কাশ্মিরে হামলা মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশল: অভিযোগ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। ছবি: সংগৃহীত
জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলাকে ভারতের মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে অভিহিত করেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ এই মন্তব্য করেন।
রোববার পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ অভিযোগ করেন, “ভারত এই হামলাকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করছে, যার মাধ্যমে পাকিস্তানের অর্থনীতি ও কূটনৈতিক অবস্থান দুর্বল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, আসিফ দাবি করেছেন, পাকিস্তানের অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, তখন ভারত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর—বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)—মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, “পেহেলগাম হামলার ঘটনা সাজানো, যার মূল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক সুবিধা আদায়। যেকোনও মধ্যস্থতার আগে এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন জরুরি।”
আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। আসিফ বলেন, “আমাদের আহ্বানের মধ্য দিয়ে ভারতের খারাপ উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে।”
এসময় তিনি জানান, পাকিস্তান শিগগিরই সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করবে। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেন যে, যুদ্ধ সংক্রান্ত ভারতের আগ্রাসী মনোভাব আঞ্চলিক শান্তির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটিই কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক চরম উত্তেজনার মুখে পড়েছে। ভারত ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে থাকা ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে। এর জবাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিত এবং ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
এই উত্তেজনার মধ্যে শনিবার পাকিস্তান ‘আবদালি’ নামের ৪৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে, যা ‘সিন্ধু মহড়া’র অংশ বলে জানানো হয়। ভারতের পক্ষ থেকে এই পরীক্ষাকে ‘উসকানিমূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
