ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে পিএসএলের বিদেশি ক্রিকেটারদের দেশত্যাগ শুরু

নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। সাম্প্রতিক রাওয়ালপিন্ডি ড্রোন হামলার কারণে পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের আজকের ম্যাচটি স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, অনেকে ইতোমধ্যে পাকিস্তান ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাংলাদেশের নাহিদ রানা (পেশোয়ার জালমি) ও রিশাদ হোসেন (লাহোর কালান্দার্স) এখনও পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। তাদের নিরাপদে ফেরাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। একটি বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে প্রথমে তাদের দুবাইয়ে আনা হবে। এ ফ্লাইটে অন্যান্য বিদেশি খেলোয়াড়েরাও থাকতে পারেন।
পিএসএলের মোট ৮টি ম্যাচ বাকি থাকলেও এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পুরো আসরই অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। বিদেশি ক্রিকেটাররা যদি নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তান ছাড়েন, তাহলে ঘরোয়া খেলোয়াড়দের নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করার কথা ভাবছে আয়োজকরা, অথবা এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হতে পারে। এমনকি আসরটি সরিয়ে দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও উঠেছে।
এদিকে, এই উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে ভারতের আইপিএলেও। পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় আগামী ১১ মে পাঞ্জাব কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচটি হওয়ার কথা থাকলেও তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আহমেদাবাদে। আজ পাঞ্জাব ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচটি ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হলেও এটিই সেখানে শেষ ম্যাচ বলে জানানো হয়েছে।
পিএসএল এবং আইপিএল—দুই বড় লিগই বর্তমানে এই ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মারাত্মক প্রভাবের মুখে। নিরাপত্তাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
