শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

নবী-রাসুলদের স্মৃতিধন্য মসজিদুল আকসা

মধ্যপ্রাচ্যের দক্ষিণাংশের একটি ভূখণ্ড ফিলিস্তিন, যা ভূমধ্যসাগর ও জর্ডান নদীর মধ্যে অবস্থিত। এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা এই তিন মহাদেশের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে ফিলিস্তিন। আলকুদুস, নাবলুস, গাজা, আসকালান ফিলিস্তিনের অন্যতম শহর। ফিলিস্তিনের ভূমি অসংখ্য নবী-রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত, এর আশপাশে অনেক নবী-রাসুলের কবর রয়েছে।

এটি দীর্ঘকালের ওহি অবতরণস্থল, ইসলামের কেন্দ্র এবং ইসলামি সংস্কৃতির চারণভূমি। ফিলিস্তিন একটি আরব ভূমি এবং মুসলমানদের আবেগের ভূমি। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে মসজিদে আকসা এবং সমগ্র ফিলিস্তিনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অনেক। পবিত্র কুরআন-হাদিসে ফিলিস্তিনের অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এই ভূমিকে আল্লাহ তায়ালা বরকতময় ভূমি বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘পবিত্র ও মহিমাময় সেই সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতের বেলা মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা ভ্রমণ করিয়েছেন, যার আশপাশ আমি বরকতময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১)

মক্কা ও মদিনার পর মুসলমানদের কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও পবিত্রতম শহর ফিলিস্তিনের কুদুস। এর পবিত্রতা, শ্রেষ্ঠত্ব ও আবেগের মূলে রয়েছে মসজিদে আকসা। ইসলামের দৃষ্টিতে মসজিদুল আকসা তৃতীয় শ্রেষ্ঠ বরকতপূর্ণ মসজিদ। এই মসজিদের সঙ্গে মিশে আছে আমাদের নবীজির মেরাজের স্মৃতি। মেরাজের রাতে এই মসজিদে পূর্ববর্তী নবী-রাসুলগণ মহানবী (সা.)-এর ইমামতিতে নামাজ আদায় করেন।

নবীজি (সা.)-এর গম্বুজ

 

পবিত্র কাবা শরিফের পর পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ এটি। হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, ‘আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! দুনিয়াতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে? তিনি বললেন, মসজিদুল হারাম। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? প্রতিউত্তরে তিনি বললেন, তারপর হলো মসজিদুল আকসা। অতঃপর আমি জানতে চাইলাম যে, উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের? তিনি বললেন চল্লিশ বছরের ব্যবধান। (বুখারি, হাদিস : ৩১১৫)

এই মসজিদটি ইসলামের প্রথম কেবলা। রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরতের পর ১৬-১৭ মাস মসজিদে আকসার দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেছেন। এরপর আল্লাহ পাকের আদেশে কাবা পরিবর্তন হয়ে বায়তুল্লার দিকে কেবলা নির্ধারণ হয়েছে। সে হিসেবে বাইতুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের প্রথম কেবলা। এখনও এই মসজিদে নামাজ পড়ার অসংখ্য সওয়াব রয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মসজিদুল হারামে এক রাকাত নামাজ এক লাখ নামাজের সমান। আমার মসজিদে (মসজিদে নববী) এক রাকাত নামাজ এক হাজার নামাজের সমান এবং বায়তুল মাকদিসে এক নামাজ পাঁচশ নামাজের সমান। (মাজমাউজ জাওয়াইদ : ৪/১১) 

তা ছাড়া মুকাদ্দাসে যারা নামাজ আদায় করবে তাদের জন্য এই মসজিদের নির্মাতা হজরত সুলাইমান (আ.) বিশেষ দোয়া করে গেছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি এই মসজিদে নামাজের উদ্দেশে আগমন করবে, আপনি তাকে সেদিনের মতো নিষ্পাপ করে দিন, যেদিন সে দুনিয়াতে এসেছিল (ইবনে মাজাহ : ১৪৭৯)। অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদুল আকসায় যাও, সেখানে গিয়ে সালাত আদায় করো। কেননা, তাতে এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করা অন্যান্য মসজিদে এক হাজার সালাত আদায়ের সওয়ার পাওয়া যায়। আর যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসায় যাওয়ার শক্তি-সামর্থ্য রাখে না, সে যেন তাতে দীপ জ্বালানোর জন্য তেল হাদিয়া হিসেবে প্রেরণ করে। কেননা যে বায়তুল মাকদিসের জন্য হাদিয়া প্রেরণ করে, সে তাতে নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির মতো সওয়ার লাভ করবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৫৭)

বিশ্বনবী (সা.)-এর বোরাক বাঁধার জায়গা

 

ফিলিস্তিন মহান আল্লাহর কাছেও পছন্দনীয় ভূমি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইসলামি বাহিনী শিগগিরই কয়েকটি দলে দলবদ্ধ হবে। একটি দল শামে, একটি ইয়েমেনে ও অন্য একটি ইরাকে। ইবনে হাওয়ালা (রা.) জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি সে যুগ পাই, তখন আমি কোন দলটিতে যোগদান করব, তা বলে দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুমি শামের বাহিনীতে থাকবে, কেননা তা আল্লাহর পছন্দনীয় ভূমির একটি, সেখানে তিনি তাঁর সর্বোৎকৃষ্ট বান্দাদের একত্র করবেন। আর যদি তুমি তাতে যোগদান না করো, তা হলে তুমি ইয়েমেনের বাহিনীকে গ্রহণ করো, আর তোমরা শামের কূপ থেকে পানি গ্রহণ করো। কেননা আল্লাহ আমার জন্য, অর্থাৎ আমার উম্মতের জন্য শাম ভূখণ্ড ও তার বাসিন্দাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৮৩) 

তবে দুঃখজনকভাবে মুসলমানদের হাজার বছরের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এ পুণ্যভূমি এখন অভিশপ্ত ইহুদিদের করালগ্রাসে আক্রান্ত। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার অন্যায়ভাবে মুসলমানদের পুণ্যভূমিকে মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যে ভাগ করে দেয়। ফলে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে জায়নবাদী ইহুদিদের অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৭ সালে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল মুসলমানদের প্রাণকেন্দ্র ‘মসজিদুল আকসা’ দখল করে। এরপর থেকে মুসলমানদের প্রতি ইহুদিদের জুলুম-নির্যাতন ও অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে, যা আজও চলছে। মনে রাখতে হবে; ফিলিস্তিন একটি আরব ভূমি এবং মুসলমানদের প্রাচীন ভূমি। এখানে ইহুদিদের যে অধিকারের কথা বলা হয়, তার ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তি নেই। কারণ ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দেড় হাজার বছর আগেই আরব মুসলমানগণ এই অঞ্চল আবাদ করেছিল। ইহুদিবাদীদের দাবির ভিত্তি শুধু এতটুকুই যে, কয়েক হাজার বছর আগে খুবই স্বল্প কিছু কাল ফিলিস্তিনের ছোট্ট একটা অংশে তারা রাজত্ব করেছিল। সেটা এখন কেবলই ইতিহাসের গল্প, গত দুই হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে এ গল্পের কোনো যোগসূত্র নেই। সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত ইহুদিদের এই ভূখণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক কোনো ধরনের নেতৃত্ব সম্পর্ক ছিল না। ঐতিহাসিক দলিল প্রমাণের আলোকে আল-আকসা ও জেরুজালেম সব ধরনের আইনের ভিত্তিতেই শুধু মুসলমানদের; অন্য কারও নয়।

প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সময় উড়ে এসে জুড়ে বসা দখলদার ইহুদি গোষ্ঠী এখন পুরো ফিলিস্তিন নিজেদের দাবি করে দখল করতে চাচ্ছে। ১৯৪৮ থেকে জায়নবাদী ইহুদিরা ফিলিস্তিন দখলের নামে অবিরাম মানুষ হত্যা করে চলছে। নারী, শিশু, সামরিক-বেসামরিক জনগণকে পাখির মতো বোমা ফেলে মারছে। সকাল-সন্ধ্যা বুলডোজার নিয়ে এসে ধ্বংস করে দিচ্ছে পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি।

ঈসা (আ.)-এর প্রত্যাবর্তনস্থল

 

খোদ ধার্মিক ইহুদি শ্রেণির কাছেও বর্তমান ইসরাইল রাষ্ট্র বৈধ নয়। তাওরাত ও তালমুদ অনুযায়ী তারা বিশ্বাস করে, পৃথিবীর শেষ সময় মাসিহ (দাজ্জাল) এসে তাদের জন্য শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন। এ কারণেই ধার্মিক ইহুদি সম্প্রদায় এখনও মূল মসজিদুল আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে না, তারা শান্তির বাদশা আগমনের আগে সেখানে প্রবেশ করাকে পাপ মনে করে এবং এ কারণে তারা দেয়ালের বাইরের একাংশে উপাসনা করে। অতএব জায়নবাদী ইহুদিদের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে সোচ্চার হতে হবে।

আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি দখলদার জালেম ইসরাইলের এ জুলুমের অবসান একদিন হবে। পবিত্র আল-আকসাকে ঘিরে আবার জেগে উঠবে নিরাপদ প্রাণের স্পন্দন। অসংখ্য নবী-রাসুলের পদধন্য এ ভূমি আবার আনন্দে হাসবে। মহান আল্লাহ কাছে আমরা এ দোয়া করি।

Header Ad
Header Ad

প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান

ছবি: সংগৃহীত

‘প্রত্যেকটা জেলায় শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন হাসপাতাল আছে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সিনেমা হল থাকা দরকার। সুস্থ বিনোদন থাকলে মানুষ নেশা, হানাহানি ও মব জাস্টিস থেকে দূরে থাকবে। আমাদের যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান দরকার তেমনি বিনোদনের জন্য সিনেমা হল দরকার।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘উৎসব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী শেষে কথাগুলো বলছিলেন নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসান।

‘উৎসব’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। শুটিংয়ের বহুদিন পেরিয়ে গেলেও জাহাঙ্গীর চরিত্রের মধ্যে থেকে এখনো বের হতে পারেননি বলেন জানালেন এই অভিনেতা।

 

ছবি: সংগৃহীত

জাহিদ হাসান বলেন, ‘এখনো আমি এই চরিত্রটার মধ্যে ডুবে আছি। সিনেমার আমার চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে জাহাঙ্গীর লুকিয়ে আছে। কারণ, আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে হিরোইজম আছে, ভিলেন আছে। আছে উপলব্ধি করার ক্ষমতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের সেই রিয়েলাইজেশনের সময়টা আছে। কখন মৃত্যু হয় আমরা জানি না। এই রিয়েলাইজ যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে আজ আমরা যারা জাহাঙ্গীরের মত আছি, কাল আমরা ভালো হয়ে যাবো।’

ঈদের সিনেমা মানেই এখন যেন অ্যাকশন অথবা থ্রিলার। গত কয়েক বছরে ঈদে বাজিমাত করা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে এমনটাই মনে হতে পারে। সেসব থেকে বেরিয়ে হাস্যরস পরিবার এবং সম্পর্কের গল্পে এবার ঈদে বাজিমাত করেছে ‘উৎসব’। এই সফলতার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করলেন প্রত্যেক শিল্পীর সততাকে।

জাহিদ হাসানের কথায়, ‘প্রডাক্টশন বয় থেকে শুরু করে এই সিনেমার সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত ছিলাম তারা প্রত্যেকেই অনেক সৎ ছিলাম। অভিনয় নিয়ে কোনো অসৎ অবস্থার মধ্যে আমরা যাইনি। এটাই মনে হয় আমাদের সফলতার বড় বিষয়। এই সিনেমার প্রত্যেকটি দৃশ্যের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে।’

করোনা মহামারির পর অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায়নি জাহিদ হাসানকে। নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে খুব একটা কথা হয়নি তার। কারোনার পর ‘উৎসব’-ই তার প্রথম সিনেমা। তার ভাষ্য, ‘করোনার পর খুব একটা অভিনয় করা হয়নি। আমাকে অভিনয়ে নেওয়া বা না নেওয়াটা নির্মাতাদের দায়িত্ব। বলতে গেলে গত কয়েকবছর সেভাবে সুযোগও আসেনি। ‘উৎসব’ সিনেমার মধ্যে সেই সুযোগটা এলো। অভিনয় করলাম। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝেছি অন্তত ফেল করিনি।’

 

ছবি: সংগৃহীত

সিনেমার হলের সংখ্যা কম হওয়ায় দেশের সিনেমা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন জাহিদ হাসান। সেইসঙ্গে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।

জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। আমার বোন ফোন করে বললেন এখানে তো সিনেমা হলে নেই। তাই আমরা সিনেমা দেখতে পারছি না। এই কথা শুনে কষ্ট পেয়েছি। এটা সত্য সিরাজগঞ্জের মত দেশের অনেক বড় শহরে সিনেমা হল নেই। জেলা প্রশাসকসহ দায়িত্বশীল পর্যায়ে যারা আছে তাদের সবাইকে অনুরোধ করবো তারা যেন প্রত্যেকটি জেলায় সিনেমা হলের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে তার বাস্তবায়ন করেন।’

তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমায়ি জাহিদ হাসান ছাড়াও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মান।

 

Header Ad
Header Ad

দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি

ছবি: সংগৃহীত

উদ্ভূত যুদ্ধ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ইরানে বসবাসরত প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের প্রথম দলটি (২৮ জন) সড়কপথে ইরান থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা করে দেশটির সীমান্তে পৌঁছেছে। পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতায় তারা সীমান্ত থেকে শিগগিরই করাচি পৌঁছাবেন। সেখান থেকে বিমানে করে বাংলাদেশ ফিরে আসবেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, ইরানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক অন্য বাংলাদেশিদের ফেরত আসার বিষয়ে তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দূতাবাস ইরানে অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে।

উল্লেখ্য, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির শুরুতেই দূতাবাসের সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিকদের যোগাযোগের সুবিধার্থে দূতাবাস দুটি হটলাইন নম্বর চালু করে। হটলাইন নাম্বারগুলোর হোয়াটসঅ্যাপে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরানের হটলাইন নম্বর: +৯৮৯৯০৮৫৭৭৭৩৬৮, +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঢাকাস্থ কার্যালয়ের হটলাইন নম্বর: +৮৮০১৭১২০১২৮৪৭

Header Ad
Header Ad

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

যদিও সাক্ষাৎটি ‘সৌজন্য’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এর আগে, ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ওই বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, যদি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, তাহলে ২০২৬ সালের পবিত্র রমজানের আগের সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। তবে সে লক্ষ্যে বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এদিকে, আগাম নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে স্থানীয় সরকার, বিশেষ করে সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন চায় কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই প্রেক্ষাপটেই সিইসির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকে নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য আলোচনার সূচনা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।

যদিও বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবুও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগাম ভোটের সম্ভাবনা ঘিরে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে (ভিডিও)
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!