সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে। ক্ষমতা গ্রহণের সাথেই দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি সহ বেশ কয়েকজন এনএলডি নেতাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এর প্রতিক্রিয়ায় সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় নেমে জান্তার বিরুদ্ধে আন্দালন শুরু করলে তাদের উপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হয়। জান্তা ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যেই সক্রিয় হয়ে ওঠে দেশটির বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো, যা দেশটিতে গৃহযুদ্ধ অনিবার্য করে তোলে। তাতমাদোর বিরুদ্ধে সামরিক ফ্রন্টে লড়াইয়ের জন্য এনইউজির সশস্ত্র বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফ্রন্ট বা পিডিএফ গঠিত হয়।

তাতমাদোকে মোকাবেলায় ২০২১ সালের এপ্রিলে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য সরকার বা এনইউজি নামে একটি ছায়া সরকার গঠিত হয়। এনইউজি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পিপলস ডিফেন্স ফোরাম (পিডিএফ) নামে তার সামরিক ফ্রন্ট গঠন করে। এনইউজির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ফলে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পিডিএফ এর প্রতিরোধ আরো তীব্র হয়েছে। সেইসাথে যোগ হয়েছে আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তীব্র প্রতিরোধ। জান্তা সেনাবাহিনী একইসাথে পিডিএফ ও অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে। গত বছর সেনাবাহিনী বিমান হামলা ও আর্টিলারি ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শণের পরও দেশটির অধিকাংশ এলাকায় জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণ কার্যত হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে, মিয়ানমারের মাত্র ১৭ শতাংশ এলাকায় জান্তা সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

অভ্যুত্থানের পর দুই বছরে যুদ্ধ ও সংঘাত জীবনের সব ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ করে তুলেছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তার হাতে ২৮৯০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৭৬৭ জন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হেফাজতে থাকাবস্থায় হত্যার শিকার হয়েছে। দুবছরে অন্তত ১৬ হাজার নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘাতের কারণে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেশের অভ্যন্তরে ঘরছাড়া হয়েছে এবং ৭০ হাজার মানুষ সীমান্তের অতিক্রম করে থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা সেনাবাহিনীর এই ধ্বংসযজ্ঞকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতারোধে সামরিক সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৩ জনেরও বেশি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে এবং স্বাধীন সংবাদমাধ্যগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকার রাজনৈতিক প্রতিরোধ দমনের কৌশল হিসেবে এনএলডি নেতাদেরকে ব্যাপকভাবে গ্রেফতার করে। মিয়ানমারের কয়েক দশকের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কয়েকজন গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালের ২৫ জুলাই জান্তা চারজন গণতান্ত্রিক নেতার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছে। সর্বশেষ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি কে ৭ বছরের কারাদন্ড দেয় দেশটির সামরিক আদালত। প্রহসনের বিচারে সর্বমোট ৩৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সু চি অভ্যুত্থানের দিন থেকেই গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন।

রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে সাথে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেশটিকে সীমাহীন অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশব্যাপী সংঘাত, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও বিদেশী বিনিয়োগ প্রত্যাহার অর্থনীতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনধারণের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে, মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, যুদ্ধ ও সহিংসতা ব্যবসা-বানিজ্য ও উৎপাদন কার্যক্রমকে ব্যাহত করেছে, যা দেশটির মুদ্রা কিয়াটের দরপতনের মাধ্যমে তীব্র মূল্যস্ফীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিয়ানমারের সংঘাত শুধু দেশটির অভ্যন্তরেই প্রভাব ফেলছে না, বরং সীমান্ত পেরিয়ে তা প্রতিবেশীদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করেছে। মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার ভারত, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। একাধিকবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের তুমব্রুতে প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

মিয়ানমারের অস্থিরতা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও জটিল ও প্রলম্বিত করে তুলছে। প্রত্যাবাসন প্রশ্নে জান্তা সরকার বরাবরই ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে আসছে। এছাড়াও রাখাইনে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফেরার জন্য নিরাপদ ও টেকসই পরিবেশ তৈরির প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাখাইনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে তীব্র সংঘাতের ফলে তুমব্রু সীমান্তের শূণ্য রেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে আশাব্যঞ্জক দিক হলো, এ সবের মধ্যেও ক্ষমতার বাইরে থাকা এনইউজি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব স্বীকার নিয়ে নিয়েছে। রাখাইনের স্বায়ত্বশাসনের জন্য যুদ্ধরত আরাকান আর্মিও রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

মিয়ানমারে চলমান মানবিক সংকট দুই বছর অতিক্রম করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতির উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। বৃহৎ শক্তিগুলো তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে জান্তার সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। মিয়ানমারের দুই প্রতিবেশী ও বৃহৎ দুই আঞ্চলিক শক্তি চীন ও ভারতের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। তবে গত বছর থেকে মিয়ানমার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে । জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দুই সদস্য রাশিয়া এবং চীন জান্তাকে সমর্থন দেওয়ায় এতকাল উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে না পারলেও সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে প্রথম রেজ্যুলেশন পাশ করতে সফল হয়েছে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা নিধনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘বার্মা অ্যাক্ট’ও পাস করেছে। সামনের দিনগুলোতে মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা বাড়বে- এমনটাই ধারণা করছে বিশ্লেষকরা।

মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের গতি-প্রকৃতি এটাই ইঙ্গিত করে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ ছাড়া এর কোনো টেকসই সমাধান এখনই সম্ভব নয়। গণতন্ত্রকে ভূলুন্ঠিত করে নাগরিকদের উপর খড়গহস্ত হয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে দৃষ্টান্ত মিয়ানমার স্থাপন করেছে, তাকে আর দীর্ঘায়িত হতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। শান্তিপূর্ণ ও গনতান্ত্রিক মিয়ানমার প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারত, রাশিয়ার মত শক্তিগুলো এবং জাতিসংঘ ও আসিয়ানের মত জোটগুলোর এখনই এগিয়ে আসা উচিত।

লেখক: আন্তর্জাতিক রাজনীতির গবেষক।

/এএস

Header Ad

‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে ।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর বিচার দেশবাসীর কাছে চাই। আন্দোলনের নামে এতোগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব্য কার? আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে সরকার।’

বিস্তারিত আসছে......

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী দিমিত্রি বুলগাকভকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

দিমিত্রি বুলকাভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রসদ বিভাগের প্রধান ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদচ্যুত করা হয় তাকে। তারপর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইন্টারফ্যাক্সকে জানিয়েছেন এফএসবির এক কর্মকর্তা।

বস্তুত, দিমিত্রি বুলগাকভের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল রুশ প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী তিমুর ইভানভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে পদচ্যুত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিমুর ইভানভ সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

তারপর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫ জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সর্বশেষ গ্রেপ্তার হলেন বুলগাকভ। তার গ্রেপ্তারের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

৬৯ বছর বয়সী বুলগাকভ রুশ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের একজন ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তার বেশ প্রভাব ছিল। সামরিক খাতে অবদানের জন্য বেশ কিছু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘হিরো অব রাশিয়া’-ও পেয়েছেন তিনি।

 

আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় আজ শনিবারও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (৯ ঘণ্টা) কারফিউ শিথিল থাকবে।।

গতকাল শুক্রবারও এসব এলাকায় ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তার ধানমন্ডির বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছুটির দুই দিন ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল রাখার ঘোষণা দেন। এর আগে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যান্য জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বয় করে কারফিউ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও তিনি জানান।

গত বৃহস্পতিবার ও গত বুধবার ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। একই দিনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এরপর ধাপে ধাপে কারফিউ শিথিল করছে সরকার।

গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ২০৯ জন নিহত হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি