সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মঞ্চ নাটকের পঞ্চাশ বছরের অভিযাত্রা

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পঞ্চাশ বছরের প্রান্তে দাঁড়িয়ে মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা ভাবার হয়তো অবকাশ আছে। সর্বকালের সেরা বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দাসত্ব শৃঙ্খল ছিন্ন করে আমাদের মুক্ত করেছিলেন পরাধীনতার অভিশাপ থেকে। বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করল। আমাদের মঞ্চ-নাটক নব দ্যোতনায় উজ্জীবিত হয়ে উঠল। আজকের পূর্বসূরী নাট্যকারদের সঙ্গে প্রতিভাবান নব প্রজন্মের নাট্যকারেরা যোগ দিয়েছিলেন। ছয়-সাতটি নাট্যদলের নাট্য প্রযোজনায় মহিলা সমিতি মঞ্চ এবং গাইড হাউস মঞ্চ প্লাবিত হয়েছিল। বিশেষ কোনো প্রযুক্তি ছাড়া, আমাদের নাট্যকারেরা বিনা পারিশ্রমিকে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, মামুনুর রশীদ, সেলিম আল দীন, মান্নান হীরা এবং সর্বোপরি কবি সৈয়দ শামসুল হক নাট্য রচনার ক্ষেত্রে আমাদের দেশকে আলোকিত করেছিলেন। এ ছাড়া, বিশ্বের বহু বিখ্যাত নাটক আমরা অনুবাদে ও রূপান্তরে মঞ্চায়ণ করে আমাদের মঞ্চকে নানা সাজে শোভিত করেছিলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর পর্যন্ত আমরা এই ধারাকে ধরে রাখতে পেরেছিলাম।

বর্তমানে পুরোনো নাটকের দলগুলো আগের মত আর সক্রিয় নেই। এটা প্রকৃতির নিয়ম। পুরোনো নাট্যদল চলে যায় নতুনদের আগমন হয়। বর্তমানে নতুন প্রজন্মের নাট্যজনেরাও নাট্য ক্রিয়ায় যথেষ্ট ভাল করছে। তবে মঞ্চ নাটককে পেশাগত মর্যাদায় স্থাপিত করতে না পারলে নাটকের মান উন্নয়ন হবে না। আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে নতুন মঞ্চ গড়ার কাজে নিয়োজিত আছে। মঞ্চ-নাটককে পেশাগত মর্যাদায় উন্নীত করার প্রয়াসও বর্তমান সরকারের আছে।

সবশেষে বলব, ঢাকায় এই যানজটের সময় এলাকা ভিত্তিক নাটকের মঞ্চ নির্মাণ প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। নতুন প্রজন্মের নাট্যজনেরা বর্তমানে নাট্য প্রযোজনার ক্ষেত্রে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পেরেছে। আমি আশা করি, করোনা মুক্ত আগামী বছরগুলো আমাদের মঞ্চ-নাটক আবার নতুন দ্যোতনায় ও সৃজনে উজ্জীবিত হয়ে উঠবে। ‘নবজাগরণ’ অভিধা শিল্প-সাহিত্যের অঙ্গনে প্রযোজ্য শিল্প ও সাহিত্য সৃজন কখনো এক গতিতে চলে না। কখনো আসে স্থিতির কাল, তারপরে আসে বহমানতার সময়। এ যেন, জোয়ার-ভাটার খেলা। স্থিতি বা নিম্নগতির কালকে অবক্ষয় ভাবাটা যথার্থ নয়। পৃথিবী জুড়ে চলছে ভেসে উঠা আর ডুবে যাওয়ার খেলা। শিল্প ও সাহিত্য সৃজনেও এর ব্যত্যয় ঘটে না। রেনেসাঁ বা নবজাগরণ বিরতির পরে আবার ফিরে আসে। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পরে আনন্দের উম্মাদনায় নব জাগরণ এসেছিল। সেটা আবারও ঘুরে আসবে বলে আমি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করছি। স্বাধীনতা অর্জনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি ও আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবাষির্কীর প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমরা জীবনের সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখছি; ঠিক একইভাবে আমাদের মঞ্চ-নাটকেও নতুন ভাবনা ও প্রয়োগের ফল্গুধারা বইবে, এই আমার বিশ্বাস।

সবশেষে বলব, সমগ্র পৃথিবী বর্তমানে করোনা মহামারিতে আক্রান্ত। পৃথিবীর কোনো দেশেই স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত নেই। আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণের ও মৃত্যুর হার কমার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আবার নতুন প্রাণবন্যা শুরু হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমির নাটক মঞ্চায়ণের তিনটি মিলনায়তনই খুলে দেওয়া হয়েছে। অক্টোবর, ২০২১ থেকে পূর্ণদ্যোমে নাটকের মঞ্চায়ণ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে আমার নির্দেশিত ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রযোজিত এবং বরেণ্য প্রয়াত কবি ও নাট্যকার সৈয়দ শামসুল হক অনূদিত শেক্সপীয়রের ‘হ্যামলেট’ নাটকেরও আবার মঞ্চায়ণ শুরু হবে। আমি ও অপি করিম অভিনীত নাট্যম রেপার্টরী প্রযোজিত ‘ডিয়ার লায়ার’ নাটকের মঞ্চায়ণও আবার শুরু হবে। নতুন নাট্য দলসমূহের প্রযোজনাগুলোর মধ্যে থাকছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ,বঙ্গবন্ধুর আবির্ভাব, তাকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ও সার্বভৌম নব-জাগরণের মঞ্চায়ণ এবং পাশাপাশি থাকবে সর্বকালের ঘৃণ্য ও নারকীয় ১৫ আগষ্টের হত্যাযজ্ঞের চালচিত্র এবং সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর কণ্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে শোককে শক্তিতে পরিণত করার মঞ্চ-অভিযাত্রা। আশা করি, সব বৈরী শক্তিকে পদানত করে আমাদের মঞ্চ-নাটক নতুন প্রজন্মের কুশলী মঞ্চায়ণে ক্রমাগত এগিয়ে যাবে।

লেখক: অভিনেতা-নাট্য নির্দেশক, লেখক ও কবি, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত

Header Ad

করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা

ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরী করোনা টিকা। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে যে, তাদের তৈরি কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোম্পানিটির এই স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে খুব বিরল থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) এর ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়। খবর টেলিগ্রাফ।

ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন ডজনখানেক ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বছর অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন জেমি স্কট নামের এক ব্যক্তি। তিনি ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। যার ফলে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে গেছে।

এর আগে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকার কারণে টিটিএস'র সম্ভাবনা নকচ করে দিয়েছিল তবে হাইকোর্টে জমা দেওয়া নথিতে এর দায় স্বীকার করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ভুক্তভোগীরা মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্রিটিশ-সুইস এই কোম্পানিটির স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।

ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন

খন্দকার মুশতাক ও ফাওজিয়া রাশেদী। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদীকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ। মামলার বাদী হলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নির্ধারিত দিনে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় মুশতাক ও রাশেদীর স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। পাশাপাশি মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করা হয়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত।

এর আগে গত বছরের ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।

পরবর্তীতে মামলাটি দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা।

গত ৩ মার্চ পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে এই নারাজি দাখিল করেন মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। আদালত নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভিকটিম) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতো এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতো। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতো। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়।

ভিকটিম এরকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে (২নং আসামি) ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি (অধ্যক্ষ) ব্যবস্থা করতেছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।

এ বিষয়ে বাদী ২নং আসামির কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনও সহযোগিতা করেননি বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।

কীটনাশক প্রয়োগেও মিলছে না প্রতিকার

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ঢেঁড়শ গাছের পাতায় সবুজ রঙের ছোট ছোট পোকা। এই পোকা ঢেঁড়শে আক্রমণ করে ফলন নষ্ট করছে। শুধু তাই নয়, আক্রমণের কারণে ঢেঁড়শ বড় না হয়ে ঢেঁড়শ বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন এমন অজ্ঞাত পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ঢেঁড়শ চাষি কৃষকরা। ফলে চাষিদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এমন পরিস্থিতিতে চাষাবাদের খরচ তোলাই তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণে ভুক্তভোগী উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পূর্বপাড়া গ্রামের ঢেঁড়শ চাষি মো. আব্দুল বাছেদ। তিনি তার প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে গত বছরের মতো এবারও উন্নত জাতের কমল নামে হাইব্রিড ঢেঁড়শ চাষ করেছেন। তার মতে- ফলন ভালো হয়েছে এবং ঢেঁড়শ ধরেছে প্রচুর পরিমাণ। কিন্তু অজ্ঞাত পোকার আক্রমণে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কৃষক আব্দুল বাছেদ বলেন- একদিন পরপর ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ঢেঁড়শ তোলা যেতো। কিন্তু পোকার আক্রমণে বর্তমানে ১ মণ ঢেঁড়শ উঠে না। তারমধ্যে ৫ থেকে ৭ কেজি ঢেঁড়শ ফেলে দিতে হচ্ছে। অপরদিকে ঢেঁড়শের গায়ে প্রচুর পরিমাণে দাগ হচ্ছে। এতে করে পাইকারি ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নেন। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেও পোকা দমনে কার্যকর কোনো সুফল পাচ্ছি না।

একই গ্রামের ঢেঁড়শ চাষি রহিম মিয়া মীর বক্স আলী বলেন, বাড়ির আঙিনায় ১০/১২ শতাংশ জমিতে ৩ হাজার ১’শ টাকা কেজি দরে উন্নত জাতের হাইব্রিড ঢেঁড়শের বীজ কিনে চাষ করেছি। গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঢেঁড়শ আসলেও পোকার আক্রমণে ঢেঁড়শগুলো পরিপক্ব হচ্ছে না। বড় হওয়ার আগেই পোকার আক্রমণে ঢেঁড়শ বাঁকা হয়ে যায়। এতে করে অনেক ঢেঁড়শ নষ্ট হয়। এবার খরচের টাকাও উঠবে না।

পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাওয়া ঢেঁড়স। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সরেজমিনে উপজেলার কয়েড়া, নিকরাইল, নলুয়া, সিরাজকান্দি, বরকতপুর, বিলচাপড়া, রুহুলী ও চর নিকলা গ্রামের বিভিন্ন ঢেঁড়শ ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়- তীব্র দাবদাহে ও খরায় ঢেঁড়শ ক্ষেতের মাটি সাদা হয়ে গেছে। সবুজ রঙের পোকাগুলো ঢেঁড়শ ছিদ্র করে ফেলছে। তাছাড়া গাছ থেকে ঢেঁড়শের ফুলসহ ঝড়ে যাচ্ছে অসংখ্য ঢেঁড়শ। এছাড়া বাঁকাও হয়ে যাচ্ছে। এগুলো তুলে ফেলা দিচ্ছেন কৃষকরা।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাছাড়া হাট-বাজারে সারের দোকানগুলোতে গেলে দোকানিরা পোকা দমনের যে-সব কীটনাশক দেয় সেগুলো দিয়ে পোকা দমন হচ্ছে না। এসব কীটনাশকের অতিরিক্ত দামও নেন তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে পোকা দমন করতে না পারলে ব্যাপক লোকসানে পড়তে হবে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন- প্রচণ্ড তাপমাত্রা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঢেঁড়শসহ অন্যান্য সবজিতে বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড় বংশবিস্তার ছড়াচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে পোকার বংশবিস্তার রোধ হবে। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পোকা দমনে সকল ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন
ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা
নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
এবার ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
কারা বিক্রি করছে ফুটপাত, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
এখনো উদ্ধার হয়নি লেকে ডুবে যাওয়া সেই শিশু
রাত ১১ টার পর চা-বিড়ির দোকান বন্ধের নির্দেশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে
সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন
আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার
বিয়ের দাবি নিয়ে আসা তরুণীকে নিয়ে পালালেন ছাত্রলীগ নেতা
তীব্র গরমে ৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে আজ
হিটস্ট্রোকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা
ডাক্তার পাত্রীকে বিয়ে করছেন শাকিব খান !
পদত্যাগ করলেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী