বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ব্রেন টিউমার কি ও এর লক্ষণ কিভাবে বুঝবেন ?

ছবি সংগৃহিত

মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মস্তিষ্ক। আর সেখানকার সামান্য সমস্যাও মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। মাথাব্যথার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। তবে প্রায়ই মাথাব্যথা হওয়ার কারণ হতে পারে বেশ গুরুতর। এমনকি ব্রেন টিউমারের কারণেও হতে পারে তীব্র মাথাব্যথা। যা বেশিরভাগ মানুষই সাধারণ ভেবে ভুল করেন।

ব্রেন টিউমার কী:

ব্রেন টিউমার মস্তিষ্কে কোষের সংগ্রহ বা বস্তু। যখন কোষের বৃদ্ধি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় তখন ব্রেন টিউমার সৃষ্টি হয়। ব্রেন টিউমার দুই ধরনের হয়। এক হলো ক্যান্সারযুক্ত অর্থাৎ ম্যালিগন্যান্ট আরেকটি ক্যান্সারহীন অর্থাৎ বিনাইন। ম্যালিগন্যান্ট ব্রেন টিউমার বৃদ্ধি পেলে তা মস্তিষ্কের ভেতরে চাপ বাড়িয়ে তোলে। এটা আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
মস্তিষ্কে মাংসের অথবা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়াকে ব্রেন (মস্তিষ্ক) টিউমার বলা হয়। যখন মাথায় এই টিউমার বৃদ্ধি পায় তখন মস্তিষ্কের ভেতরে চাপ বেড়ে যায় যা মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্থ করে।

ব্রেন টিউমার যে কারণে হয়:

ব্রেন টিউমার বিভিন্ন কারণের জন্য হতে পারে। ব্রেন টিউমার তখনি হয় যখন মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কোষগুলির ডিএনএ-তে কোনো ত্রুটি থাকে। শরীরের কোষগুলো ক্রমাগত বিভক্ত হয়ে যায় এবং মরে যায়। যার পরিবর্তে অন্য কোষ সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে নতুন কোষ সৃষ্টি হয়ে যায় তবে দেখা যায় পুরনো কোষগুলো সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয় না। যার ফলে এই কোষগুলো জমাট বেঁধে টিউমারের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেক সময় বংশগত কারণে ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে। অর্থাৎ বাবা, মা বা আত্মীয় কারো ব্রেন টিউমার থাকলে।

সঠিক সময়ে ব্রেন টিউমার চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে আগে জানা উচিত ব্রেন টিউমার যে কারণে হয় এবং এর লক্ষণগুলো কী কী ?

১। অনবরত মাথাব্যথা

মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন কি ব্রেইন টিউমারের কারণে হচ্ছে নাকি অন্য কোনো কারণে হচ্ছে, তার পার্থক্য নির্ণয় করা ডাক্তারদের পক্ষেও কঠিন হতে পারে। সিটি অব হোপের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইক চেন বলেন, ‘ব্রেইন টিউমারের সবচেয়ে জোরালো নির্দেশক হচ্ছে দৈনন্দিন নতুন মাথাব্যথা চলে যাবে বলে মনে হয় না।’ তিনি বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব মাথাব্যথা আরো খারাপ হতে থাকে এবং আপনি যখন সকালে ঘুম থেকে জাগেন প্রায়ক্ষেত্রে তা উপস্থিত থাকে, যখন কয়েক ঘণ্টা শায়িত থাকার কারণে ইন্ট্রাক্রেনিয়াল প্রেসার বা স্কালের মধ্যে চাপ বেশি থাকে।’ এই ব্যথা টিউমারের আকার বা বৃদ্ধির হারকে অগ্রাহ্য করে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান্টা মনিকায় অবস্থিত জনওয়েন ক্যানসার ইনস্টিটিউটের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সলেশনাল নিউরো-অনকোলজি অ্যান্ড নিউরোথেরাপিউটিকসের প্রধান এবং নিউরো-অনকোলজিস্ট স্যান্টোশ কেসারি বলেন, ‘একটি ক্ষুদ্র ও দ্রুত বর্ধনশীল টিউমার একটি বড় ও ধীর বর্ধনশীল টিউমারের মতো তীব্র মাথাব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।’ একজন মানুষের ব্রেইন টিউমার আছে কি নেই, এটা অনুমান করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট প্রকারের মাথাব্যথা নেই। এটি বোঝার জন্য চাবিকাঠি হচ্ছে, নতুন অনবরত মাথাব্যথা হয় কিনা লক্ষ্য রাখা যা সাধারণত কোনো চিকিৎসায় (যেমন- ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ) সারে না।

২। সামান্য দৃষ্টিশক্তি হ্রাস

এই বিশেষ উপসর্গটি যাদের মধ্যে আছে তারা এটি সম্পর্কে মোটেই সচেতন নাও হতে পারে- এটি শুধুমাত্র ব্রেইন টিউমারের সঙ্গেও জড়িত হতে পারে। তারা তাদের দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারে না যতক্ষণ না পর্যন্ত বারবার কোনো কিছুতে ধাক্কা খায় কিংবা পৌনঃপুনিক গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। মেড স্কুল টিউটরসের মেডিক্যাল এডুকেশনের সহ-পরিচালক ক্রিস্টোফার ক্যারুব্বা বলেন, ‘বাইটেম্পোরাল হেমিয়ানোপসিয়া নামে এই বিশেষ উপসর্গ বা ইম্পেয়ারড পেরিফেরাল ভিশন পরিচিত। আমরা প্রায়ক্ষেত্রে পিটুইটারি টিউমারের সঙ্গে এই উপসর্গটি দেখি যা অপটিক কায়াজম বা ভিজুয়্যাল প্যাথওয়ে বা দৃষ্টিপথকে সংকুচিত করে।’ অনেক বিস্ময়কর রোগের একটি হচ্ছে, ব্রেইন ক্যানসার যা চক্ষু ডাক্তাররা প্রথমে নির্ণয় করতে পারে।

৩। দুর্বলতা ও ঝিমানো

ব্রেইনের মোটর কর্টেক্স সারা শরীরে পেশী আন্দোলন সূচনা করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে। ডা. চেন বলেন, ‘ডান মোটর কর্টেক্স আপনার শরীরের বামপাশ এবং বাম মোটর কর্টেক্স শরীরের ডানপাশ নিয়ন্ত্রণ করে।’ এই পথের কোথাও টিউমার হলে এসব সংকেত সম্পূর্ণরূপে বিঘ্নিত হবে এবং এর ফলে কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি আপনার ব্রেইন টিউমার থাকে, আপনি আপনার হাত বা পায়ে ব্যথা অনুভব নাও করতে পারেন, কিন্তু আপনার বাম বা ডান পা বা হাত স্বাভাবিকভাবে আংশিক বা পুরোপুরি সাড়া নাও দিতে পারে। ভিটামিন ডি ঘাটতির জন্যও পা দুর্বল হতে পারে।

৪। তোতলামি বা অস্পষ্ট উচ্চারণ

ডা. ক্যারুব্বা বলেন, ‘কথা ও ভাষা বোঝার মোটর ফাংশনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্রেইনের অংশ ফ্রন্টাল লোব বা টেম্পোরাল লোবে টিউমারের প্রধান উপসর্গ হচ্ছে ভাষাগত সমস্যা, যেমন- তোতলামি, বিভিন্ন জিনিসের নাম বলতে অসুবিধা কিংবা অন্যরা কি বলছে তা বুঝতে সমস্যা হওয়া।’ তিনি বলেন, ‘ব্রেইনের মধ্যে দুটি স্পিচ সেন্টার বা কথা কেন্দ্র রয়েছে যা বামপাশে অবস্থিত- একটি হচ্ছে ওয়ের্নিকে’স এরিয়া, যা আমাদেরকে কথা বুঝতে সাহায্য করে এবং অন্যটি হচ্ছে ব্রোকা’স এরিয়া, যা শব্দ সৃষ্টিকারী পেশীকে সক্রিয় করে।’ যখন ব্রেইনে টিউমার থাকে, উভয় ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয়।

৫। মেজাজি অনুভূতি এবং ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া আরভিনের নিউরো সার্জন সুমিত ভাদেরা বলেন, ‘ব্রেইন টিউমারে ভোগা রোগীদের মধ্যে বিষণ্নতা, ক্রোধ কিংবা উদ্বেগ বিকশিত হতে পারে, এমনকি তারা এসব মানসিক অবস্থা সাধারণভাবে প্রকাশ নাও করতে পারে।’ এটি টিউমার ইরিটেশন কিংবা আমাদের ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী ফ্রন্টাল লোবের অংশের সংকোচনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। রোগীদের আচরণেও পরিবর্তন আসতে পারে, যেমন- অধিক রেগে যাওয়া কিংবা উত্তেজিত হওয়া, অধিক ঝুঁকিপূর্ণভাবে অনধিকারচর্চা করা, প্রকাশ্যে যৌনাচরণ করা। ডা. চেন বলেন, ‘ফ্রন্টাল লোবে একটি বড় ও ধীর বর্ধনশীল টিউমার ব্যক্তিত্ব ও বিবেচনাবোধকে পরিবর্তন করতে পারে যা অপরাধমূলক আচরণ বা মানসিক সমস্যার আচরণের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।’

৬। শ্রবণশক্তি হ্রাস অথবা ভোঁ ভোঁ শব্দ

কপালের পেছনে কর্টেক্সের গোড়ার মধ্যখানে অবস্থিত টেম্পোরাল লোব শব্দ শোনার ক্ষমতা এবং ভাষা ও কথাবার্তা বোঝার ক্ষমতা প্রসেসিং করার জন্য দায়ী। ডা. ক্যারুব্বা বলেন, ‘যদি আপনি একপাশে না শুনেন বা কম শুনেন, অথবা অবিরত রিং বা ভোঁ ভোঁ শব্দ শুনেন, তাহলে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিবেন যিনি একজন নিউরোলজিস্টকে দেখানোর জন্য আপনার লক্ষণগুলো যথেষ্ট তীব্র কিনা তা নির্ধারণ করতে পারেন।’

৭। বন্ধ্যাত্ব

ব্রেইন হরমোন উৎপাদনসহ আমাদের শরীরের প্রায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। ডা. চেন বলেন, ‘এটি তা করে থাকে ব্রেইনের তলদেশে অবস্থিত মটর-আকৃতির পিটুইটারি গ্ল্যান্ড নামক একটি এক্সটেনশনের মাধ্যমে।’ তিনি বলেন, ‘টিউমার দ্বারা প্রভাবিত পিটুইটারি গ্ল্যান্ড উচ্চ পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করতে পারে, অথবা টিউমার স্বাভাবিক গ্ল্যান্ডের কাজে বাধা দিতে পারে।’ এ কারণে ব্রেইন টিউমারে ভোগা নারীরা কনসিভ করতে বা সন্তান জন্মদানের পর দুধ উৎপাদনে অসমর্থ হয়।

৮। ভারসাম্যহীনতা

যেখানে ব্রেইনস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এমন অনেক অংশের একটি হলো মোটর ফাংশন। যদি আপনার হাঁটতে অসুবিধা হয়, বিশেষ করে অন্ধকারে এবং আপনি একপাশে হেলে পড়েন, তাহলে এটি ভারসাম্য ও সমন্বয় সাধনের জন্য ব্রেইনের অংশ সেরেবেলাম বা লঘুমস্তিষ্কে টিউমারের উপসর্গ হতে পারে। ভারসাম্য সমস্যা বহুবিধ স্কেলেরোসিসের নীরব উপসর্গও হতে পারে।

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ এখন আর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ এখন আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমরা এখন আর আগের মতো আইএমএফ নির্ভরশীল নই। সেই দিন চলে গেছে। বাজেট সাপোর্টের অর্থ সাধারণত ৫ বছরের মধ্যে ফেরত দিতে হয়, অথচ প্রকল্প চলে ২০ বছর। তাই আমরা প্রতিটি ঋণের আগে অনেক হিসাব-নিকাশ করি। শুধু টাকা দিলেই গ্রহণ করব না। ঋণের বোঝা নিতে আমরা আগ্রহী নই।”

আইএমএফের দীর্ঘসূত্রিতা ও কঠিন শর্তাবলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নয় মাস ধরে আইএমএফের টাকা আসছে না। তবে আমরা শক্ত অবস্থান নেব। টাকা না দিলে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইন্দোনেশিয়ায় এমনটাই হয়েছিল, অনেকের চাকরি চলে যায়। এমন ঘটনা মালয়েশিয়াতেও ঘটেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট এবং রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে পেরেছি আইএমএফের টাকা ছাড়াই। এমনকি এই সরকার আসার পর আইএমএফ থেকে এক টাকাও পাইনি। তবুও আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো আছে। রিফর্ম দ্রুত হয়েছে, যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।”

আইএমএফের শর্ত প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “তাদের কিছু শর্ত আছে, যেমন—এনবিআরকে স্বতন্ত্র করা এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ওপেন করে দেওয়া। তবে আমরা সব শর্ত মানতে চাই না। আমাদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের জন্য আমরা এক বিলিয়ন ডলার চেয়েছি, তারা ৫০০ মিলিয়ন দিতে চাচ্ছে—আমরা চিন্তাভাবনা করছি।”

তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প ঋণ চলমান থাকবে। পাশাপাশি এডিবি, এআইআইবি, এনডিবি এবং ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহায়তা পাইপলাইনে রয়েছে। প্রজেক্ট সাপোর্ট নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, তবে বাজেট সাপোর্ট নিয়ে কিছু আলোচনা চলছে।”

অর্থ উপদেষ্টা জানান, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এআইআইবি, আইএফসি, আইওএম, ওপেক ফান্ডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ইউএস সরকারের বিভিন্ন বিভাগ যেমন—এনার্জি, স্টেট, লেবার, কৃষি এবং ট্রেজারি বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনায় অংশ নিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, “এবারের সফর সফল। আগে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের পেছনে দৌড়াতো সবাই, এখন দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সরাসরি ইউএস প্রেসিডেন্ট অফিস ও অন্যান্য বিভাগীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।”

অর্থসংস্থানের বিষয়েও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, “ওপেক ফান্ডের সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে, যা বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হবে। আইএফসিও ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”

সব মিলিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক সচেতন ও শক্তিশালী। আমরা আর কাউকে চোখ বন্ধ করে অনুসরণ করি না। আমাদের নিজস্ব কৌশলে সামষ্টিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছি।”

Header Ad
Header Ad

সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি, দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে হামলার জবাবে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন। এর ফলে সেনাবাহিনী এখন প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি এক উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে এই ঘোষণা দেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের জাতীয় সংকল্প অটুট। আমি আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর পূর্ণ আস্থা রাখি।”

উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত ওই হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। সরকারি সূত্র জানায়, পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সহায়ক সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর প্রধান মোহন ভাগবত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছান। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য সামরিক ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।

ভারত ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করেছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। কেবলমাত্র পাকিস্তানি হিন্দু এবং দীর্ঘমেয়াদি অনুমোদিত বাসিন্দাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ভারতে অবস্থানরত প্রায় ১,০০০ পাকিস্তানি নাগরিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

এছাড়াও, ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক সিন্দু পানি চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ চুক্তির ফলে পাকিস্তান যে পানির ৮৫ শতাংশ পেত, তা এখন ভারতের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান এ সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ বলে আখ্যায়িত করেছে এবং প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করেছে।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ দেশটির গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “পরবর্তী কয়েকটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।”

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তার বক্তব্যে বারবার জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “১৪০ কোটির ভারতের জনগণের ইচ্ছাশক্তি সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে। এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসের ঘাঁটি চিরতরে ধ্বংস করার। ভারত আর আতঙ্কে ভয় পায় না—আমরা প্রতিটি ষড়যন্ত্রকারীকে খুঁজে বের করব এবং জবাব দেব।”

এই অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারতের কড়া অবস্থান এবং সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়ার ঘোষণা গোটা অঞ্চলে সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিষয়টি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সারাদেশে শিলাবৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগেই দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি ও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উপর দিয়ে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিস্তৃত থাকায় মঙ্গলবার থেকে শনিবার (৩ মে) পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

আগামী পাঁচদিনের পূর্বাভাস অনুযায়ী:

- ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

- রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

- কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

তাপমাত্রা প্রসঙ্গে জানানো হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। তবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সামান্য ওঠানামা করতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, বুধবার রাত ১টার মধ্যে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ এখন আর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি, দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে
সারাদেশে শিলাবৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা
'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা
এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম