শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নানা চ্যালেঞ্জের বাজেট বৃহস্পতিবার

করোনার ক্ষতি পুষিয়ে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দাবানলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ীদেরও কাবু করে দিয়েছে। আইএমএফের শর্ত পূরণে প্রায় খাতে ভর্তূকি তুলে নেওয়ায় মূল্যস্ফীতি ঠেকানো যাচ্ছে না। সরকারও বলছে বিশ্ববাজার টালমাটাল। অপরদিকে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় ভোটারদের সন্তুষ্টির জন্য দৃশ্যমান খাতে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সরকার আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার (১ জুন)।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির প্রায় ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। এটা চলতি (২০২২-২০২৩) অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজেটের আকার আরও বাড়লেও সমস্যা নেই। কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ ডলার সংকটে পণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এ জন্য মেট্রোরেলসহ বড় বড় অবকাঠমোতে সরকার চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও বেশি বেশি করে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। এ জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বেশি করে ২ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

এ জন্য বাজেটের আকারও বেশি করে ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এ জন্য বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রাও বেশি ধরা হচ্ছে। এর আকার হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যেখানে চলতি অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে আগামী বাজেটে। তারপরও বিশাল ঘাটতি থাকছে। এটা মেটাতে ব্যাংকের ঋণ নির্ভর করতে হচ্ছে বাজেটে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরে পাঁচ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ও শুল্ক—এ তিন খাত থেকেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সংগ্রহ করতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৭০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে কর ছাড়া নন-ট্যাক্স রেভিনিউ (এনটিআর) বাবদ। আর ২০ হাজার কোটি টাকা এনবিআরবহির্ভূত কর ও অনুদান থেকে ধরা হচ্ছে।

আসছে বাজেটে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সরকার দেড় লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে, যার ৮০ শতাংশ বা ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকাই ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে নেওয়া হবে। বাকি ৩০ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হবে সঞ্চয়পত্র ও বন্ড ব্যবস্থা থেকে। আর বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।

বাজেট প্রসঙ্গে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, জিডিপির তুলনায় আমাদের বাজেটের সাইজ খুবই বেশি না। বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়নসহ জনগণের কল্যাণে বাজেটের আকার আরও বেশি ১২ লাখ কোটি টাকা হওয়া দরকার। নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও সহায়তা দিতে হবে। আইএমএফের শর্তে ভর্তূকি তুলে নেওয়ায় মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হয়ে যাচ্ছে। সরকারকে এটা নিয়ে ভাবতে হবে। কোনোক্রমেই কৃষি ভর্তূকি কমানো যাবে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জ্বালানিখাতে ভর্তূকি বিবেচনা করতে হবে। সম্পদের অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধে সরকারি প্রকল্পে ব্যয় কমাতে হবে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুরও বলেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা অবশ্যই ভাবতে হবে। ডলার সংকটে পণ্যের পরিমাণ না বাড়লেও দাম ঠিকই বাড়ছে। বাজার স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনে টাকার অবমূল্যায়ন করে ডলারের দাম আরও বাড়তে হবে। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে সংকট ভয়াবহ হয়ে গেছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে এত বড় চ্যালেঞ্জে আর কখনো পড়েনি বাংলাদেশ। রপ্তানি ছাড়া আপাতত স্বস্তির সূচক খুব একটা নেই। সংকট মোকাবিলায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাজেট ঘোষণা করতে হচ্ছে সরকারকে। আগামী অর্থবছরের বাজেট হতে হবে ব্যতিক্রমধর্মী ও ঝুঁকি মোকাবিলার বাজেট। কেননা মূল্যস্ফীতি কমানো ও বাজেটের ঘাটতি অর্থায়নই বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

তবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, এটা নির্বাচনের বাজেট না। জনতুষ্টিরও না। জনকল্যাণের জন্যই বাজেট দেওয়া হচ্ছে। কারণ মানুষ ভালো থাকবে এটা সরকার চায়। সেই আলোকে সারা দেশের মানুষের জন্য সরকার কাজ করছে। সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট করা হয়েছে। আগামীর বাজেটও সেভাবে তৈরি করছে সরকার যাতে সবাই এর সুফল পায়।

উল্লেখ্য, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির প্রায় ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ওই বাজেট ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি ছিল। ৬ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বাজেটের সার্বিক ব্যাপারে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাজেটের আকার ও রাজস্ব আয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এরই অংশ বিশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর সব প্রস্তুতি নিয়ে ১জুন চ্যালেঞ্জের বাজেট সংসদে উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট সাধারণত জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের বৃহস্পতিবারে পেশ করা হয়। কিন্তু এবার কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসায় প্রথম সপ্তাহে বাজেট পেশ করা হচ্ছে।

জেডএ/আরএ/

Header Ad

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত

কোটা আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের হাতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।

এ সময় নিহত আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেকদিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে। সেই সময় ভিসি স্যার আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন।

এ ছাড়া পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলেও জানায় আবু সাঈদের পরিবার।

মকবুল হোসেন আরও বলেন, আমার কলিজার টুকরা ছিল আবু সাঈদ। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় আমার সংসার চলতো। সন্তান হারিয়েছি, এ শোকের কোনো সান্ত্বনা নেই। বাবা হয়ে সবচেয়ে ভারী কাজ হলো সন্তানের লাশ কাঁধে নেওয়া।

এখন শুধু সবার কাছে সন্তানের জন্য দোয়া চান বৃদ্ধ এ বাবা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ভিসি মহোদয়ের নির্দেশে আবু সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় যোগাযোগ রাখছে। ভিসি স্যার নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সাড়ে সাত লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের সম্মুখে থেকে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনার পর আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলাজুড়ে। নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ২০৯টি। নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২০৯টি মামলায় ২৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সারাদেশে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। অভিযানে ঢাকায় ৬৩ ও ঢাকার বাইরে ২০৩ জনসহ মোট ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এদিকে আজ নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত অনেকবার গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা বা দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের কারণে তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য তারা এবার পুলিশকেই টার্গেট করেছে।

যারা পুলিশকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, স্বপ্নের মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে। যারা এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে, অর্থ আদান-প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’

বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক বলেছেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা শতকরা পাঁচ ভাগ রেখেছে। এটি মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু পরিষ্কার হওয়া দরকার, বাকি পদে কাদের নেওয়া হবে। আমরা বাকি ৯৫ শতাংশ কোটা নিয়ে আদালতের সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ায় বোঝাপড়া করব।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীর পাঁচদোনায় সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনাসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এই পাঁচদোনা মোড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। স্মৃতিধন্য এই স্থানে নির্মাণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। দুঃখের বিষয়, সেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সেই হামলা চালানো হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী ও বিএনপির ক্যাডাররা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সেই গর্বের ধন আজ পরাজিত শক্তির কাছে আক্রান্ত হচ্ছে।

এসময় তিনি রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, কোটার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামত গ্রহণের জন্যও আদালতকে অনুরোধ জানানো হবে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেটিও আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। বিএনপি, জামায়াত ও রাজাকারের দল এ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে যারা আঘাত করেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডার।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান খান, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো, পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
‘বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত ঝরছে’, মমতাকে কড়া বার্তা দিল্লির
বাজারে সরবরাহ বাড়লেও সবজির দামে এখনো অস্বস্তি