ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় থমথমে ইসরায়েল, যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত

ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইরান থেকে ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দেশজুড়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে জনগণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, "আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে এবং হুমকি প্রতিহত করতে কাজ করছে। জনগণ যেন সতর্ক সংকেত পেলে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়।"
ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মতে, এই আক্রমণ থেমে যাওয়ার কোনো ইঙ্গিত নেই এবং পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সংগঠিত ও কৌশলগতভাবে পরিচালিত। ধারণা করা হচ্ছে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, যেগুলোর লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আকাশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ সক্রিয় রয়েছে এবং বিস্ফোরণের ঝলক দেখা যাচ্ছে। অনেক জায়গায় বিকট শব্দ শোনা গেছে, যদিও এখনো হতাহতের কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
এই হামলা এমন সময়ে হয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন এবং কাতারের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে। যদিও ইরান এখনও ওই প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেয়নি।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, “আমরা আরোপিত শান্তি মেনে নেব না।” এর আগে তেহরানের আকাশেও বিস্ফোরণের শব্দ ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে, যা পরিস্থিতির জটিলতা প্রকাশ করে।
ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের প্রভাব শুধু দুটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। কুয়েত, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতোমধ্যেই আঞ্চলিক সতর্কতা জারি করেছে। বিভিন্ন দেশের বিমান চলাচলেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি উভয় পক্ষ সংঘর্ষ প্রশমনের পথে না হাঁটে, তবে এই উত্তেজনা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা আরও অনিশ্চয়তায় পড়ে যাচ্ছে।
