শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: নিহত ২, খোঁজ মেলেনি পাঁচ শতাধিক জেলের

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে উপকূলে ফিরতে পারেনি কক্সবাজারের ১৩টি মাছধরা ট্রলার। এসব ট্রলারে ৫ শতাধিক মাঝিমাল্লা রয়েছেন। যাদের সঙ্গে গত বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ট্রলারগুলো হলো- এফবি হাসান, এফবি আবছার, এফবি সাবিত, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি কায়সার, এফবি আব্দুল মালেক এক দুই, এফবি আঁখি, এফবি তাহসিন, এফবি বাবুল, এফবি নাছির, এফবি সেলিম, এফবি নজির ও এফবি জনি।

ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণ হচ্ছে কক্সবাজার উপকূলে। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের ফলে উপকূলে ফিরছিলেন জেলেরা। কিন্তু পথে অনেক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমুদ্রে ভেসে গেছে। তার মধ্যে ৮টি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানীর পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, বুধবার থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই ১৩ ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে। এসব ট্রলারে থাকা ৫ শতাধিক জেলের ফোন নম্বর বন্ধ। সে হিসেবে তারাও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

এদিকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বঙ্গোপসাগরের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারে থাকা ২৩ মাঝিমাল্লার মধ্যে ১৯ জন কূলে উঠতে পারলেও বাকি ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে তীরে ফেরা জেলেদের মধ্যে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এলাকায়।

এ ছাড়া রাত ৮টার দিকে রামু উপজেলার প্যাঁচার দ্বীপ পয়েন্টে নুরুল আমিন (৪০) নামে আরেক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

মুন্সীগঞ্জে লঞ্চে ২ তরুণীকে বেল্ট দিয়ে পেটানো সেই যুবক আটক

মুন্সীগঞ্জে লঞ্চে ২ তরুণীকে বেল্ট দিয়ে পেটানো সেই যুবক আটক। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জে লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে বেল্ট দিয়ে পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ মে) বেলা দেড়টার দিকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি সাইফুল আলম।

আটক যুবকের নাম নেহাল আহাম্মেদ জিহাদ। তিনি সদর উপজেলার যোগনি ঘাট এলাকার মনির হোসেনের ছেলে।

গত শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে নোঙর করা তিনতলা লঞ্চ ‘এম ভি ক্যাপ্টেন’-এ ঘটে এই নৃশংস ঘটনা। ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় ব্যাপক আলোড়ন।

ভিডিওতে দেখা যায়, আনুমানিক ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীকে লঞ্চের সামনের অংশে নিয়ে গিয়ে কোমরের বেল্ট দিয়ে পিটাচ্ছেন এক যুবক। আশপাশে থাকা বহু মানুষ মোবাইলে সেই দৃশ্য ধারণ করছিলেন, কেউ কেউ উল্লাস করছিলেন এবং ঘটনাটির সমর্থনে স্লোগানও দিচ্ছিলেন।

আটককৃত যুবক নেহাল আহাম্মেদ জিহাদ। ছবি: সংগৃহীত

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির জানান, ঘটনার দিন ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে প্রায় ৩০০-৪০০ তরুণ-তরুণী একটি পিকনিক ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এম ভি ক্যাপ্টেন লঞ্চ ভাড়া করে। চাঁদপুর ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে খাবার কিনতে নেমেছিল কয়েকজন। এ সময় লঞ্চঘাটে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে লঞ্চে উঠে পড়ে এবং যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও মারধরে জড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, “একপর্যায়ে দুই তরুণীকে লঞ্চের সামনে এনে এক যুবক বেল্ট দিয়ে মারধর করে। এ সময় লঞ্চে ভাঙচুর চালানো হয় এবং কিছু মোবাইল ফোনসহ মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।”

পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লঞ্চটি পরে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নৌ পুলিশও কাজ করছে।”

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রামে বিএনপির তারুণ্য সমাবেশে উপস্থিত তামিম ইকবাল

বিএনপির তারুণ্য সমাবেশে উপস্থিত তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত

তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’র ডাক দিয়ে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে চলছে বিএনপির তারুণ্য মহাসমাবেশ। শনিবার (১০ মে) বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তামিম ইকবালকে মঞ্চে উঠতে দেখা যায়। এরপর তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্নার পাশে বসেন।

মঞ্চে আরও উপস্থিত আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তামিমকে মঞ্চে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন। দুপুর গড়াতেই পলোগ্রাউন্ড মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। বিভাগের ৯৯টি উপজেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।

আয়োজকরা জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঞ্চ ও মাঠজুড়ে শোনা যাচ্ছে নানা স্লোগান ও উদ্দীপনামূলক সংগীত, যা পুরো এলাকাকে রূপ দিয়েছে এক উৎসবমুখর পরিবেশে।

Header Ad
Header Ad

শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোদির জরুরি বৈঠক

শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোদির জরুরি বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের খবরটি নিশ্চিত করেছে ভারত সরকারের একটি সূত্র, যা প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং তিন বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো মনে করছে, সাম্প্রতিক হামলা ও পাল্টা অভিযানের প্রেক্ষাপটেই এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে গত মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর থেকেই অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ভারত এ হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে।

এর জেরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে টানা ১২ রাত ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয় ভারতের সামরিক অভিযানে—‘অপারেশন সিঁদুর’। অভিযানের আওতায় ভারত পাকিস্তানের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালায়।

এই হামলার জবাবে পাকিস্তানও শুরু করে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে এবং ভারতীয় কিছু সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালিয়ে তা হ্যাক করেছে। যদিও এসব দাবির সত্যতা এখনো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে লঞ্চে ২ তরুণীকে বেল্ট দিয়ে পেটানো সেই যুবক আটক
চট্টগ্রামে বিএনপির তারুণ্য সমাবেশে উপস্থিত তামিম ইকবাল
শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোদির জরুরি বৈঠক
টানা দ্বিতীয়বার স্কাই স্পোর্টসের সেরা একাদশে হামজা চৌধুরী
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ইস্যু: আযম খান
সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক
বিরামপুরে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্‌যাপন
আইপিএলের পর এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত পিএসএল
যমুনা ও সচিবালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
সালিসে নারীর চুল কাটলেন ‘বিচারকরা’
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে অবরোধ
সৌদি পৌঁছেছেন ৩৭১১৫ হজযাত্রী, ৫ জনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেন উদ্ধারের পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত
পাপুলের স্ত্রী সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম গ্রেফতার
ভারতের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান
শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ‘ব্লকেড’ দিবেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
ছয়টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত, পড়েছে নিজেদের রাজ্যেই