মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাতক্ষীরায় আমের বাম্পার ফলন, ২২৫ কোটি টাকা বিক্রির আশা

সাতক্ষীরায় এবার আমের গুটি ভালো হওয়ায় এবং ঝড়বৃষ্টির কবলে না পড়ায় অধিক ফলনের আশা করছেন বাগান মালিক ও চাষিরা। আশানুরূপ ফলন হলে ২২৫ কোটি টাকার আম বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

আম চাষি, ব্যবসায়ী ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর জেলার ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন। বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। এতে আয় হবে ২২৫ কোটি টাকার বেশি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আমের ফলন কম হয়েছিল। এবার প্রতি গাছে যেভাবে আম ঝুলছে, তা দেখে খুশি চাষিরা। বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

কৃষি বিভাগ জানায়, মাটি, বাতাস ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে জেলায় হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, মল্লিকা, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই ও গোপালখাসসহ অন্যান্য জাতের আমের ভালো উৎপাদন হচ্ছে। চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়। এ বছর নবমবারের মতো ইংল্যান্ড ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে যাবে এই জেলার আম।

আবহাওয়া এবং পরিবেশগত কারণে অন্য জেলার চেয়ে সাতক্ষীরায় আম আগে পাকে। এজন্য দেশের বাজারে সবার আগে এখানকার আম বিক্রি শুরু হয়। গত কয়েক বছর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষিরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। তবে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে কিছু গুটি ঝরে পড়ছে। এতে উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না দাবি কৃষি বিভাগের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর সদর উপজেলায় এক হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৫ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৭০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮৩৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। সবমিলে ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১০০ চাষি রয়েছেন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। যে ফলন হয়েছে, তাতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

পৌরসভার মুনজিতপুর এলাকার মিজানুর রহমান বলেন, ‌‘এখানের আম অতুলনীয়। হিমসাগর বিখ্যাত। ল্যাংড়া ও আম্রপালির চাহিদা বেশি। গত বছর ১৫টি বাগান কিনেছিলাম। এ বছর ২০টি লিজ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে আছে। আম দ্রুত বড় হচ্ছে। গত কয়েক বছর দুর্যোগের কারণে মূলধন হারিয়ে ফেলেছি। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে, আশা করছি লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব।’

পৌরসভার রাজারবাগান এলাকার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর উৎপাদন কম হওয়ায় লোকসান হয়েছিল। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাগান লিজ নিলে তার পেছনে অনেক টাকা খরচ হয়। বাগান পরিচর্যা, পোকামাকড় মুক্ত করতে ওষুধ প্রয়োগ, ফলনের পর বাজারজাত, শ্রমিকের পেছনে অনেক টাকা ব্যয় হয়। ফলন ভালো হলে আমাদের লাভ হয়। এবার আশা করছি, লাভের মুখ দেখব।’

এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানালেন সুলতানপুর বাজারের আড়তদার মতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, ‘এ বছর কাঁচা আমের মণ ১৪০০-১৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা গ্রামের চাষিদের কাছ থেকে কম দামে কাঁচা আম কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদেরও লাভ হচ্ছে।’

গত বছর পাকা আমের কেজি ৫০ টাকা বিক্রি হয়েছিল উল্লেখ করে মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এবার আরও বেশি দামে বিক্রি হবে। আমের সাইজ বড় ও দেখতে সুন্দর হলে ৮০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হয়। বিগত বছরগুলোতে দেড়শ থেকে দুইশ কোটি টাকার আম বিক্রি হয়েছে। এ বছর আরও বেশি হবে।’

একই কথা জানালেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি গাছে প্রচুর মুকুল এসেছিল। সেই পরিমাণ গুটি ধরেছে। গুটি থেকে আমের আকার বড় হয়েছে। তুলনামূলক কম ঝরেছে। এজন্য বেশি উৎপাদনের আশা করছি।’

এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদনে রেকর্ডের আশা করছি। গড়ে ৫০ টাকা কেজি ধরলে ২২৫ কোটি টাকার আম বিক্রি হবে।’

এবার বিষমুক্ত ও নিরাপদ আম উৎপাদন এবং রপ্তানির জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এই কৃষিবিদ বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে এবার ইতালি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, জার্মানি ও ইংল্যান্ডের শপগুলোতে যাবে সাতক্ষীরার আম।’

এদিকে আম নিরাপদ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ ও বাজারজাত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ১২ মে থেকে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই ও গোপালখাসসহ অন্যান্য স্থানীয় আম পাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চাষিদের। ২৫ মে থেকে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন থেকে আম্রপালি পাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে আম পাড়লে অপরিপক্ব থেকে যাবে।

এসজি

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ এখন আর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ এখন আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমরা এখন আর আগের মতো আইএমএফ নির্ভরশীল নই। সেই দিন চলে গেছে। বাজেট সাপোর্টের অর্থ সাধারণত ৫ বছরের মধ্যে ফেরত দিতে হয়, অথচ প্রকল্প চলে ২০ বছর। তাই আমরা প্রতিটি ঋণের আগে অনেক হিসাব-নিকাশ করি। শুধু টাকা দিলেই গ্রহণ করব না। ঋণের বোঝা নিতে আমরা আগ্রহী নই।”

আইএমএফের দীর্ঘসূত্রিতা ও কঠিন শর্তাবলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নয় মাস ধরে আইএমএফের টাকা আসছে না। তবে আমরা শক্ত অবস্থান নেব। টাকা না দিলে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইন্দোনেশিয়ায় এমনটাই হয়েছিল, অনেকের চাকরি চলে যায়। এমন ঘটনা মালয়েশিয়াতেও ঘটেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট এবং রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে পেরেছি আইএমএফের টাকা ছাড়াই। এমনকি এই সরকার আসার পর আইএমএফ থেকে এক টাকাও পাইনি। তবুও আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো আছে। রিফর্ম দ্রুত হয়েছে, যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।”

আইএমএফের শর্ত প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “তাদের কিছু শর্ত আছে, যেমন—এনবিআরকে স্বতন্ত্র করা এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ওপেন করে দেওয়া। তবে আমরা সব শর্ত মানতে চাই না। আমাদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের জন্য আমরা এক বিলিয়ন ডলার চেয়েছি, তারা ৫০০ মিলিয়ন দিতে চাচ্ছে—আমরা চিন্তাভাবনা করছি।”

তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প ঋণ চলমান থাকবে। পাশাপাশি এডিবি, এআইআইবি, এনডিবি এবং ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহায়তা পাইপলাইনে রয়েছে। প্রজেক্ট সাপোর্ট নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, তবে বাজেট সাপোর্ট নিয়ে কিছু আলোচনা চলছে।”

অর্থ উপদেষ্টা জানান, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এআইআইবি, আইএফসি, আইওএম, ওপেক ফান্ডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ইউএস সরকারের বিভিন্ন বিভাগ যেমন—এনার্জি, স্টেট, লেবার, কৃষি এবং ট্রেজারি বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনায় অংশ নিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, “এবারের সফর সফল। আগে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের পেছনে দৌড়াতো সবাই, এখন দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সরাসরি ইউএস প্রেসিডেন্ট অফিস ও অন্যান্য বিভাগীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।”

অর্থসংস্থানের বিষয়েও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, “ওপেক ফান্ডের সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে, যা বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হবে। আইএফসিও ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”

সব মিলিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক সচেতন ও শক্তিশালী। আমরা আর কাউকে চোখ বন্ধ করে অনুসরণ করি না। আমাদের নিজস্ব কৌশলে সামষ্টিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছি।”

Header Ad
Header Ad

সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি, দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে হামলার জবাবে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন। এর ফলে সেনাবাহিনী এখন প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি এক উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে এই ঘোষণা দেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের জাতীয় সংকল্প অটুট। আমি আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর পূর্ণ আস্থা রাখি।”

উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত ওই হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। সরকারি সূত্র জানায়, পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সহায়ক সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর প্রধান মোহন ভাগবত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছান। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য সামরিক ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।

ভারত ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করেছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। কেবলমাত্র পাকিস্তানি হিন্দু এবং দীর্ঘমেয়াদি অনুমোদিত বাসিন্দাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ভারতে অবস্থানরত প্রায় ১,০০০ পাকিস্তানি নাগরিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

এছাড়াও, ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক সিন্দু পানি চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ চুক্তির ফলে পাকিস্তান যে পানির ৮৫ শতাংশ পেত, তা এখন ভারতের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান এ সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ বলে আখ্যায়িত করেছে এবং প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করেছে।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ দেশটির গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “পরবর্তী কয়েকটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।”

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তার বক্তব্যে বারবার জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “১৪০ কোটির ভারতের জনগণের ইচ্ছাশক্তি সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে। এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসের ঘাঁটি চিরতরে ধ্বংস করার। ভারত আর আতঙ্কে ভয় পায় না—আমরা প্রতিটি ষড়যন্ত্রকারীকে খুঁজে বের করব এবং জবাব দেব।”

এই অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারতের কড়া অবস্থান এবং সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়ার ঘোষণা গোটা অঞ্চলে সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিষয়টি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সারাদেশে শিলাবৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগেই দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি ও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উপর দিয়ে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিস্তৃত থাকায় মঙ্গলবার থেকে শনিবার (৩ মে) পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

আগামী পাঁচদিনের পূর্বাভাস অনুযায়ী:

- ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

- রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

- কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

তাপমাত্রা প্রসঙ্গে জানানো হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। তবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সামান্য ওঠানামা করতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, বুধবার রাত ১টার মধ্যে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ এখন আর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি, দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে
সারাদেশে শিলাবৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা
'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা
এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম