সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা এনসিপির প্রধান কর্তব্য: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধানতম রাজনৈতিক কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (১৯ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপটে এনসিপির দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের প্রথম ধাপ হলো রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন। একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে হলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠন, প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও নতুন সংবিধান জরুরি।”

তিনি বলেন, এনসিপি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামের আদর্শকে ধারণ করে। দলটি সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদাভিত্তিক বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে কাজ করছে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “এনসিপি ধর্মীয় সহাবস্থান ও সম্প্রীতির পক্ষে। আমরা ইসলাম বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িকতা বা চরমপন্থার বিপক্ষে। সেকুলারিস্ট কিংবা ধর্মতান্ত্রিক কোনো মতবাদ নয়, বরং অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রই আমাদের আদর্শ।”

তিনি জানান, এনসিপি নাগরিকদের ধর্মবিশ্বাস ও আত্মিক অনুভবকে শ্রদ্ধা করে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম ও বাঙালি মুসলমানের সংস্কৃতি এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও জাতিগত জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষার অঙ্গীকার দলটি পালন করে।

নারীর মর্যাদা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানে এনসিপির অগ্রাধিকার থাকবে বলেও জানান তিনি। পারিবারিক আইনের আওতায় নারীর সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে দলটি কাজ করবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদকে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ও ভূরাজনৈতিক হুমকি আখ্যা দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, “এনসিপি এই প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে।”

তিনি বলেন, এনসিপি একটি বৈষম্যহীন, ইনসাফভিত্তিক ও দুর্নীতিমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে চায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, জলবায়ু, শ্রম অধিকার ও কর্মসংস্থান হবে দলের প্রধান নীতিনির্ধারণী অঙ্গ।

পরিশেষে তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন গঠনের ভিশন নিয়ে এনসিপি কাজ করছে; যা বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানকে উন্নত করবে।”

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল কুমার বিশ্বাস ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, টি.আর ২২২/২০২২ ও টি.আর ০১/২০২৪ মামলায় সাক্ষ্য দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মা-আরিজ। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন পোস্টমর্টেম ও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) আবেদনের পর আদালত ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি দেন। পরে ডাক্তার সাদিয়া মা-আরিজকে ভিডিও মাধ্যমে যুক্ত করা হয়।

সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মামলার আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, আর আসামিপক্ষে জেরা করেন অ্যাডভোকেট মো. আফজালুল হক ও অ্যাডভোকেট মো. আত্তাব আলী।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশনা অনুসারে বিচারকাজ পরিচালিত হয়। চুয়াডাঙ্গার জেলা আদালতে এই প্রথম ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের নজির স্থাপিত হলো, যা আইনি ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

দেশে নিরপেক্ষ ও দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্বচ্ছতা দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে স্থবির করে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাচ্ছেন।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘নীতি সংস্কার ও আগামীর জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের উদাহরণ টেনে আমীর খসরু বলেন, “গত ১০ মাসেও সরকার দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সবারই এক প্রশ্ন—নির্বাচন কবে হবে? নির্বাচন না হলে কেউ বিনিয়োগ করবে না।”

তিনি আরও বলেন, “অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কোনো অর্থনীতি টেকসই হতে পারে না। এই বাস্তবতা সরকার অনুধাবন করতে পারছে না।”

বিএনপি নেতা বলেন, “বর্তমান সরকার দেশের সামনে কোনো নির্বাচনী রোডম্যাপ দিচ্ছে না। বরং নানা ইস্যু তৈরি করে সময়ক্ষেপণ করছে। অথচ নির্বাচনই এখন দেশের স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির প্রধান চাবিকাঠি।”

তিনি মনে করেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক পথে ফিরিয়ে আনা।”

সরকারের বাজেট প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আমীর খসরু।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনীতির প্রতিটি খাতে ভুল তথ্য-উপাত্ত দিয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এতে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত হবে।”

মিয়ানমারকে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “এটি একটি স্পর্শকাতর ও কূটনৈতিক বিষয়। এই সরকার এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। এসব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।”

বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্প সময়ের জন্য গঠিত। তাদের জনগণের ম্যান্ডেট নেই। জনগণের পালস বোঝার ক্ষমতাও তাদের নেই।”

Header Ad
Header Ad

ইশরাক-তাবিথদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছাত্রনেতাদের বাসা ভাড়া দিয়েছি: নুরুল হক

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে বিএনপি ও ছাত্রদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং আন্দোলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেন, বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়ে ছাত্রনেতাদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন তিনি নিজেই।

নুর বলেন, “ইশরাক ভাই, তাবিথ ভাইদের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে এদের (ছাত্রনেতাদের) বাসা ভাড়া দিয়েছি। বিএনপির নেতাদের এই আন্দোলনের মধ্যে বলেছি — আমি তো জানি, এই নেতাদের ডিভাইস চেঞ্জ করা, নতুন ডিভাইস কেনার টাকাটা সালাহউদ্দিন ভাই এখানে পাঠিয়েছিলো।”

তিনি আরও বলেন, “বরকতউল্লাহ বুলু পলাতক, আরেকজনকে দিয়ে পাঠাচ্ছে। নতুন ডিভাইস কেনা লাগবে — ওই টাকাটাও পর্যন্ত পাঠিয়ে দিয়েছে।”

নুরুল হক নুর টকশোতে দাবি করেন, “তারেক রহমানের সাথে আলাপ করে এই আন্দোলনে কিভাবে ছাত্রদল, যুবদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার দিন ছাত্রদল যেন ব্যাংকারের মতো দাঁড়িয়ে থাকে — ওইদিনই ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করতে হবে — এই সমস্ত ফর্মুলা আমরা দিয়েছি।”

তিনি এও উল্লেখ করেন, “আজকে মাস্টারমাইন্ড বা এই সমস্ত মানুষের নাম তো তারা জীবনেও নিবে না।”

আলোচনার এক পর্যায়ে নুর বলেন, “একবার বলেছিলাম, মালয়েশিয়াতে আমাদের ছাত্র তরুণদেরকে মামলা দিয়েছিল, যারা অ্যাম্বাসেডর — সেই অ্যাম্বাসেডর এখনো আছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। এখনো যারা বিদেশি মিশনে আছে, দেশের মধ্যে স্মরণ হয়নি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “দেশের দশ বিভাগের যারা বিভাগীয় কমিশনার — তারা এই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। কিন্তু কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

নুরুল হক নুর বলেন, “দুইজন উপদেষ্টার কথা শুনে বেয়াক্কেল হলাম, এজন্য যে তারা বলছে, ‘ওদেরকে দিয়ে ভালো কাজ করানো যায়।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ
নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু
ইশরাক-তাবিথদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছাত্রনেতাদের বাসা ভাড়া দিয়েছি: নুরুল হক
হঠাৎ জাপান ছাড়ার হিড়িক, জাপান সফর বাতিল করেছেন অনেকেই
অভিনেতা চঞ্চলের সঙ্গে ছবি, ক্ষমা চাইলেন ইশরাক হোসেন
গোটা গাজা দখলের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, ব্যাপক স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
ক্ষমা চাইতে হাসনাতকে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম কুমিল্লা জেলা বিএনপির
সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
দাবি আদায় করবো, না-হয় মাটির নিচে শায়িত হবো: ইশরাক
১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে সরকার: প্রেস সচিব
বিরামপুরে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ!
একযোগে ১৭ পুলিশ সুপারকে বদলি, ১০ জন পেলেন অতিরিক্ত ডিআইজির দায়িত্ব
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা এনসিপির প্রধান কর্তব্য: নাহিদ ইসলাম
আদমদীঘিতে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে বাবাকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ছেলের (ভিডিও)
ভারতের আম নিল না আমেরিকা, বিমানবন্দরে পচছে কোটি কোটি টাকার আম!
বদলে গেলো নাম, ধানমন্ডি ২৭ এখন 'শহীদ ফারহান ফাইয়াজ' সড়ক
ফার্স্ট সিকিউরিটি থেকে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এস আলমসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নির্বাচনের দাবিতে ফের মাঠে নামার হুঁশিয়ারি ১২ দলীয় জোটের
পলাতকদের অর্থ জব্দ, লুটের টাকা গরিবের কল্যাণে ব্যবহার হবে: গভর্নর