শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডা. জাফরুল্লাহর জীবন মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন। অন্যায়কারী কতটা শক্তিশালী, তার বিরুদ্ধে কথা বললে অসুবিধা হবে কি না—এ সব বিবেচনা উনার মধ্যে ছিল না। আমরা অল্প বয়স থেকেই সেটি দেখেছি।

মেডিক্যাল কলেজে থাকাকালীন থেকেই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য যখন লন্ডনে গেছেন, মেডিক্যাল সাইন্সের পড়াশোনা করেছেন, শুধুমাত্র ব্যবসায়িক ডাক্তার হওয়া, পশ্চিমে মেডিক্যাল সাইন্স যেভাবে পড়ানো হয়, তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা ইত্যাদি ব্যাপারগুলো ডা. জাফরুল্লাহর মধ্যে ছিল না। গণস্বাস্থ্যের যে মৌলিক বিষয়গুলো যেমন সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত তিনি আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতেন। বিশেষ করে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি যেভাবে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন শিক্ষিত গণমুখী মানুষদের একজন ছিলেন। সেটিরই ধারাবাহিকতা আমরা গত পাঁচ দশকে দেখেছি। একটি ভিন্ন ধারার স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে মানুষের কাছে পরিচিত করা, সেটির জন্য পত্রিকা বের করা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, হাসপাতাল তৈরি করা, ইত্যাদি কাজগুলো তিনি করেছেন। তার এই প্রচেষ্টা দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ১৯৮১ সালে। আমি তখন বিচিত্রাতে একটি সিরিজ লিখছিলাম। তারই একটি পর্ব ছিল ঔষধে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। তখন তার সঙ্গে পরিচয় ও নানা বিষয়ে কথাবার্তা হয়।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে চাইতেন সহজভাবে। তিনি বিশ্বাস করতেন, চিকিৎসা বা স্বাস্থ্যসেবার জন্য সব ক্ষেত্রে উচ্চতর ডিগ্রিধারী বা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা চিকিৎসকের দরকার নেই। স্বল্প শিক্ষিত মানুষকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়েও সেবা পাওয়া সম্ভব। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে প্রথম স্বাস্থ্যবিমা চালু হয়। জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার কোনো উদ্যোগকে লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করতে চাননি। তিনি চেয়েছিলেন, গণস্বাস্থ্যের মাধ্যমে গড়ে তোলা সফল স্বাস্থ্য উদ্যোগ সরকারই যেন সারাদেশে প্রয়োগ করে বা ছড়িয়ে দেয়।

স্বাধীনতার পর দেশের ওষুধের বাজারে বিদেশি ও বহুজাতিক কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। তখন বাজারে চার হাজার ধরনের ওষুধ ছিল। এর প্রায় সবই বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। ওষুধ ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। জাতীয় ওষুধনীতি দেশি কোম্পানিগুলোকে ওষুধ উৎপাদনের সুযোগ তৈরি করে দেয়, পাশাপাশি দেশে তৈরি হওয়া ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করা বন্ধ হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ। দেশের মানুষকে স্বল্প মূল্যে ওষুধ দেওয়ার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ওষুধ কোম্পানিও প্রতিষ্ঠা করে।

বৈশ্বিকভাবে বিকল্প স্বাস্থ্য আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ভূমিকা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবছর ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি আয়োজন করে। এর বিকল্প হিসেবে কয়েক বছর পরপর আয়োজন করা হয় পাবলিক হেলথ অ্যাসেম্বলি বা জনগণের স্বাস্থ্য সম্মেলন। এটা আয়োজন করে পিপলস হেলথ মুভমেন্ট নামের একটি বৈশ্বিক সংগঠন। এই সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জীবনের নানা পর্বে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার বা সম্মাননা পেয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৭৭ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয় সরকার। ফিলিপাইনের র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পান ১৯৮৫ সালে। ১৯৯২ সালে সুইডেন থেকে তাকে দেওয়া হয় রাইট লাইভলিহুড অ্যাওয়ার্ড। কানাডার ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব ন্যাচারাল মেডিসিন ২০০৯ সালে দেয় ডক্টর অব হিউম্যানিটেরিয়ান উপাধি। যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে থেকে ২০১০ সালে দেওয়া হয় ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক হেলথ হিরোজ অ্যাওয়ার্ড। যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ ২০২২ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ‘এনআরবি লিবারেশন ওয়ার হিরো ১৯৭১’পুরস্কার দেয়।

জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি একজন জীবন্ত মানুষ হিসেবেই আমাদের মাঝে ছিলেন। কখনো নিজেকে প্রত্যাহার করেননি। নতজানু হননি এবং নিজেকে আত্মসমর্পণ করেননি অথবা নীরব হননি। তার এই সরবতা জীবনের শেষ দিন অব্ধি ছিল। এটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে এবং তার এই পুরো জীবনটাই একটি অনুপ্রেরণার উৎস।

আনু মুহাম্মদ: শিক্ষাবিদ

আরএ/

Header Ad

অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়

ছবি: সংগৃহীত

প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর গরমের মাত্রা অনেক বেশি। গরমের তীব্রতা অসহনীয় করে তুলেছে মানুষের জীবন। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রতিকুল অবস্থা আশঙ্কাজনক। অত্যধিক ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় তরল বেরিয়ে যাওয়ার কারণে নানা ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হয়। আর এই ঝুঁকির মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে এই কম বয়সী শিক্ষার্থীরাই।

তাই উষ্ণ আবহাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজন যথাযথ পদক্ষেপের। উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া গেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। তাই চলুন, গরমের তীব্রতা থেকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

সূর্যালোক এড়িয়ে চলা:

সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অতিবেগুনি রশ্মি সবচেয়ে বেশি তীব্র থাকে। আর দিনের এই সময়টাতেই শিক্ষার্থীরা সাধারণত ক্লাস এবং স্কুল-পরবর্তী খেলাধুলার জন্য ঘরের বাইরে থাকে। তাই এই সময়টাতে শিক্ষার্থীদের বিচরণের জায়গাগুলোতে সর্বাত্মকভাবে ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। গাছ-গাছালি ঘেরা প্রাকৃতিক ছায়া শোভিত স্থান সর্বোত্তম। তবে এর পাশাপাশি ছাউনির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। খেলাধুলার সময় ছাত্রছাত্রীরা যেন উন্মুক্ত জায়গায় চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ছাতা ব্যবহার করা:

স্কুলে যাওয়া ও আসা নিয়ে প্রতিদিনই বাচ্চাদের একটি উল্লেখযোগ্য সময় রোদের আলোয় কাটাতে হয়। এই সময়টিতে সূর্যালোক প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরিধান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ছাতা ব্যবহার করা। খুব নান্দনিক এবং রঙচঙা নয়, এ ক্ষেত্রে খেয়াল দিতে হবে ছাতাটি রোদ থেকে কতটা ছায়া দিতে পারছে তার ওপর। মুষলধারে বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচাতে যেভাবে ছাতা ব্যবহার করা হয়, এক্ষেত্রেও একই কাজ করা উচিত। আর ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের এই অভ্যাস তৈরিতে আদর্শ হতে পারে পিতামাতা ও পরিবারের অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্করা।

গরমের জন্য আরামদায়ক পোশাক পরা:

শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়াসহ বিভিন্ন উপলক্ষে ঘরের বাইরে থাকার সময়ে হাল্কা বুনন, হাল্কা ও এক রঙের কাপড় পড়তে হবে। হাতাকাটা শার্ট বা গেঞ্জি এবং হাফ প্যান্ট বা শর্টস এক্ষেত্রে উপযুক্ত মনে হতে পারে। কিন্তু কাপড়ের উপাদান এবং শিক্ষার্থীদের শরীরের কতটা অংশ উন্মুক্ত থাকছে সেদিকে কড়া নজর দেওয়া আবশ্যক। হাতাকাটা বা শর্টসের ক্ষেত্রে কাপড় যদি অনেক মোটা বা ভারী হয়, তাহলে তা আরও গরম করে তুলতে পারে। তাই শরীর যতটা ঢেকে রাখা যায় ততই ভালো।

তোয়ালে আর টিস্যু সঙ্গে দিন:

সন্তানকে যতটা সম্ভব ঘাম থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। ঘাম থেকে দূরে রাখার কাজটি সহজ না। স্কুলে থাকলে গরম ভয়াবহভাবে কাবু করতেই পারে। তাই তোয়ালে বা টিস্যু দিন। আপনার সন্তান স্কুলে গেলে মুখ, হাত ধোবেই। তাই তাদের যেন হাত-মুখ মোছার সুযোগ থাকে তা নিশ্চিত করুন।

বেশি বেশি পানি পান করা:

পানিশূন্যতার মতো গরম আবহাওয়ার ফলে সৃষ্ট নানা ধরনের রোগ বালাই থেকে বাঁচতে পানি পানের কোনও বিকল্প নেই। স্কুল বা বাড়ি যেখানেই থাকুক না কেন, বাচ্চাদের পড়াশোনা ও খেলাধুলার সময় নির্দিষ্ট সময় পরপর পানি বিরতি দিতে হবে। এমনকি তারা তৃষ্ণার্ত না থাকলেও চালিয়ে যেতে হবে এই কার্যক্রম। বেশি বেশি পানি পান শুধু পানিশূন্যতাই প্রতিরোধ করে না, বাচ্চাদের দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকিও কমাতে পারে।

আমেরিকার জাতীয় একাডেমি মেডিসিন ইনস্টিটিউট অনুসারে, ৯ থেকে ১৩ বছরের ছেলেদের জন্য প্রতিদিন পানি পান করতে হবে ৮ কাপ। আর একই বয়সের মেয়েদের প্রতিদিন ৭ কাপ পানি পান করা উচিত। ১৪ থেকে ১৮ বছরের ছেলেদের বেলায় এই পরিমাণ প্রায় ১১ কাপ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রায় ৮ কাপ।

পানিশূন্যতা রোধকারী ফল ও সবজি খাওয়া:

গ্রীষ্মের খরতাপ থেকে স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সেরা উপায় হচ্ছে সর্বাধিক পানি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। এক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ একটি উৎকৃষ্ট খাবার কেননা এতে রয়েছে ৯১ শতাংশ পানি। এছাড়া অন্যান্য ফল-ফলাদির মধ্যে রয়েছে আঙ্গুর, আপেল, চেরি, কমলা, এবং আনারস। এগুলো সরাসরি অথবা জুস বানিয়ে কিংবা সালাদ করেও খাওয়া যায়।

তরকারির মধ্যে রয়েছে পালং শাক, টমেটো, শসা, মুলা, ফুলকপি, গাঁজর, পুদিনাপাতা, পেঁয়াজকলি, ঢেঁড়শ এবং লাউ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ফল এবং শাকসবজি থাকা মানে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন পাওয়া। এই পুষ্টি উপাদান পানিশূন্যতা রোধের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে।

প্রতিদিন গোসল করা:

স্কুল বা যে কোনও উপলক্ষে বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পরপরই গোসল করা একটি স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি এটি একাধিকবার দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কেননা যখন গোসলের পানি বাচ্চার ত্বকে ভিজিয়ে দেয়, তখন শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর কার্যকলাপের জন্য নির্ধারিত তাপমাত্রা বজায় থাকে। এই পরিমিত তাপমাত্রাতেই রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে শরীরকে সতেজ করে তোলে।

তবে গোসলের সময় আরামদায়ক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করা উচিত। খুব গরম বা খুব ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যাবে না। এভাবে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত গোসলে অভ্যস্ত হলে উত্তাপজনিত অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে পারে।

নোয়াখালীতে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষ, সেনা সদস্যসহ নিহত ৪

উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক সেনা সদস্যসহ ৪ জন নিহত হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লক্ষীপুর-নোয়াখালী সড়কের বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের মো. রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া (৬৫), সেনা সদস্য ফজলুল করিম (৫০) ও লক্ষীপুরের আমানিয়া গ্রামের মো. আলাউদ্দিন (৪৫)। এ ছাড়া আরও একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি লক্ষীপুর থেকে বেগমগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব এলাকায় পৌঁছালে ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সড়ক থেকে ১৫ ফিট নিচে ট্রাক ও সিএনজি খালে পড়ে যায়। এতে সিএনজি চালকসহ ৪ জন নিহত হয়।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখনও উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এখন পর্যন্ত তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের মরদেহ এখনও খালে রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ

‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বেশ কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন ঢাকার বুকে এক টুকরো জমি পাচ্ছে অভিনয় শিল্পীরা। সরকারের কাছ থেকে পাওয়া সাড়ে তিন কাঠা জমিতে গড়ে তোলা হবে তাদের স্বপ্নের ভবন ‘অ্যাক্টরস হোম’। সেখানে থাকবে অভিনয় শিল্পীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আড্ডার জায়গা, চর্চার জায়গা।

অবশেষে শুক্রবার (৩ মে) বরাদ্দকৃত জায়গাটি বুঝে পেয়েছে সংগঠনটি। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন নাসিম নিজেই।

আহসান হাবিব নাসিম তার ফেসবুকে লিখেছেন, শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ, জেলা প্রশাসন ঢাকা’র কাছ থেকে তাদের জায়গা বুঝে নিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এরপর এ নেতা লেখেন, আরও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো: সাবিরুল ইসলাম এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক জনাব আনিসুর রহমান, এসি ল্যান্ড তেজগাঁও জনাব শরিফ মো. হেলাল উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি।

Caption

 

নাসিম আরও বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের। কেননা দীর্ঘদিন বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা চলছিল। অবশেষে জায়গা বুঝে পাওয়াটা অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি সফলতা বলে মনে করছি। শিল্পীদের প্রশিক্ষণ, মিটিং, একসঙ্গে সময় কাটানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হবে এটি। ওই জায়গা থেকে আজ আমাদের আনন্দের দিন।

এদিকে জমি গ্রহণের খবর দেয়ার সঙ্গে দুটি স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছেন নাসিম। সেখানে তার সঙ্গে দেখা গেছে সংঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানকে। আরও ছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদসহ বেশ কয়েকজন। বোঝা যাচ্ছে জমি গ্রহণ করার মুহূর্ত ছিল এটি। রাজধানীর আফতাব নগরে দেওয়া হয়েছে জায়গাটি।

সংঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘জায়গাটি হোল্ডিং নং: ৩২, রোড: ২, ব্লক: সি, জহুরুল ইসলাম সিটি, আফতাব নগর। গতকাল শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ, জেলা প্রশাসন ঢাকা এর কাছ থেকে তাদের জায়গা বুঝে নিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

সর্বশেষ সংবাদ

অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়
নোয়াখালীতে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষ, সেনা সদস্যসহ নিহত ৪
‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাক পেলেন আম্পায়ার সৈকত
ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেপ্তার করছে সৌদি
মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
চড়া দামে গ্রাহকরা কিনছে কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট
হামাসকে ৭ দিনের সময় দিল ইসরায়েল
বিদেশে পাড়ি জমানো কানাডিয়ানদের সংখ্যা বাড়ছে : গবেষণা
নওগাঁয় ট্রলির চাপায় সড়কে প্রাণ গেল এনজিও কর্মীর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ হচ্ছে বিএনপিতে বহিষ্কারের তালিকা
প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠাল পাকিস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিল সৌদি
রাজশাহীতে আগুনে পুড়ল শত বিঘা জমির পান বরজ
জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক
বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে, যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস