যেভাবে সগিরা গুনাহ কবিরা গুনাহ হয়ে যায়

২০ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৫১ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৪ পিএম


যেভাবে সগিরা গুনাহ কবিরা গুনাহ হয়ে যায়
ছবি সংগৃহিত

শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারবার গুনাহ করে ফেলে, আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়। তবে মানুষ যত গুনাহ-ই করুক না কেন তাকে নিষ্কলুষ ও নিষ্পাপ করতে আল্লাহ তায়ালা সবসময় তওবার দরজা খুলে রেখেছেন। কোরআন ও হাদিসে মুসলিম জাতিকে বারবার তওবা ও ইস্তেগফারের কথা বলা হয়েছে।

মানুষ যেসব গুনাহের কাজে লিপ্ত হয় তা দুই প্রকার। ১. কবিরা গুনাহ বা বড় গুনাহ। ২. সগিরা গুনাহ বা ছোট গুনাহ। জীবনে চলার পথে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় মানুষ এমন অনেক গুনাহ করে থাকে, যেগুলো আপাত দৃষ্টিতে সগিরা গুনাহ মনে হলেও নানা কারণে সেগুলো কবিরা গুনাহ হয়ে যায়।

কবিরা গুনাহ

কবিরা গুনাহ বলা হয়, যে গুনাহর জন্য পার্থিব জীবনে হদ বা শাস্তি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, যেমন—নিরপরাধ মানুষ হত্যা, ব্যভিচার, চুরি ইত্যাদি। কিংবা যে পাপের জন্য পরকালে জাহান্নাম বা আল্লাহর ক্রোধ কিংবা অভিসম্পাতের কারণ বলে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, যেমন—সুদ খাওয়া, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া ইত্যাদি। এগুলো কবিরা গুনাহ।

সগিরা গুনাহ

সগিরা গুনাহ বলা হয়,যেসব পাপের ব্যাপারে কোনো শাস্তি, আল্লাহর ক্রোধ বা অভিশাপের কথা বলা হয়নি; বরং শুধুই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেসব হলো সগিরা গুনাহ। তবে সেসব গুনাহও কবিরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত হবে, যার অনিষ্ট ও পরিণতি কোনো কবিরা গুনাহর অনুরূপ কিংবা তার চেয়েও অধিক। আবার যেসব ছোট গুনাহ নির্ভয়ে করা হয় কিংবা নিয়মিতভাবে করা হয়, সেগুলোও কবিরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত হবে।

সগিরা গুনাহ কবিরা গুনাহে রূপান্তরের ৫ টি কারণ এখানে ‍তুলে ধরা হলো-

১. গুনাহকে ছোট মনে করা

গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া এমনিতেই অপরাধ। আর গুনাহকে ছোট মনে করা আরও বড় অপরাধ। হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এক হাদিসে বলেছেন, ‘মানুষ যে গুনাহকে ছোট মনে করে, সেটাই আল্লাহ তায়ালার কাছে বড়। আর যেগুলোকে মানুষ বড় মনে করে, সেটাই আল্লাহ তায়ালার কাছে ছোট।’

আরেক হাদিসে হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা অনেক গুনাহকে চুলের চেয়েও ছোট মনে কর। অথচ আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে সেগুলোকে ধ্বংসাত্মক গুনাহ মনে করতাম।’ (বুখারি, হাদিস, ৬১২৭)

২.সগিরা গুনাহ বারবার করা

সগিরা গুনাহ বারবার করলে তা কবিরা গুনাহ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত আয়শা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে একদিন বললেন, ‘গুনাহকে ছোট ও তুচ্ছ মনে করা থেকে নিজেকে রক্ষা কর। কারণ প্রতিটা গুনাহ সংরক্ষণের জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা নিযুক্ত আছে।’(তিরমিজি, হাদিস, ৪১৪৩)

আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সগিরা গুনাহ বার বার করলে তা সগিরা থাকে না; কবিরা হয়ে যায়। আর ইস্তেগফারের মাধ্যমে কবিরা গুনাহ কবিরা থাকে না।’(শুআবুল ঈমান, হাদিস, ৭২৬)

৩. অনুসরণীয় ব্যক্তিদের সগিরা গুনাহ কবিরা হয়ে যায়

আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও সমাজের অনুসরণীয় ব্যক্তিদের সগিরা গুনাজ কবিরা হয়ে যায়। কারণ তাদের ছোট গুনাহগুলো দেখে অন্যরা গুনাহ করার দুঃসাহস পায়। এভাবে সমাজের সব জায়গায় সেই গুনাহ ছড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ প্রকাশ্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হলে, তার শাস্তি দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে দেয়া হবে। আর আল্লাহর পক্ষে তা অতি সহজ।’(সূরা আহযাব, আয়াত, ২৯)

৪. গুনাহ করে খুশি হওয়া

শয়তানের ধোঁকায় পড়ে গুনাহ হয়ে যেতে পারে। তাই বলে ইচ্ছা করে গুনাহ করা, গুনাহ করে খুশি হওয়া কোনোভাবে কাম্য নয়। কোনো ব্যক্তি যখন কোনো সগিরা গুনাহ করে কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয় তখন আর তা সগির গুনাহ থাকে না, কবিরা গুনাহে পরিণত হয়ে যায়।

