মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

ডেথ রেফারেন্স: আশা জাগছে কনডেম সেলে

দেশের কারাগারগুলোর কনডেম সেলে রয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ১ হাজার ৮০০ আসামি। হাইকোর্টে থাকা ৩৩৭টি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তি হলেই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। চলতি বছরে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির সংখ্যা বাড়ায় আশা জাগছে কনডেম সেলের আসামিদের মধ্যে।

ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির অপেক্ষায় এসব আসামির কারাগারের কনডেম সেলে বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকতে হয়। কারণ বছরে ডেথ রেফারেন্সের যত মামলা নিবন্ধিত হয় হাইকোর্টে, তার চেয়ে অনেক কম মামলাই নিষ্পত্তি হয়। ফলে ডেথ রেফারেন্স মামলার জট বাড়তেই থাকে।

সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাইকোর্টে বর্তমানে ৩৩৭টি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, চলতি ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির হার প্রায় ৯৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান এবং ২০২১ সালের আগের ছয় বছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সর্বশেষ বছরে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে আশানুরূপভাবে, যা কনডেম সেলে থাকা আসামিদের আশার আলো দেখাচ্ছে।

ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির বিষয়ে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখার সুপারিনটেনডেন্টের সই করা এ পরিসংখ্যান বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে পাওয়া যায়।

তাতে দেখা যায়, চলতি বছরে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিবন্ধন হয়েছে ৯১টি, আর নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৮টি। শতাংশের হিসাবে যা ৯৭ ভাগ। গত বছর ২০২১ সালে মামলার নিবন্ধন হয়েছে ১৪৮টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ৯০টি, শতাংশের হিসাবে যা ৬১ ভাগ। একইভাবে আগের বছর ২০২০ সালে ডেথ রেফারেন্স মামলা নিবন্ধিত হয়েছে ১২৩টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৫টি, নিষ্পত্তির হার ৬৯ ভাগ। ২০১৯ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৬৪টি, নিষ্পত্তি হয় ১০০টি, নিষ্পত্তির হার ৬১ শতাংশ। ২০১৮ সালে নিবন্ধন হয় ১৫৪টি মামলা, নিষ্পত্তি হয় ৮৩টি, নিষ্পত্তির হার ৫৪ শতাংশ। ২০১৭ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৭১টি, নিষ্পত্তি হয় ৬৬টি, নিষ্পত্তির হার ৩৯ শতাংশ। ২০১৬ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৬১টি, নিষ্পত্তি হয় ৪৫টি, নিষ্পত্তির হার ২৮ শতাংশ। ২০১৫ সালে বিচারিক আদালত থেকে আসা ডেথ রেফারেন্সের মামলা নিবন্ধন হয় ১১৪টি, নিষ্পত্তি হয় ৫৮টি, আর নিষ্পত্তির হার ৫১ শতাংশ।

এ সময়ের মধ্যে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তির বিষয় জানতে চাইলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন (এ এম আমিন উদ্দিন) ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির আন্তরিক উদ্যোগ আছে। তা ছাড়া করোনাকালে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে কম। সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য ডেথ রেফারেন্স বেঞ্চের বিচারপতিরাও এখন বাড়তি পরিশ্রম করছেন। তাই ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির ইতিবাচক এ চিত্র।

জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এটি তার ফল। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশের সময়ও ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানির জন্য অবকাশকালীন বেঞ্চ রেখেছেন তিনি। বেঞ্চও মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বেশ আন্তরিক। তা ছাড়া ডেথ রেফারেন্স সংক্রান্ত শাখার কর্মপদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই মামলা নিষ্পত্তির হার এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত কয়েক বছরের বিবেচনায় চলতি বছর ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির হার ভালো হলেও, নিকট অতীতে ১০ বছর আগে ২০১২ সালে ২৪২ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার রেকর্ডও আছে।

বিষয়টি সামনে আনলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতি যে উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সরকারও বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজ করার জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আশা করছি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির হার সমান সমান থাকবে।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১৪ সালে ডেথ রেফারেন্স মামলা নিবন্ধিত হয়েছিল ৯২টি, আর নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৩৫টি এবং নিষ্পত্তির হার ১৪৭ শতাংশ। ২০১২ সালে মামলা নিবন্ধিত হয়েছিল ৬০টি, তবে নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৪৫টি। নিষ্পত্তির হার গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪২ শতাংশ।

উল্লেখ্য নিম্ন আদালত কোনো আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দিলে তা কার্যকর করার জন্য উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টের অনুমোদনের জন্য এসব মামলার নথি বিচারিক আদালত থেকে উচ্চ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাইকোর্টে আসা এ মামলাগুলোকে বলা হয় ডেথ রেফারেন্স।

বিচারিক আদালতে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে কারা কর্তৃপক্ষ ওই আসামিকে কনডেম সেলে রাখে। পরবর্তীতে হাইকোর্টে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত এই আসামিকে কনডেম সেলেই থাকতে হয়।

হাইকোর্টে কোনো কোনো আসামি খালাস পান, আবার কারও কারও দণ্ড কমে যায়। ফলে জীবনের দীর্ঘ একটা সময় কনডেম সেলে থেকে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির অপেক্ষায় বছরের পর বছর কেটে যায় তাদের। তবে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিবন্ধন ও নিষ্পত্তির হার প্রায় সমান হয়ে আসাতে কনডেম সেলে আশার আলো পড়ছে বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা।

তারা মনে করছেন আশার এই আলো শুধু কনডেম সেলেই পড়ছে তা নয়, আশা জাগছে বিচারপ্রার্থীর মনেও। কারণ ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির অপেক্ষা করতে করতে অনেক বিচার প্রার্থীও আয়ুষ্কাল হারিয়ে পরপারে পাড়ি জমান। আসামির চূড়ান্ত পরিণতি দেখা হয় না আর তাদের।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad
Header Ad

ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আল হিলাল

ছবি: সংগৃহীত

ক্লাব বিশ্বকাপে এবার সবচেয়ে নাটকীয় ও রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। সাত গোলের টান টান উত্তেজনার লড়াইয়ে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কেটেছে দলটি। মার্কোস লিওনার্দোর অতিরিক্ত সময়ের ১১২তম মিনিটে করা জয়সূচক গোলই সৌদি ক্লাবটিকে এনে দিয়েছে এই ঐতিহাসিক জয়।

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল সিটি। প্রথমার্ধে বার্নার্ডো সিলভার গোলে ১-০ ব্যবধানে লিড নেয় তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয়ভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। আল হিলালের হয়ে মার্কোস লিওনার্দো ও ম্যালকম এবং সিটির পক্ষে এরলিং হালান্ডের গোলে ম্যাচ ২-২ সমতায় পৌঁছায়। এতে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের ৯৪তম মিনিটে হেডার থেকে গোল করে আল হিলালকে আবারও এগিয়ে দেন কালিদু কুলিবালি। কিন্তু ১০৪ মিনিটে ফিল ফোডেন গোল করে আবারও সিটিকে সমতায় ফেরান। তবে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন সেই মার্কোস লিওনার্দোই, যিনি ১১২ মিনিটে রিবাউন্ড থেকে গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে আল হিলালকে এনে দেন অবিশ্বাস্য এক জয়।

ম্যাচ শেষে হতাশ সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, “আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলাম, কিন্তু আজকের রাতটি ছিল আল হিলালের।” অন্যদিকে ম্যাচসেরা লিওনার্দো বলেন, “এটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত।”

এই জয়ের ফলে আল হিলাল এখন কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের। ক্লাব বিশ্বকাপে সৌদি আরবের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের এমন সাফল্য দেশটির ফুটবলের জন্য একটি নতুন ইতিহাস রচনা করেছে।

Header Ad
Header Ad

যে বিশেষ গুণেই তাপসের হৃদয়ে জায়গা করে নেন বুবলী!

তাপস, বুবলী। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতা ও বৈচিত্র্যময় উপস্থিতি দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ‘দেয়ালের দেশ’, ‘প্রহেলিকা’র মতো গল্পনির্ভর সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি কেবল বাণিজ্যিক ধারার নায়িকাই নন, বরং একজন পরিপূর্ণ অভিনয়শিল্পী। পাশাপাশি মডেলিংয়েও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি।

তবে সিনেমার বাইরেও এক সময় আলোচনায় আসে বুবলীর ব্যক্তিজীবন। গুঞ্জন ওঠে—গানবাংলা টিভির প্রধান নির্বাহী ও সংগীতব্যক্তিত্ব কৌশিক হোসেন তাপসের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছেন বুবলী। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ও আলোচনা ছড়ায়।

সম্প্রতি উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি সাক্ষাৎকারে তাপসকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, বুবলীর সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর কারণ কী? উত্তরে তাপস বলেন, “প্রেমটাকে অস্বীকার না করে বরং কাজের প্রতি প্রেম বলা ভালো হবে। বুবলী একজন মেধাবী অভিনেত্রী, তার মধ্যে একটি ‘ম্যাজিক’ আছে, যা প্রথম দেখাতেই মুগ্ধ করে। ভবিষ্যতেও তাকে নিয়ে কাজ করতে আমি আগ্রহী ও আনন্দিত থাকবো।”

তবে এই প্রেমের গুঞ্জনকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন বুবলী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “গানবাংলায় আমন্ত্রণ পাওয়ার পরই নানা ধরনের প্রপাগান্ডা ছড়ানো শুরু হয়। আমার কাজ বা সিনেমা আলোচনায় এলেই এসব নোংরামি শুরু হয়। আমি আমার কাজ আর পরিবার নিয়েই ব্যস্ত থাকি। তাপস ভাই ও মুন্নি ভাবির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক, সৌজন্যপূর্ণ এবং পেশাদার। আমাকে কোথাও বাজে আড্ডায় পাওয়া যাবে না।”

 

বুবলী, তাপস। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বুবলী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নতুন সিনেমা ও মডেলিং নিয়ে। অন্যদিকে, কিছুদিন ধরে গানবাংলা টিভির সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়, দুই পক্ষই তাদের সম্পর্ককে কাজ ও পারস্পরিক সম্মানের জায়গায় রাখতেই সচেষ্ট। গুঞ্জনের বাইরে তারা একে অন্যের প্রতি পেশাদার শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির কথাই জানিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আগামী বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে অবহিত করেছেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় দুই নেতার মধ্যে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ টেলিফোনালাপে এ বিষয়টি উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, মার্কো রুবিও বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কর্মসূচি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য ও রেমিট্যান্সের অন্যতম শীর্ষ উৎস, ফলে দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করা সময়ের দাবি।

দুই নেতার মধ্যে এই টেলিফোন আলোচনা চলে প্রায় ১৫ মিনিট। আলোচনায় উঠে আসে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়া, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, রোহিঙ্গা সংকট এবং নিরাপত্তা-সহ নানা বিষয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও নিশ্চিত করেছে, ফোনালাপে উভয় পক্ষ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচন কমিশন বর্তমানে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে, যা আগের সরকার সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছিল। আগামী নির্বাচনে আমাদের অনেক তরুণই প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের আগে মার্কো রুবিওর বাংলাদেশ সফর তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্পষ্ট বার্তা পৌঁছাবে।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যান্ডাউয়ের সঙ্গে সফল বৈঠক করেছেন। দুই দেশই সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী। এছাড়া পারস্পরিক শুল্ক ব্যবস্থা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়ে সম্মত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

রোহিঙ্গা ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সর্ববৃহৎ দাতা হিসেবে কাজ করছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বাস্তব সম্ভাবনা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উজ্জ্বল।”

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। ফোনালাপের বিস্তারিত তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।”

এই সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই দেশের গভীর সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আল হিলাল
যে বিশেষ গুণেই তাপসের হৃদয়ে জায়গা করে নেন বুবলী!
আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস
বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ
বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’