মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মুহম্মদ নূরুল হুদা

সীতা সংহিতা

 

নিমতিতা আর নিশিন্দা তিতা বুকে ধরে 
সীতার হরণ শুরু বিমানব রাবণের ঘরে।
সীতা, তুমি না বনের, না রাজপ্রাসাদের;
চিরকাল রাণী তুমি মনোসাম্রাজ্যের।
 
না, তোমাকে নিয়ে যুদ্ধটাও নয় শুধু আমাদের।
 

গুলঞ্চ লতার বুক শুঁকে শুঁকে সীতা
নিজেই নিজের ঘরে যদি অপহৃতা
পাখিরা সন্ত্রস্ত চোখে মুখ তুলে চায়
হানাদার বাহিনীর চোখ ঠুকরে খায়
 
ভেষজের পাহারায় সীতা নবনীতা
 

পঞ্চবট পঞ্চবৃক্ষ স্তম্ভ পঞ্চদিক
অনন্ত অতন্দ্র তারা বনে দশদিক
মাঝখানে সুরক্ষিত বেদী বারোহাত
পঞ্চবটী বনে নামে ত্রিলোক-প্রপাত
 
সতীত্ব সতীর অস্ত্র, সতীত্ব করাত
 

নয় নির্বাসন, এই বন পুণ্যবতী সতীর আশ্রম;
অশ্বত্থ সটান পুবে, পশ্চিমেও বট সমাগম;
উত্তরে শ্রীফল বিল্ব, আমলকি প্রহরী দক্ষিণে;
অগ্নিকোণে দাঁড়ায় অশোক; মাঝে বেদী নাও চিনে;
 
সীতা তুমি, সতী তুমি; তুমি নিজে কয়েদি সশ্রম।
 

দেহের দেয়ালে বন্দি, বন্দি তুমি স্নায়ুর শেকলে;
ডুবে ভেসে জেগে থাকো আসমুদ্র শরীরী শোণিতে;
তোমাকে দেখে না কেউ, দেখে শুধু তোমার বাকল;
কে তোমাকে বেঁধে রাখে সীমানায় হিতে বিপরীতে?
 
রাম-রাবণের যুদ্ধ চলে, দেহত্যাগী চলে দলে দলে!
 

অনন্তমানব আমি, তুমি যদি হতে চাও অনন্তমানবী।
অনন্তমানবী তুমি, আমি যদি হতে চাই অনন্তমানব।
পররাজ্য পরনারী অধিকারে কেন তবে অটল অটবী?
শরীরের শৌর‌্য  নিয়ে বিনা তর্কে কেন তবে দাহন খাণ্ডব?
 
লেজে লেজে সেতু পার, হনুমানও পরবিত্ত-লোভী।
 

পঞ্চকর্মে দীক্ষাহীন? তুমি তো আরোগ্যহীন তবে চিরদিন।
বিরেচন বা বমন, নস্য বা নিরুহ : আসলে অনুবাসনাধীন। 
সশাস্ত্র চিকিৎসা নাও; রাজা হও, রাণী হও, মানব-মানবী;
পাহাড়-সাগর-দ্বীপ-সমতলে নভোতলে তুমি আর নও অর্বাচীন। 
 
তা নাহলে আবাসনে-নির্বাসনে মানুষ তো দানব-দানবী। 
 

৮ 

তোমার ভেতরে তুমি সাজাও সংসার
বিমূর্তের তুলি দিয় মূর্তের আকার
ক্রমেই ভেতরে চলো, অধিক ভেতরে
যা আছে এ চরাচরে নিয়ে আসো ঘরে
 
পঞ্চবটী বন শুধু সতীকেই ধরে
 

একা নও একা নও একা নও একা
তোমার ভেতরে তুমি পেয়ে যাবে দেখা
জলাঙ্গীর সরোবরে বাঘিনী হরিণী
এক ঘাটে কেলি করে তরঙ্গ তটিনী
 
তোমাকে পাহারা দেয় কুহু আর কেকা
 

১০

রচনা করেছো তুমি তোমার কুণ্ডলী
ধূলিশয্যা আলো করে সপ্তর্ষিমণ্ডলী
পত্রপল্লবেরা সুখে বাজায় কাঁসর
ত্রিলোক যাপন করে সতীত্ব বাসর
 
তোমাকে সুরক্ষা দেয় জোনাকির কলি! 

