সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

উচ্চাবিলাসী বাজেট প্রণয়নের সুযোগ নেই: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় রাখা, প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ এবং সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতায় অধিক গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক ও স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের উচ্চাবিলাসী বাজেট প্রণয়নের সুযোগ নেই। তবে জনগণের খাদ্য নিরপত্তা নিশ্চিতকরণে বিষয়টিকে সরকার প্রাধান্য দিচ্ছে।’

বুধবার (২২ মার্চ) প্রাক-বাজেট আলোচনা: প্রেক্ষিত বেসরকারি খাত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল ২৪ যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ঢাকা চেম্বার সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, এফবিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন)। সম্মানিত অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। সভায় দৈনিক সমকালের সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, লিস্টেড এবং নন-লিস্টেড কোম্পানির মধ্যকার কর হারের ব্যবধান কমানোর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নন-লিস্টেড কোম্পানির করপোরেট করের হার আরও ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানো দরকার।

এ ছাড়া, কর প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ, কর ও মূসক সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংষ্কারসহ ব্যবসাবান্ধব অটোমেটেড কর ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন দরকার। খেলাপি ঋণ হ্রাসের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী রোডম্যাপ প্রণয়নের পাশাপাশি এডিআরের প্রয়োগ, অর্থঋণ ও ব্যাংকিং কোম্পানি আইনের সংস্কার, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়াতে সরকারি খাতে ব্যয় হ্রাস এবং মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমানতের সুদহার ও ঋণের সুদের হার নির্ধারণের প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে স্থিতিশীল ও অনুমানযোগ্য জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ, অবকাঠামো খাত ও জাতীয় লজিস্টিক খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ আকর্ষণেও দীর্ঘমেয়াদী ফিন্যান্সিয়াল ম্যাপিং প্রবর্তন দরকার।

সেই সঙ্গে এলডিসি উত্তর সময়ে নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে রপ্তানিমুখী পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি চামড়া, পাট, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল সম্ভবনাময় খাতে আগামী বাজেটে বিশেষ সুবিধা প্রদান দরকার।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, ফেডারেল ব্যাংকের ডলারের সুদ হার বাড়ানোর বিষয়টি আমাদের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। উদ্ভত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আমদানি কার্যক্রমে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করেছে। ফলে আমাদের রিজার্ভেও উপর তেমন প্রভাব পড়েনি। আগামী জুনে এলসি ও ডলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

উপদেষ্টা বলেন, আগামী বাজাটে করের আওতা বাড়ানোর বিকল্প নেই, তবে এ লক্ষ্যে কর প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার উপর জোরারোপ করেন, পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কর প্রদানের মানসিকতা বাড়ানোর আ্বান জানান।

এ ছাড়া, তিনি বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি স্থানীয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করেন।

মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) বলেন, এনবিআর নিজেকে কী ভাবে, জানি না। আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করলেও এনবিআর যেভাবে চলছে তাতে ট্যাক্স বাড়ছে না, কমে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় আরও বৃদ্ধি করা জরুরি।

তিনি বলেন, জিপিডিতে করের অবদান বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই, তবে এ লক্ষ্যে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতকরণে আরও মনোযোগী হতে হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজেট প্রণয়নে বৈশ্বিক পরিস্থিতি, এলডিসি উত্তরণ, স্থানীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, সাবির্ক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের বেসরকারি খাতের সক্ষমতা প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। কারণ, উদ্যোক্তারা সক্ষমতা হারালে সার্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নে তিনি লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমানো দরকার বলেও জানান।

জেডএ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

নিলামে উঠল এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠানের ৩১ একর জমি

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সাগরিকা বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফুডস (প্রা.) লিমিটেড-এর ৩১ একর জমি এবার নিলামে তুলেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। সোমবার (১২ মে) ব্যাংকের জুবিলী রোড শাখা স্থানীয় একটি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩-এর ১২(৩) ধারা অনুযায়ী খেলাপি বিনিয়োগ আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাধীন কারখানা ও জমি বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কর্ণফুলী ফুডস গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফাসহ মোট ১ হাজার ৭৮৩ কোটি ২২ লাখ টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে। এই ঋণ আদায়ে প্রতিষ্ঠানটির ৩০ একর ৬০ শতক জমি ও কারখানা নিলামে তোলা হয়েছে, যা ৪৩টি আলাদা তপসিলে বিভক্ত। উল্লেখযোগ্য যে, জমির মধ্যে পুকুর, নালা এবং কিছু খাস জমিও রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন পটিয়ার কেলিশহর ইউনিয়নের মো. রহিম উদ্দিন চৌধুরী এবং চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন ইসলামিয়া ম্যানসন এলাকার নজরুল ইসলাম। যদিও কর্ণফুলী ফুডসের নামে এই বিনিয়োগ দেওয়া হলেও, ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে এটি আসলে এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠান। ওই ঋণ অনুমোদনের সময় অনিয়ম ও চাপে স্বাক্ষর না করায় ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা বদলি ও চাকরিচ্যুত হন বলেও জানা গেছে।

এর আগেও এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জমি নিলামে তোলে ইসলামী ব্যাংক। ২০ এপ্রিল প্রায় ৯,৯৪৮ কোটি টাকার ঋণ আদায়ে তাদের একটি চিনিকল ও ১১ একর জমি নিলামে ওঠে। এরপর ২৭ এপ্রিল স্টিল মিল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ভোজ্যতেল কারখানাসহ ১১৪৯ শতাংশ জমির বিপরীতে ২,১৮০ কোটি টাকার ঋণ আদায়ে নিলাম ডাকা হয়। একইভাবে, ৮২ কোটি টাকা খেলাপি আদায়ে আরও দুটি কোম্পানির সম্পদও নিলামে তোলে ব্যাংকটি।

এস আলম গ্রুপকে ঘিরে ধারাবাহিক ঋণ বিতরণ, বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনিয়োগ গ্রহণ, এবং পরিশোধে ব্যর্থতার অভিযোগে দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক বলছে, আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এসব ঋণ আদায়ে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলির অবসর, রাখলেন না বোর্ডের অনুরোধ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুরোধ রাখলেন না। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন বিরাট কোহলি। রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পর কোহলিও সোমবার সামাজিকমাধ্যমে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন।

গত বুধবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তিনি সমাজমাধ‍্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কোহলিও একই পথে হাঁটলেন। ১২৩টি টেস্টে ৯,২৩০ রান রয়েছে কোহলির। গড় ৪৬.৮৫। শতরান ৩০টি, অর্ধশতরান ৩১টি। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তিনি।

সমাজমাধ্যমে কোহলি লিখেছেন, ‘‘১৪ বছর আগে প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের নীল ব্যাগি টুপি পরেছিলাম। সত্যি বলতে তখন জানতাম না, ক্রিকেটের এই ফরম্যাট আমাকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কল্পনাও করিনি। এই ফরম্যাট আমার পরীক্ষা নিয়েছে। আমাকে তৈরি করেছে। আমাকে শিক্ষা দিয়েছে। সারাজীবন এই শিক্ষা বহন করব।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘সাদা পোশাকে খেলার মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত গভীর বিষয় থাকে। শান্ত পরিবেশ, দীর্ঘ সময় খেলা, ছোট ছোট মুহূর্তগুলো কেউ দেখতে পায় না। তবে এগুলো চিরকাল আমার সঙ্গে থাকবে।’’

 লাল বলের ক্রিকেটে তিনি যে আর খেলতে ইচ্ছুক নন, এ কথা বোর্ডকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু বোর্ডের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছিল সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য। কোহলি রাজি হননি।

গত অস্ট্রেলিয়া সফরের পর থেকেই টেস্ট থেকে সরে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন কোহলি। ওই সফরে প্রথম টেস্টে শতরান করলেও বাকি সিরিজ়ে ব‍্যর্থ হন তিনি। কিন্তু তিনি যতই খারাপ ফর্মে থাকুন, বোর্ড চেয়েছিল ইংল্যান্ড সফরে তিনি যান। কারণ, রোহিতের পর কোহলিকেও যদি কঠিন এই সফরে না পাওয়া যায়, তা হলে ভারতীয় ব‍্যাটিং অনেকটাই অনভিজ্ঞ হয়ে পড়বে। সেই কারণেই বোর্ডের পক্ষ থেকে কোহলিকে অনুরোধ করা হয়েছিল এখনই টেস্ট ক্রিকেট না ছাড়তে। কিন্তু কোহলি শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকলেন। রোহিতের মতো তিনিও বিদায়ী টেস্ট খেলার সুযোগ পাবেন না।

দেশের হয়ে ১২৩টি টেস্ট খেলে কোহলি করেছেন ৯২৩০ রান। গড় ৪৬.৮৫। ৩০টি শতরান এবং ৩১টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ২০১৯ সালে পুণেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন অপরাজিত ২৫৪ রানের ইনিংস, যা টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

 

Header Ad
Header Ad

ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা: মোদির হুঁশিয়ারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানা ১৯ দিন উত্তেজনা, সংঘর্ষ ও প্রাণঘাতী হামলার পর অবশেষে গত শনিবার যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে দুপক্ষ। কিন্তু শান্তির আবরণে লুকিয়ে থাকা উত্তেজনা এখনও বহাল, বরং নতুনভাবে চেহারা নিচ্ছে সামরিক হুঁশিয়ারির।

এমন প্রেক্ষাপটেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সেনাবাহিনীকে দিয়েছেন সবচেয়ে কড়া বার্তা—"ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা", অর্থাৎ ওদিক থেকে যদি গুলি আসে, তবে এখান থেকে গোলা ছোড়া হবে।

উত্তেজনার সূত্রপাত ২২ এপ্রিল, যখন জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটি ছিল সবচেয়ে বড় জঙ্গি আক্রমণ। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী না করলেও পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় নয়াদিল্লি একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা।

জবাবে ইসলামাবাদও কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়—সিমলা চুক্তি স্থগিত করে, ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করে। এরপর থেকেই সীমান্তজুড়ে রীতিমতো যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে, পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ, ড্রোন হামলা এবং বিমানবাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণহানি ঘটে উভয়পক্ষেই।

চরম উত্তেজনার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা করেন, ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে টানা আলোচনায় বসেন। অবশেষে দুই দেশ একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ভবিষ্যত আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়।

যদিও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ, তবুও ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ এখনও চলমান, এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তব রূপ এখন থেকে আরও দৃঢ় হবে। সরকারি সূত্রের ভাষায়, পাকিস্তান থেকে আসা প্রতিটি হুমকির জবাব এবার পাল্টা হুমকিতে নয়, পাল্টা আগ্রাসনে দেওয়া হবে।

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও আরও কঠোর। নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ভারত মেনে নেবে না। একমাত্র আলোচনা হতে পারে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে। এই বক্তব্য ভারতের নীতিগত অবস্থানের বড় একটি ইঙ্গিত।

বর্তমানে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সংলাপ চালাতে আগ্রহী নয়। শুধু মাত্র সেনাবাহিনীর ডিজিএমও (Director General of Military Operations) স্তরে সীমিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে, যা শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি রক্ষার জন্য। ভারতের মতে, আলোচনার আর কোনও বাস্তবিক ভিত্তি এখন নেই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিলামে উঠল এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠানের ৩১ একর জমি
টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলির অবসর, রাখলেন না বোর্ডের অনুরোধ
ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা: মোদির হুঁশিয়ারি
বিডিআরের ৪০ জওয়ানের জামিন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
‘অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর একটিও গুমের ঘটনা ঘটেনি’
সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ জারি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ শিশুসহ ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত
এবার জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি
এল ক্লাসিকো জিতে শিরোপার আরও কাছে বার্সেলোনা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আজ
যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি
আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে
কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান
নওগাঁয় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে যুবক নিহত
‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ দেশে বিভক্তির সুযোগ নেই: আমীর খসরু
ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
একদিনে চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে নতি স্বীকার: তোপের মুখে মোদী