৫. আল্লাহর সহিষ্ণুতায় ধোঁকা খাওয়া

যারা নিজ সংশোধন ও আখেরাতের চিন্তা থেকে সম্পূর্ণ উদাসীন, শুধু দুনিয়ার জীবন নিয়ে ব্যস্ত। এসবের পরেও যখন আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি পরম দয়া ও সহিষ্ণু আচরণ করেন, তখন এটাই তাদের জন্য এক অদৃশ্য পর্দা হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে তারা অবলীলায় ছোট-ছোট গুনাহ করে থাকে। আর এভাবে অবলীলায় করতে থাকা সগিরা গুনাহ কবিরা গুনাহে পরিণত হয়ে যায়। তাই প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের এই ব্যাপারে সর্তক থাকা উচিত।

 


রোনালদোর নামে ফ্লোরিডার আদালতে মামলা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২৮ পিএম


রোনালদোর নামে ফ্লোরিডার আদালতে মামলা
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ছবি: সংগৃহীত

পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে বিতর্কিত ডিজিটাল মুদ্রা বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিনান্সের প্রচারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এই বিনিয়োগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দাবি করে গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) ফ্লোরিডার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এই মামলা করেন তিন ভুক্তভোগী।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ডিজিটাল বাণিজ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কয়েনটেলিগ্রাফ। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলা বাদীরা বলেছেন– রোনালদো অস্বীকৃত ‘বিনান্স’ প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা, বিনিয়োগ কিংবা কাজে সহায়তা করেছেন। এই ফুটবল তারকার প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ হয়েই ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন বলে জানিয়েছেন তারা। যার ফলে তারা নাকি ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছেন!

সংবাদমাধ্যম কয়েনটেলিগ্রাফ বলছে, পর্তুগিজ তারকার বিরুদ্ধে মামলার বাদী হয়েছেন মিখায়েল সিজমোর, মিকি ভোংদারা এবং গর্ডন লুইস। তারা সবাই বিনান্সে বিনোয়াগ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে রোনালদো তার নিজস্ব এনএফটির (নন ফাঞ্জিবল টোকেনস বা একধরনের ডিজিটাল সম্পত্তি) প্রচারণা চালাতে বিনান্সের সঙ্গে চুক্তি করেন।

একইসঙ্গে বিনান্স–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না জানানোয় বাদীরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। তারা বলছেন, বিনান্সের অনিবন্ধিত ক্রিপ্টো সিকিউরিটিজের বিক্রি সম্পর্কে রোনালদো জানতেন অথবা তার জানানো উচিৎ ছিল। কেননা বিনিয়োগে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৮৫ কোটির মতো অনুসারীও আছে তারকা ফুটবলালের। কিন্তু বাইরে থেকে পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ থাকার পরও রোনালদো তার অনুসারীদের বিনান্স–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রচারণায় তারকাদের পেমেন্ট গ্রহণের তথ্য প্রকাশের জন্য সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন যে সতর্কবার্তা দিয়েছিল, সেটিও মানেননি তিনি।

রোনালদোর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানটি বড় অঙ্ক হাতিয়ে নিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রোনালদোর বড় অঙ্কের অনলাইন অনুসারীও নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। বাদীরা বলছেন, এনএফটি বিনিয়োগের মাধ্যমে অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিষ্ঠানটি সফল হয়েছে, কেবল এক সপ্তাহেই বিনান্সকে অনলাইনে খোঁজার প্রবণতা বেড়েছে অন্তত ৫০০ গুন।

 


২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩২ পিএম


২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০ টি আসনের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল বিএনপি। দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের পার্টির অফিসে এ ঘোষণা করেন। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮০টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি।

ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন। বাকি আসনগুলোতে পরবর্তী সময়ে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের পার্টির অফিসে এ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিবো। বাকি ২০ জনের নাম রাতের মধ্যেই আমরা ফাইনাল করবো। আমাদের ৫০০ টির বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এখনও যে কেউ চাইলে মনোনয়ন কিনতে পারেন।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কোনও কোনও আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছি যাদেরকে তাদের কর্মকাণ্ড দেখে পরবর্তীতে ফাইনাল করবো।"

তৈমূর আলম খন্দকার আরও বলেন, "প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে আমরা দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ পরিবারের লোকজন, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। যারা সমাজের জন্য বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।"

তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন


পলকের আসনে নির্বাচন করতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২৮ পিএম


পলকের আসনে নির্বাচন করতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ও শফিকুল ইসলাম শফিক। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শফিকুল ইসলাম শফিক। সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম। তবে এই আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলককে মনোনয়ন দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন উত্তোলন করেন শফিক।

এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, দলীয়ভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়ায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শফিক বলেন, সিংড়ার জনগণের ভালোবাসায় একবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। সিংড়ার জনগণের দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশা করছি এবার বঞ্চিত মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটবে। জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।

প্রসঙ্গত, শফিকুল ইসলাম শফিক সিংড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ১৯৯৬ সালে সিংড়া সরকারি গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৯৮ সালে একই কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালে সিংড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর টানা দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শফিক।

অনুসরণ করুন