বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের নৃশংস হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় এই প্রাণহানি হয়েছে। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৩ হাজার ১৬৩ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ১০২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ১৬৩ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ১ হাজার ৫১০ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ১০২ জন নিহত এবং আরও ২৮৭ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি

পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসেই এই চিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। এর মধ্য দিয়ে কয়েক দশক পর পাকিস্তানের কাছ থেকে এত বিপুল পরিমাণে চিনি দেশে আসছে।

কয়েক দশক পর দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির কাছ থেকে এতো বিপুল পরিমাণে চিনি কিনলো ঢাকা। এর আগে ভারতের কাছ থেকে চিনি কিনতো বাংলাদেশ।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমানের চিনি কিনেছে বাংলাদেশ, যা আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। কর্মকর্তাদের মতে, বহু দশক পর ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বাংলাদেশে এত বিপুল পরিমাণে নিজেদের উৎপাচিত পণ্য পাঠাচ্ছে পাকিস্তানি চিনি শিল্প।

গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এর আগে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে আসছিল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর এই বছর কমবেশি ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে পাকিস্তানের চিনি শিল্প। এর মধ্যে ৭০ হাজার টন চিনি পাকিস্তান থেকে পাঠানো হবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে।

থাইল্যান্ড পাকিস্তানের চিনি শিল্প থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনেছে। পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের কর্মকর্তা মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে।

চিনি রপ্তানি থেকে পাকিস্তান ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। মূলত পাকিস্তানের চিনি শিল্প দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জন্য একটি প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী শিল্প হয়ে উঠেছে। চলতি বছর পাকিস্তানের ৮০ টিরও বেশি চিনিকল গত সোমবার থেকে চিনি উৎপাদন শুরু করেছে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখাল ট্রাইব্যুনাল

জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখাল ট্রাইব্যুনাল। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চলা গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সাবেক দুই মন্ত্রীকে। এ সময় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে এজলাসে পাঠায় পুলিশ।

জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে দায়রকৃত একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাদের।

গত ২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সাবেক দুই মন্ত্রীকে আদালতে এদিন হাজির করার জন্য নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে কামরুল ইসলামকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ (৪৫) নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।

এরও আগে গত ৬ নভেম্বর পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আমুকে গ্রেপতার করে ডিবি পুলিশ। একই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে।

Header Ad
Header Ad

ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা: মাহফুজ আলম

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থান এবং ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া। এটি দিয়েই শুরু করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে নতুন বাংলাদেশের ভিত রচনা করা হলে তা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ভারতের উচিত পোস্ট-৭৫ প্লেবুক পাল্টে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা। এটা ৭৫-পরবর্তী পরিস্থিতি নয়। জুলাই বিপ্লব ছিল একটি গণতান্ত্রিক, প্রজন্মভিত্তিক ও দায়িত্বশীল সংগ্রাম। আর এই সংগ্রাম চলবে দীর্ঘ সময় ধরে।

তিনি আরও লেখেন, বাংলাদেশি জনগণ আগের মতো নেই, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ ও মর্যাদাবান। তারা মরার আগ পর্যন্ত তাদের মর্যাদার জন্য লড়াই করবে। বাংলার এই অংশে ভারতপ্রেমী বা ভারতীয় মিত্ররা ভাবছে যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে এবং জুলাই বিপ্লব এবং ফ্যাসিবাদীদের নৃশংসতাকে এড়িয়ে গেলে তাদের কিছুই হবে না। এটা একটা ভুল ধারণা। মানুষ সব দেখছে!

ভারতীয় সংস্থা জুলাই বিপ্লবকে কিছু জঙ্গি, হিন্দু-বিরোধী, এবং ইসলামপন্থীদের ক্ষমতা দখল হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু তাদের অপপ্রচার ও উসকানি ব্যর্থ হচ্ছে।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লেখেন, দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা! স্বদেশ না, শাহাদাত!—এই স্লোগানগুলো বাংলাদেশকে একক অঙ্গে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এদেশের প্রতিটি কোণে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

তিনি সতর্ক করে লেখেন, আর ভারত যেন এই ঐক্যবদ্ধ, মর্যাদাবান ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে তার শত্রু না করে।

দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর বাংলাদেশের জনগণ বিনা বাধায় গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছে-উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্য এসেছে... মিথ্যা ধ্বংস হবে। চিরকাল!

উপদেষ্টা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে লেখেন, ৭১-এর পর রাষ্ট্র হিসেবে আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম, কিন্তু এবার নয়! আল্লাহ ভরসা!

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখাল ট্রাইব্যুনাল
ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা: মাহফুজ আলম
‘শেখ হাসিনার আমলের চেয়ে হিন্দুরা এখন বেশি নিরাপদে আছে’
চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
বাসায় চুরি, পুলিশের দ্বারস্থ ওমর সানী
ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
শীত জেঁকে বসেছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়
আবারও সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ
১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট জয়
বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা মমতা বোঝেন কিনা, নিশ্চিত নই: শশী থারুর