শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শবে কদরের তাৎপর্য

পবিত্র রমজান মাসের শ্রেষ্ঠতম মর্যাদার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই যে, এ মাসেই পুণ্যময় রাত শবে কদর প্রচ্ছন্ন রয়েছে। দুনিয়ার বুকে এ রাতের মতো মূল্যবান রাত আর নেই।

এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, একদিন হযরত রাসুলে করিম (সা.) স্বীয় সাহাবায়ে কেরামদেরকে লক্ষ্য করে বনি ইসরাইল গোত্রের বিখ্যাত বুজুর্গ ‘শামউন’- এর কাহিনি বিবৃত করলেন। বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি বললেন-বনি ইসরাইল গোত্রের একজন আবেদ যার নাম ছিল ‘শামউন’। তিনি সাড়ে তিনশত বছর বেঁচেছিলেন এবং দীর্ঘ জীবনভর তিনি রোজা রাখতেন এবং সারারাত আল্লাহ পাকের ইবাদত- বন্দেগিতে নিমগ্ন থাকতেন। শামউনের এহেন ইবাদতের কথা শ্রবণ করে সাহাবায়ে কেরাম বিমর্ষ হয়ে পড়লেন এবং বিনীতভাবে আরজ করলেন--হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমরা আপনার উম্মত। আমাদের অধিকাংশের হায়াতই ষাট এবং সত্তরের মাঝামাঝি শেষ হয়ে যাবে। আমরা একান্তই হতভাগ্য। কেননা আমরা এত দীর্ঘ সময় বাঁচব না এবং শামউনের মতো বেশি পরিমাণে ইবাদতও করতে পারব না।

সাহাবারা বিস্ময় প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য মাত্র একটি রজনীর উল্লেখ করে বার্তা পাঠালেন। যে রজনীকে ‘খাইরুম মিন আলফি শাহরিন’ তথা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলে আখ্যা দিলেন। এতে সাহাবাদের বিস্ময় ও হতাশা মনোভাব কেটে গেল। এ প্রসঙ্গে মহান প্রভু নাযিল করলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা-সূরায়ে কদর।

ইরশাদ হয়েছে: আমি এই কিতাব নাজিল করেছি কদরের রাত্রিতে। (হে মুহাম্মদ!) আপনি কি কদরের রাত সম্বন্ধে জানেন? (অর্থাৎ কদরের রাত কত বরকতময় তা কি আপনি জানেন?)

আয়াতে আল্লাহ তাআলা প্রশ্ন করে পরের আয়াতে নিজেই জবাব দিয়েছেন- ‘কদরের রাত্রি হলো (এমন এক মহিমান্বিত রজনী যা) হাজার মাস থেকেও শ্রেষ্ঠ । এই রাতে ফেরেশতারা ও রূহ আপন প্রভুর নির্দেশে প্রত্যেক কাজের জন্যে (জমিনে) অবতরণ করেন। এটা এমন এক নিরাপত্তা যা সুবহে সাদিক পর্যন্ত অব্যাহত থাকে বস্তুত এই রজনী মহিমান্বিত হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হলো যে, আল্লাহ তার প্রেরিত সর্বশেষ গ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণের সূচনা এই রজনীতেই করেন। তাই একে ‘লাইলাতুল কদর’ বলে উল্লেখ করেন। কদরের অর্থ মহিমান্বিত ও সম্মানিত।

হযরত আবু বকর (রা.) বলেন, এ রাত্রিকে মহিমান্বিত বলার কারণ হলো-সারাটি বছর ইবাদতে মশগুল না হওয়ার দরুন মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল যে বান্দাটি, সেও এই রাতে ইবাদতের মাধ্যমে তওবা ইস্তেগফার করে সম্মানিত হয়ে যায়।- মা’আরিফুল কুরআন।

এই রজনীর মাহাত্যের দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তাআলা অপর স্থানে ইরশাদ ফরমান- ‘সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ! আমি ইহা (কুরআন) নাজিল করেছি বরকতময় এক রজনীতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। (এটা এমন রাত) যে রাতে সকল প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় ছ্িরিকৃত হয়।' - সূরা দুখান: ২-৪।

আয়েশা (রা) বলেন: ‘যখন রামাদানের শেষ রাত এসে যেত তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) রাত্রি জাগরিত থাকতেন, তার পরিবারের সদস্যদেরকে জাগিয়ে দিতেন, তিনি অত্যন্ত উদ্দীপনার সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগিতে রত থাকতেন এবং সাংসারিক, পারিবারিক বা দাম্পত্য কাজকর্ম বন্ধ করে দিতেন।’ (বুখারী, আস-সহীহ ২/৭১১; মুসলিম, আস-সহীহ ২/৮৩২)

রামাদানের শেষ দশ রাতের মধ্যেই রয়েছে ‘লাইলাতুল কদর’ বা তাকদীর বা মর্যাদার রাত।

ইমাম বাইহাকী বলেন: লাইলাতুল কদর অর্থ হলো, এ রাত্রিতে আল্লাহ পরবর্তী বছরে ফেরেশতারা মানুষদের জন্য কী কী কর্ম করবেন তার তাকদীর নির্ধারণ করে দেন। (বাইহাকী, শুআবুল ঈমান ৩/৩১৯)। সুরা কদর-এ আল্লাহ বলেন: লাইলাতুল কদর এক হাজার মাস থেকেও উত্তম।’

এই রাতটি উম্মতে মুহাম্মাদ এর জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত । একটি রাতের ইবাদত এক হাজার মাস বা প্রায় ৮৪ বছর ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কত বড় নেয়ামত! শুধু তাই নয়, এ রাত্রি কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদে জাগ্রত থাকলে আল্লাহ পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: ‘যদি কেউ ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব লাভের খাঁটি নিয়তে লাইলাতুল কদর কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদে অতিবাহিত করে তবে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (বুখারী, আস-সহীহ ২/৬৭২, ৭০৯; মুসলিম, আস-সহীহ ১/৫২৩)

আমরা মনে করি, ২৭ শের রাত কদরের রাত। এই চিন্তাটি সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনোই বলেননি যে, ২৭ রামাদানের রাত কদরের রাত । তবে অনেক সাহাবী, তাবিয়ী বা আলিম বলেছেন যে, ২৭শের রাত শবে কদর হওয়ার সম্ভবানা বেশি। এজন্য আমাদের দায়িত্ব হলো রামাদানের শেষ দশ রাতের সবগুলো রাতকেই ‘শবে কদর’ হিসেবে ইবাদত করব। ২৭শের রাতে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত করব।

রাসুলুল্লাহ (সা.) এর তরিকায় আমাদের জন্য সর্বোত্তম তরিকা। এতেই আমাদের নাজাত। তিনি নিজে লাইলাতুল কদর লাভ করার জন্য রামাদানের শেষ দশরাত সবগুলোই ইবাদতের ও

তাহাজ্জুদে জাগ্রত থেকেছেন এবং এরূপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন । রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রামাদানের শেষ দশ রাত্রিতে খোজ করে ।’ (মুসলিম, আস-সহীহ ২/৮২৩) এ অর্থে আরও অনেকগুলো হাদিস রয়েছে। এ সকল হাদিসে তিনি রামাদানের শেষ দশ রাত্রির সকল রাত্রিকেই শবে কদর ভেবে ইবাদত করতে বলেছেন।

এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘তোমরা রামাদানের শেষ দশ রাত্রিতে লাইলাতুল কদর সন্ধান করবে। যদি কেউ একান্তই দুর্বল হয়ে পড়ে, তবে অন্তত শেষ ৭ রাতের ব্যাপারে যেন কোনোভাবেই দুর্বলতা প্রকাশ না করে।’ (বুখারী, আস-সহীহ ২/৭১১; মুসলিম, আস-সহীহ ২/৮২৩)।

কোনো কোনো হাদিসে তিনি বেজোড় রাত্রিগুলোর বেশি গুরুত্ব দিতে বলেছেন। তিনি বলেন. ‘আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছে, অতঃপর আমাকে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে অতএব তোমরা শেষ দশ রাতের বেজোড় রাতগুলোতে তা খোজ করবে।’ (বুখারী, আস-সহীহ ২/৭০৯; মুসলিম, আস-সহীহ ২/৮২৩)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) লাইলাতুল কদরের উদ্দেশে রামাদানের শেষ কয়েক বেজোড় রাত্রিতে সাহাবীদের নিয়ে জামাতে তারাবীহ বা কিয়ামুল্লাইল আদায় করেন । আবু যার (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) ২৩শে রামাদানের রাত্রিতে আমাদের নিয়ে কিয়ামুল্লাইল করলেন রাত্রির এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত। এরপর বলেন, তোমরা যা খুঁজছ তা মনে হয় সামনে । এরপর ২৭শের রাত্রিতে তিনি নিজের স্ত্রীরা, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সবাইকে ডেকে আমাদেরকে নিয়ে প্রভাত পর্যন্ত জামাতের কিয়ামুল্লাইল করলেন, এমনকি আমরা ভয় পেয়ে গেলাম যে, সাহরি খাওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। (তিরমিযী, আস-সুনান ৩/১৬৯)।

শবে কদরের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি দুআ শিখিয়েছেন । আয়েশা (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, যদি আমি লাইলাতুল কাদর পাই তাহলে আমি কি বলব? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুমি বলবে, ‘হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল মর্যাদাময়, আপনি ক্ষমা করতে ভালবাসেন, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন’ (তিরমিযী, আস-সুনান ৫/৫৩৪, ইবনু মাজাহ, আস-সুনান ২/১২৬৫)।

এ দুআটি মুখস্থ করে অর্থের দিকে লক্ষ্য রেখে এ দশ রাত্রির নামাজের সিজদায়, নামাযের পরে, এবং সর্বাবস্থায় বেশি বেশি করে পাঠ করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে শবে কদরের ইবাদত করার তাওফিক দিন। আমীন।

ড. মাহবুবা রহমান: সাবেক বিভাগীয় প্রধান. ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা ।

 

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ

ডিপজল। ছবি: সংগৃহীত

রাত পোহালেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নিয়ে এফডিসিতে উৎসবের আমেজ বইছে। এরইমধ্যে ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন সাদিয়া মির্জা নামে এক অভিনেত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদেরকে ভিডিও প্রমাণসহ এমন অভিযোগ করেন সাদিয়া মির্জা নামক এক প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজলকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে একটি কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি। এদিকে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানান বর্তমান নির্বাচন কমিশনার খসরু।

এছাড়াও যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিপুণ আক্তারের।

এ নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেলের চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বোকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমরা এমনটি আভাস পেয়েছি নির্বাচনের আগেই একটি পক্ষ নির্বাচন বাঞ্চালের চেষ্টা করবে। তবে আমরা চাইবো সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। এমন অভিযোগ আমরা অন্য প্যানেল থেকেও অনেক পেয়েছি কিন্তু তাতে আমরা গুরুত্ব দেইনি।

তিনি আরও বলেন, ডিপজল ভাই মহৎ মানুষ এমনিতেই দানবীর, সবাইকে টাকা-পয়সা দান করে থাকেন। এটা নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিষয়টি সুখকর হবে না।

তবে এ বিষয় নিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলের কেউ মুখ খোলেননি। কথা বলতে চাননি মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য সদস্যরাও।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন উপলেক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং- জুয়ারোধ, চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন করে আসামিদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন এবং সর্বাধিক ওয়ারেন্ট তামিল লক্ষ্য পূরণ করাসহ ভালো কাজের বিশেষ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আহসান উল্লাহ্। তিনি জেলার ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এ নিয়ে জেলার মধ্যে চতুর্থবারের মতো সেরা ওসি নির্বাচিত হলেন তিনি। একইসাথে ভূঞাপুর থানাও শ্রেষ্ঠ হয়েছে এবং থানার এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলসহ ৯ জন ক্রেস্ট সম্মাননা পেয়েছেন। তার এই অর্জনে উপজেলার সুধীজন, বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত মাসের কল্যাণ সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এ সময় ওসি আহসান উল্লাহ্’র হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট (পুরস্কার) তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার (বিপিএম) (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। এতে জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার মহোদয় (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এর দিক-নির্দেশনায় মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিংরোধ ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতারসহ বিশেষ অবদানের জন্য চতুর্থ বার আমাকে শ্রেষ্ঠ ওসি ও ভূঞাপুর থানাকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়।

ওসি আহসান উল্লাহ্ আরও বলেন- ভূঞাপুর থানার কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য এবং উপজেলার সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ভূঞাপুর থানার এমন এক সাফল্যময় গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্জন সকলের। তাছাড়া জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি ও থানা নির্বাচিত হওয়ায় আমাদের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল। ভূঞাপুর থানা সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগামী দিনগুলোতে আরও ভালো কিছু করতে ভূঞাপুর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা সহযোগিতা কামনা করছি।

ক্যাপশন: সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্।

দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি

সড়ক দুর্ঘটনা। ফাইল ছবি

দেশে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। ফরিদপুরে ঈদের পরদিন সড়কে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। এই রেশ কাটতে না কাটতেই ঝালকাঠিতে সড়কে প্রাণ ঝরে আরও ১৪ জনের। গত তিন মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন সড়কে প্রাণ যাচ্ছে ঝরছে ১৬ জনের বেশি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৬৩০টি। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৭৭ জনের। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৯২০ জন।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩৭টি, এতে মৃত্যু হয়েছে ৪০৪ জনের আর আহত হয়েছেন ৫১৪ জন। ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৬৯টি। এতে মারা গেছেন ৫২৩ জন আরও আহত হয়েছেন ৭২২ জন।

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে হয় ৬২৪টি। এতে আহত হন ৬৮৪ জন। মারা গেছেন ৫৫০ জন। এপ্রিল মাসের ১৬ দিনে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬৯টি আর মৃত্যু হয়েছে ২৮৪ জনের। গড়ে প্রতিদিন সড়কে মৃত্যু হচ্ছে ১৬ জনেরও বেশি।

গত ৩ মাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে, যার সংখ্যা ৫৫৪টি, আর এতে মৃত্যু ৫০৪ জনের। আর সার্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু চট্টগ্রাম বিভাগে।

বিআরটিএ বলছে, গেল বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু দুটোই এবছর প্রথম তিন মাসে বেড়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ
টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার
দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি
টানা তিনদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট অ্যালার্ট জারি
তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল ছুটি ঘোষণা
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের 'প্রিমিয়াম টিম': সেনাপ্রধান
আগামীকাল ঢাকা মাতাবেন আতিফ আসলাম
এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আ.লীগের নির্দেশনা
নওগাঁয় শান্ত বাহিনীর শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন
বিএনপি এখনও টার্গেটে পৌঁছাতে পারেনি: রিজভী
বিরামপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়ল, কমল খোলা তেলের
মুস্তাফিজের বদলে ইংল্যান্ড পেসারকে দলে নিল চেন্নাই!
যে কারণে দুবাইয়ে এমন ভারী বৃষ্টিপাত ও ভয়াবহ বন্যা
গায়েব হয়ে গেল জোভান-মাহির ফেসবুক ফ্যানপেজ!
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান একাই যথেষ্ট: চীন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি হারালেন ২৮ কর্মী
আইপিএল থেকে বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে ম্যাক্সওয়েল