দিনাজপুরে বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল, রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস

বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল। ছবি: সংগৃহীত

ধান নয়, বাঁশের ফুলের বীজ থেকে তৈরি হচ্ছে চাল। তা দিয়ে রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস। এমনকি সেই চালের আটা তৈরি করে বানানো হচ্ছে রুটি। বাঁশ ও কঞ্চিতে ঝুলছে ধানসদৃশ দানাদার ফল। সেই ফল সংগ্রহ করা হচ্ছে বস্তায়। ময়লা পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে চলছে মাড়াই। এভাবেই তৈরি করা হচ্ছে বাঁশের চাল।

বাঁশফুল সংগৃহ করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের পাকাপান গ্রামে। বাঁশের ফল থেকে ধানসদৃশ দানাদার শস্য সংগ্রহ করে এলাকায় হইচই ফেলে দিয়েছেন গ্রামের তরুণ সাঞ্জু রায় (২৫)। সঞ্জু রায় উপজেলার ১নং এলুয়ারি ইউনিয়নের পাকাপান গ্রামের শিমুল চন্দ্র রায়ের ছেলে। পেশায় একজন কৃষিশ্রমিক।

গত এক সপ্তাহে প্রায় সাত মণ দানাদার শস্য সংগ্রহ করেছেন। ইতোমধ্যে দুই মণ চাল পেয়েছেন। নিজে যেমন রান্না করে খেয়েছেন, তেমনি আশপাশের মানুষের কাছে বিক্রিও করেছেন প্রতি কেজি ৪০ টাকায়। প্রতিবেশী বৃদ্ধের কাছে গল্প শুনে বাঁশফুলের বীজ থেকে দানা (চাল) সংগ্রহ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে উৎসুক এলাকাবাসীর মধ্যে এ বীজ সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে।

পাকাপান গ্রামের সাঞ্জু রায় ও প্রতিবেশী বৃদ্ধ কালিচন্দ্র রায় (৭০) দুজনই পেশায় দিনমজুর। তিনি সাঞ্জু রায়কে গল্প শোনান যে, ১৯৭১ সালে এরকম বাঁশফুলের দানা থেকে চাল সংগ্রহ করতে দেখেছেন। সে সময় অনেকেই এ দানা চাল হিসেবে ভাত রান্না করে খেয়েছেন।

সাঞ্জু রায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পাশের ঝাড় থেকে বাঁশের বীজ সংগ্রহ করছেন তিনি। তার মা বাঁশফুলগুলো কুলা দিয়ে ঝেড়ে পরিষ্কার করছেন। সেই বীজ পানিতে ধুয়ে সাঞ্জু রায় পরিষ্কার করে রোদে শুকাচ্ছেন। এরপর সেগুলো ধানের হাসকিং মিলে ভাঙাবেন। বাড়ির উঠানে প্রস্তুতকৃত এমন কয়েকটি বীজের বস্তা দেখা যায়। কিছু দানা ভাঙিয়ে রেখেছেন। গ্রামের অনেকেই তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বাঁশের ফুল থেকে চাল উৎপাদন করার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এটি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন তার বাড়িতে।

সাঞ্জু রায় বলেন, বাঁশের কঞ্চিতে ফলগুলো শুকিয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে কঞ্চি ধরে নাড়া দিলে ঝরে পড়ছে। এ পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ ২০ কেজি সংগ্রহ করেছেন। এক কেজিতে চাল পেয়েছেন আধা কেজির মতো। রান্না করে খেয়েছেন। ভাতের মতোই স্বাদ। পায়েসও রান্না করেছেন। আটা বানিয়ে রুটিও খেয়েছেন। ইতোমধ্যে আড়াই হাজার টাকার চাল বিক্রিও করেছেন। এখনও পাঁচ বস্তা মজুত আছে। ভালোই লাগছে।

বাঁশফুল থেকে পাওয়া চাল। ছবি: সংগৃহীত

বাঁশগাছে পাওয়া দানাদার শস্যের চাল নিয়ে গেছেন পাড়ার সুনীল রায়, লিপি রানী ও কামিনী বালা। তারা জানান, সাঞ্জুকে ধানের চাল বদল দিয়ে বাঁশের চাল নিয়েছেন এক কেজি করে। রান্না করে খেয়েছেনও। খুবই সুস্বাদু।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রকিবুল হাসান বলেন, বাঁশের বীজ থেকে চাল উৎপাদন হয় এই প্রথম জানলাম। দেশের কোথাও এমন ঘটনা শোনা যায়নি। এটি বিরল ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে আমরা শিগগিরই গবেষণার কাজ শুরু করব।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুজ্জামান জানান, বাঁশ এবং ধান একই প্রজাতির। ৫০ বছরে একটি বাঁশঝাড়ে একবার ফল আসে। পরে আর সেই বাঁশঝাড়টি আর টিকে থাকে না। তবে বাঁশফলের সেই দানা থেকে অবিকল চালের মতো দানা হয়। যার ভাতের স্বাদ ধানের চালের ভাতের মতোই। তবে এটি সম্ভাবনাময় নয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিভিকালচার জেনেটিকস বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বাঁশে সাধারণত ফুল হয় না। তবে প্রজাতিভেদে ২৫ থেকে ৬০ বছর পরে ফুল আসতে পারে। ফুল আসা মানেই ওই বাঁশের জীবনচক্র শেষ হওয়া। বাঁশফলটা দেখতে অনেকটা ধানের বীজের মতো।

পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পদ্মা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

নিহতরা হলো- পবা উপজেলার কাটাখালির বাখরা বাঁশ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেন্টুর ছেলে যুবরাজ (১২), নুর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান (১৪), লিটনের ছেলে আরিফ (১৪)। তারা সবাই স্কুলশিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাত কিশোর একসঙ্গে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমেছিল। এক পর্যায়ে তিনজন পানিতে তলিয়ে যায়। বাকি চারজন চেষ্টা করলেও কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা বলেন, পদ্মায় গোসলে নেমে নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাড়তে পারে তাপমাত্রা

আবহাওয়া ভবন। ছবি সংগৃহীত

বাড়তে পারে তাপমাত্রা। সেইসঙ্গে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি কিংবা গরম কমারও কোনো সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) আরও তিন দিনের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে তীব্র ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।’

চলতি মৌসুমে গত শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র গরমের কারণে স্কুল-কলেজে সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

দিনাজপুরে বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল, রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস
পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার
বাড়তে পারে তাপমাত্রা
আজ রাতেই দেখা মিলবে ‘গোলাপী’ চাঁদের
চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি
দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় নারী দল
"বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, আছে সন্তানও"
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
রাজধানীতে তীব্র গরমে এক পথচারীর মৃত্যু
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সেই দেলোয়ার
দেশের বাজারে দাম কমলো স্বর্ণের
থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে
বৃষ্টির জন্য রাজধানীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়
পদ্মায় গোসল করতে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার পেলেন ১৪ হাজার ৫৫০ জন কৃষক
কাতারের আমিরের নামে ঢাকায় সড়ক ও পার্কের নামকরণ
ইসলাম গ্রহণ করেছেন বিখ্যাত ডাচ অভিনেতা ডনি রোয়েলভিঙ্ক
আপাতত বিয়ের প্ল্যান নেই, এনজয় করছি : জয়া আহসান