সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কী হবে কুসিকের দুই কাউন্সিলরের

দুটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্রে আসামি হিসেবে নাম এসেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) দুই কাউন্সিলর আবুল হাসান ও আবদুস সাত্তারের। দুজনকেই দুই খুনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর মধ্যে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান ওরফে জিলানী হত্যা মামলায় এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সাত্তারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলায়। এই দুই মামলায় অভিযুক্ত দুই কাউন্সিলর বিভিন্ন সময় কারাভোগ করে এখন জামিনে মুক্ত আছেন।

সম্প্রতি কাছাকাছি সময়ে নগরীর আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর দু’টি হত্যামামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পিবিআই। পিবিআই জানায়, গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, দীর্ঘ তদন্তের পর হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী এবং নেপথ্যে থাকা পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকাণ্ডের সহযোগীদের চিহ্নিত করেই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

দুই হত্যায় দুই কাউন্সিলরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিলের পর এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে- কী হবে অভিযুক্ত দুই কাউন্সিলরের। তারা কি স্বপদে থাকবেন, নাকি বরখাস্ত হবেন?

এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আদালত যদি অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন কিংবা অভিযুক্ত কাউন্সিলররা গ্রেপ্তার হন- তাহলে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ তা অফিশিয়ালি পুলিশ এবং আদালতের মাধ্যমে জানবেন। পরে তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগ জনপ্রতিনিধিদের প্রথমে সাময়িক অব্যাহতি দেয়। যতদিন মামলার নিষ্পত্তি হয়ে চূড়ান্ত আদেশ না আসবে ততদিন তারা সাময়িক অব্যাহতিতে থাকবেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আর যদি তদন্তে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হন- তাহলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে দুই কাউন্সিলরের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকার বিষয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তাদের নাম অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি জেনেছি। অফিসিয়ালি এখনো জানিনি। বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন, তা গ্রহণ করারও একটি ব্যাপার আছে। আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন হত্যার অভিযোগপত্র সম্পর্কে পিবিআইয়ের কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তাদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দীর্ঘ তদন্তের পর হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী এবং নেপথ্যে থাকা পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকাণ্ডের সহযোগীদের তারা চিহ্নিত করে অভিযোগপত্র দিয়েছেন।

আর জিল্লুর রহমান জিলানী হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা প্রতিটি মামলার তদন্তই গুরুত্বসহকারে করি। জিল্লুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমাদের অনেক গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে হয়েছে। দীর্ঘ চেষ্টা ও তদন্তের পর শেষ পর্যন্ত আমরা হত্যার নেপথ্যের কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করতে পেরেছি। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

২০২০ সালের ১১ নভেম্বর সকালে নগরীর চৌয়ারা এলাকায় যুবলীগকর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে ওরফে জিলানীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন তার ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনার আগেরদিন রাতে কাউন্সিলর হাসানের বাড়িতে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে পরিকল্পনাকারী ছাড়া বাকি ৯ জনই উপস্থিত ছিলেন। নগরীর চৌয়ারা গরু বাজার নিয়ন্ত্রণ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ছিল খুনের কারণ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ জানান, মামলার এজাহার-বহির্ভূত আসামি আরমান হোসেনকে গত বছরের ১৩ সেপ্টম্বর কুমিল্লা নগরীর চৌয়ারা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন কুমিল্লার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আরমান। খুনের সময় পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন আরমান। আর বাকিরা খুনে অংশ নেন। হাসানের বাড়িতে বৈঠক ও তার পরিকল্পনায় খুনের কথা আরমান জবানবন্দিতে বলেছেন। এ খুনের মামলায় অভিযোগপত্রে প্রায় সবাই গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে আছেন। কাউন্সিলর হাসানও প্রায় ৬ মাস কারাগারে ছিলেন। এরপর জামিনে মুক্তি পান। গত ৯ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষর হওয়া অভিযোগপত্র এরই মধ্যে আদালতে দাখিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শামবক্সি (ভল্লবপুর) এলাকায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনকে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই মো. শাহাদাত হোসেন নয়ন বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার অভিযোগপত্রে খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবদুস সাত্তারের কথা বলা হয়েছে। সাত্তার কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতির পদে রয়েছেন। এই মামলায় কাউন্সিলর সাত্তারসহ মোট ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

দেলোয়ার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক এম এ মঞ্জুর জানান, আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত কাউন্সিলর সাত্তারসহ ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে প্রধান আসামি রেজাউল ছাড়া বাকিরা জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। গত ২৩ জানুয়ারি স্বাক্ষর হওয়া অভিযোগপত্র এরই মধ্যে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার, কাউন্সিলর নির্বাচনসহ রাজনৈতিক বিরোধে দেলোয়ারকে খুনের পরিকল্পনা করেন কাউন্সিলর সাত্তার।

এদিকে আলোচিত দুই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দুই কাউন্সিলর আবুল হাসান ও আবদুস সাত্তার।
দেলোয়ার হত্যায় অভিযুক্ত নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার এজাহারে আমার নাম ছিল না। দেলোয়ার ভাইয়ের কাছ থেকে আমি রাজনীতি শিখেছি। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আদালতে আমি ন্যায় বিচার পেয়ে নির্দোষ প্রমাণিত হব।

অপর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসান বলেন, আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি (জিল্লুর) সম্পর্কে আমার মামা। আমি কেন তাকে খুনের পরিকল্পনা করব? এগুলো পুরোপুরি ষড়যন্ত্র। জিল্লুর আর আমার ওয়ার্ড আলাদা। আমার সঙ্গে জিল্লুরের এমন কোনো বিরোধ ছিলো না যে তাকে খুন করতে হবে।

এ ব্যাপাারে যোগাযোগ করা হলে কুমিল্লা বারের আইনজীবী এএমএম মঈন বলেন, বিজ্ঞ বিচারক অভিযোগপত্র গ্রহণ করলে মামলা ট্রায়ালে যাবে। এরপরই বিচার কার্য শুরু হবে। অভিযোগ গঠন হলে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। এসময় কেউ জামিনে থাকলে তারা নিয়ম মতো হাজির হবেন। পলাতক আসামি ওয়ারেন্টভুক্ত হলে পুলিশ তাদের যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে পারেন।

এসএন

Header Ad

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও দেশে গাছ কাটা অব্যাহত থাকায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। আগামীকাল সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনে পাঁচটি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এগুলো হল-

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি দেবেন।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবে, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট আবেদনকারীরা হলেন-অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ বিভাগ মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শককে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‌‘সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলে ঘোষিত হয়। মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুর হোসেন মাসুদ ও মো. মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৬মে থেকে ৮মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামে এখন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’

আজ রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা।

জাপা মহাসচিব বলেন, এখন গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আমার এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলছে, ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আছে। তাহলে সেই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?
এ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্নু বলেন, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, আমার এলাকায় একটা দিন থাকতে, লোডশেডিং হয় কি না তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়। ভাড়ায় যেসব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আছে, তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরও বসে আছে। ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার পরও ভাড়া বাবদ তাদের ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

চুন্নু বলেন, এর আগে সংসদে বলেছিলাম, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজ চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই, তিনি সশরীরে আমার এলাকায় যাবেন দুই-চার দিনের মধ্যে। দেখে আসবেন কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

তিনি বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছেন ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যান। বছরে পাঁচ হাজারের মতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এটি সরকারের সংস্থার হিসাব। ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় ১৪ জন মারা যান। সেই ট্রাকের চালকের ভারি যানবাহন চালানোর কোনো লাইসেন্সই ছিল না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২২ এপ্রিল যে বাসের ধাক্কায় একজন শিক্ষার্থী মারা যান, সেটির ফিটনেসই ছিল না। ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি। এ গাড়ি তো দুর্ঘটনা ঘটাবেই। সড়কে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয় পুরোনো, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, আপনি একটু শক্ত হোন। এসব গাড়ি-অটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে, তাহলে এভাবে মানুষ মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।

সর্বশেষ সংবাদ

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন