রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রমনা বটমূলে হামলার ২২ বছর, আপিল শুনানি ৯ বছর ধরে হাইকোর্টে

২০০১ সালে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলায় নিহত হন ১০ জন। ২২ বছর আগে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আপিল শুনানি ৯ বছর ধরে হাইকোর্টে ঝুলে আছে।

মামলার কার্যক্রম কবে নাগাদ হাইকোর্টের গণ্ডি পেরোবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।

ওইদিনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে ঢাকার বিচারিক আদালতে হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে করা মামলার বিচার এখনো শেষ হয়নি।

এ মামলায় ৮৪ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ১৭ মে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির জন্য ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপক্ষের সময় চাওয়া এবং বারবার আদালত পরিবর্তনের জন্য এ দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, বারবার হাইকোর্টের বেঞ্চ পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটি শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে।

ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসলি মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ সচেষ্ট। আমরা আশা করছি, দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি হবে।’

তিনি বলেন, ‘রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন আটজনের ফাঁসি এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ও জেল আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন।’

মামলায় হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ আট জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা অন্যরা হলেন-মাওলানা আবু বকর, মাওলানা আকবর হোসাইন, আরিফ হাসান, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন এবং হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম।

এদের মধ্যে মুফতি হান্নানের অন্য একটি মামলায় ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আর মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম ও মুফতি আবদুল হাই পলাতক রয়েছেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জন হলেন- হাফেজ আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ওরফে আবদুল হান্নান, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আবদুর রউফ ও শাহাদাত উল্লা।

দণ্ডিত ১৪ জনের মধ্যে শাহাদাত উল্লা ছাড়া সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজি-বির শীর্ষস্থানীয় নেতা।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিলে রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে সকালে একটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরিত হয়। এর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর আরেকটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও একজন। এতে আহত হন ২০ থেকে ২৫ জন। এ ঘটনায় রমনা থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।

কেএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি

ছবি: সংগৃহীত

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক তীব্র উত্তেজনায় পরিণত হয়। ৭ মে রাতে ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের ৯টি অবস্থানে হামলা চালিয়ে তার কোড নাম দেয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতীয় বাহিনী তাদের ড্যাসল্ট রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে প্রায় ২৩ মিনিটের জন্য হামলা চালায়, যা পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করার লক্ষ্যে ছিল।

পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও তাদের বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট ব্যবহার করে। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত ৮৭ ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তান ভারতের ৩টি রাফাল যুদ্ধবিমান এবং ১২টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে। এই সময়ে উভয় দেশের অর্থনীতি এবং পুঁজিবাজারেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ভারতের ক্ষতির পরিসংখ্যান:

- ভারতীয় পুঁজিবাজারে প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- বিমান চলাচল খাত প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে।

- আইপিএল বন্ধ হয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়েছে।

- সামরিক খরচ বাবদ ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।

- যুদ্ধবিমান হারানোর কারণে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- বাণিজ্য এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্নের কারণে আরও ২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

পাকিস্তানের ক্ষতির পরিসংখ্যান:

- পাকিস্তান ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

- পাকিস্তানের শেয়ারমার্কেট ৪.১ শতাংশ পতন ঘটিয়ে ২.৫ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে।

- বিমান পরিবহণ খাতে ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- পিএসএল ক্রিকেট বন্ধ হয়ে ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- সামরিক খরচ বাবদ ২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।

এই ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ শুধু আকাশপথে সীমাবদ্ধ ছিল না, এর মাধ্যমে উভয় দেশের পুঁজিবাজারে ধস এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের কারণে মুদ্রার অবমূল্যায়ন, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন এবং বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষতি হয়েছে, যা দুই দেশকেই ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ফেলেছে।

Header Ad
Header Ad

আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে

ছবি: সংগৃহীত

বিগত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের মধ্যে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল গরমের তীব্রতা অনুভব করছে, যার ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪২ ডিগ্রিতে। এই অবস্থায়, যখন জনজীবন অসহ্য হয়ে উঠেছে, তখন দেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মোস্তফা কামাল পলাশ।

রোববার (১১ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মে মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে 'শক্তি', যা শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম।

মোস্তফা কামাল পলাশ আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে ভারতের ওড়িশা উপকূল এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে বিশেষভাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে এর স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি।

এর আগে, আবহাওয়া অধিদপ্তরও জানিয়েছিল যে, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১ অথবা ২টি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিতে এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদেরও সাবধান থাকতে হবে।

Header Ad
Header Ad

কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পরিচালিত পাকিস্তানের সাহসী সামরিক প্রতিরোধ ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে দেশটির জনগণ। রোববার (১১ মে) সারাদেশে ‘শোকরিয়া দিবস’ পালন করছে পাকিস্তান। দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়, সশস্ত্র বাহিনীর অতুলনীয় সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং জাতির ঐক্য ও দৃঢ় মনোবলকে সম্মান জানাতেই এই দিবস পালন করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ ছিল শত্রুর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী, সমন্বিত ও কার্যকর জবাব। এ অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান কৌশলগত, কূটনৈতিক এবং সামরিক সব পর্যায়েই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। “মহান আল্লাহর কৃপায় আমরা সাফল্য ও সম্মান অর্জন করেছি,” বলেন তিনি।

শাহবাজ শরিফ তার বক্তব্যে আরো জানান, শত্রু পক্ষের একের পর এক উসকানিমূলক আচরণের পরও পাকিস্তান সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়েছে এবং পূর্ণ প্রস্তুতির মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও জাতীয় স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় পাকিস্তান কখনো পিছিয়ে থাকবে না।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি
আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে
কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান
নওগাঁয় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে যুবক নিহত
‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ দেশে বিভক্তির সুযোগ নেই: আমীর খসরু
ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
একদিনে চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে নতি স্বীকার: তোপের মুখে মোদী
সংগঠন নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন
শ্রীলঙ্কায় বাস খাদে পড়ে ২১ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু
আলোচনার টেবিলে ভারত-পাকিস্তান, গুরুত্ব পাচ্ছে সিন্ধু চুক্তি ও কাশ্মির ইস্যু
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১৪ জন আটক
আ. লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বারবার পত্র দিয়েছে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইলে গ্রেফতার আতঙ্কে ভাইয়ের জানাজায় অংশ নেননি আ.লীগের দুই নেতা
বিরামপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, ছেলে আহত
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে: আসিফ নজরুল
রাজধানীতে বিদেশি অস্ত্র-বোমাসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার (ভিডিও)
আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয়ের দাবি নুরুল হক নুরের
লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে ছদ্মবেশে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