সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

লিটার প্রতি ১০ টাকা কমলো সয়াবিন তেলের দাম

ফাইল ছবি

লিটার প্রতি সয়াবিন তেলের দাম আরও ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ১ মার্চ থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে। দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বর্তামনে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম রয়েছে ১৭৩ টাকা, আগামী এক মার্চ থেকে তা ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা করা হয়েছে। আর খোলা সয়াবিন তেল দাম কমার পর বিক্রি হবে ১৪৯ টাকায়।

তবে আপাতত পাম তেলের দাম কমানো হচ্ছে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, এস আলম, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধিরা আছেন। আমি ওনাদের বলেছি, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করেন আমাদের যারা শিল্প এবং ব্যবসায়ী বড় আকারের আছেন তাদেরও সোশ্যাল একটা রেসপনসিবিলিটি আছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমি বলব না যৌক্তিকভাবে, কিছুটা অযৌক্তিকভাবেও আমরা ওনাদেরকে অনুরোধ করেছি এবং ওনারা ভোজ্যতেলের দাম ১০ টাকা প্রতি লিটারে কমানোর জন্য একমত হয়েছেন। ওনারা নিজেরাই প্রস্তাবটা করেছেন।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বাজার মূল্য রমজানে প্রতি এক লিটারের বোতল ১৬৩ টাকা করার বিষয়ে আমরা একমতে পৌঁছেছি। যে মূল্যটা ছিল ১৭৩ টাকা এবং তার আগের বছরে ১৮৫ টাকার মতো ছিল।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন আমাদের সার্কুলারটা এসেছে ৮ ফেব্রুয়ারি, যেকোনো জাহাজের বিদেশ থেকে আসতে প্রায় এক মাস লেগে যায় এবং সেটা খালাস করে ভোক্তা পর্যায়ে যেতে মিনিমাম দুই মাস লেগে যায়। রমজানের বাকি ২ মাস নেই। ওনারা আমাদের বিশেষ অনুরোধে এই বাজার মূল্যটা ১ মার্চ থেকে কার্যকর করবেন।

টিটু বলেন, যেহেতু তেলের সঙ্গে অনেক কিছু সম্পৃক্ত, ভোক্তা পর্যায়ে একটা স্বস্তি আসবে এবং খুচরা পর্যায়ের আমরা যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনব। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি লুজ পর্যায়ে লিটারে সর্বোচ্চ মূল্য থাকবে ১৪৯ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতল ৮০০ টাকায় বিক্রি হবে। আমরা আশা করছি এতে আমাদের ভোক্তা সাধারণ উপকৃত হবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা ব্যবসায়ী আছেন বিভিন্ন পর্যায়ের তারা এটুকু নিশ্চিত করেছেন আগামী রমজানে যে পরিমাণ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাজারে থাকা দরকার বা মজুত থাকা দরকার বা পাইপলাইনে থাকা দরকার সবগুলোই মোটামুটি পর্যাপ্ত আছে।

তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ, বিভিন্ন কারণে পরিবহনের ব্যয় বেড়েছে, ডলারে আমদানি পর্যায়ে ব্যয় বেড়েছে। তারপরও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আমাদের ব্যবসায়ীরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যৌক্তিক পর্যায়ে দাম যাতে থাকে সেজন্য কিছু চেঞ্জ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আগামীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় যে পণ্যগুলো আছে সেগুলো আমদানিতে আরেকটু সহযোগিতা যাতে করে, কমার্শিয়াল ব্যাংকগুলো যাতে করে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে সেজন্য পদক্ষেপ তারা নেবে।

সেইসঙ্গে এনবিআরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যগুলোর ট্যারিফ আগামী বাজেটে যেন যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে, যোগ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে গোলাম মাওলা বলেছেন, উৎপাদনকারী যারা আছেন তাদের সরবরাহ যদি ঠিক থাকে, ওনাদের কাছে যে আমদানি করা পণ্য আছে এবং যে পরিমাণ মজুত আছে এটা রমজানের জন্য যথেষ্ট।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং চিনি আমদানির জন্য যে প্রক্রিয়াগুলো আমরা নিয়েছি, নীতিগতভাবে ভারত সরকার পেঁয়াজের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। এখন আমরা অফিসিয়ালি কাগজ পেলে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাতে পারে সে পদক্ষেপ আমরা নেব।

তিনি বলেন, মিয়ানমার নিয়ে সবসময় নিউজ হয় আমাদের বর্ডার এবং রোহিঙ্গা নিয়ে। মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমরা যেন বর্ডার থেকে নদী পথে আনতে পারি সে ধরনের একটি এমওইউ ড্রাফট আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসেছে।

তিনি আরও বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলেছি তিনি ব্যাপারটি পজিটিভভাবে নিয়েছেন। আমাদের যিনি নৌ-পরিবহন মন্ত্রী রয়েছেন ওনাকে নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের যে দ্বিপাক্ষিক নৌ পরিবহন চুক্তি আছে তার মাধ্যমে আমরা যেন মিয়ানমার থেকে সহজে পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারি।

তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় বছরে দুইবার পেঁয়াজ উৎপাদনের যে উদ্যোগ নিচ্ছে আমরা আশা করছি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চালের মতো এটাতেও আমাদের আমদানি নির্ভর হতে হবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ আমরা শুরু করেছি। এই রমজানে আরো দুইবার আমরা এটা করব। সেখানে চাল থাকবে ৫ কেজি, তেল থাকবে, ডাল থাকবে, চিনি, খেজুর এবং ছোলা থাকবে।

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের নেতৃত্বে আগামী ২২ তারিখ মৌলভীবাজারে যাব এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করব। যাতে তারা পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভোক্তাদের জন্য অ্যাভেইলেবল রাখতে পারে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা শুধু ভোজ্যতেলের বিষয়ে কথা বলেছি এবং দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। আমরা আশাকরি বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাকি যে পণ্যগুলো আছে সেগুলোর দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।

তিনি বলেন, পাম অয়েল আমাদের বোতল আকারে আসে না। একটা বিষয় জানিয়ে রাখা দরকার এই প্রথম আন্তর্জাতিক বাজারে পাম আয়েলের দাম সয়াবিনের থেকে বেশি। সুতরাং এটা যদি আমরা এখন পুনর্নির্ধারণ করতে যাই সেটা ভোক্তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে যাবে।

সাংবাদিকদের আর এক প্রশ্নের উত্তরে টিটু বলেন, ১ মার্চ থেকে দামটা কার্যকর হবে। আমাদের এই ট্যারিফটা ১৫ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এরপর আমরা বসে প্রতি মাসে যেমন তেলের দাম আমাদের ট্যারিফ ঠিক করে, প্রতিমাসে আমাদের যারা মিলমালিক আছে তাদের সঙ্গে বসে দাম রেগুলার বেসিসে পুনর্নির্ধারণ করে দেব। কারণ আমাদের ব্যবসায়ীরা যদি ব্যবসা না করতে পারে তাহলে পণ্যের সরবরাহে সংকট দেখা দেবে।

Header Ad

আবারও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, হাসপাতালে বাংলাদেশী যুবক

ফাইল ছবি

সীমান্তে হত্যা যেন বেড়েই চলছে। প্রতি মাসেই বিএসএফের গুলিতে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হলেও তবুও থামছে না। সবশেষ রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশী যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ। এতে আমজেদ আলী নামের ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পরিবার জানিয়েছে, রোববার রাতে পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু পাচার করার সময় ভারতীয় বিএসএফ গুলি ছুড়লে আমজেদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে, বুধবার (৮ মে) দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। হত্যার দুই দিন পর শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে ওই দুই বাংলাদেশির মরদেহ তেতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ।

সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ বাংলাদেশিরা। বিগত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী খাতুন। তার মরদেহ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে রাখা হয়েছিল। ওই সময় কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানীর মরদেহের ছবি আলোড়ন তুলেছিল দেশে-বিদেশে। ওই ঘটনার পর দফায় দফায় আলোচনায় সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ। তবে গত বছরগুলোতে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় একেবারেই উল্টোচিত্র।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের হাতে মারা গেছেন ২০০ এর বেশি বাংলাদেশি। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে গতবছর ২৮ জনের প্রাণহানি ও ৩১ জন মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আসকের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ। ওই বছর ৪৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান, যার মধ্যে ৪২ জন বিএসএফের গুলিতে ও ছয়জন শারীরিক নির্যাতনে মারা যান। এর আগের বছর যে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৭ জন বিএসএফের গুলিতে এবং ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। গত সাত বছরের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে সবচে কম বাংলাদেশির মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে ১৪ জনের।

সরকারের হিসেবে বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৯ বছরে বিএসএফের হাতে ২৯১ জন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন ২০০৯ সালে। আর সবচেয়ে কম ১৭ জন হত্যার শিকার হয়েছেন ২০১৭ সালে।

আবারও দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ সময় দাবদাহের পর অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে সারাদেশের তাপমাত্রায়। এরই মধ্যে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও বাড়তে পারে তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহেই বিক্ষিপ্তভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে আবারও বয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহ। একইসঙ্গে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আরও বাড়তে পারে।

সোমবার (১৩ মে) সকালে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর হয়ত এটি (তাপপ্রবাহ) বিক্ষিপ্তভাবে আসতে পারে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। তবে এই অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এর আগে, গতকাল রোববার (১২ মে) সন্ধ্যা ০৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগসমূহের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

আবার আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া বর্ধিত দিনের আবহাওয়ার অবস্থার পর্যালোচনায় দিন এবং রাতের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও আবহাওয়া বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় ২৭ বাংলাদেশী অভিবাসী আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে ৪০ জন নথিবিহীন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। এর মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশী প্রবাসীও আছেন।

রোববার (১২ মে) রাজ্যের গেলাং পাতাহ এলাকার ১৯টি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জল শামসুদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাজ্যে বসবাসকারী বৈধ ভ্রমণ নথি নেই এমন বিদেশিদের সম্পর্কে জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জোহর জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন মোট ২৪৬ জন বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্য থেকে নথিবিহীন ৪০ জনকে আটক করা হয়।

আটক অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৭, ভারত ৭, নেপাল ৩, পাকিস্তান ২ এবং ১ জন চীনের নাগরিক। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে। আটকরা, ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর ধারা ৬(১) (সি) এর অধীনে বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকার জন্য এবং ১৫(১) (সি) ইমিগ্রেশনের ধারায় অপরাধ করেছে।

আটকদের তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। জিআইএম জোহর আইন লঙ্ঘনকারী অবৈধদের বিরুদ্ধে আপস ছাড়াই সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেবে।

এ ছাড়া অবৈধদের, অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। যা শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর।

সর্বশেষ সংবাদ

আবারও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, হাসপাতালে বাংলাদেশী যুবক
আবারও দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস
মালয়েশিয়ায় ২৭ বাংলাদেশী অভিবাসী আটক
রাতেই কুবুবদিয়ায় পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ
সড়ক দুর্ঘটনায় অভিনেত্রীর মৃত্যু
এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ শুরু, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত
হাসপাতাল চত্বরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
সৌদি পৌঁছেছেন ১২ হাজার ৬৪৯ হজযাত্রী
এসএসসির ফল প্রকাশের পর সারাদেশে ৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বিসিবি সভাপতির হঠাৎ বৈঠক, অধিনায়ক বদলের গুঞ্জন!
অন্তর্বাসে লুকানো থাকত ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ হতো চাকরির পরীক্ষা
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বিএনপিকে নিশ্চিহ্নে ক্র্যাকডাউনের পরিকল্পনা করছে সরকার: রিজভী
নওগাঁয় ধান ব্যবসায়ী ও কৃষকদের ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর সুপারিশের কার্যকারিতা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণ শুরু কাল, আবেদন করবেন যেভাবে
ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি হাতিয়ে নিতো চক্রটি
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশ ইসির
মারা গেলেন প্রথম শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনকারী সেই ব্যক্তি
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ: অধ্যক্ষের অপসারণ চান শিক্ষক-কর্মচারীরা