কানাডার সেরা একাদশে সামিত সোম, বাংলাদেশের জার্সি এখন সময়ের অপেক্ষা

সামিত সোম। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার নাম সামিত সোম। কানাডার প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে এই সপ্তাহের সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন কাভালরি এফসির মিডফিল্ডার। আরও বড় খবর হলো—এবার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ফুটবলার বলা যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক না হলেও, কাভালরির হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলার পরপরই দ্রুততার সঙ্গে তার ই-পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে। কানাডার টরন্টোয় বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে ২ মে আবেদন করে মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন সামিত। সেটি ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) হাতে। এখন কেবল ফিফার ছাড়পত্র পেলেই জাতীয় দলে খেলার সব বাধা দূর হবে।
ইয়র্ক ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে কাভালরির জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সামিত সোম। যদিও গোল কিংবা অ্যাসিস্ট ছিল না, কিন্তু পুরো ম্যাচে মিডফিল্ডে তার নিয়ন্ত্রণ ও কার্যকরী খেলায় কাভালরি পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত জয়। আগের ম্যাচেই অধিনায়ক হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দেন সামিত, যা তার প্রতি ক্লাবের আস্থার পরিচয় দেয়।
এই পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবেই কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সপ্তাহের সেরা একাদশে ঠাঁই পান তিনি। তার সঙ্গে দল থেকে আরও জায়গা পেয়েছেন তিনজন—জোড়া গোল করা ফরোয়ার্ড টোবিয়াস ওয়ারচেস্কি, উইঙ্গার ফ্রেজার এয়ার্ড এবং মিডফিল্ডার সার্জিও কামার্গো।
তবে দলীয়ভাবে কাভালরি এখনও লিগ টেবিলের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে। ৮ দলের মধ্যে তারা রয়েছে পঞ্চম স্থানে, ৪ ম্যাচে একটি জয়, একটি ড্র এবং দুটি পরাজয় তাদের অর্জন। শীর্ষে রয়েছে অ্যাটলেটিকো ওটোয়া, যারা ৫ ম্যাচে সংগ্রহ করেছে ১৩ পয়েন্ট।
জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন নিয়ে সামিত এখন আরও একধাপ এগিয়ে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়ার পর তিনি অপেক্ষা করছেন ফিফার ছাড়পত্রের, যা মিললেই তাকে দেখা যাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে লাল-সবুজের হয়ে লড়তে।
