সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

খ্রিস্টধর্মের যিশু ও মেরিকে ইসলাম ধর্মে যেভাবে দেখা হয়

ছবি: সংগৃহীত

আজ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব “বড়দিন”। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে “বড়দিন” হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।

তবে খ্রিস্টধর্মের প্রভু যিশুকে নিয়ে ইসলাম ধর্মেও রয়েছে আলোচনা। শুধু যিশু নন; তার মা মেরিকে নিয়েও রয়েছে আলোচনা। মুসলমানদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফে একাধিকবার উল্লেখ রয়েছে এই দুজনের কথা।

যখন বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষ যিশুর জন্ম উদযাপন করছে, তখন অনেকের মধ্যেই আগ্রহ যে মুসলমানরা ভার্জিন মেরি অর্থাৎ কুমারী মরিয়ম এবং তার পুত্র জেসাস বা যিশু বা নবী ঈসাকে কীভাবে দেখে?

বিশ্বব্যাপী যিশুর অনুসারীর সংখ্যা সর্বাধিক। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানেই রয়েছে মুসলমানরা।

ইসলাম ধর্মে নবী ঈসার মা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে কোরআনের একটি সূরার নাম “মরিয়ম” রাখা হয়েছে। তিনিই একমাত্র নারী, যাকে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থে নাম ধরে উল্লেখ করা হয়েছে। কোরআনের ১১৪টি সুরার মধ্যে ১৯ নম্বর সুরাটি তার নামে নামকরণ করা হয়।

জন ইউনিভার্সিটির থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক জেকি সারিটোপ্রাক যুক্তরাষ্ট্রের, অক্সফোর্ড বিবলিওগ্রাফিজ ওয়েবসাইটে "মেরি ইন ইসলাম" লেখায় বলেন, "মরিয়মের নাম ক্যানোনিকাল গসপেলগুলোয় যতবার বলা হয়েছে তার চাইতে বেশি বলা হয়েছে কোরআনে। কোরআনে কমপক্ষে ৭০টি আয়াতে মরিয়মের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।"

মরিয়ম মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত একজন নারী এবং যারা তাকে সম্মান করে না তাদেরকে মুসলমান বলে গণ্য করা হয় না।

মুসলমানদের মতে, নবী ঈসার জন্মের ছয় শতাব্দী পরে কোরআন নাজিল হয়। সে সময় ফেরেশতা জিবরাইলের (খ্রিস্টান ধর্মমতে দেবদূত গ্যাব্রিয়েল) মাধ্যমে, ইসলামের নবী মুহাম্মদের কাছে কোরআন নাজিল হয়।

খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্ম অনুসারে, গ্যাব্রিয়েল বা জিবরাইল প্রথমবারের মতো মেরি বা মরিয়মকে জানান যে তিনি গর্ভবতী।

খ্রিস্টধর্মের মতো ইসলামও বিশ্বাস করে যে, মরিয়মের গর্ভধারণ ছিল একটি অলৌকিক ঘটনা।

সূরা আল ইমরানে এই ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে; যেখানে মরিয়মকে "সুসংবাদ" জানানো হয় এই বলে যে, তিনি এমন একজনের মা হবেন যিনি মেসাইয়াহ বা আল্লাহর রসুল হবেন। এ নিয়ে মরিয়মের প্রতিক্রিয়া কোরআনের ৪৭ নম্বর আয়াতে উঠে এসেছে।

"হে ঈশ্বর! আমাকে কোনো পুরুষ স্পর্শ না করা সত্ত্বেও আমার সন্তান হবে কিভাবে?"

পরবর্তীতে সুরায় মরিয়মের সতীত্বের ওপর জোর দিয়ে বলা হয়, "এবং মরিয়ম এমন একজন যিনি তার কুমারীত্ব রক্ষা করেছিলেন, তারপর আমি তার ভেতর আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে ও তার পুত্রকে সমগ্র জগতবাসীর জন্য এক নিদর্শন বানিয়েছিলাম।"

একা নারীর শক্তি
যদিও উভয় ধর্মই মরিয়মের প্রশংসা করেছে, তবে যিশুর মা-কে নিয়ে গল্পগুলোয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিন্নতা রয়েছে।

ইসলাম ধর্মে নবী ইউসুফের (খ্রিস্টান ধর্মমতে জোসেফ) কথা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি, যেখানে কিনা খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল অনুসারে মেরি ছিলেন জোসেফের বাগদত্তা।

অন্যদিকে ইসলাম ধর্মমতে, নবী ঈসার মা যখন গর্ভবতী হয়েছিলেন তখন তিনি বিবাহিত ছিলেন না অর্থাৎ কুমারী ছিলেন।

ইসলাম ধর্মমতে, মরিয়ম তার পরিবার এবং তার সম্প্রদায় থেকে দূরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন; যাতে তিনি একটি খেজুর গাছের ছায়ায় একা একা বাচ্চা প্রসব করতে পারেন।

সুরা মরিয়মের ২২ থেকে ২৫ আয়াতে নবী ঈসার জন্মের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।

"অতঃপর তিনি গর্ভে সন্তান ধারণ করলেন এবং একটি নির্জন স্থানে চলে গেলেন। প্রসব বেদনায় তিনি এক খেজুর গাছের নীচে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। সন্তান প্রসবের বেদনায় তিনি বলেছিলেন: ‘এর আগেই যদি আমি মরে যেতাম আর মানুষের স্মৃতি থেকে পুরোপুরি মুছে যেতাম!’"

“অতঃপর ফেরেশতা তাকে নীচ থেকে আওয়াজ দিলেন যে, তুমি দুঃখ করো না। তোমার পালনকর্তা তোমার পায়ের তলায় এক নহর বইয়ে দিয়েছেন।”

“তুমি তোমার দিকে খেজুর গাছের কাণ্ড নাড়া দাও, সেটি তোমার সামনে তাজা, পাকা খেজুর ফেলতে থাকবে।”

এক নারীর সাহসিকতা
ইসলামে মরিয়মের গুরুত্বের আরেকটি দিক হল যে কোরানের কিছু আয়াতে নবী ঈসাকে "মরিয়মের পুত্র" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদিও ইসলামের ইতিহাসে এমন অনেক নারী আছেন যাদের মুসলিমরা প্রশংসা করেন। যেমন নবী মুহাম্মদের স্ত্রী এবং কন্যা।

নবী ঈসার মা মুসলমানদের জন্য ধৈর্য ও সাহসের উদাহরণও বটে। কারণ, তিনি যখন তার সম্প্রদায়ে ফিরে আসেন, তখন মরিয়মকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যেমনটি সুরা মরিয়মের আয়াতগুলোয় বর্ণনা করা হয়েছে।

"অতঃপর তিনি তার সন্তানকে কোলে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের সামনে হাজির হলেন। তারা বলল: হে মরিয়ম, তুমি তো এক অঘটন ঘটিয়ে বসেছ।”

“হে হারুনের বোন! তোমার পিতা কোনো অসৎ ব্যক্তি ছিলেন না এবং তোমার মা ব্যভিচারিণী ছিলেন না।”

কোরআন অনুসারে, নবী ঈসা নবজাতক হওয়া সত্ত্বেও কথা বলে ওঠেন, "আমি আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে একজন নবী করেছেন।"

নবী ঈসা ইসলামিক ঐতিহ্যে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন এবং প্রায়শই নবী মুহাম্মদের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নবী হিসাবে তাকে বিবেচনা করা হয়। মুসলমানরা নবী মুহাম্মাদের নাম উচ্চারণ করার পরে সাল্লাল্লাহু ওলায়হি ওয়াসসাল্লাম বা "তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক" বলে থাকে। যখন নবী ঈসা সম্পর্কে কথা বলেন তখনও তারা একই কাজ করেন।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় যিশু এবং মেরি দুটি খুব জনপ্রিয় নাম, তেমনি মুসলিম বিশ্বে ছেলেদের ঈসা এবং মেয়েদের মরিয়ম নামটিও খুব প্রচলিত।

উপাসনা
ইসলাম এবং ক্যাথলিক ধর্মে মরিয়ম এবং তার ছেলেকে ঘিরে যেসব ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেখানে অন্যতম প্রধান অসঙ্গতির বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।

ক্যাথলিকদের জন্য, ভার্জিন মেরি হলেন ঈশ্বরের মা এবং ঈশ্বর জেসাস বা যিশুর মধ্যে মানুষ রূপে আবির্ভূত হয়েছেন।

অন্যদিকে মুসলমানদের জন্য, নবী ঈসা ঈশ্বর নন। তাই, মরিয়ম ঈশ্বরের মা নন। ইসলামে মরিয়ম বা নবী ঈসা কাউকে স্রষ্টার সামনে সুপারিশকারী হিসাবে দেখা হয়নি। তারা মানুষ ছিলেন; যাদের কাছে কিছুই প্রার্থনা করা বা চাওয়া যায় না বা চাওয়া হয় না।

নবী ঈসার নাম কোরআনে ২৫ বার উল্লেখ করা হয়েছে, তাকে আল্লাজ প্রদত্ত এক অলৌকিক বিষয় হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, শান্তির নবী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কোরআনে নবী ঈসার অলৌকিক কাজ করার ক্ষমতাকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

প্রতিকৃতি
ক্যাথলিক গির্জা এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি, যানবাহন এবং পোশাকে মেরির বিভিন্ন প্রতিকৃতি দেখা যায়। ক্যাথলিক গির্জা একটি বিষয় খেয়াল রাখে তা হলো, তারা যখন মেরির প্রতি বিশ্বাস রেখে প্রার্থনা করে তখন সেটা যিশুর মায়ের প্রতিকৃতিকে উপাসনা করা হয় না।

ইসলামে আল্লাহর কোনো নবীকে কোন ছবি বা প্রতিকৃতির মাধ্যমে তুলে ধরা নিষেধ। এ কারণে মসজিদে মানুষের কোনো ছবি থাকে না। মসজিদের দেয়ালে আরবি ক্যালিগ্রাফিতে কোরআনের আয়াত লেখা থাকে।

ইসলামের সুন্নি ধারাও মরিয়মকে প্রতিকৃতি রূপে প্রকাশ করাকে আপত্তিকর বলে মনে করে। যদিও অনেক শিয়া (ইসলাম ধর্মের আরেকটি শাখা) ইসলামি ব্যক্তিত্বের ছবি প্রকাশের ব্যাপারে বেশ নমনীয়।

আরেকটি অসঙ্গতি
ক্যাথলিক ধর্ম এবং ইসলামের মধ্যে জেসাস/যিশু বা নবী ঈসাকে নিয়ে মূল পার্থক্য হল ইসলামে তাকে একজন মানুষ হিসেবে বিবেচনা করার হয় এবং তাকে ঈশ্বর বা ঈশ্বরের পুত্র বলা হয় না। তিনি যেভাবে মারা গেছেন সেটা নিয়েও দুটি ধর্মে ভিন্ন ব্যাখ্যা আছে।

ইসলাম ধর্মানুসারীদের মতে, যিশু বা নবী ঈসাকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়নি। কোরআনের ১৫৭ ও ১৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:

''যদিও তারা বলেছে: আমরা মরিয়মের পুত্র আরেকজন আল্লাহর নবী ইসাকে হত্যা করেছি, তারা সেটা বিশ্বাস করলেও আসলে তারা হত্যা করতে পারেনি বা ক্রুশবিদ্ধ করতে পারেনি। এবং যারা তার সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করেছে, বস্তুত: তারা এ সম্বন্ধে সন্দিহান ছিল, আসলে কী ঘটেছে, সেই সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞানই ছিল না। আর এটা নিশ্চিত যে, তারা তাকে হত্যা করেনি”

“কিন্তু আল্লাহ তাকে নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন। আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।"

এ ধরনের মতভেদ থাকা সত্ত্বেও নবী ঈসা ইসলামের প্রিয় একজন নবী। তবে মুসলমানরা তার জন্মদিন বা বড়দিন উদযাপন করে না।

অন্যদিকে ক্যাথলিক ধর্মের নেতারা শুরু থেকেই মেরি এবং জেসাস/যিশুর প্রতি ইসলামের গভীর শ্রদ্ধাকে স্বীকৃতি দিয়ে এসেছে। অনেকের মতে, এটি উভয় বিশ্বের মধ্যে সংলাপ স্থাপনের সেরা সেতুবন্ধনগুলোর একটি।

 

সূত্র: বিবিসি অবলম্বনে.

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে কিছুই নেই,ওই দেশে দরিদ্র মানুষ বেশি: বিজেপি নেতা

ছবি: সংগৃহীত

‘বাংলাদেশে কিছুই নেই। পুরো দেশ ভারতের উপর নির্ভরশীল। ওই দেশে দরিদ্র মানুষ এতো বেশি যে, কিছু দরিদ্র এখানে (ভারতে) পাঠানো হচ্ছে। আর এখানে এসে তারা মাদ্রাসা তৈরি করতে চায়, জঙ্গি তৈরি করতে চায়, উগ্র এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়।’

বাংলাদেশ নিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিজেপি সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘তালিবানি, উগ্রবাদী ও মৌলবাদী’ বলেও কটাক্ষ করেছেন।

এ সময় সাম্প্রতিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, ভারত সরকারের উচিত আমাদের সীমান্ত, সেনা এবং সীমান্তে বসবাসকারী দেশের জনগণকে রক্ষা করা।

এর আগেও তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে বেশ কয়েকবার কটাক্ষ করেছেন। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ‘নাবালক’ বলেও উপহাস করেছেন তিনি।

শুভেন্দুর এসব মন্তব্যে অনেকটা ‘বিরক্ত’ বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও নেটিজেনরা। সামাজিক মাধ্যমে শুভেন্দুকেও অনেকে তুলোধুনো করতে ছাড়েন না।

Header Ad
Header Ad

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জামায়াতের

ফাইল ছবি

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি দেশের শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এ প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার (১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এ প্রস্তাবে দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গ্যাসের মূল্য সাতবার বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় গ্যাসের সংকটের কারণে শিল্পকারখানাগুলো রেশনিং পদ্ধতিতে পরিচালিত হতো। বর্তমানে গ্যাস সংকট অব্যাহত রয়েছে। সংকট সমাধানে দেশের সম্ভাবনাময় জায়গাগুলোতে নতুন গ্যাস কূপ খনন এবং বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি জরুরি। মূল্যবৃদ্ধি সংকট সমাধান করবে না; বরং তা আরও জটিলতা সৃষ্টি করবে।

গোলাম পরওয়ার ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রস্তাব প্রত্যাহারের মাধ্যমে দেশীয় শিল্প ও অর্থনীতি রক্ষার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

ভারতে পালানোর সময় ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা গ্রেপ্তার

ভারতে পালানোর সময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে যাবার পথে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকার ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা পান্ডে ও তার ছোট ভাই সত্যজিত পান্ডে। গ্রেপ্তার সুস্মিতা ও তার ছোট ভাই মাগুরা সদরের ঢাকা রোডের স্বপন পান্ডের মেয়ে। চিকিৎসার জন্য তারা সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে ভারত যাচ্ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহিম আহম্মেদ জানান, মাগুরা জেলা সদরের স্বপন পান্ডের মেয়ে আজ বিকালে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে প্রবেশকালে তাঁকে সন্দেহজনক হিসাবে তাদের আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার একটি হত্যা মামলার আসামি হিসাবে স্বীকার করেন সুস্মিতা। তিনি ঢাকা ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

আটককৃতরা মাগুরার সাতদোহা এলাকার স্বপন পান্ডের মেয়ে সুস্মিতা ও সত্যজিত পান্ডে। তাদের কে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাসেল মিয়া জানান, ঢাকা ইডেন কলেজ শাখার ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা এবং তার ছোট ভাই সত্যজিত পান্ডে ভারতে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন তাদের আটক করে আমার অধিন্যাস্ত পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছে। এখান থেকে তাদেরকে ঢাকার নিউ মার্কেট থানা হেফাজতে হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশে কিছুই নেই,ওই দেশে দরিদ্র মানুষ বেশি: বিজেপি নেতা
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জামায়াতের
ভারতে পালানোর সময় ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ১৭ ফেব্রুয়ারি
সীমান্তে উত্তেজনা: নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব
পুলিশে বড় রদবদল, ৭৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
৫ আগস্ট ‘সার্বক্ষণিক যোগাযোগে’ ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধান
জাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ, তফসিল ১ ফেব্রুয়ারি
বিপিএলে টানা তিন জয়ে উড়ছে চট্টগ্রাম কিংস
প্রথমবার বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ পেলেন পেসার নাহিদ রানা
সচিবালয়ের সামনে এসআইদের আমরণ অনশনের ডাক
সচিবালয় ঘেরাও করলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
বেরোবিতে ইউজিসির নিয়মকে ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ দেখিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ
দাবানলের আগুনে প্রাণ হারালেন হলিউড তারকা ররি স্কাইজ
বদলগাছীতে সংঘর্ষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী, একসঙ্গেই থাকতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান
বিরামপুরে বিজ্ঞান ও তারুণ্য মেলার উদ্বোধন
শেখ হাসিনার যোগসাজসে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত: রিজভী
ভারত নয়, পাকিস্তান থেকেই আসছে পেঁয়াজ