মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কাগজের মূল্যবৃদ্ধি: একুশে বইমেলা নিয়ে ১৬ প্রস্তাবনা

কাগজের মূল্যবৃদ্ধিতে সংকটে রয়েছে প্রকাশনা শিল্প। আর তাই আগামী বছরের একুশে বইমেলা নিয়ে ১৬টি প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদ।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদের উদ্যোগে পাঠক সমাবেশ কাঁটাবন কেন্দ্রে 'কাগজের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকটে প্রকাশনা শিল্প: একুশে বইমেলা ২০২৩ নিয়ে আমাদের প্রস্তাবনা' শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরিষদের আহ্বায়ক শ্রাবণ প্রকাশনীর রবীন আহসান ১৬ দফা প্রস্তাবনা পাঠ করেন। সদস্য সচিব কবি ও সংগঠক নীলসাধুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন, এক রঙা এক ঘুড়ি প্রকাশনীর শিমুল আহমেদ, কথাসাহিত্যিক নির্মাতা রেজা ঘটক, আনন্দম প্রকাশনীর শ্রাবণী, উত্তরণ প্রকাশনী আহমেদ মাসুদুল হক, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক আকরামুল হক, সোহরাব হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, অমর একুশে বইমেলা দেশের বই, পাঠক, লেখকসহ বাঙালির জন্য একটি বিশেষ উপলক্ষ। একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। ফেব্রুয়ারিজুড়ে এই মেলা শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বেই এখন একটি অনন্য ঐতিহ্য।

তারা বলেন, গত দুটি বইমেলা করোনা মহামারির কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লেখক, পাঠক, প্রকাশকসহ সবার জন্যই এই সময়কাল কঠিন ছিল। সম্প্রতি আবার অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাসের কারণে আসন্ন অমর একুশে বইমেলা আয়োজন করার প্রাক্কালে আমাদের অনেক বিষয়াদি বিবেচনায় নিতে হবে। কাগজ সংকটের কারণে দেশে এখন মুদ্রণ কাজই থমকে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এ বছর বইয়ের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল। গত ৬ মাসের মধ্যে পাইকারিতে প্রতি টন কাগজের দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার টাকা। গত বছর যে কাগজের রিম ১ হাজার ৭০০ টাকা ছিল, এবার সেটি ৩ হাজার ৪০০ টাকা হয়ে গেছে। অন্য কোনো সেক্টরে পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়নি, অথচ কাগজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেল।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা দেখেছি বইমেলা আর পাঠ্যবই ছাপার সময় এলে মিলমালিকরা একত্রিত হয়ে কাগজের দাম বাড়াতে থাকে। এর অবসান হওয়া উচিত। একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের বই-পাঠক-প্রকাশক-লেখক তথা সংস্কৃতজনদের মাঝে এক ধরনের উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। আয়োজক বাংলা একাডেমিকে তাই একুশে বইমেলা আয়োজন সফল করতে বাংলাদেশ পুস্তক, প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিসহ সমমনা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা করতে হবে।

প্রস্তাবনাগুলো হলো-

১. করোনা মহামারি ও সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দায় প্রকাশনা শিল্পের ক্ষতির কথা বিবেচনায় নিয়ে আসন্ন একুশে বইমেলায় স্টল ভাড়া সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি আমরা।

২. আমরা দেখেছি বইমেলা আর পাঠ্যবই ছাপার সময় এলে মিলমালিকরা একত্রিত হয়ে কাগজের দাম বাড়াতে থাকে। এর অবসান হওয়া উচিত। সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

৩. গত তিন বছর করোনা মহামারির ফলে দেশের প্রকাশনা শিল্প ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাবও পড়েছে দেশে। কাগজসহ প্রকাশনা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক সবকিছুর (প্লেট, ছাপা, বাঁধাই) মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। দুই বইমেলায় প্রকাশকরা আছেন লোকসান ও ক্ষতির মুখে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদের প্রস্তাবনা হচ্ছে আসন্ন অমর একুশে বইমেলা ছোট পরিসরে আয়োজন করতে হবে।

৪. করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব, ডলারের অস্বাভাবিক দাম, চলমান অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে পাঠক, লেখক, প্রকাশক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। দৈনন্দিন দ্রব্যাদি ও অন্যান্য সাংসারিক প্রয়োজন মিটিয়ে বই কেনার সামর্থ্য এবার কতজনের থাকবে সেটা একটি প্রশ্ন। পাঠকদের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে প্রকাশকরা বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করবেন। একজন পাঠক যেন তার পছন্দের বইটি সংগ্রহ করতে পারে এটি অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে।

৫. কাগজ সংকট ও অন্যান্য কারণে বই প্রকাশের সংখ্যা কমে গেলে লেখক, কবি সাহিত্যিক যারা আছেন তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বাংলাদেশে রয়্যালটি প্রদান নিয়ে লেখকদের নানা আপত্তি রয়েছে। বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদ আশা করে প্রকাশনা সংস্থাগুলো লেখকদের রয়্যালটি প্রদানে স্বচ্ছতা বজায় রাখবেন।

৬. একুশে বইমেলা-২০২৩ এর একটি খসড়া লে-আউট প্রদর্শন করছি। এই লে-আউটটিকে আদর্শ ধরে নিয়ে মেলার ডিজাইন করতে হবে। সেক্ষেত্রে মেলার পরিসর ছোট হয়ে আসবে এবং পাঠক ও মেলায় আগতদের জন্য স্টল ও পুরো মেলা ঘুরে দেখার সুযোগ বাড়বে। প্রকাশকরা সবাই লাভবান হবে।

৭. বইমেলায় নিরাপত্তার ইস্যুটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিতে হবে এবং মেলায় আগতদের প্রবেশ ও বাহির পথে চারদিকে ট্রাফিক কন্ট্রোল সুশৃঙ্খল যথাযথ করতে হবে। ছুটির দিনে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ইত্যাদি যানবাহন পার্কিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৮. উদ্যানের পূর্ব পাশে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটের পাশে কোনো বইয়ের স্টল বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। গত দুটি মেলায় সেই স্থানে যেসব প্রকাশকরা স্টল বরাদ্দ পেয়েছিলেন তারা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

৯. প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

১০. সব প্রকাশনার জন্য একটি নির্দিষ্ট সাইজের (১৬ ফুট বাই ৮ ফুট) স্টল বরাদ্দ করতে হবে।

১১. বইমেলায় প্রবেশ ও বাহির এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে টিএসসির গেট ও বাংলা একাডেমির গেটটিকে প্রাধান্য দিয়ে মেলার লে আউট করতে হবে।

১২. বইমেলা চলাকালীন ঢাকা মহানগরীসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু করতে হবে।

১৩. স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বই এবং সাহিত্য নিয়ে উৎসাহমূলক নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

১৪. শিশুদের জন্য মেলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বতন্ত্র আঙিনা বরাদ্দ করতে হবে এবং তা যথাযথভাবে যথেষ্ট জায়গা নিয়ে শিশুদের উপযোগী করে সুশৃঙ্খল ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে হবে।

১৫. লিটল ম্যাগের জন্য স্বতন্ত্র জায়গা বরাদ্দ রেখে লিটল ম্যাগ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে।

১৬. বইমেলায় খাবারের দোকান নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সেই এলাকার বাইরে অন্য কোথাও খাবারের দোকান বরাদ্দ দেওয়া যাবে না।

এসজি

Header Ad
Header Ad

ভারতে বাড়ছে করোনা শনাক্ত, পুরোনো আতঙ্কে শঙ্কায় চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস আবারও ভয় ধরাচ্ছে ভারতসহ এশিয়ার একাধিক দেশে। সম্প্রতি হংকং ও সিঙ্গাপুরে করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব এবার ভারতেও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভারতজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে সক্রিয় কোভিড কেসের সংখ্যা ২৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ১২ মে থেকে ভারতে নতুন করে ১৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে কেরালা, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু রাজ্যে। কেরালায় গত সপ্তাহে নতুন করে ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ৪৪ জন এবং তামিলনাড়ুতে ৩৪ জন।

মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। বর্তমানে সেখানে মোট ৫৬ জন কোভিড পজিটিভ রয়েছেন। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে একজন ৫৯ বছর বয়সী ক্যানসার আক্রান্ত নারী এবং অন্যজন ১৪ বছর বয়সী কিডনি রোগে আক্রান্ত কিশোরী। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের মৃত্যু সরাসরি করোনার কারণে হয়নি, তবে তারা দুজনই কোভিড পজিটিভ ছিলেন।

এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাদের মৃত্যুসনদে কেন কোভিড সংক্রান্ত কোনো উল্লেখ নেই। বিশেষ করে ৫৯ বছরের ওই নারীর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে মুম্বাইয়ের ভোইওয়াডা শ্মশানে সরকারি প্রোটোকল মেনে দাহ করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র দুইজন পরিবারের সদস্য। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাবেক কর্পোরেটর অনিল কোকিল।

করোনার নতুন এই উত্থান ফের মানুষকে মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২০ থেকে ২০২২ সালের ভয়াবহ দিনগুলোর কথা। যখন কোভিড-১৯ মহামারিতে ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছিল, অর্থনীতি ছিল চরম চাপে, এবং সাধারণ মানুষ ছিল চরম আতঙ্কে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রশ্ন উঠছে — আবার কি সেই ভয়াবহ সময় ফিরে আসছে?

সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। প্রশাসন দুই জায়গায়ই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে এই দুই অঞ্চলের যোগাযোগ থাকায় নয়াদিল্লিতেও বেড়েছে উদ্বেগ।

তবে এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কিংবা কোনো রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোনো স্বাস্থ্য নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। চিকিৎসক মহলও এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। কেউ কেউ সাবধানতার পরামর্শ দিচ্ছেন, আবার কেউ মনে করছেন আতঙ্ক না ছড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করাই শ্রেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা এখনো পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। তাই সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এখনো জরুরি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তথ্যসূত্র: এবিপি নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল কুমার বিশ্বাস ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, টি.আর ২২২/২০২২ ও টি.আর ০১/২০২৪ মামলায় সাক্ষ্য দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মা-আরিজ। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন পোস্টমর্টেম ও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) আবেদনের পর আদালত ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি দেন। পরে ডাক্তার সাদিয়া মা-আরিজকে ভিডিও মাধ্যমে যুক্ত করা হয়।

সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মামলার আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, আর আসামিপক্ষে জেরা করেন অ্যাডভোকেট মো. আফজালুল হক ও অ্যাডভোকেট মো. আত্তাব আলী।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশনা অনুসারে বিচারকাজ পরিচালিত হয়। চুয়াডাঙ্গার জেলা আদালতে এই প্রথম ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের নজির স্থাপিত হলো, যা আইনি ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

দেশে নিরপেক্ষ ও দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্বচ্ছতা দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে স্থবির করে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাচ্ছেন।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘নীতি সংস্কার ও আগামীর জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের উদাহরণ টেনে আমীর খসরু বলেন, “গত ১০ মাসেও সরকার দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সবারই এক প্রশ্ন—নির্বাচন কবে হবে? নির্বাচন না হলে কেউ বিনিয়োগ করবে না।”

তিনি আরও বলেন, “অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কোনো অর্থনীতি টেকসই হতে পারে না। এই বাস্তবতা সরকার অনুধাবন করতে পারছে না।”

বিএনপি নেতা বলেন, “বর্তমান সরকার দেশের সামনে কোনো নির্বাচনী রোডম্যাপ দিচ্ছে না। বরং নানা ইস্যু তৈরি করে সময়ক্ষেপণ করছে। অথচ নির্বাচনই এখন দেশের স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির প্রধান চাবিকাঠি।”

তিনি মনে করেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক পথে ফিরিয়ে আনা।”

সরকারের বাজেট প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আমীর খসরু।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনীতির প্রতিটি খাতে ভুল তথ্য-উপাত্ত দিয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এতে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত হবে।”

মিয়ানমারকে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “এটি একটি স্পর্শকাতর ও কূটনৈতিক বিষয়। এই সরকার এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। এসব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।”

বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্প সময়ের জন্য গঠিত। তাদের জনগণের ম্যান্ডেট নেই। জনগণের পালস বোঝার ক্ষমতাও তাদের নেই।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে বাড়ছে করোনা শনাক্ত, পুরোনো আতঙ্কে শঙ্কায় চিকিৎসকরা
চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ
নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু
ইশরাক-তাবিথদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছাত্রনেতাদের বাসা ভাড়া দিয়েছি: নুরুল হক
হঠাৎ জাপান ছাড়ার হিড়িক, জাপান সফর বাতিল করেছেন অনেকেই
অভিনেতা চঞ্চলের সঙ্গে ছবি, ক্ষমা চাইলেন ইশরাক হোসেন
গোটা গাজা দখলের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, ব্যাপক স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
ক্ষমা চাইতে হাসনাতকে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম কুমিল্লা জেলা বিএনপির
সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
দাবি আদায় করবো, না-হয় মাটির নিচে শায়িত হবো: ইশরাক
১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে সরকার: প্রেস সচিব
বিরামপুরে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ!
একযোগে ১৭ পুলিশ সুপারকে বদলি, ১০ জন পেলেন অতিরিক্ত ডিআইজির দায়িত্ব
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা এনসিপির প্রধান কর্তব্য: নাহিদ ইসলাম
আদমদীঘিতে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে বাবাকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ছেলের (ভিডিও)
ভারতের আম নিল না আমেরিকা, বিমানবন্দরে পচছে কোটি কোটি টাকার আম!
বদলে গেলো নাম, ধানমন্ডি ২৭ এখন 'শহীদ ফারহান ফাইয়াজ' সড়ক
ফার্স্ট সিকিউরিটি থেকে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এস আলমসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নির্বাচনের দাবিতে ফের মাঠে নামার হুঁশিয়ারি ১২ দলীয় জোটের