রবিবার, ১২ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিক্ষার মান উন্নয়নে এমপি ওমর ফারুকের অর্জন ‘সন্তোষজনক’!

একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে চড়থাপ্পড়, কিল–ঘুষি মেরেছেন বলে অভিযোগ ওঠে রাজশাহী-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় অসেন্তাষ, উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনও হয়েছে।

রবিবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকাপ্রাকশ-এর এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘যদি কোনো সংসদ সদস্য এ ধরনের কোনো কাজে যুক্ত থাকেন সেক্ষেত্রে সেই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। যেটা আমরা করতে পারি সেটা হল, স্পিকারের শরণাপন্ন হতে পারি এবং তার কাছে অভিযোগ উত্থাপন করে আমরা এটির একটি সমাধান চাইতে পারি। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনে সেই পথ অনুসরণ করব।’

এদিকে সংসদ সদস্য ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠার পর তার বিরুদ্ধে নিজ সংসদীয় এলাকায় এবং সামাজিক মাধ্যমে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আসছে নানা অভিযোগ-অসন্তোষ।

এ পরিস্থিতিতে ঢাকাপ্রকাশ চেষ্টা করেছে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর হলফনামা ঘেটে তার সম্পর্কে জানার।

হলফনামায় এই সংসদ সদস্য দাবি করেছেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে তার অর্জন ‘সন্তোষজনক’। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি নির্বাচন দপ্তরে জমা দেওয়া হলফনামায় এই দাবি করেন।

হলফনামায় ওমর ফারুক চৌধুরী উল্লেখ করেন, ‘আমি ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইয়া ছিলাম। নির্বাচনের পূর্বে আমার দ্বারা ভোটারদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এবং উহার কী পরিমাণ অর্জন সম্ভব হইয়াছিল তাহার বিবরণ’ ভূমিকা লেখা কলামে ২ নম্বর ক্রমিকে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষার মান উন্নয়ন’-এ অর্জন বিষয়ে লেখা আছে ‘সন্তোষজনক’।

এ ছাড়া ‘রাস্তা, ব্রীজ কালভার্ট উন্নয়ন’, বেকার যুবক/যুবতীদের কর্মসংস্থান’ এবং ’স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন’ বিষয়ে অর্জনের ঘরগুলোতেও লেখা আছে ‘সন্তোষজনক’।

হলফনামায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা আছে ‘এলএলবি (সম্মান)’। হলফনামা দেওয়ার সময় তিনি কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন না বলেও উল্লেখ করা আছে। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইন/১৯৭৪ এর ২৫(গ) এর ১(খ) ধারায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলার অভিযোগ থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন হলফনামায়।

হলফনামায় তার পেশার বিবরণে লেখা আছে ‘রাজনীতি, সমাজ সেবা, ব্যবসা’। তার এবং তার উপর নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয়ের উৎস সম্পর্কে হলফনামায় লেখা হয়েছে, নিজের আয়’ কৃষি খাত (নীট আয়) তিন লাখ, ‘বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া’ ৪২ লাখ টাকা। ব্যবসা ‘২টি ট্রাকের অনুমিত আয় দেড় লাখ টাকা’। সংসদ সদস্য হিসেবে পারিতোষিক ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ভাতাদি ১৭ লাখ ১০ হাজার ৩১৭ টাকা।

আর সংসদ সদস্যের স্ত্রীর বাৎসরিক আয় উল্লেখ করা হয়েছে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া হলফনামায় তিনি তার অস্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়সহ আরও অনেক বিষয় উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু তার এই হলফনামায় উল্লেখিত শিক্ষার মান উন্নয়নে তার অর্জন ‘সন্তোষজনক’ কথাটা নিয়েই নানা মহলে কৌতুহল। শিক্ষানুরাগীরা বলছেন, যদি তাই হবে তাহলে তো তিনি শিক্ষকের গায়ে হাত দিতে পারেন না।

সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ এবং হলফনামায় করা তার দাবি নজরে আনলে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাকবিশিস) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. গোলাম ফারুক চৌধুরী শুক্রবার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিষয়টি গভীরভাবে দেখতে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে এটা সাংঘর্ষিক। এমনটি হওয়া উচিৎনয়। হলফনামায় দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের মিল থাকা উচিৎ।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও শিক্ষক নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষকনেতা আরও বলেন, এসব শেষ হওয়া উচিৎ। এসব ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। ব্যবস্থা আরও তড়িৎ নেওয়া দরকার। রাজশাহীর ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। সেখানেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। এমনকি দায় ওই শিক্ষকের হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

কলেজ অধ্যক্ষকে সংসদ সদস্যের মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ২৪ নাগরিক। এই নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। হলফনামায় সংসদ সদস্যের করা দাবির বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, হলফনামার সঙ্গে ব্যক্তিজীবনে তার যে ভূমিকা, তাতে বৈপরীত্য রয়েছে। তার সংসদ সদস্য পদ থাকার কোনো কারণ নাই। অসদাচরণের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে আমরা জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে আবেদন করতে পারি।

আর সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী কলেজ অধ্যক্ষকে মারধর করার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে হাতজোর করে সাংবাদিকদের কাছে তার সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী তার থিম ওমর প্লাজার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আরও কয়েকজন অধ্যক্ষের সামনে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বুধবার (১৩ জুলাই) গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

আজ বিশ্ব মা দিবস

ফাইল ছবি

মা ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এই ছোট্ট শব্দটিই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা- প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল। আজ পৃথিবীর সেই সকল মমতাময়ীর সম্মানে বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী বিশেষ মর্যাদায় পালিত হয় দিনটি।

আসলে মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি মায়েরই সন্তানের ভালোবাসা প্রাপ্য প্রতিদিনই। তবুও দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, নিজের সব স্বাদ-আহ্লাদ সন্তানের নামে করে দেন যে মা, তার সম্মানে আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।

মায়ের সঙ্গে সন্তানের আত্মিক বন্ধন জন্ম-জন্মান্তরের। অটুট এ বন্ধনের প্রাগাঢ় আবেগে তাড়িত হয়ে যুগে যুগে রচিত হয়েছে বহু গান, কবিতা, গল্প, আর উপন্যাস। সৃষ্টি হয়েছে বহু কালজয়ী শিল্পকর্ম। বাংলা সাহিত্যেও মাকে নিয়ে অসংখ্য কবিতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’, শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’, হুমায়ুন আজাদের ‘আমাদের মা’, আল মাহমুদের ‘নোলক’, কালিদাসের ‘মাতৃভক্তি’ এমনই কিছু কালজয়ী বন্দনা।

পৃথিবীর সকল যুগের সকল ধর্মে মা সম্মান রাখা হয়েছে সবচেয়ে উঁচুতে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভধারণ করে। তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার শোকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৪)।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায় ‘মা’ ডাকের শব্দগুলোর মধ্যেও আছে উচ্চারণগত অদ্ভূত এক মিল। সবগুলো শব্দের শুরুই ‘এম’ অথবা ‘ম’বর্ণটি দিয়ে। জার্মান ভাষায় ‘মাট্টার’, ওলন্দাজ ভাষায় ‘ময়েদার’, ইতালিয়ান ভাষায় ‘মাদর’, চীনা ভাষায় ‘মামা’, প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় ‘মাত’, সোয়াহিলি ভাষায় ‘মামা’ এবং আফ্রিকান, হিন্দি ও বাংলা ভাষায় ‘মা’।

কীভাবে এই সাদৃশ্য ঘটল তা আজও এক বিরাট রহস্য। তবে ভাষাবিদ রোমান জ্যাকবসন এর পেছনে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, শিশুরা যখন তার মায়ের দুধ পান করে, তখন তারা তাদের মুখভর্তি অবস্থায় কিছু শব্দ করে। সেই শব্দগুলো নাক দিয়ে বের হয় বলে উচ্চারণগুলো অনেকটা ‘ম’-এর মতো শোনা যায়। তাই প্রায় সব ভাষায়ই ‘মা’ ডাকে ব্যবহৃত শব্দগুলো ‘ম’ বা ‘এম’ দিয়ে শুরু হয়।

‘মা’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘মম’, যা পূর্বে ব্যবহৃত শব্দ ‘মাম্মা’র পরিবর্তিত রূপ। ধারণা করা হয়, ইংরেজি শব্দ মাম্মা এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘মাম্মা’ থেকে। যা ‘স্তন’ বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। এই শব্দ থেকে ‘ম্যামেল’ উত্পত্তি। যা কিনা স্তন্যপায়ী প্রাণীর ইংরেজি প্রতিশব্দ।

জানা যায়, মা দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গ্রীসে। সেখানে প্রচলিত ছিল মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সবসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।

তবে বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। গত শতাব্দীর শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবলেন। নিজের সেই মহৎ ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মায়েদের জন্য উত্সর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।

এরপর থেকেই মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আন্তর্জাতিক মা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো এবার রোববার (১২ মে) আমাদের দেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকেও বিশ্ব মা দিবস ২০২৪ উদযাপন করতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এতে জেলা পর্যায়ে উপপরিচালকদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, আবাসিক বা অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ডে-কেয়ার কর্মকর্তাদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপন করতে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দিবসটি উদযাপন করতে জেলা, উপজেলা, আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডে-কেয়ার সেন্টারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাজেট পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

 

বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ

ফাইল ছবি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের ৪ মাসেই ১০ মাসের সন্তান প্রসব করেলেন এক নববধূ। শনিবার (১১ মে) এ সংবাদ প্রকাশ্যে আসে। উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের শাকছিপাড়া নাজিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের জনৈক যুবকের ওই বাড়ির যুবতীর সাথে ৪ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর ওই নববধূ স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে গেল ৩০ এপ্রিল তার পেট ব্যথা দেখা দিলে হাজীগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১ লা মে কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি। পরে সন্তান প্রসবের খবর স্বামীর বাড়িতে পৌঁছায়।

ওই নববধূর বোন জানান, আমার স্বামী নওহাটা ফকির বাড়ির ফারুকের ছেলে কাউসার যৌতুকের দাবিতে তাকে অত্যাচার করত। এ ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে। আর এই সুযোগে তার আপন ছোট বোনের সঙ্গে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় কাউসার।

এ বিষয়ে ওই নববধূ বলেন, “বিভিন্ন সময়ে তার বড় বোনের স্বামী কাউসার সুযোগ বুঝে মুখ চাপা দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। এখন এ ঘটনার কারণে যদি স্বামী তাকে না নেয়, তাহলে সে ছাড়াছাড়ি মেনে নেবেন।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কাউসারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের শাকছিপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য এম এ খালেক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নববধূর স্বামী এসে বিষয়টি আমাকে জানিয়ে গেছে।

রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে এ সংঘর্ষ চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। অবশেষে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসেছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান পরিচালনা করে। তবে সেখান থেকে কোনো ধরনের অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধক্ষ্য ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, আমরা হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে হলে প্রবেশ করেছিলাম। আমরা চেষ্টা করেছি সবার রুমে তল্লাশি করার। এছাড়াও আমরা যে রুমগুলোতে সন্দেহ করেছিলাম অস্ত্র থাকতে পারে সেগুলোতে তল্লাশি করি কিন্তু কোনো অস্ত্র পাইনি। ভাঙা ইট বা চেয়ারের ভাঙা হাতল পেয়েছি। কিছু শিক্ষার্থীর রুমে তালা লাগানো ছিল, আমরা ধারণা করছি তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ডাইনিংয়ের ছাদ দিয়ে তারা হল ত্যাগ করেছে। হলে বর্তমানে কোনো বহিরাগত নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আজ রাতে হলেই অবস্থান করব।

এদিকে পরিস্থিতি পরবর্তীতে যেন খারাপ না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করছি। যদি মনে হয় পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে তাহলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এমন ঘটনা দুঃখজনক। দুই গ্রুপের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি বিষয়টি সমাধান করার। আমরা দুই পক্ষেরই সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে সব সময় সতর্ক। তারপরেও একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া হয়েছে। তবে হলের মধ্যে যখন আমরা গেলাম তখন এ ধরনের কোনো নমুনা পাইনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তীতে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেব। অভিযোগটি যে কেউ করতে পারে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রদের জন্য যেটা ভালো হয় সেটা করব।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ডিসি মধুসূদন রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন স্বাভাবিক এবং পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ চাইলেই সহজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো সহযোগিতা লাগে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। আজকের ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

আজ বিশ্ব মা দিবস
বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ
রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত
এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, যেভাবে জানবেন
ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলবে যে কয়দিন
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু
রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল
পতঞ্জলি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের যোগগুরু বাবা রামদেব
রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের ‍পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা আগামীকাল
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন 'অড সিগনেচার'-এর পিয়াল
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষ বৈধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে
বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