বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়ালেন ডিসি

ঋণের দায়ে যখন দিশেহারা পরিবার, তখনই শ্বাসের টান এসে স্থায়ীভাবে বাসা বেঁধেছে সেন্টুর সংসারে। এতদিন প্রতি সপ্তাহে টানতে হতো ২ হাজার ৭০০ টাকার কিস্তির বোঝা। এখন ফুসফুস বিকল হয়ে সেখানে যোগ হয়েছে ওষুধসহ চিকিৎসার আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ আরও ৬০০ টাকা। আর সেই খরচ সামলাতেই নাকে অক্সিজেন লাগিয়েই রিকশা নিয়ে বাইরে বের হয়েছিলেন মইনুজ্জামান ওরফে সেন্টু। এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানবিকতার দোয়ারে ঝড় তুললেও স্থানীয় কোনো জনপ্রতিনিধি এখনো তার পাশে দাঁড়ানো তো দূরে থাক, খোঁজও নেয়নি!

তবে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে সেন্টুর সঙ্গে কথা বলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। এসময় তিনি তার চিকিৎসার সব খরচ বহনের আশ্বাস দেন।

ডিসি বলেন, সেন্টুকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন সেন্টুর চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করবে।

রিকশাচালক মইনুজ্জামান ওরফে সেন্টুর বাড়ি রাজশাহী নগরের কলাবাগান মহল্লায়। দুই মেয়ে ও এক ছেলের বাবা তিনি। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে বিয়ে করে পবা উপজেলার দারুশা গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। নগরের কলাবাগান এলাকায় ২ হাজার টাকা ভাড়া বাসায় মইনুজ্জামান ও তার স্ত্রী চম্পা বেগম থাকেন। ৫ বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন তিনি।

শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি আর রিকশা চালাতে পারবেন না। কিন্তু কোনো উপায়ান্তর না দেখে সর্বশেষ দুই দিন নাকে অক্সিজেনের নল নিয়েই রিকশা চালিয়েছেন। এই দৃশ্য সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসে। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত রবিবার তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা যায়, ঋণ নিয়ে একটি রিকশা কিনেছিলেন মইনুজ্জামান ওরফে সেন্টু। সেই রিকশা চুরি হয়ে যায়। নতুন করে ঋণ করে আরেকটি রিকশা কিনে চালাচ্ছিলেন। এর মধ্যে ফুসফুসের সমস্যার কারণে চিকিৎসকরা নাকে অক্সিজেনের নল পরিয়ে দেন। সংসার চালাতে অক্সিজেনের নল পরেই রিকশা চালাচ্ছিলেন তিনি।

সেন্টু জানান, ৫ বছর আগে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি রিকশা কিনেছিলেন। দুই বছরের মাথায় নগরের ঘোষপাড়ায় রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। পরে আবার ৮০ হাজার টাকা ঋণ করে আরেকটি রিকশা কেনেন। সেই রিকশাই চালাতেন। এরই মধ্যে ‘হার্নিয়া অপারেশনের’ জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা ঋণ করেছিলেন। প্রতি সপ্তাহে দুই জায়গায় ১ হাজার ৩৫০ টাকা করে কিস্তি দিতে হয়। দিনে তিনটি অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে। ওষুধ আর অক্সিজেন মিলিয়ে তার দিনে ৬০০ টাকা খরচ হয়। দুই মাস ধরে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অক্সিজেন ছাড়া চলতে পারছিলেন না।

তিনি আরও জানান, ডাক্তার বলেছেন, তার ফুসফুস নষ্ট হয়ে গেছে। এখন একটি যন্ত্র কিনতে হবে। সেটা সব সময় নাকে লাগিয়ে রাখতে হবে। তাতে আপনা আপনি বাতাস থেকে অক্সিজেন আসবে। এই মেশিনের দাম ৫০ হাজার টাকা। তিনি চিকিৎসকের সই করা সেই কাগজ পকেট থেকে বের করে দেখালেন। তাতে লেখা আছে ‘কনসেনট্রেটর’। এই যন্ত্রটি কিনে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক।

হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক হাসান তারিক জানান, সিওপিডি ও যক্ষ্মা হওয়ায় তার ফুসফুস দুর্বল ও হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে অক্সিজেন নিতে পারছেন না। ‘কনসেনট্রেটর’ নামের যন্ত্র লাগিয়ে তিনি বাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলে স্বাভাবিকভাবে বাতাস থেকে অক্সিজেন নিতে পারবেন। তখন তার অক্সিজেনের খরচ লাগবে না।

এসজি

Header Ad

চলতি মাসেই আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল

প্রতিকি ছবি

এপ্রিলের দীব্র দাবদাহের পর বৃষ্টি নামলেও আবারও বাড়তে শুরু করেছে সারা দেশের তাপমাত্রা। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সামনের কয়েক দিনে আরও বাড়তে পারে এই তাপপ্রবাহ। এরই মধ্যে আভাস মিলেছে শক্তিশালী এক ঘূর্ণিঝড়ের।

ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, চলতি মাসের শেষের দিকেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়।

বঙ্গোপসাগরে ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে; যা আগামী ২০ মের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ কিংবা গতিপথ কোনদিকে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে রেমাল। খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের।

চার বছর আগে, অর্থাৎ ২০২০ সালের মে মাসেই ২০ তারিখে দেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বেশ বিধ্বংসী ছিল ঘূর্ণিঝড়টি। তবে সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রেমালও আম্ফানের মতো বিধ্বংসী হতে পারে। তবে এটির শক্তি কতটুকু; শেষ পর্যন্ত সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে কি না, তা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী— আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেটি সোজা উত্তর দিকে শক্তিবৃদ্ধি করবে। ২৪ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।

বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপির কারনে আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ’৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতিসেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি।

শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃ স্বাস্থ্য সেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। ‘মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, শপিং মল, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে এসব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন; যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।

চলতি মাসে অবসরে যাচ্ছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ৪ সচিব

ছবি: সংগৃহীত

মেয়াদ শেষ হওয়ায় চলতি মাসেই অবসরে যাচ্ছেন সরকারের চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব। তাদের অবসরের পর সচিব পদে  শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রথমবারের মতো ১৫তম ব্যাচের অভিষেক হতে যাচ্ছে।

তবে এরই মধ্যে সচিব হয়েছেন ১৫তম ব্যাচের খায়রুল ইসলাম। কিন্তু অবসরের শেষ মুহূর্তে তাকে সচিবের পদ দেওয়া হয়। এখন তিনি বিডার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় খায়রুল ইসলামের সচিব পদে পদোন্নতি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। নিয়মিতভাবে ১৫তম ব্যাচ থেকে সচিব পদে নিয়োগ শুরু হতে পারে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সচিব পদে যারা অবসরে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অবসরে যাচ্ছেন ১৮ মে। তপন কান্তি ঘোষের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ১৮ মে। তিনি এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। ১৬ মে তিনি তার শেষ কর্মদিবস। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর হচ্ছে না।

এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোহাম্মদ হাসিবুল ইসলাম অবসরে যাচ্ছেন ৩১ মে। তবে গুঞ্জন রয়েছে যে তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন। আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, তারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের চুক্তির মেয়াদ ২৫ মে শেষ হচ্ছে এবং একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে তার চুক্তিও নবায়ন হচ্ছে না। এই পদে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলমের আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলম থাকবেন কি না, তা প্রজ্ঞাপন জারির পরই জানা যাবে।

এছাড়াও বহুল আলোচিত আর্থিক খাতের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ চলতি মাসের ২০ মে অবসরে যাচ্ছেন এবং তাকে আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে। আর্থিক খাতের নতুন সচিব কে হবেন তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, চলতি মাসে এই চার গুরুত্বপূর্ণ সচিবের অবসরে যাওয়া ছাড়াও আগামী দিনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সচিবের পদ শূন্য হচ্ছে। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকারের মেয়াদ ১২ জুন শেষ হচ্ছে। তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসনে গুঞ্জন রয়েছে।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোলের চাকরির মেয়াদ ১৫ জুন শেষ হচ্ছে। হাসানুজ্জামান কল্লোল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন না বলে মনে করছেন অনেকে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৫ জুলাই।তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন কি না তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তবে তার নিয়োগ চুক্তিভিত্তিক না হওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে নাম রয়েছে দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার। তাদের মধ্যে রয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। তবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কে হবেন সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সর্বশেষ সংবাদ

চলতি মাসেই আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল
বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী
চলতি মাসে অবসরে যাচ্ছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ৪ সচিব
রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি
মিশা-ডিপজলের কমিটি বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা পাবেন ৬০ হাজার টাকা
বাড়ল সোনার অলংকারের মজুরি
৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন
র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যা বলেছেন ডোনাল্ড লু
লাল পাহাড়ে আরসার আস্তানায় র‌্যাবের অভিযান, গোলাগুলি চলছে
বিদেশে বসে জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়া হয় : দীপু মনি
ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর একাধিক হামলার দাবি কাসসাম ব্রিগেডের
ইরানের সাথে চাবাহার চুক্তি, ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
মোটরসাইকেলের গতি সীমা নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
গলায় লিচুর বিচি আটকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
টাঙ্গাইলে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক কলেজছাত্রের
খারকিভে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া
নিজের পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ক্যানসার মুক্ত হলেন চিকিৎসক
মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকাসহ ১৯ ভরি স্বর্ণ লুট
স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক