শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

বেইলি রোডের আগুন

ঈদের বাজার নিয়ে কখনো বাড়ি ফিরবে না মেহেদী

বেইলী রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত মেহেদী হাসান। ছবি-সংগৃহীত

পরিবারের বড় ছেলের স্বপ্ন ছিল বিদেশে গিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব-অনটন দূর করবেন। পরিবারের সদস্যদের মুখে ফোটাবেন হাসি। তাইতো পাসপোর্ট করার জন্য কাগজপত্রও প্রস্তুত করছিলেন। কিন্তু ভাগ্যে আর সহায় হলো না তার। তার আগেই ভয়াবহ আগুনে স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই হয়ে গেল। এতে অনেকটা স্থায়ীভাবেই বন্ধ হয়ে গেল পরিবারের আনন্দ। ঈদেও ব্যতয় ঘটেনি এমন পরিস্থিতির।

বলছি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওরা গ্রামের বাসিন্দা মেহেদী হাসানের কথা। তিনি কাজ করতেন রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফাস্টফুডের দোকানে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটনায় প্রাণ যায় তার। এরপর থেকে এখনো শোকের মাতম কাটেনি মেহেদী হাসানের পরিবারের। উপার্জনকারী সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারের সদস্যরা।

মেহেদী হাসানের মা-বাবা।

পরিবার জানা যায়, মেহেদী হাসান ২০১২ মির্জাপুর কোড়ালিয়া পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০১৪ সালে দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি আরফান খান মেমোরিয়ার ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। অভাব অনটনের সংসারের হাল ধরতে ঢাকাতে চাকনি নেন।

মেহেদীর ছোট ভাই ইসরাফিল মিয়া বলেন, আমরা দুই ভাই একই জায়গায় কাজ করতাম। অগ্নিকাণ্ডের আগেই আমি একটি কাজে ভবনের অন্য আরেকটি ফ্লোরে ছিলাম। পরে আমি ভবন থেকে লাফিয়ে প্রাণে বেঁচে যাই। গত বছর আমরা দুই ভাই বাবা মার সাথে ঈদ করেছি। আর কোন দিন ভাইয়ের সাথে ঈদ করা হবে না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, দুই ভাই মিলে সংসার হাল ধরতে চেয়েছিলাম আর তা কোন দিন পূরণ হবে না। জানি না এখন এ স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পারবো কি না। সরকারের কাছে দাবি জানাই আমাদের সহযোগিতা করা হোক।

মেহেদীর বাবা আয়নাল হক বলেন, অভাব অনটনের সংসার চালাতেই দুই ভাই কাজ করতেন ঢাকাতে। বড় ছেলে মেহেদীর বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন ছিল। পাসপোর্ট করার জন্য কাগজপত্র রেডি করতেছিল। মেহেদী স্বপ্ন দেখতো, বিদেশে গিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব অনটন দূর করবে। সবার মুখে হাসি ফোটাবে।

তিনি বলেন, আমর বয়স হয়ে গেছে, কিছু করতে পারি না। আমি ঋণ করেছি বড় ছেলে ঋণের টাকা প্রতি মাসে দিতো। এ টাকা এখন কে দিবে। গতবছর মেহেদী আমাদের সাথে ঈদ করেছে। আর কোন দিন আমার ছেলে আমাদের সাথে ঈদ করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, এ সংসার এখন কিভাবে চলবে। কে দেখবে এ সংসার। মাথায় আর কাজ করে না। ঈদ আসলেও আমাদের মাঝে সে আনন্দ নেই। ছেলের মা সব সময় কান্না করে। কান্না করতে করতে ছেলের মাও অসুস্থ হয়ে গেছে। সরকারের কাছে দাবি জানাই আমাদের যেন সহযোগিতা করেন।

মেহেদীর মা কল্পনা বেগম বলেন, মেহেদী বড় ছেলে ছিল। আমাদের সংসারে হাল ধরেছে সে পরিবারের সব খরচ দিতো। এখন এ সংসার কে দেখবে। গতবছর এক সাথে ঈদ করেছি। আমাদের জন্য গতবছর কাপড় ও বাজার করে নিয়ে আসছিল। এবার আর কেউ আসবে না। এ বলে মেহেদীর মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর মেহেদীর জন্য দোয়া করছেন।

এদিকে, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ মেহেদীর পরিবারকে কিছু নগদ অর্থ সহযোগিতা দিয়েছেন। তার ছোট ভাইকে চাকরি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানায় পরিবারটি।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নুরুল আলম বলেন, মেহেদীর পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। আমরা আরও সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।

Header Ad
Header Ad

সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত

তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে 'প্রহসনের নির্বাচন' হিসেবে আয়োজনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার রিমান্ড আরও ৪ দিন বৃদ্ধি করেছে আদালত।

শুক্রবার (২৭ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে, প্রথম দফার ৪ দিনের রিমান্ড শেষ হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার আরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে আদালত শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গত সোমবারও নূরুল হুদার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। সেদিন আদালত ৪ দিনের রিমান্ড অনুমোদন করেন।

উল্লেখ্য, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান গত রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক তিন সিইসি ছাড়াও আরও ২৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী এবং এ কে এম শহীদুল হক।

মামলার পরদিনই স্থানীয় জনগণের সহায়তায় কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের টেকনিক্যাল মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে যাওয়া একটি বাসের ধাক্কায় একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সরকারি বাঙলা কলেজের এক শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তবে হতাহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের মাঝে থাকা বিভাজকে উঠে পড়ে। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক পথচারী চাপা পড়ে নিহত হন এবং কলেজ শিক্ষার্থী আহত হন।

তিনি আরও জানান, ঘাতক বাসচালককে আটক করা হয়েছে এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি সরানোর কাজ চলছে।

Header Ad
Header Ad

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের সময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল— এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেন, “আমরা খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেই সুযোগ তৈরি হয়নি।” তার দাবি, ইরানের শীর্ষ এই নেতা হামলার আশঙ্কায় আত্মগোপনে চলে যান এবং তার বাহিনীর নতুন নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

তবে বাস্তবে খামেনি ওই সময় একাধিকবার প্রকাশ্যে ভিডিও বার্তা দেন, এবং তার বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণও পাওয়া যায়— যা কাটজের দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

আরো চাঞ্চল্যকরভাবে কাটজ বলেন, এই ধরনের হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি প্রয়োজন ছিল না, যার মাধ্যমে তিনি আগের কিছু সংবাদমাধ্যমের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন যে, ওয়াশিংটন এ ধরনের পরিকল্পনায় অসম্মতি জানিয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, খামেনির মতো একজন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতার ওপর হামলা হলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বজুড়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি করত। তিনি শুধু ইরানের নয়, বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানের কাছে এক শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব।

এই মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা এবং তার পরবর্তী প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল বিতর্ক চলছে। কাটজ আরও বলেন, “ইরান যদি পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করে, তাহলে আমরা আবারো হামলা চালাতে প্রস্তুত।”

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ প্রসঙ্গে বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই একটি বড় বিজয় এনে দিয়েছে, যা আরব বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।” তিনি ২০২০ সালের ‘আব্রাহাম চুক্তি’র প্রসঙ্গও টানেন।

তবে পাল্টা অবস্থান নিয়েছে ইরান। তেহরান জানায়, তাদের জবাবি হামলাই ইসরায়েলকে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করেছে এবং দেশটির অভ্যন্তরে বড় ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছে। তারা দাবি করে, ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য— ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করা— ব্যর্থ হয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন