শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কাগজের মূল্যবৃদ্ধি: একুশে বইমেলা নিয়ে ১৬ প্রস্তাবনা

কাগজের মূল্যবৃদ্ধিতে সংকটে রয়েছে প্রকাশনা শিল্প। আর তাই আগামী বছরের একুশে বইমেলা নিয়ে ১৬টি প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদ।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদের উদ্যোগে পাঠক সমাবেশ কাঁটাবন কেন্দ্রে 'কাগজের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকটে প্রকাশনা শিল্প: একুশে বইমেলা ২০২৩ নিয়ে আমাদের প্রস্তাবনা' শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরিষদের আহ্বায়ক শ্রাবণ প্রকাশনীর রবীন আহসান ১৬ দফা প্রস্তাবনা পাঠ করেন। সদস্য সচিব কবি ও সংগঠক নীলসাধুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন, এক রঙা এক ঘুড়ি প্রকাশনীর শিমুল আহমেদ, কথাসাহিত্যিক নির্মাতা রেজা ঘটক, আনন্দম প্রকাশনীর শ্রাবণী, উত্তরণ প্রকাশনী আহমেদ মাসুদুল হক, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক আকরামুল হক, সোহরাব হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, অমর একুশে বইমেলা দেশের বই, পাঠক, লেখকসহ বাঙালির জন্য একটি বিশেষ উপলক্ষ। একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। ফেব্রুয়ারিজুড়ে এই মেলা শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বেই এখন একটি অনন্য ঐতিহ্য।

তারা বলেন, গত দুটি বইমেলা করোনা মহামারির কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লেখক, পাঠক, প্রকাশকসহ সবার জন্যই এই সময়কাল কঠিন ছিল। সম্প্রতি আবার অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাসের কারণে আসন্ন অমর একুশে বইমেলা আয়োজন করার প্রাক্কালে আমাদের অনেক বিষয়াদি বিবেচনায় নিতে হবে। কাগজ সংকটের কারণে দেশে এখন মুদ্রণ কাজই থমকে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এ বছর বইয়ের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল। গত ৬ মাসের মধ্যে পাইকারিতে প্রতি টন কাগজের দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার টাকা। গত বছর যে কাগজের রিম ১ হাজার ৭০০ টাকা ছিল, এবার সেটি ৩ হাজার ৪০০ টাকা হয়ে গেছে। অন্য কোনো সেক্টরে পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়নি, অথচ কাগজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেল।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা দেখেছি বইমেলা আর পাঠ্যবই ছাপার সময় এলে মিলমালিকরা একত্রিত হয়ে কাগজের দাম বাড়াতে থাকে। এর অবসান হওয়া উচিত। একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের বই-পাঠক-প্রকাশক-লেখক তথা সংস্কৃতজনদের মাঝে এক ধরনের উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। আয়োজক বাংলা একাডেমিকে তাই একুশে বইমেলা আয়োজন সফল করতে বাংলাদেশ পুস্তক, প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিসহ সমমনা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা করতে হবে।

প্রস্তাবনাগুলো হলো-

১. করোনা মহামারি ও সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দায় প্রকাশনা শিল্পের ক্ষতির কথা বিবেচনায় নিয়ে আসন্ন একুশে বইমেলায় স্টল ভাড়া সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি আমরা।

২. আমরা দেখেছি বইমেলা আর পাঠ্যবই ছাপার সময় এলে মিলমালিকরা একত্রিত হয়ে কাগজের দাম বাড়াতে থাকে। এর অবসান হওয়া উচিত। সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

৩. গত তিন বছর করোনা মহামারির ফলে দেশের প্রকাশনা শিল্প ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাবও পড়েছে দেশে। কাগজসহ প্রকাশনা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক সবকিছুর (প্লেট, ছাপা, বাঁধাই) মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। দুই বইমেলায় প্রকাশকরা আছেন লোকসান ও ক্ষতির মুখে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদের প্রস্তাবনা হচ্ছে আসন্ন অমর একুশে বইমেলা ছোট পরিসরে আয়োজন করতে হবে।

৪. করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব, ডলারের অস্বাভাবিক দাম, চলমান অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে পাঠক, লেখক, প্রকাশক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। দৈনন্দিন দ্রব্যাদি ও অন্যান্য সাংসারিক প্রয়োজন মিটিয়ে বই কেনার সামর্থ্য এবার কতজনের থাকবে সেটা একটি প্রশ্ন। পাঠকদের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে প্রকাশকরা বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করবেন। একজন পাঠক যেন তার পছন্দের বইটি সংগ্রহ করতে পারে এটি অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে।

৫. কাগজ সংকট ও অন্যান্য কারণে বই প্রকাশের সংখ্যা কমে গেলে লেখক, কবি সাহিত্যিক যারা আছেন তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বাংলাদেশে রয়্যালটি প্রদান নিয়ে লেখকদের নানা আপত্তি রয়েছে। বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদ আশা করে প্রকাশনা সংস্থাগুলো লেখকদের রয়্যালটি প্রদানে স্বচ্ছতা বজায় রাখবেন।

৬. একুশে বইমেলা-২০২৩ এর একটি খসড়া লে-আউট প্রদর্শন করছি। এই লে-আউটটিকে আদর্শ ধরে নিয়ে মেলার ডিজাইন করতে হবে। সেক্ষেত্রে মেলার পরিসর ছোট হয়ে আসবে এবং পাঠক ও মেলায় আগতদের জন্য স্টল ও পুরো মেলা ঘুরে দেখার সুযোগ বাড়বে। প্রকাশকরা সবাই লাভবান হবে।

৭. বইমেলায় নিরাপত্তার ইস্যুটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিতে হবে এবং মেলায় আগতদের প্রবেশ ও বাহির পথে চারদিকে ট্রাফিক কন্ট্রোল সুশৃঙ্খল যথাযথ করতে হবে। ছুটির দিনে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ইত্যাদি যানবাহন পার্কিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৮. উদ্যানের পূর্ব পাশে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটের পাশে কোনো বইয়ের স্টল বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। গত দুটি মেলায় সেই স্থানে যেসব প্রকাশকরা স্টল বরাদ্দ পেয়েছিলেন তারা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

৯. প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

১০. সব প্রকাশনার জন্য একটি নির্দিষ্ট সাইজের (১৬ ফুট বাই ৮ ফুট) স্টল বরাদ্দ করতে হবে।

১১. বইমেলায় প্রবেশ ও বাহির এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে টিএসসির গেট ও বাংলা একাডেমির গেটটিকে প্রাধান্য দিয়ে মেলার লে আউট করতে হবে।

১২. বইমেলা চলাকালীন ঢাকা মহানগরীসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু করতে হবে।

১৩. স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বই এবং সাহিত্য নিয়ে উৎসাহমূলক নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

১৪. শিশুদের জন্য মেলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বতন্ত্র আঙিনা বরাদ্দ করতে হবে এবং তা যথাযথভাবে যথেষ্ট জায়গা নিয়ে শিশুদের উপযোগী করে সুশৃঙ্খল ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে হবে।

১৫. লিটল ম্যাগের জন্য স্বতন্ত্র জায়গা বরাদ্দ রেখে লিটল ম্যাগ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে।

১৬. বইমেলায় খাবারের দোকান নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সেই এলাকার বাইরে অন্য কোথাও খাবারের দোকান বরাদ্দ দেওয়া যাবে না।

এসজি

Header Ad

মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না: উপদেষ্টা নাহিদ

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, মব জাস্টিস অথবা মব কিলিং মিশন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার সমর্থন করে না। এটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কে কোন দল বা মতের সেটা বিবেচনায় আসবেনা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে বন্যাদুর্গতদের সাথে মতবিনিময় ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, এ ধরনের হত্যাকান্ড ঘটিয়ে একপক্ষ সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চায়। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৬ বছরের বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকারকে সময় দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের কিছু দাবি দাওয়া রয়েছে। বাংলাদেশে গণমাধ্যম কিভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে গণমাধ্যম সংস্কার কমিটি সে প্রস্তাবনাগুলো দিবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আরিফুর রহমান প্রমূখ।

গরম আরও যতদিন থাকতে পারে, নেত্রকোনায় রেকর্ড তাপমাত্রা

ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক দিন ধরে দেশের অধিকাংশ জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আজও অব্যাহত রয়েছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা নেত্রকোনায় রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থায় আরও কয়েকদিন গরম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

এ ছাড়া খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, এ সময়ে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করলে ইসলামের দৃষ্টিতে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীতে মানুষকে নিরাপদে বেঁচে থাকার জন্য ইসলাম দিয়েছে পূর্ণ নিশ্চয়তা। এতে মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ইসলামের চোখে অন্যায়ভাবে কোনো মানুষ হত্যা করা বিশ্ব মানবতাকে হত্যা করার মতো অপরাধ।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষ হত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর গোটা মানবজাতিকে হত্যা করল। আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবজাতিকে রক্ষা করল।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩২)

পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আল্লাহ যে প্রাণ হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩৩)

সমাজে দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের কারণে মানুষ যেন তাদের সন্তানদের হত্যা না করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ কোরআনে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। বর্তমান বিশ্বে মানুষ জন্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বংশ নিধনের যে কত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার হিসাব নেই।

এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘দারিদ্র্যের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদের হত্যা কোরো না। আমি তাদের ও তোমাদের রিজিক দেব।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৫১)

অন্যায়ভাবে কেউ কাউকে হত্যা করলে ইসলামের দৃষ্টিতে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এই শাস্তি দুনিয়ায় পেতে হয়।

আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! নিহতদের ব্যাপারে তোমাদের জন্য কিসাসের (মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার) বিধান দেওয়া হয়েছে।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৭৮)

দুনিয়ার এই শাস্তির পাশাপাশি পরকালে রয়েছে কঠিন শাস্তি। আল্লাহ বলেন, ‘আর কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, যেখানে সে স্থায়ী হবে এবং তার প্রতি আল্লাহর গজব ও অভিশাপ এবং তিনি তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখবেন।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৯৩)

হত্যা কখন করা বৈধ: মানুষ মানুষকে অকারণে ও বেআইনিভাবে হত্যা করতে পারে না। আইন অনুযায়ী তথা উপযুক্ত কারণে ইসলামী রাষ্ট্র কোনো অপরাধীকে হত্যা করতে পারে।

কোনো ব্যক্তি আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারবে না। কাউকে শাস্তিস্বরূপ হত্যা করতে হলে তার জন্য আলাদা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ইসলামের চোখেও অপরাধ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বিনা কারণে মানুষ হত্যাকে কবিরা গুনাহ (বড় ধরনের পাপ) বলেছেন। তিনি মারামারি ও সশস্ত্র ঝগড়া-বিবাদ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। নবী করিম (সা.) বলেন, দুজন মুসলমান তরবারিসহ (মারণাস্ত্র)পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে পড়লে (একজন নিহত হলে), হত্যাকারী ও নিহত উভয় ব্যক্তি জাহান্নামি হবে। নিহত ব্যক্তির জাহান্নামি হওয়ার কারণ কী? জিজ্ঞেস করা হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কেননা সে-ও তো প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে উদ্যোগী ছিল। অন্যজনের নিহত হওয়া তো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ব্যাপার। তার পরিবর্তে তারই হাতে সে-ও নিহত হতে পারত।’ (বুখারি, হাদিস : ৩১)

সর্বশেষ সংবাদ

মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না: উপদেষ্টা নাহিদ
গরম আরও যতদিন থাকতে পারে, নেত্রকোনায় রেকর্ড তাপমাত্রা
অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করলে ইসলামের দৃষ্টিতে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
এক জালে ধরা পড়লো ১০২ মণ ইলিশ ও অন্যান্য মাছ
ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যায় আটক পাঁচজনই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী
সহিংসতায় দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে : প্রধান উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলে অটোরিকশা-মাহিন্দ্রের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের
বন্ধের দিনে মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ, চালু হলো কাজীপাড়া স্টেশনও
তিন পার্বত্য জেলায় সংঘর্ষ নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
শনিবার খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি পরিদর্শনে যাচ্ছে সরকারের উচ্চপর্যায়ের দল
জাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা
১৪৯ রানেই অলআউট বাংলাদেশ, ফলো-অন করায়নি ভারত
বায়তুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংর্ঘষ, নামাজ না পড়িয়ে পালিয়ে গেলেন সাবেক খতিব
পুলিশের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রদবদল
বান্দরবানে অস্ত্র, গুলি ও ড্রোন সিগন্যাল জ্যামারসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ: রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
মা-বাবা-ভাইয়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ঢাবিতে নিহত তোফাজ্জল
লেবাননে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা
গরম কমে বৃষ্টি হবে কবে, জানালো আবহাওয়া অফিস