শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ১

অস্ফুট ভালোবাসা

টেলিফোনটা অনেকক্ষণ ধরে বাজছে। চোখ মেলে ধরার মতো শক্তি পাচ্ছে না অনিন্দ্য। কিন্তু না ধরে উপায় নেই। দেখা যাবে না খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছে সারাদিন। ফোন করলে ধরবে না। তাই বহু কষ্টে সাইড টেবিলের ওপর হাত বাড়িয়ে টেলিফোনের রিসিভারটা টেনে ধরেতেই-

-কটা বাজে খেয়াল আছে। আচ্ছা সারাদিন পড়ে পড়ে ঘুমালে আর রাত জেগে অফিস করলে অন্যসব কাজ করবে কখন বলতো।

-এইতো উঠে পড়ছি। এখন রাখো। 

-রাখবই তো, আমি তো তোমার ঘরের বউ না যে বালতি দিয়ে পানি ছিটিয়ে তোমার ঘুম ভাঙাবো।   

-বউ না হয়েই যা করছ। বউ হওয়ার পর তো খবর আছে।

-মানে কি?

-মানে আর কি, আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছ না।

-তোমার সংসারে আমি যাব না। তুমি আমাকে কখনই পাবে না।

-এত প্রতিদিনই শুনি। 

-কি? অনিন্দ্য। খুব খারাপ।

-ওকে সুইট হার্ট। একটু আদর দাও। তা না হলে উঠব না।

-পারব না।

-দাও না। তোমার আদর ছাড়া আমি কখনো বিছানা ছেড়েছি। বলো।

-তোমাকে কোন দুঃখে আদর দেব। তুমি আমার কে? রাখবা ১০০০ মাইল দূরে। আবার আদর চাও। মামার বাড়ির আবদার।

-দাও না। তা না হলে উঠব না। 

-ওকে দিলাম। এবার ওঠ। 

-গুডু গুডু। উঠছি, রাখো।


অফিসে কাজের ধকলটা ইদানিং বেড়ে গেছে। চারদিকে নানা ঘটনা। মাঝে মাঝে মনে হয় এই বুঝি পুরো দেশটাই ধসে পড়বে। দেশে অকার্যকর সরকার থাকলে যা হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় পেশাটা বদল করি। বাসার কেউ পেশাটা পছন্দ করছে না। কিন্তু অফিসে গিয়ে যখন কাজের মাঝে ডুবে যাই, তখন সে ভাবনা আর থাকে না। তখন মনে হয় জাতির জন্য কিছু একটা করার সুযোগ তো এটাই। 

গভীর রাতে বাড়ি ফিরে অনিন্দ্য যখন ঘুমাতে যায় অন্যদের ততক্ষণে জেগে ওঠার সময় হয়ে যায়। তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে তার উঠা হয় না। অনিন্দ্য জানে এসময় ফারাহ ছাড়া আর কেউ ফোন করে না। শুধু অনিন্দ্য কেন, তার বাড়ির সবাই জানে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ল্যান্ড ফোনে থেমে থেমে যে কলটা বাজে সেটা ফারাহর। মোবাইলে করতে পারে। কিন্তু অনিন্দ্য মোবাইল অফ করে ঘুমাতে যায়। তাই ল্যান্ড ফোনে ফোন করে ফারাহ। প্যারালাল লাইন আছে ড্রইং রুমে। সেটা যে কেউ রিসিভ করতে পারে। তা ফারাহকে বলা হয়েছে। কিন্তু তার সোজা কথা আমি কি চুরি করছি। আমি তোমার সঙ্গে প্রেম করছি। বাড়ির লোক না জানলে হবে? গত পাঁচ বছর ধরে এ রুটিন চলছে। তার মাস্টার্স শেষ করেছে এক বছর হলো। এখনো কোন চাকরি খুঁজে পায়নি। ঘরে বসে শুধু চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রন্তুতি নিচ্ছে। 

এই ফারাহটা আজব এক ক্যারেক্টর। কোটিপতি বাবার একমাত্র মেয়ে। সে জানে তার কাছে চাকরি পাওয়টা শুধু চাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ। তার বাবাই সেটার জন্য যথেষ্ট। তার বাবা বহুবার তাদের নিজেদের কোম্পানিতে যোগ দিতে বলেছে। কিন্তু সে রাজি না। তার যুক্তি, যদি বাবার কোম্পানিতে চাকরি করব তাহলে এতো পড়াশুনা করে লাভ কি হলো। সে চাকরিতো না পড়েও পাওয়া যায়। তাছাড়া দেশের চাকরির বাজারটাও একটু দেখি। দেশে এত বেকার। সবার তো ফারাহর মতো কোটিপতি বাবা নেই। তাদের একটি চাকরি দরকার। তারা তা পাচ্ছে না। আর সে বাবার জোরে চাকরি পেয়ে যাবে তা হয় না।

এ নিয়ে সাদেক চৌধুরির সঙ্গে মানে ফারাহর বাবার প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। আমি ও বেশ কয়েকবার তাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এ বিষয়ে আলাপ তুললেই ফারাহ কথা ঘুরিয়ে ফেলে। বলে আমিতো ঘর সংসার আর বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সারক্ষণ মেতে থাকতে চাই। আর তোমাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াতে চাই। কিন্তু তুমি আমাকে একটুও সময় দিতে চাও না। বলতো গত এক মাসে তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে বেড়িয়েছ। আসলে তুমি একটা পাষাণ। তোমার মধ্যে ভালোবাসা টালোবাসা বলতে কিছু নেই।

এই বলে কিছুক্ষণ কাঁদবে। ও যখন কান্না করে আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার কোমলতা দেখি। মনে হয় দুগ্ধপুষ্য কোনো শিশু মাকে না পেয়ে কাঁদছে। সে কান্নাটা এতই মধুর যে তারদিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না। যার মধ্যে ছলনার বিন্দু মাত্র রেশ নেই। যা শুধু আবেগ আর ভালোবাসায় ভরপুর। কিছুক্ষণ পর আমি যখন তার মাথায় হাত রাখি, সে তখন একেবারে চুপসে যায়। মনে হয় ওর জীবনের সম্পূর্ণ নির্ভরতা যেন আমকে ঘিরে। আমার কাঁধে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবে। নিঃশব্দ নীরবতায় কেটে যায় আমাদের কিছু সময়।

অথচ এই ফারার সঙ্গে আমার পরিচয়ের সূত্রটা বেশ নাটকীয়। যা মনে করে এখনও আমরা দুজনই বেশ মজা পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া অবস্থা থেকেই আমি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পরি। চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ওপর একটা ফিচার লেখার দায়িত্ব পড়েছিল আমার ঘাড়ে।  

ঢাকার বাইরে প্রথম ট্যুর পেয়ে ভালোই লাগছে। চারদিনের ট্যুর। তাও আবার চট্টগ্রামে। লম্বা জার্নি। অনেকদিন হলো লং জার্নি করা হয় না। অফিস থেকে বলার পর না করলাম না। লুফে নিলাম। ঢাকাকে বাইরের লোকজন কেন এমন স্বর্গ ভাবে জানি না। সারাদেশের লোক ছুটছে ঢাকায়। আর ঢাকাবাসী সুযোগ পেলেই ছুটছে প্রকৃতির কাছে। একটু নীরবতা। একটু সবুজ। মুক্ত বাতাস। খোলা দিগন্তের দিকে তাকিয়ে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। কিন্তু একা যাব ভাল লাগবে কি? বুঝতে পারছি না। মিজানের বাড়ি চট্টগ্রামে। ওকে নিয়ে গেলে মন্দ হয় না। মিজানের তেমন কোনো কাজও নেই। বললে না করবে না। মিজানকে ফোনে বললাম-কোনো কাজ আছে, চার-পাঁচ দিন। মিজান জানাল সে যেতে পারবে। শুরু হলো আমাদের যাত্রা।

অনেকদিন পর ঢাকার বাইরে যাচ্ছি উৎসাহে দুইদিন আগে গিয়ে ট্রেনের টিকেট কেটে নিলাম। শুক্রবার যথারীতি আমরা মিলিত হলাম কমলাপুর রেল স্টেশনে। টিকেট অনুযায়ী আমরা সিটে গিয়ে বসলাম। এমন সময় আরও দুজন আমার সিটে বসতে পাশে এসে দাঁড়াল। কারণটা প্রথমে বুঝলাম না। একই সিট নম্বরে দুইজন যাত্রী থাকতে দেখেছি। কিন্তু তিনজনের সিট হলো কি করে। আশেপাশের সবাই এ নিয়ে কানাঘুষা শুরু করল। অবশেষে টিটি এসে টিকেট দেখতে চাইল। আমার টিকেট দেখে টিটি আমার মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল আপনার ট্রেন আগামীকাল ছাড়বে। আমি বললাম, মানে! টিটি বললেন টিকেটে তারিখ দেখুন। ততক্ষণে ট্রেনে হাসাহাসি শুরু হয়ে গেল। আমি আর মিজান কোরোমতে ট্রেন থেকে নেমে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম মিজান আমার ওপর রাগ করবে। কিন্তু ট্রেন থেকে নেমে হো হো করে হেসে উঠল। বলল অনিন্দ্য তোর তো মাথাই ঠিক নেই ফিচার কি লিখবি। আমি অবশ্য বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। মিজান সেটা বুঝতে পেরে বেশিক্ষণ ঠাট্টা করল না, আমার হাত থেকে টিকেট দুটো নিয়ে কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে বলল আমার কাছে আগামীকালের দুটি টিকেট আছে কারো লাগলে সেটা নিতে পারেন। ইতোমধ্যে কাউন্টারে টিকেট শেষ হয়ে গিয়েছিল। মিজান বলার সঙ্গে সঙ্গে দুজন ভারতীয় লোক কাছে এসে টিকেট দুটি কিনে নিতে কাউন্টারে দেখাল। কাউন্টার থেকে জানাল টিকেট ঠিক আছে। পরে তারা টিকেট দুটি কিনে নিল। 

মিজান বলল চল যাত্রা পথে বাধা পড়েছে। কাল যাই। আমি বললাম না। দেখ মিজান আমি কোনো বাধা টাধা বিশ্বাস করি না। আমি আজই যাব। পরে আমরা বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দিলাম। যাত্রার পুরো পথ মিজান আমাকে খেপিয়েছে।          

আমরা চট্টগ্রাম গিয়ে পৌঁছালাম রাত সাড়ে এগারটা। আমাদের হাতছাড়া ট্রেনটাও আমাদের সঙ্গে চট্টগ্রামে পৌঁছাল। মিজানকে বললাম চল কিছু খেয়ে একবারে স্টেশনে ঢুকি। আমরা স্টেশনে গেলাম রাত তখন সোয়া বারটা। স্টেশনে মানুষজন খুব একটা নেই। স্টেশনের ভিতরে এক পাশে একটা টিনেজার গ্রুপ বসে আছে। কাছে গিয়ে জানতে পারলাম দলটি রাঙামাটি যাবে। সকালে ওদের যাত্রা সময়। রাতে স্টেশনে থেকে খরচ বাঁচাচ্ছে। অপর দিকে কয়েকজন দরিদ্র শ্রেণির লোক বসে আছে। আমরা তাদের ঠিক উল্টোপাশের চেয়ারে গিয়ে বসলাম। বিকেলের ধকলটা বারবার মনে হচ্ছিল। বলা যায় আমার বোকামিটা আমাকে তারা করছিল। আর আমার সাংবাদিকতার জীবনে ঢাকার বাইরে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেটাকে কীভাবে ভাল করা যায় তা নিয়ে ও ভাবনা হচ্ছিল।

হঠাৎ মিজান আমাকে আমাদের ঠিক উল্টোপাশে বসে থাকা একটি মেয়ের দিকে দৃষ্টি দিতে বলল। মিজান চট্টগ্রামের ছেলে। এত রাতে একটি মেয়েকে রেল স্টেশনে একা বসে থাকতে দেখে তার সন্দেহ হলো। মিজান আমাকে বলল অনিন্দ্য দেখ তোর ফিচারের একটা আইটেম হতে পারে। আসলে আমার অ্যাসাইনমেন্টটা ছিল চোখের সামনের ঘটনাকে বর্ণনা করা। আর এত রাতে স্টেশনে একা কোনো মেয়েকে দেখে যে কেউই এর কারণ জানতে চাইবে। আমি মিজানকে বললাম চল আলাপ করে আসি। কাছে গিয়ে মিজান বলল, প্লিজ আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি। মেয়েটি বলে উঠল জী, বলতে পারেন। আপনি তো জানতে চাইবেন আমি এত রাতে এখানে কি করছি। দেখুন এ পর্যন্ত আমি অন্তত গোটা দশেক লোককে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। মেয়েটি উত্তেজিত হয়ে গেল। আমি এখানে বসে আছি তাতে কী কারো শান্তি নস্ট হয়েছে। 

আমি বললাম, দেখুন আমি একজন সাংবাদিক। আমরা যা করছি তা আমাদের পেশার দায়িত্ব থেকেই করছি। তা ছাড়া আপনাকে দেখে ভদ্র ঘরের মেয়ে মনে হয়। এত রাতে এখানে বসে আছেন সুতরাং কৌতুহল তো থাকবেই। আপনি কথা বলতে চান না সেটা আলাদা কথা। এমন সময় স্টেশনের এক গার্ড এসে আমাদের উদ্দেশে বলল কি ভাই মেয়েটা একা বসে আছে ওকে বিরক্ত করছেন কেন। গার্ডের পিছনে তিন চার জন চেংরা ছেলে। মিজান এগিয়ে গিয়ে চাটগাঁয়ের ভাষায় আমাদের পরিচয় দিল। গার্ড তখন নরম সুরে বলল আগে বলবেন তো। আমিতো ভাবছি মেয়েটাকে একা পেয়ে বিরক্ত করছেন। আমি আর কথা বাড়ালাম না মিজানকে বললাম চল এখানে দাঁড়িয়ে থেকে সময় নস্ট না করে স্টেশনটা ঘুরে দেখি। 

 

(চলবে)

 

Header Ad

টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ

উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে গোপালপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে সমাবেশ ও আলোচনা সভা কর্মসূচি পালন করেছে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। শুক্রবার (০৩ মে) বিকালে উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে জেলার গোপালপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরাম ও গোপালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মিল্টন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- ফোরামের সহ-সভাপতি আনছার আলী, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুল, ঘাটাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি খান ফজলুর রহমান, মধুপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শহীদ, গোপালপু্র প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কে এম মিঠু,
সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ফোরামের কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ ঘোষ, সাংবাদিক আনোয়ার সাদত ইমরান, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এছাড়াও জেলার গোপালপুর, ভূঞাপুর, ঘাটাইল, মধুপুর, ধনবাড়ী ও কালিহাতী উপজেলার বিভিন্ন মিডিয়ার প্রায় অর্ধশত গণমাধ্যমকর্মী আলোচনা সভা ও সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় বক্তারা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং গ্রামীণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেন।

গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আজকে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, ভোটাধিকার ফিরে পাবার জন্য লড়াই করছে, তাদের নাম ইতহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’

শুক্রবার সারাদেশে চলমান তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, কিয়ামত পর্যন্ত তো আপনারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আপনাদের যখন বিদায় হবে। তখন যে ইতিহাস লেখা হবে সেই ইতিহাসে দেশের জনগণ আপনাদের মীরজাফর হিসেবে চিনবে। মীরজাফর যেমন নিগৃত হয়েছে আপনারা তেমন হবেন।

তিনি বলেন, বিএনপির লোকজন বিদেশে যাবে কেন? তারা জেলে যাচ্ছে। তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। তারপরও তারা এদেশে থেকে গণতন্ত্রের জন্য আদম্য সাহস নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের প্রেরণা হচ্ছে খালেদা জিয়া। তিনি বিদেশে চলে যেতে পারতেন। কিন্তু জনগণকে ছেড়ে তিনি বিদেশে যাননি।

সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারা নিজেরাই চাপে আছে : ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে আছে। কারণ আরব বসন্তের ছোঁয়া আটলান্টিকের ওপারেও লেগেছে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেগম জিয়া আইনের ফাঁদে আটকা। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মামলা করেনি। বিএনপির নেতাকর্মীরা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতেও ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ব্যাপক উদযাপনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পালন করব। আগামী ১৭ মে আমাদের নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সারা দেশে কর্মসূচি পালন করব।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দল নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে আন্দোলনের নামে সারা দেশে যে ভয় সৃষ্টি করেছে, জনগণ তাদের পাশে নেই। বিএনপি ঝিমিয়ে পড়েছে। কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।’ এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ
গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী
সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারা নিজেরাই চাপে আছে : ওবায়দুল কাদের
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২ হাজার
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক
শনিবার যেসব জেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি!
নওগাঁয় আ.লীগ নেতার প্রচারে যাওয়া ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ
বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর
যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০
১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক
রোমাকে হারিয়ে ইউরোপার ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
অপহৃত ১২ জেলেকে ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি
জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
আজ তিনশ ফিট এলাকায় বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী আলু ঘাটি উৎসব