সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কৃত্রিম পায়ে এভারেস্ট জয় করে নেপালি সৈনিকের বিশ্ব রেকর্ড

বলা হয় 'ওয়ান্স অ্যা সোলজার, অলওয়েজ অ্যা সোলজার', একজন সৈনিক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সৈনিক। আর এ কথাটিই যেন অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ দিলেন নেপালের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হরি বুধামাগার। কৃত্রিম পায়ে ভর করে তিনি জয় করেছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট, সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। তার এই অসাধারণ কৃতিত্ব বিশ্বব্যাপী শারীরিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন ব্যক্তিদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।

বুধামাগার ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি যিনি হাঁটু পর্যন্ত কৃত্রিম পায়ে ভর করে এভারেস্ট জয় করেছেন। শুক্রবার (১৯ মে) বিকাল ৩টায় তিনি এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন।

এর আগে দুই পা নেই এমন ক্যাটাগরিতে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত কাটা পায়ে কৃত্রিম পা লাগিয়ে ২০১৮ এভারেস্ট জয় করে বিশ্ব রেকর্ড করেন চীনের শিয়া বোও। তখন তার বয়স ছিল ৬৯ বছর।

কৃত্রিম পায়ে এভারেস্ট জয় করার বেশ কয়েকটি ঘটনা থাকলেও হাঁটি পর্যন্ত কাটা পায়ে কৃত্রিম পা লাগিয়ে এভারেস্ট জয়ের ঘটনা এবারই প্রথম।

হিমালয় কন্যা নেপালেই বেড়ে ওঠা বুধামাগারের। কিশোর বয়স থেকেই স্বপ্ন ছিল এভারেস্ট জয় করার। কিন্তু ২০১০ সালে আফগানিস্তানে ব্রিটিশ গুর্খার সৈনিক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় উভয় পা হারান এই নেপালি সৈনিক। তারপরই ফিকে হয়ে আসে আজন্ম লালিত স্বপ্ন। সেই স্বপ্নে আরও বালি চাপা দেয় ২০১৭ সালে নেপাল সরকারের করা পর্বতারোহন নীতিমালা। সেই নীতিমালায় অন্ধ, উভয় পা প্রতিবন্ধী, এবং একাকী ব্যক্তির পর্বোতারোহন নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে ২০১৮ সালে এভারেস্টে আরোহনের ইচ্ছা থাকলেও তা ত্যাগ করতে হয়।

কিন্তু বিধাতা মনে হয় চাইছিলেন অন্য কিছু। সে সময় বুধামাগার এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এবং একে 'বৈষম্য' বলে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতে রিট করা হলে নেপাল সুপ্রিম কোর্ট রিটের অনুকূলে রায় দেন এবং ২০১৮ সালে আদালত নীতিমালাটি বাতিল করেন।

বুধামাগারের ঐতিহাসিক এ যাত্রার সবচেয়ে বড় বাধা আদালত তো সরিয়ে দিলেন বটে কিন্তু তার চেয়েও বড় সীমাবদ্ধতা ছিল তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। যা আদৌ জয় করা সম্ভব হবে কি না সে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বুধামাগার। কিন্তু 'সৈনিক সর্বদা সৈনিক' এই মন্ত্রে দীক্ষিত বুধামাগার পিছু হটেননি। শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অবশেষে তিনি পৌঁছে গেলেন এভারেস্টের চূড়ায়, দেখিয়ে দিলেন জয় লাভের অদম্য স্পৃহা থাকলে যে কোনো বাধাই অতিক্রম করা সম্ভব।

বুধামাগারের জন্ম ১৯৭৯ সালে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনী তে যোগদান করেন। সেনাবাহিনীতে তিনি একাধারে কমব্যাট মেডিক, স্নাইপার এবং কভার্ট সার্ভিলেন্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসরে চলে এলেও বসে থাকেননি বুধামাগার। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েই নিজেকে গলফ, স্কি, স্কাই ডাইভিং, কায়াকি, রক ক্লাইম্বসহ বিভিন্ন খেলায় ব্যস্ত রেখেছেন। এমনকি তিনি হুইলচেয়ার রাগবি ও হুইলচেয়ার বাস্কেটবলও খেলেছেন। ইতিহাসে প্রথম উভয় পা বিহীন ব্যক্তি হিসেবে ২০ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় উঠে বিশ্ব রেকর্ডও করেছেন ৪৪ বছর বয়সী এই সৈনিক।

২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মন্ট ব্ল্যাঙ্ক (৪ হাজার ৮১০ মিটার), কিলিমানিজারো (৫ হাজার ৮৯৫ মিটার), চুলু ফার ইস্ট (৬ হাজার ৫৯ মিটার), মেরা পিক (৬ হাজার ৪৭৬ মিটার) পর্বত শৃঙ্গের চূড়ায় উঠে রেকর্ড করেছেন বুধামাগার এবং সবশেষ মাউন্ট এভারেস্টের (৮ হাজার ৮৪৮ মিটার) চূড়ায় উঠে বিশ্ব রেকর্ড করে আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলেন এই যুদ্ধাহত সৈনিক।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে বুধামাগার বলেছেন, 'আমার কল্পনার চেয়েও এটি অনেক বেশি কঠিন ছিল'

তিনি বলেন, 'আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য অক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পরিবর্তন করা এবং মানুষকে বাধা ডিঙিয়ে জয় লাভ করতে অনুপ্রাণিত করা। আপনার স্বপ্ন যতই বড় হোক না কেন, আপনার অক্ষমতা যতই চ্যালেঞ্জিং হোক না কেন, দৃঢ় মানসিকতা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।'

পরিবারের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বুধামাগার বলেছেন, 'যখনই কোনো জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হই আমি আমার অসাধারণ পরিবারের কথা মনে করি যারা আমাকে পথ অতিক্রম করতে অনবরত সাহস জুগিয়েছেন।'

হরি বুধামাগারের অবিশ্বাস্য এই কীর্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, 'আত্মা কোনো বাধা মানে না'। জীবনে চলার পথ যতই জটিল হোক না কেন, যতই বাধা বিপত্তি থাকুক না কেন লক্ষ্য অর্জন করতে, বিজয় ছিনিয়ে আনতে বুধামাগারের জীবনের গল্প নিঃসন্দেহে অগণিত ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করবে।

/এএস

Header Ad

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও দেশে গাছ কাটা অব্যাহত থাকায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। আগামীকাল সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনে পাঁচটি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এগুলো হল-

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি দেবেন।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবে, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট আবেদনকারীরা হলেন-অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ বিভাগ মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শককে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‌‘সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলে ঘোষিত হয়। মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুর হোসেন মাসুদ ও মো. মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৬মে থেকে ৮মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামে এখন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’

আজ রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা।

জাপা মহাসচিব বলেন, এখন গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আমার এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলছে, ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আছে। তাহলে সেই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?
এ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্নু বলেন, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, আমার এলাকায় একটা দিন থাকতে, লোডশেডিং হয় কি না তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়। ভাড়ায় যেসব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আছে, তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরও বসে আছে। ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার পরও ভাড়া বাবদ তাদের ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

চুন্নু বলেন, এর আগে সংসদে বলেছিলাম, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজ চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই, তিনি সশরীরে আমার এলাকায় যাবেন দুই-চার দিনের মধ্যে। দেখে আসবেন কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

তিনি বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছেন ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যান। বছরে পাঁচ হাজারের মতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এটি সরকারের সংস্থার হিসাব। ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় ১৪ জন মারা যান। সেই ট্রাকের চালকের ভারি যানবাহন চালানোর কোনো লাইসেন্সই ছিল না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২২ এপ্রিল যে বাসের ধাক্কায় একজন শিক্ষার্থী মারা যান, সেটির ফিটনেসই ছিল না। ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি। এ গাড়ি তো দুর্ঘটনা ঘটাবেই। সড়কে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয় পুরোনো, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, আপনি একটু শক্ত হোন। এসব গাড়ি-অটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে, তাহলে এভাবে মানুষ মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।

সর্বশেষ সংবাদ

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন