শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গৃহযুদ্ধ ও সহিংসতায় মিয়ানমারে জান্তা শাসনের আরও এক বছর

১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের ২ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। সামরিক জান্তার ক্ষমতারোহনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের কবর রচনার ফলে দেশটি এক গভীর সংকটকাল পার করছে। দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষ ও দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি এখন তীব্র গৃহযুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়েছে। জান্তাবিরোধী প্রধান শক্তি পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এবং অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আগের চেয়ে আরও বেশি সংগঠিত হওয়ায় দেশটিতে জান্তা শাসকগোষ্ঠী অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে এনএলডি নেতাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং পাতানো বিচারের মাধ্যমে দন্ড প্রদানের হিড়িক চলছে। সহিংসতা আর গৃহযুদ্ধের দুবছর পেরোলেও সামরিক শাসনের অন্ধকার থেকে বেরোতে মিয়ানমারকে আর কত পথ পাড়ি দিতে হবে তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে।

২০২১ সালের ১ জানুয়ারি সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর নেতৃত্বে তাতমাদো নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে তৎকালীন ক্ষমতাসীন এনএলডি সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে। ক্ষমতা গ্রহণের সাথেই দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি সহ বেশ কয়েকজন এনএলডি নেতাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এর প্রতিক্রিয়ায় সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় নেমে জান্তার বিরুদ্ধে আন্দালন শুরু করলে তাদের উপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হয়। জান্তা ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যেই সক্রিয় হয়ে ওঠে দেশটির বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো, যা দেশটিতে গৃহযুদ্ধ অনিবার্য করে তোলে। তাতমাদোর বিরুদ্ধে সামরিক ফ্রন্টে লড়াইয়ের জন্য এনইউজির সশস্ত্র বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফ্রন্ট বা পিডিএফ গঠিত হয়।

তাতমাদোকে মোকাবেলায় ২০২১ সালের এপ্রিলে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য সরকার বা এনইউজি নামে একটি ছায়া সরকার গঠিত হয়। এনইউজি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পিপলস ডিফেন্স ফোরাম (পিডিএফ) নামে তার সামরিক ফ্রন্ট গঠন করে। এনইউজির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ফলে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পিডিএফ এর প্রতিরোধ আরো তীব্র হয়েছে। সেইসাথে যোগ হয়েছে আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তীব্র প্রতিরোধ। জান্তা সেনাবাহিনী একইসাথে পিডিএফ ও অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে। গত বছর সেনাবাহিনী বিমান হামলা ও আর্টিলারি ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শণের পরও দেশটির অধিকাংশ এলাকায় জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণ কার্যত হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে, মিয়ানমারের মাত্র ১৭ শতাংশ এলাকায় জান্তা সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

অভ্যুত্থানের পর দুই বছরে যুদ্ধ ও সংঘাত জীবনের সব ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ করে তুলেছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তার হাতে ২৮৯০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৭৬৭ জন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হেফাজতে থাকাবস্থায় হত্যার শিকার হয়েছে। দুবছরে অন্তত ১৬ হাজার নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘাতের কারণে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেশের অভ্যন্তরে ঘরছাড়া হয়েছে এবং ৭০ হাজার মানুষ সীমান্তের অতিক্রম করে থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা সেনাবাহিনীর এই ধ্বংসযজ্ঞকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতারোধে সামরিক সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৩ জনেরও বেশি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে এবং স্বাধীন সংবাদমাধ্যগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকার রাজনৈতিক প্রতিরোধ দমনের কৌশল হিসেবে এনএলডি নেতাদেরকে ব্যাপকভাবে গ্রেফতার করে। মিয়ানমারের কয়েক দশকের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কয়েকজন গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালের ২৫ জুলাই জান্তা চারজন গণতান্ত্রিক নেতার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছে। সর্বশেষ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি কে ৭ বছরের কারাদন্ড দেয় দেশটির সামরিক আদালত। প্রহসনের বিচারে সর্বমোট ৩৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সু চি অভ্যুত্থানের দিন থেকেই গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন।

রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে সাথে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেশটিকে সীমাহীন অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশব্যাপী সংঘাত, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও বিদেশী বিনিয়োগ প্রত্যাহার অর্থনীতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনধারণের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে, মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, যুদ্ধ ও সহিংসতা ব্যবসা-বানিজ্য ও উৎপাদন কার্যক্রমকে ব্যাহত করেছে, যা দেশটির মুদ্রা কিয়াটের দরপতনের মাধ্যমে তীব্র মূল্যস্ফীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিয়ানমারের সংঘাত শুধু দেশটির অভ্যন্তরেই প্রভাব ফেলছে না, বরং সীমান্ত পেরিয়ে তা প্রতিবেশীদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করেছে। মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার ভারত, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। একাধিকবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের তুমব্রুতে প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

মিয়ানমারের অস্থিরতা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও জটিল ও প্রলম্বিত করে তুলছে। প্রত্যাবাসন প্রশ্নে জান্তা সরকার বরাবরই ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে আসছে। এছাড়াও রাখাইনে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফেরার জন্য নিরাপদ ও টেকসই পরিবেশ তৈরির প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাখাইনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে তীব্র সংঘাতের ফলে তুমব্রু সীমান্তের শূণ্য রেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে আশাব্যঞ্জক দিক হলো, এ সবের মধ্যেও ক্ষমতার বাইরে থাকা এনইউজি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব স্বীকার নিয়ে নিয়েছে। রাখাইনের স্বায়ত্বশাসনের জন্য যুদ্ধরত আরাকান আর্মিও রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

মিয়ানমারে চলমান মানবিক সংকট দুই বছর অতিক্রম করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতির উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। বৃহৎ শক্তিগুলো তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে জান্তার সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। মিয়ানমারের দুই প্রতিবেশী ও বৃহৎ দুই আঞ্চলিক শক্তি চীন ও ভারতের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। তবে গত বছর থেকে মিয়ানমার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে । জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দুই সদস্য রাশিয়া এবং চীন জান্তাকে সমর্থন দেওয়ায় এতকাল উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে না পারলেও সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে প্রথম রেজ্যুলেশন পাশ করতে সফল হয়েছে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা নিধনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘বার্মা অ্যাক্ট’ও পাস করেছে। সামনের দিনগুলোতে মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা বাড়বে- এমনটাই ধারণা করছে বিশ্লেষকরা।

মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের গতি-প্রকৃতি এটাই ইঙ্গিত করে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ ছাড়া এর কোনো টেকসই সমাধান এখনই সম্ভব নয়। গণতন্ত্রকে ভূলুন্ঠিত করে নাগরিকদের উপর খড়গহস্ত হয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে দৃষ্টান্ত মিয়ানমার স্থাপন করেছে, তাকে আর দীর্ঘায়িত হতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। শান্তিপূর্ণ ও গনতান্ত্রিক মিয়ানমার প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারত, রাশিয়ার মত শক্তিগুলো এবং জাতিসংঘ ও আসিয়ানের মত জোটগুলোর এখনই এগিয়ে আসা উচিত।

লেখক: আন্তর্জাতিক রাজনীতির গবেষক।

/এএস

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু

বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের উর্ধ্বমুখী আলু বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। এই আলুগুলো মালবাহী ট্রেনে করে ভারতের মেসার্স আতিফ এক্সপোর্ট সুজাপুর কালিয়াচক মালদা শহর থেকে আমদানি হয়ে বেনাপোল রেল স্টেশনে পৌঁছেছে।

রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স টাটা ট্রেডার্স নামক একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু আমদানি করেছেন। আগামীকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পণ্য চালানটি বেনাপোল বন্দর অথবা নওয়াপাড়া থেকে খালাস করা হবে।

সি এন্ড এফ এজেন্ট আলম এন্ড সন্সের প্রতিনিধি নাজমুল আরেফিন জনি বলেন, ভারত থেকে ট্রেনের একটি রেক-এ ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। পণ্য চালানটি ছাড় করানোর জন্য আগামীকাল শনিবার বেনাপোল কাস্টম হাউজে কাগজপত্র সাবমিট করা হবে। কাস্টমস ও রেলস্টেশনের কার্যক্রম সম্পন্নের পর বেনাপোল বন্দর অথবা নওয়াপাড়ায় আনলোড করা হবে। নওয়াপাড়া থেকে আলুগুলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।

বেনাপোল স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের টাটা ট্রেডার্স নামক এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু আমদানি করেন। ভারতের মালদার আতিপ এক্সপোর্ট নামক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আলুর চালানটি রপ্তানি করেছেন। একটি ট্রেনের রেক-এ ৯৪৬০ ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ৪৬৮০০০ কেজি। পণ্য চালানটির আমদানি মূল্য ১০৭৬৪০ মার্কিন ডলার।

Header Ad
Header Ad

কারচুপিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দাবাড়ু, অভিযোগ রাশিয়ার

ভারতীয় দাবাড়ু ডি গুকেশ। ছবি: সংগৃহীত

চীনা দাবাড়ু ডিং লিরেনকে হারিয়ে দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন ভারতীয় দাবাড়ু ডি গুকেশ। এর মধ্য দিয়ে প্রথম ভারতীয় এবং সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ১৮ বছর বয়সী গুকেশ ৭.৫-৬.৫ স্কোরে জিতেছেন।

কিন্তু গুকেশের অভাবনীয় এ অর্জনের উল্লাসে পানি ঢেলে দিল রাশিয়ান দাবা ফেডারেশন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক দিন না যেতেই বিতর্ক উঠেছে ডিং লিরেনের বিপক্ষে হওয়া গুকেশের ম্যাচটি নিয়ে।

রাশিয়ার দাবা সংস্থার প্রধান আন্দ্রে ফিলাতভের অভিযোগ, ডিং লিরেন ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচ হেরেছেন। যে কারণে ফিডেকে তদন্ত শুরু করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। এক সংবাদ সংস্থা এমনটা জানিয়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গুকেশ হারিয়ে দেন লিরেনকে। ১৪তম ক্লাসিকাল ম্যাচটি জেতেন ভারতীয় দাবাড়ু। ১৩তম ম্যাচ শেষে দু’জনের পয়েন্ট সমান ছিল। শেষ ম্যাচ জিততেই সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন গুকেশ।

কিন্তু সেই জয় নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। ফিলাতভের অভিযোগ, ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ম্যাচ সকলকে অবাক করে দিয়েছে। চীনের দাবাড়ু যেভাবে হেরেছেন তা সন্দেহজনক। এটা নিয়ে ফিডের তদন্ত করা উচিত। লিরেন ম্যাচটা যে জায়গা থেকে হেরেছে, তা একজন প্রথম শ্রেণীর দাবাড়ুর পক্ষেও হারা কঠিন। চীনের দাবাড়ুর এই হার ইচ্ছাকৃত বলে মনে হচ্ছে।’’

 

এবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ম্যাচেই আক্রমণাত্মক খেলেছেন গুকেশ। অন্যদিকে লিরেন বরাবরই রক্ষণাত্মক খেলছিলেন। শেষ ম্যাচেও সেটাই দেখা গেল। সময়ের চাপে সমস্যায় পড়েন লিরেন। প্রথম ৪০ চালের পর শেষ দিকে সময় কমছিল লিরেনের। তখন বোর্ডে গুকেশের রাজা ও দু’টি বোড়ে পড়ে ছিল। অন্য দিকে লিরেনের ছিল রাজা ও একটি বোড়ে। দেখে মনে হচ্ছিল, খেলা ড্র হবে। সেখানেই ভুল করে বসেন চীনা দাবাড়ু।

এদিকে, ম্যাচ শেষে লিরেন বলেছেন, ‘চাপের মধ্যে একটা চালে ভুল করে ফেলি। তারপরই গুকেশের মুখ দেখে বুঝতে পারছিলাম, ও কতটা আনন্দ পেয়েছে। তখন আর আমার কিছু করার ছিল না।’ গুকেশ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি যে লিরেন এত বড় ভুল করেছে। কয়েক সেকেন্ড পরে বুঝতে পারি। সেটা কাজে লাগাই।’

Header Ad
Header Ad

রাগের বশে ২ বছরের শিশু সন্তানকে হত্যা করে পুকুরে ফেলেন মা!

ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন স্থানীয়রা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের বাসাইলে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে মোহাম্মদ আলী নামে ২ বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মায়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরআগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাসাইল পূর্ব মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশু মোহাম্মদ আলী (২) ইব্রাহিম আলীর ছেলে।

স্থানীয় সাবেক প্যানেল মেয়র সাজ্জাদ হোসেন আলাল স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, ইব্রাহিমের ২ বছরের শিশু ছেলে মোহাম্মদ আলীকে রাত ৩টার পর ঘরে পাওয়া যাচ্ছিল না। আশেপাশের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজখুঁজি শুরু করে।

এরপর শুক্রবার ভোরে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটির মা হিরা বেগম স্বীকার করে রাগের বশে শিশুটিকে রাত ৩ টার দিকে পানিতে ফেলে দেন তিনি।

হিরা বেগমের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, এসময় আমার হিতাহিত কোন জ্ঞান ছিল না। কীভাবে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারিনি।

এ ঘটনায় বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনি বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু
কারচুপিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দাবাড়ু, অভিযোগ রাশিয়ার
রাগের বশে ২ বছরের শিশু সন্তানকে হত্যা করে পুকুরে ফেলেন মা!
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন
শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান: তারেক রহমান
যদি রাজনীতিবিদরাই সংস্কার করেন, তাহলে ৫৩ বছর তারা কী করেছেন: রিজওয়ানা
পদত্যাগ করলেন পাকিস্তান টেস্ট দলের প্রধান কোচ
অভিনেতা আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮৫ বাংলাদেশি
তামিলনাড়ুতে হাসপাতালে আগুন, নারী-শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের নিন্দা ৫৩ নাগরিকের
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ইস্যুতে যা জানাল আমেরিকা
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, আজও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩০ ফিলিস্তিনি
গণমাধ্যমই দেশের ভালো-মন্দের অতন্দ্র প্রহরী: শাকিল উজ্জামান
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি
কুবির দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশের কাছে তুলে দিলো শিক্ষার্থীরা
তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট
সৌদিকে আয়োজক বানাতে নিয়ম বদলালো ফিফা