বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

জীবনমান উন্নয়ন প্রত্যয়ে ‘আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন’

‘আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন’ এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২ সালের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যা মানব কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছে। মানব কল্যাণে সংগঠনের পিছিয়ে পড়া সদস্য ছাড়াও সমাজের অবহেলিত ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষগুলোর জন্য কাজ করাই ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

শুক্রবার ধারাবাহিক সামাজিক কাজের পাশাপাশি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘ইচ্ছে পূরণ ৪’ নিয়ে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের রাজারামপুরের ‘নুরুল আমিন অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’এর প্রায় শতাধিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীর যাতায়াতের জন্য নতুন থ্রি হুইলার অটো হস্তান্তর, ‘প্রজেক্ট অবলম্বন’ এর উদ্যোগে ৭টি হুইল চেয়ার, ১ জোড়া ক্র্যাচ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ‘ক্ষুদ্র প্রয়াসে পাশে আছি’র উদ্যোগে একবেলা খাবারের আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচিগুলোতে ফাউন্ডেশনের ঢাকা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলার ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবী ছাড়াও ময়মনসিংহের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।

ইতোমধ্যে ‘ইচ্ছে পূরণ ১’ এর মাধ্যমে লালমনিরহাটের ‘কালীগঞ্জ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’-এ একটি নতুন থ্রি হুইলার প্রদান ও অপর একটি বিকল থ্রি হুইলার মেরামত করে দেওয়া হয়, ‘ইচ্ছে পূরণ ২’ এর মাধ্যমে ঠাকুরগাঁওয়ের ‘একতা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ এর যাতায়াতের বাহন বিকল হয়ে যাওয়া লেগুনা পুনরায় মেরামত করে দেওয়া হয় এবং ‘ইচ্ছে পূরণ ৩’ এর মাধ্যমে রংপুরের ‘দৃষ্টি সংস্থা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’-এ ১টি নতুন থ্রি হুইলার ও ৫টি হুইল চেয়ার দেওয়া হয়।

এসময় আয়োজকদের পক্ষ থেকে ‘ইচ্ছে পূরণ’ কর্মসূচির আওতায় ভবিষ্যতেও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষগুলোর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। একই সঙ্গে আগামী দিনে এই কার্যক্রম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ‘আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন’ ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত হয়। এর আগে ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২ (আমরাই কিংবদন্তী)’ ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করে। এই গ্রুপের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার।

এই গ্রুপটি এর আগেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোভিড-১৯ কালীন ফ্রি অক্সিজেন ব্যাংক কার্যক্রম, দেশজুড়ে পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সহায়তা কার্যক্রম, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প, অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ ও ধারাবাহিক খাবার বিতরণ, বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের আর্থিক সহায়তা এবং রক্তদান কর্মসূচিসহ নানা কার্যক্রম। এ ছাড়া রয়েছে স্বাবলম্বীকরণ এবং ইচ্ছাপূরণের মতো স্থায়ী উদ্যোগ। যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে গ্রুপের পিছিয়ে পড়া সদস্যসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের অসহায় মানুষদের পাশে চিকিৎসা সেবাসহ সব মৌলিক সেবা পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা করছে এই গ্রুপের সদস্যরা।

এমএইচ/এসজি

আজকের ইফতারের সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিককে মুক্ত করার বিষয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। নাবিকদেরকে রিলিজ করার করার জন্য আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নাবিকদের আনহার্ট (কোনো ক্ষতি যেন না হয়) অবস্থায় উদ্ধার করা এবং একইসঙ্গে জাহাজটা উদ্ধার করা।

তিনি বলেন, খাদ্য সংকট অতীতে যখন জাহাজ হাইজ্যাক হয়েছে তখনও হয়নি। তিন বছর ছিল তখনও হয়নি, ১০০ দিন ছিল তখনও হয়নি। আশা করি এক্ষেত্রেও হবে না।

এদিকে, সীমান্ত হত্যা বন্ধে আগেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২ বাংলাদেশি ভারত সীমান্তে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছিল, তাই বিএসএফ গুলি করে। বিজিবি এর প্রতিবাদ জানিয়েছে, পতাকা বৈঠক হয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনায় এখনো কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।

কারওয়ান বাজার স্থানান্তরপ্রক্রিয়া শুরু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার স্থানান্তরের লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মুতাকাব্বির আহমেদ।

তিনি জানান, অফিস শিফটিংয়ের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে কারওয়ান বাজারের স্থানান্তর প্রক্রিয়া। এই অফিসটি সরানো হবে মোহাম্মদপুরে। ঈদের আগে অফিসের সবকিছু স্থানান্তর হলেও ভবনটি ভাঙ্গা হবে পরে।

তিনি আরও জানান, পর্যায়ক্রমে সবাইকে পুনর্বাসন করা হবে। এছাড়া, বাজারে কোনো খুচরা ব্যবসায়ী বা বাজার থাকবে না- এমনটাও নিশ্চিত করেন তিনি।

ভবিষ্যতে এখানে ‘বিজনেস হাব’ তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। বর্তমানে কারওয়ান বাজারে ১৭৬টি স্থায়ী দোকান এবং ১৮০টি অস্থায়ী দোকান রয়েছে।

বিরামপুরে জমজ সন্তানের একজন জন্ম নিলো এক পা নিয়ে

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে জমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী। এদের মধ্যে এক নবজাতকের কেবল একটি পা রয়েছে । সেই পায়ে রয়েছে সাতটি আঙুল। নেই কোন মলদ্বার ও যৌনাঙ্গ।

বুধবার(২৭ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে পৌর শহরের মডার্ন হেলথ কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুর জন্ম হয়। প্রসূতি তাসলিমা বেগমের বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া গ্রামে। তাসলিমার স্বামী মাহফুজুল ইসলাম পেশায় একজন ভ্যানচালক।

মডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক সুমন চন্দ্র পাল বলেন, বুধবার বেলা তিনটার দিকে তাসলিমা বেগম নামে এক নারীকে তাঁর পরিবারের লোকজন সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিকেল ৪টার দিকে ক্লিনিকের চিকিৎসক ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (মা ও শিশুস্বাস্থ্য) তাহেরা খাতুন ওই নারীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন। প্রথমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। পরে দ্বিতীয় যে সন্তানের জন্ম হয়, তার একটি পা, মলদ্বার ও যৌনাঙ্গ নেই। এখন পর্যন্ত দুটি সন্তানই সুস্থ আছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাহেরা খাতুন বলেন, এ ধরনের শিশুর জন্ম সাধারণত জেনেটিক্যাল (জিনগত) সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে গর্ভকালে শরীরে ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি বা রুবেলা ভাইরাসের প্রভাবেও এটি হতে পারে। এ ছাড়া ভাইরাল ইনফেকশনের কারণেও এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ শিশুর জন্ম হতে পারে।

তাহেরা খাতুন আরো বলেন, এ ধরনের শিশু সাধারণত বাঁচে না। শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে শিশুর মা–বাবাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

শিশুটির বাবা ভ্যানচালক মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমি গরিব মানুষ। ভ্যান চালিয়ে সংসারে চলে। যদি কোন দানশীল মানুষ আমাকে সাহায্য-সহযোগিতা করতো তাহলে শিশুটির চিকিৎসা করতে পারতাম।

সর্বশেষ সংবাদ

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরপ্রক্রিয়া শুরু
বিরামপুরে জমজ সন্তানের একজন জন্ম নিলো এক পা নিয়ে
দায়িত্ব নিয়েই বিএসএমএমইউ উপাচার্য বললেন ‘দুর্নীতি করবো না, প্রশ্রয়ও দেব না’
ময়মনসিংহে বাসচাপায় শিশুসহ নিহত ৩
এপ্রিলে ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির
টাকার বিছানায় ঘুমিয়ে ভাইরাল নেতা
অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা
দ্রুত ভিসা দিতে নতুন যেসব নির্দেশনা দিলো ইতা‌লি দূতাবাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উপেক্ষা ইসরায়েলের, গাজায় প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৩২৫০০
কুড়িগ্রামের পথে ভুটানের রাজা
বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : ম্যাথিউ মিলার
আজ ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল
আজ ঐতিহাসিক ‘বদর’ দিবস
নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
‘তুফান’ এ দুর্ধর্ষ লুকে শাকিব
আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড ২৭৭ রান করলো হায়দরাবাদ
নববর্ষ নিয়ে অপপ্রচার চালালে আইনি ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
আবারও হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে