রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বঙ্গবন্ধু অমর একুশে ফেব্রুয়ারির মূল কারিগর

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে উদযাপিত হচ্ছে। সারা বিশ্বের মানুষ তাদের স্ব স্ব মাতৃভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এই দিনটিকে বেছে নিয়েছে।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ তথা দেশের মেধাবী ছাত্ররা রাজপথে ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। ভাষার জন্য তাদের সেই আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বিশেষ করে ভাষা শহীদদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আজ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। এটি আমাদের জন্য গর্বের, অহংকারের ও আত্মমর্যাদার। মাতৃভাষার কল্যাণে আজকে সারা পৃথিবীতে যে কার্যক্রম পরিচালিত হয় তার বীজ রোপণ করেছিলাম আমরা। ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে অর্থাৎ পূর্ব বাংলায় সেদিনটিকে রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং সেই সময়ের তরুণ ছাত্র নেতা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সেদিন পাকিস্তান কারাগারে নিক্ষিপ্ত হোন।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১১ই মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে গেলেন, তখনই তিনি সঠিকভাবে উপলব্ধি করেছিলেন, এভাবে বাঙ্গালির মুক্তি সম্ভব নয়। তিনি বুঝেছিলেন বাঙ্গালির মুক্তির প্রথম সোপান হিসেবে রাষ্ট্রভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা করার প্রয়োজন আছে। যখন জিন্নাহর মুখ থেকে ঘোষিত হলো, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। বঙ্গবন্ধু তখন তরুণ ছাত্রনেতা।

বঙ্গবন্ধু কত যৌক্তিকভাবে বললেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ বাংলাভাষায় কথা বলে। তারপরও আমরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিচ্ছি না। কাজেই আমরা চাই, পাকিস্তানের পূর্ব অংশের রাষ্ট্রভাষা হবে ‘বাংলা’। পশ্চিম অংশে যেকোনো একটি ভাষাকে তারা রাষ্ট্রভাষা করবে। বাংলাকে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কত যৌক্তিক একটি প্রস্তাব নিয়ে তিনি আন্দোলনের ডাক দিলেন এবং সেই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে আমরা পেলাম রাষ্ট্রভাষা বাংলা। যে মাইলফলকগুলো বঙ্গবন্ধু তৈরি করে গেছেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এ সবকিছুর সূচনা পর্ব যদি আমরা বলি, সেটিই আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলা ভাষা, বাঙ্গালির ইতিহাস ও ঐতিহ্য, আমাদের শেষ পর্যন্ত মুক্ত স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছে।

এই বাংলা ভাষা আন্দোলনের নির্মাতা বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার নির্মাতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নির্মাতাও তিনি। সেকারণেই তিনি বাঙালি জাতির পিতা। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে যে দিবসটি উদযাপন করছি, এই দিনটিকে আমরা আরও বেশ গুরুত্ব দিয়ে উদযাপন করব এজন্য যে, বাংলা ভাষাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা হিসেবে সারা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করব। সেটিই আমাদের অভিপ্রায়। আমাদের ছেলেমেয়েদের অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মকে আমাদের শুদ্ধ বাংলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। তাদের শুদ্ধ বাংলায় পড়ানো, শুদ্ধ বাংলায় লেখা এবং শুদ্ধ বাংলায় উচ্চারণ করা এ বিষয়গুলোতে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ বাংলাভাষা এখন শুধুমাত্র ভৌগলিক অবস্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বাংলা ভাষা এখন পশ্চিমবঙ্গসহ, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের ভাষা এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা পৃথিবীতেই বাংলা ভাষা সমাদৃত।

যে জাতি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন, আজ ২১ ফেব্রুয়ারি মানে সারা পৃথিবীর জন্যই তাদের সে ভাষা একইসঙ্গে সেই জাতিকে, সেই জাতির ভাষাকে প্রাধান্য দিয়েই আমাদের জীবন যাপন করার প্রয়োজন আছে। বাংলা ভাষাকে একটি পরিশুদ্ধ, পরিশীলিত কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমন্বয়ের প্রয়োজন আমাদের আছে। তাহলে আমরা যে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করি, সেটি অনেকদূর এগিয়ে যাবে এবং অর্থপূর্ণ হবে।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Header Ad

নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে ২টি রেস্টেুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।

পরে খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ফায়ার সার্ভিসের পলাশী ব্যারাকের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পলাশী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জিহান রহমান নাবিল বলেন, রাত ১টার পর নীলক্ষেতে আগুনের খবর পেয়েছি। আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ২টি দোকানে আগুন দেখতে পাই। যার একটি বড় এবং আরেকটি ছোট দোকান। তবে দুটি দোকানই ছিল খবারের দোকান। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করা ছাড়া তাৎক্ষণিক বলা সম্ভব না। তবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে দোকান দুটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং আগুনে কোনও হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ করেই নীলক্ষেত মোড়ের সুলতানী ভোজ ও সিপি ফাইভ স্টার নামের দুইটি হোটেলে আগুন দেখা যায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

 

খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির দীঘিনালাতে ঘরের চালে বজ্রপাতে ঘরে থাকা মা ও শিশুসহ দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) ভোরে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮)। দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে লাশ দুটি উদ্বার করে।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, বজ্রপাতে টিনের ঘরটি পুড়ে নিহতদের লাশ অঙ্গার হয়ে গেছে। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের গাড়িচালক স্বামী ছাদেক আলী বাড়িতে ছিলেন না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানার ওসি মো. নুরুল হক জানিয়েছেন, লাশগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

 

যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত

সাত মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এর মধ্যে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই যুদ্ধে বন্ধে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সে দিকে মনোযোগ না দিয়েই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। তবে এই চাপকেও উপেক্ষা করেছে দখলদার ইসরায়েল।

গতকাল শনিবার (৪ মে) মিসরের রাজধানী কায়রোতে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল যায়। সেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। তাই আজ রোববার আবারও আলোচনায় বসবেন তারা।

আরব বিশ্ব ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে— যদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয় তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে।

এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হয়নি।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য গতকাল মিসরের কায়রোতে ইসরায়েলকে প্রতিনিধি দল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাদের কথা শোনেননি। তিনি কায়রোতে প্রতিনিধি দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।

গতকাল হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি হয়নি তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবেন না।

দখলদার ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাহতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয় তাহলে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

সর্বশেষ সংবাদ

নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত