শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার 

‘আমি কাজকে ভালোবেসে কাজ করার চেষ্টা করছি’

ড. হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বেলজিয়াম লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম, এনভায়রনেমন্টাল সায়েন্স: পরিবেশ রসায়নে পিএইচডি করা হাছান মাহমুদ এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল মেয়াদে প্রথমে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া এই নেতা পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এখন সরকারের সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ২৩ নভেম্বর ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. হাছান মাহমুদ কথা বলেছেন গত প্রায় চার বছরে তার মন্ত্রণালয়ের সফলতা, বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, গণমাধ্যম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রাজনীতি, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে। 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। কাজে গতি এসেছে। অনেক বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। এ সম্পর্কে যদি আপনি কিছু বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ: দেখুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর আমি চেষ্টা করেছি আমার সমস্ত আন্তরিকতা দিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আনার জন্য। একইসঙ্গে বহু বছরের ঝুলন্ত সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য। যেমন আমরা তিন দশক ধরে চেষ্টা করেছি বিটিভি ভারতবর্ষে প্রদর্শনের জন্য। কিন্তু সেই চেষ্টায় আমরা সফল হইনি। কিন্তু  প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারতে বিটিভি ফ্রি ডিসের মাধ্যমে সেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। সমগ্র ভারতবর্ষে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ বেতারও সেখানে শোনা যাচ্ছে।

আপনারা জানেন যে, আগে টেলিভিশনগুলোতে কোনো সিরিয়াল ছিল না। কোনটার পর কোনটা, সেটা এলাকা ভেদে একেক রকম হতো। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পরও সেটা হয়নি। কিন্তু আমি কঠোর হস্তে এটি কার্যকর করেছি। যেমন এখন সম্প্রচারের তারিখ অর্থাৎ যেই টেলিভিশন যেই সময় সম্প্রচার হচ্ছে সে অনুযায়ী একটা ক্রম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেই ক্রম অনুযায়ী সারা দেশে টেলিভিশনগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। সেই ক্রম আগে-পিছে করার জন্য ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে অনেক ধরনের অনিয়ম করতে হতো টেলিভিশন মালিকদেরকে। সেটি এখন বন্ধ হয়েছে।

আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশে বিদেশি চ্যানেলগুলো…দেশে আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত করতে পারে না। একই আইন ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশে আছে, ইউরোপ, আমেরিকায় আছে। সেখানে বিদেশি চ্যানেলে কোনো রকম বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে না। আমাদের দেশে এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হচ্ছিল। আমরা গত বছর থেকে সে আইন কঠোরভাবে কার্যকর করেছি। এখন শুধুমাত্র সেই সমস্ত বিদেশি চ্যানেলই বাংলাদেশে সম্প্রচারিত হয় যারা বিজ্ঞাপনহীন ক্লিনফিড পাঠায়। এটা একটা বড় অগ্রগতি এবং এটি না করার জন্য বহু শক্তিশালী মহল এটার পিছনে যুক্ত ছিল। কিন্তু আমরা কোনো মহলের কাছে নতিস্বীকার করিনি। সেটি কার্যকর করা হয়েছে। একইসঙ্গে আমরা সম্প্রচার মাধ্যমকে ডিজিটালাইজড করার কাজ করছি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ডিজিটাইলাইজড হয়ে গেলেও বাংলাদেশের সম্প্রচার মাধ্যম ডিজিটালাইজড হয়নি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি এবং বহুদূর এগিয়েছি। হাইকোর্টে একটা মামলা হওয়ার কারণে সেটা কিছুটা পিছিয়ে গেছে। আমরা আশা করছি সেই মামলাটা নিষ্পত্তি করে আমরা এটিও কার্যকর করতে সক্ষম হব।

এ ছাড়া, আপানার জানেন যে, আমাদের পিআইডি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সেখানে আধুনিক যুগের সঙ্গে সমন্বয় করে যে কাজ সেটির জন্য পিআইডিকে সেভাবে ঢেলে সাজানো হয়নি। আমরা সেটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আপনারা দেখতে পাবেন যে, কিছুদিন পর পিআইডি আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি কার্যকরিভাবে কাজ করছে। এখন আগের তুলনায় ভালো করছে।   

আরও নানা ধরনের পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট করেছি। সেটি চলচ্চিত্র শিল্পীদের বহু বছরের দাবি ছিল। কিন্তু কার্যকর হয়নি। সেটি আমরা করেছি। সংসদে আইন পাস হয়েছে। শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়েছে। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে টেলিভিশন শিল্পীরাও যাতে সেখান থেকে সহায়তা পেতে পারে সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এভাবে বহু কাজ করা হয়েছে। আমাদের পিআইবি থেকে শুরু করে অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোকে গতিশীল করা হয়েছে। আপনারা জানেন যে, আমাদের চলচ্চিত্র অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছিল বলা যায়। আমাদের সিনেমা হলের সংখ্যা ১০০ তে নেমে এসেছিল। এখন সেখানে এই করোনা মহামারির মধ্যেও গত কয়েক মাসে আরও ২০০ এর বেশি সিনেমা হল চালু হয়েছে। আগামী ছয় মাস, এক বছরের মধ্যে আরও বহু সিনেমা হল চালু হবে। ইতিমধ্যে মধ্যবিত্তরা হলে ফিরে এসেছেন। বহু সিনেমা তারমধ্যে কিছু অনুদানের সিনেমা আছে। বহু সিনেমা বক্স অফিস হিট করেছে। মানুষ সিনেমা দেখতে যাচ্ছে। এটি বিরাট একটা পরিবর্তন। আমরা করতে পেরেছি। করোনা মহামারি না থাকলে আরও অনেক কিছু করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো।

প্রশ্ন হচ্ছে এগুলো কীভাবে সম্ভব হলো? প্রথম হচ্ছে আপনি যখনই আমাকে কোনো কাজ দেন না কেন আমি সেটি মনপ্রাণ দিয়ে করার চেষ্টা করি। আমাকে যখন প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তখনো আমি আমার সমস্ত সততা ও আন্তরিকতা দিয়ে করার করার চেষ্টা করেছি। এখানেও আমি সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রথমত কাজকে ভালোবাসতে হয়। কাজকে যদি ভালো না বাসে কেউ তাহলে পারফর্ম করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর প্রথমে আমি কাজকে ভালোবাসতে চেষ্টা করেছি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: অনলাইন গণমাধ্যম নিয়ে আপনার ভাবনা কী? দেশে এখন অনেক অনলাইন। যদিও অনলাইন অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। তারপরও দেখা যাচ্ছে ঘরে ঘরে অনলাইন। এসব অনলাইন অনেক সময় বুমেরাং হয়ে দেখা দেয়। দেখা গেল গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে, ভুয়া রিপোর্ট দিচ্ছে, ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এ নিয়ে আপনাদের ভাবনা কী?

ড. হাছান মাহমুদ: দেশের অনলাইন গণমাধ্যমকে একটা সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করেছি। অনেকগুলো অনলাইনকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে, অনেকগুলো অনলাইনকে বন্ধও করা হয়েছে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দেওয়া যেমন একটা চলমান প্রক্রিয়া। বন্ধ করাটাও একটা চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু যেভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো অনলাইন, আসলে এত অনলাইনের তো প্রয়োজন নেই। অনেকেই অসৎ উদ্দেশে এ সমস্ত অনলাইন চালু করে এবং সেটার অফিস নেই ঠিকমত। ঘরের মধ্যে থেকে করে। আমরা সেগুলো আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা করছি এবং আইডেন্টিফাই করার পর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ঢাকাপ্রকাশ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এখনো নানা আলোচনা-সমালোচনা অব্যাহত আছে। বিভিন্ন সভা-সেমিনারেও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এটি সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জনের কোনো চিন্তাভাবনা কি সরকারের আছে?

ড. হাছান মাহমুদ: দেখুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে ডিজিটাল সিকিরিউটি দেওয়ার জন্য। এটি একজন সাংবাদিককে সিকিউরিটি দেওয়ার জন্য, একজন গৃহিণীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। একজন চাকরিজীবীকে, কৃষককে, একজন ছাত্রকে, একজন মহিলাকে, একজন তরুণীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এই আইনের সাহায্য নিয়ে বহু সাংবাদিকও মামলা করেছেন এবং প্রতিকার পেয়েছেন। এই আইনের সাহায্য নিয়ে বহু সাধারণ মানুষ মামলা করেছেন। এটি কোনো বিশেষ ব্যক্তি-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য এ আইন।  

দেশ যখন ডিজিটাল ছিল না, তখন এই আইনেরও কোনো প্রয়োজন ছিল না। দেশ যখন ডিজিটাল হয়ে গেছে সুতরাং তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে হবে। ডিজিটালি যখন কোনো গুজব ছড়ানো হয় সেটির বিরুদ্ধে কোনো আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে? সেটির জন্য তো একটা আইন দরকার। সেই আইনটিই হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। যখন একজন মানুষের চরিত্র হনন করা হয় অনলাইন বা স্যোশাল মিডিয়াতে তখন এর বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেজন্য তো একটা আইন দরকার। সে জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন।

একজন মহিলার বিরুদ্ধে চরিত্র হননমূলক অপপ্রচার চালানো হয়, একজন সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে নানা ধরনের  অপপ্রচার চালানো হয়, একজন জীবন্ত মানুষকে স্যোশাল মিডিয়ায় মেরে ফেলা হয়, গুজব রটানো হয়। সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তো একটা আইন দরকার। সেই আইনটিই হচ্ছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। তো এ আইন সবার জন্য। এই আইনের যাতে অপব্যবহার না হয়, এ আইন দ্বারা যাতে সাংবাদিকদের কোনোরকম হয়রানি না করা হয় সে নিয়েও আমরা সচেষ্ট আছি। এখন দেখতে পাচ্ছেন নিশ্চয়ই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহজেই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করা যায় না।

ঢাকাপ্রকাশ: আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকাতে একটা সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এর মধ্যে তারা দেশের সকল বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করছে এবং করেছে। তারা বলছে যে, আগামী ১০ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে সরকার পতনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিষযটিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

ড. হাছান মাহমুদ: দেখুন নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে তো। বিএনপি মুখে যাই বলুক তারা নির্বাচনে যাবেন, তারা দলকে চাঙ্গা করার জন্য এগুলো করছে। তারা চট্টগ্রামে সমাবেশের ডাক দিয়ে বলেছিল ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে। সেখানে এক লাখ পুরাতে পারে নাই। সুতরাং ঢাকা শহরে কী হবে সেটা আমরা বুঝি। খালি কলসি বাজার মতো বাজছে। বা বর্ষাকালে ব্যাঙ ডাকার মতো। বর্ষাকালের ব্যাঙ কিন্তু খুব ছোট, আওয়াজটা অনেক বড়। তো ওদের আওয়াজ হচ্ছে খালি কলসি বেশি বাজার মতো আর বর্ষাকালে ব্যাঙের ডাকার মতো।

ঢাকাপ্রকাশ: বিরোধী দল যদি আন্দোলনের যায়, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকার পতনের দিকে যায়, সেক্ষেত্রে সরকারের ভাবনাটা কী? তাদের কীভাবে মোকবাবিলা করবেন? আর রাজনৈতিক দল হিসেবেও আওয়ামী লীগ কীভাবে মোকাবিলা করবে?

ড. হাছান মাহমুদ: দেখুন, উনারা তো আন্দোলনে আছেন। ২০১৩,১৪ ও ১৫ সালে উনাদের আন্দোলনের নমুনা দেখেছি। উনারা সবসময় আন্দোলনে আছেন। উনাদের মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের জনগণ আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনবার সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিয়েছে। তো উনাদের এবারকার আন্দোলনে আমাদের একটা লাভ হয়েছে। এবারকার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে, উনারা সাম্প্রতিক যে সমাবেশগুলো করছে এতে দেখতে পাচ্ছেন আমাদের সমাবেশগুলোও আগের চেয়ে অনেক বড় হচ্ছে। আমাদের কর্মীরাও চাঙ্গা হয়েছেন। এটুকু লাভ আমাদের হয়েছে।

ঢাকাপ্রকাশ: গত দুটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানাপ্রশ্ন আছে দেশের ভেতরে-বাইরে। বিএনপি ইতিমধ্যে বিদেশিদের দারস্থ হয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকরাও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা কথা বলছেন এবং তারা বলছেন, একটা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, সব দলের অংশগ্রহণে একটা নির্বাচন চান তারা। বিষয়টি বিশেষ করে বিদেশি কূটনীতিকদের বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে নাক গলানোর বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

ড. হাছান মাহমুদ: প্রথমত কূটনৈতিক শিষ্টাচার বলে একটা কথা আছে। তো আমরা সব সময় বলে আসছি কূটনৈতিক শিষ্টাচার বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বা বিদেশি দূতাবাসের যারা বাংলাদেশে পোস্টিং নিয়ে আসেন তাদের এটি অনুসরণ করা উচিত। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে তাদের চেয়েও বেশি দোষী হচ্ছে বিএনপি। বিদেশি কূটনীতিকরা এই নাক গলানোর সুযোগ কখনোই পেত না যদি বিএনপি বা অন্যান্য দল গিয়ে কূটনীতিকদের দুয়ারে ধরনা না দিত। বিএনপি তো জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছেই বেশি যায়। যে কারণে বিদেশি কূটনীতিকদের তারা উৎসাহিত করে। উদ্বুদ্ধ করে এ বিষয়ে কিছু বলার জন্য, কিংবা নাক গলানোর জন্য। তবে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে কারও কিছু করা উচিত নয়।

ঢাকাপ্রকাশ: আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। এই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব বিশেষ সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কি আছে?

ড. হাছান মাহমুদ: দেখুন সেটা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাই নির্ধারণ করবেন। কাউন্সিলারদের মতামতের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাই এ বিঢয়টি ঠিক করবেন। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর বাকি। দেশে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইনসহ প্রচুর গণমাধ্যম রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের প্রতি আপনার কোনো পরামর্শ…

ড. হাছান মাহমুদ: প্রথমত হচ্ছে গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। আমি গণমাধ্যমে কাছে যেটি প্রত্যাশা করব, অনেক সময় দেখা যায় যে কিছু কিছু গণমাধ্যম, কিছু কিছু পত্রিকা এবং দু’একটি টেলিভিশনে বিরোধী দলের ছোট সমাবেশকে বড় করে দেখানোর একটা টেনডেন্সি আছে। আবার সরকারি দলের, আওয়ামী লীগের বড় সমাবেশকে ঠিক সেভাবে কভারেজ দেওয়া হয় না। এগুলো কিন্তু সঠিক নয়। এভাবে করা সমীচীন নয়। সাদাকে সাদা বলতে হবে, কালোকে কালো বলতে হবে। যেই সমাবেশ যতটুকু প্রচার পাওয়া দরকার ততটুকু প্রচার দিতে হবে। আবার কিছু কিছু গণমাধ্যম দেখা যায় যে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। গণমাধ্যম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া সমীচীন নয়।

আমি গণমাধ্যমের কাছে সবিনয়ে যেটি নিবেদন রাখব সেটি হচ্ছে গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করবে। সরকারি দল হোক আর বিরোধী দল হোক যেটুকু প্রচার পাওয়া দরকার সেটিই করবে। সেখানে কাউকে ফুলিয়ে ফাঁফিয়ে দেখানোর টেনডেন্সিটা পরিহার করুন। একইসঙ্গে কোনো নেতিবাচক খবর থাকলে কোনো কোনো গণমাধ্যমে সেটি ফলাও করে প্রচার হয়। কিন্তু ইতিবাচক সংবাদটা সেভাবে প্রচার পায় না। এটিও ঠিক নয়। অবশ্যই নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশিত হবে। একইসঙ্গে জাতির যে অর্জন, আজকে দেশটা যে বদলে গেল, স্বল্প উন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হলো এবং দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো, আজকে পৃথিবী যে দেশের প্রশংসা করছে সে বিষয়গুলো গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া দরকার। আমরা যখন মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেলাম তখন ভারতের পত্রপত্রিকায় যেভাবে প্রচার পেয়েছে, যেভাবে শোরগোল হয়েছে আমাদের দেশে সেভাবে হয়নি। যেটি আমাকে খুব অবাক করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য ঢাকাপ্রকাশ-এর পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ড. হাছান মাহমুদ: ঢাকাপ্রকাশ-কেও ধন্যবাদ।

এমএমএ/
 

Header Ad
Header Ad

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

যদিও সাক্ষাৎটি ‘সৌজন্য’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এর আগে, ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ওই বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, যদি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, তাহলে ২০২৬ সালের পবিত্র রমজানের আগের সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। তবে সে লক্ষ্যে বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এদিকে, আগাম নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে স্থানীয় সরকার, বিশেষ করে সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন চায় কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই প্রেক্ষাপটেই সিইসির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকে নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য আলোচনার সূচনা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।

যদিও বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবুও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগাম ভোটের সম্ভাবনা ঘিরে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।

Header Ad
Header Ad

খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার

এসআই সুকান্ত কুমার দাস। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাংচুরসহ ৪টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত  পুলিশের আলোচিত উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত কুমার দাসকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকালে সদর উপজেলা আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। 

গ্রেপ্তার সুকান্ত কুমার দাস খুলনার ডুমুরিয়া থানার কালিকাপুর গ্রামের শত্রুঘ্ন দাসের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন। ছুটিতে তার নিজ বাড়িতে খুলনায় অবস্থানকালে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) তাকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। চিকিৎসা শেষে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিলে খুলনায় তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন চলে।

চুয়াডাঙ্গা আদালত পরিদর্শক নাসির উদ্দিন জানান, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় দায়ের করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সুকান্ত। তিনি স্বেচ্ছায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হাজির হলে  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তাকে সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।

Header Ad
Header Ad

বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ‘বিশেষ সুবিধা’ চালু হচ্ছে আগামী ১ জুলাই থেকে। অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের একটি নির্দিষ্ট হারে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া হবে।

প্রাথমিকভাবে এ ভাতা ১ হাজার ও ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও, পরে তা বাড়িয়ে চাকরিতে থাকা কর্মচারীদের জন্য ন্যূনতম ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের জন্য ন্যূনতম ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার এই সিদ্ধান্তের বিস্তারিত জানান। তারা বলেন, কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ১ থেকে ৯ গ্রেডে আছেন, তারা মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন। আর ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের মধ্যে থাকা কর্মচারীরা পাবেন ১৫ শতাংশ হারে।

এই বিশেষ সুবিধা পিআরএলে (অবসর-উত্তর ছুটি) থাকা কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। তাদের বেতন বিবেচনায় নেওয়া হবে পিআরএলে যাওয়ার আগের মূল বেতন অনুযায়ী।

একজন ৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তা যার মূল বেতন ৭১ হাজার ২০০ টাকা, তিনি নতুন নিয়ম অনুযায়ী পাবেন ৭ হাজার ১২০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৩ হাজার ৫৬০ টাকা। অর্থাৎ তার ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। অন্যদিকে একজন ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারী, যাঁর মূল বেতন ১৭ হাজার ৫২০ টাকা, তিনি পাবেন প্রায় ২ হাজার ৬২৮ টাকা। এ ক্ষেত্রে পূর্বের নির্ধারিত ১ হাজার টাকার তুলনায় ভাতাটি ১ হাজার ৬২৮ টাকা বাড়ছে।

এছাড়া নিয়মিত পেনশনভোগীরাও এই সুবিধা পাবেন। তাদের পেনশনের ওপর গ্রেড অনুযায়ী একই হারে বিশেষ ভাতা হিসাব করা হবে। তবে যারা গ্রস পেনশনের শতভাগ তুলে নিয়েছেন এবং এখনো পুনঃস্থাপনের আওতায় আসেননি, তাদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তরা তাদের পূর্ববর্তী মূল বেতনের ভিত্তিতে এই সুবিধা পেতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে পেনশন ও চুক্তিভিত্তিক বেতনের মধ্যে যেটা বেশি, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হবে। সাময়িক বরখাস্ত কর্মচারীরা বরখাস্তের আগে প্রাপ্ত মূল বেতনের ৫০ শতাংশের ওপর এই সুবিধা পাবেন। তবে যারা বিনা বেতনে ছুটিতে আছেন, তারা এই ভাতার আওতায় আসবেন না।

স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির কর্মচারীরা, যারা জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত, তারাও এই বিশেষ সুবিধা পাবেন। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার সরকার বহন করবে না, বরং নিজেদের বাজেট থেকেই এ ব্যয় মেটাতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে (ভিডিও)
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!
সব সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
জেলার সব প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের ঘোষণা দিলেন ডিসি