বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ১

অস্ফুট ভালোবাসা

টেলিফোনটা অনেকক্ষণ ধরে বাজছে। চোখ মেলে ধরার মতো শক্তি পাচ্ছে না অনিন্দ্য। কিন্তু না ধরে উপায় নেই। দেখা যাবে না খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছে সারাদিন। ফোন করলে ধরবে না। তাই বহু কষ্টে সাইড টেবিলের ওপর হাত বাড়িয়ে টেলিফোনের রিসিভারটা টেনে ধরেতেই-

-কটা বাজে খেয়াল আছে। আচ্ছা সারাদিন পড়ে পড়ে ঘুমালে আর রাত জেগে অফিস করলে অন্যসব কাজ করবে কখন বলতো।

-এইতো উঠে পড়ছি। এখন রাখো। 

-রাখবই তো, আমি তো তোমার ঘরের বউ না যে বালতি দিয়ে পানি ছিটিয়ে তোমার ঘুম ভাঙাবো।   

-বউ না হয়েই যা করছ। বউ হওয়ার পর তো খবর আছে।

-মানে কি?

-মানে আর কি, আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছ না।

-তোমার সংসারে আমি যাব না। তুমি আমাকে কখনই পাবে না।

-এত প্রতিদিনই শুনি। 

-কি? অনিন্দ্য। খুব খারাপ।

-ওকে সুইট হার্ট। একটু আদর দাও। তা না হলে উঠব না।

-পারব না।

-দাও না। তোমার আদর ছাড়া আমি কখনো বিছানা ছেড়েছি। বলো।

-তোমাকে কোন দুঃখে আদর দেব। তুমি আমার কে? রাখবা ১০০০ মাইল দূরে। আবার আদর চাও। মামার বাড়ির আবদার।

-দাও না। তা না হলে উঠব না। 

-ওকে দিলাম। এবার ওঠ। 

-গুডু গুডু। উঠছি, রাখো।


অফিসে কাজের ধকলটা ইদানিং বেড়ে গেছে। চারদিকে নানা ঘটনা। মাঝে মাঝে মনে হয় এই বুঝি পুরো দেশটাই ধসে পড়বে। দেশে অকার্যকর সরকার থাকলে যা হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় পেশাটা বদল করি। বাসার কেউ পেশাটা পছন্দ করছে না। কিন্তু অফিসে গিয়ে যখন কাজের মাঝে ডুবে যাই, তখন সে ভাবনা আর থাকে না। তখন মনে হয় জাতির জন্য কিছু একটা করার সুযোগ তো এটাই। 

গভীর রাতে বাড়ি ফিরে অনিন্দ্য যখন ঘুমাতে যায় অন্যদের ততক্ষণে জেগে ওঠার সময় হয়ে যায়। তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে তার উঠা হয় না। অনিন্দ্য জানে এসময় ফারাহ ছাড়া আর কেউ ফোন করে না। শুধু অনিন্দ্য কেন, তার বাড়ির সবাই জানে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ল্যান্ড ফোনে থেমে থেমে যে কলটা বাজে সেটা ফারাহর। মোবাইলে করতে পারে। কিন্তু অনিন্দ্য মোবাইল অফ করে ঘুমাতে যায়। তাই ল্যান্ড ফোনে ফোন করে ফারাহ। প্যারালাল লাইন আছে ড্রইং রুমে। সেটা যে কেউ রিসিভ করতে পারে। তা ফারাহকে বলা হয়েছে। কিন্তু তার সোজা কথা আমি কি চুরি করছি। আমি তোমার সঙ্গে প্রেম করছি। বাড়ির লোক না জানলে হবে? গত পাঁচ বছর ধরে এ রুটিন চলছে। তার মাস্টার্স শেষ করেছে এক বছর হলো। এখনো কোন চাকরি খুঁজে পায়নি। ঘরে বসে শুধু চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রন্তুতি নিচ্ছে। 

এই ফারাহটা আজব এক ক্যারেক্টর। কোটিপতি বাবার একমাত্র মেয়ে। সে জানে তার কাছে চাকরি পাওয়টা শুধু চাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ। তার বাবাই সেটার জন্য যথেষ্ট। তার বাবা বহুবার তাদের নিজেদের কোম্পানিতে যোগ দিতে বলেছে। কিন্তু সে রাজি না। তার যুক্তি, যদি বাবার কোম্পানিতে চাকরি করব তাহলে এতো পড়াশুনা করে লাভ কি হলো। সে চাকরিতো না পড়েও পাওয়া যায়। তাছাড়া দেশের চাকরির বাজারটাও একটু দেখি। দেশে এত বেকার। সবার তো ফারাহর মতো কোটিপতি বাবা নেই। তাদের একটি চাকরি দরকার। তারা তা পাচ্ছে না। আর সে বাবার জোরে চাকরি পেয়ে যাবে তা হয় না।

এ নিয়ে সাদেক চৌধুরির সঙ্গে মানে ফারাহর বাবার প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। আমি ও বেশ কয়েকবার তাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এ বিষয়ে আলাপ তুললেই ফারাহ কথা ঘুরিয়ে ফেলে। বলে আমিতো ঘর সংসার আর বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সারক্ষণ মেতে থাকতে চাই। আর তোমাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াতে চাই। কিন্তু তুমি আমাকে একটুও সময় দিতে চাও না। বলতো গত এক মাসে তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে বেড়িয়েছ। আসলে তুমি একটা পাষাণ। তোমার মধ্যে ভালোবাসা টালোবাসা বলতে কিছু নেই।

এই বলে কিছুক্ষণ কাঁদবে। ও যখন কান্না করে আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার কোমলতা দেখি। মনে হয় দুগ্ধপুষ্য কোনো শিশু মাকে না পেয়ে কাঁদছে। সে কান্নাটা এতই মধুর যে তারদিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না। যার মধ্যে ছলনার বিন্দু মাত্র রেশ নেই। যা শুধু আবেগ আর ভালোবাসায় ভরপুর। কিছুক্ষণ পর আমি যখন তার মাথায় হাত রাখি, সে তখন একেবারে চুপসে যায়। মনে হয় ওর জীবনের সম্পূর্ণ নির্ভরতা যেন আমকে ঘিরে। আমার কাঁধে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবে। নিঃশব্দ নীরবতায় কেটে যায় আমাদের কিছু সময়।

অথচ এই ফারার সঙ্গে আমার পরিচয়ের সূত্রটা বেশ নাটকীয়। যা মনে করে এখনও আমরা দুজনই বেশ মজা পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া অবস্থা থেকেই আমি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পরি। চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ওপর একটা ফিচার লেখার দায়িত্ব পড়েছিল আমার ঘাড়ে।  

ঢাকার বাইরে প্রথম ট্যুর পেয়ে ভালোই লাগছে। চারদিনের ট্যুর। তাও আবার চট্টগ্রামে। লম্বা জার্নি। অনেকদিন হলো লং জার্নি করা হয় না। অফিস থেকে বলার পর না করলাম না। লুফে নিলাম। ঢাকাকে বাইরের লোকজন কেন এমন স্বর্গ ভাবে জানি না। সারাদেশের লোক ছুটছে ঢাকায়। আর ঢাকাবাসী সুযোগ পেলেই ছুটছে প্রকৃতির কাছে। একটু নীরবতা। একটু সবুজ। মুক্ত বাতাস। খোলা দিগন্তের দিকে তাকিয়ে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। কিন্তু একা যাব ভাল লাগবে কি? বুঝতে পারছি না। মিজানের বাড়ি চট্টগ্রামে। ওকে নিয়ে গেলে মন্দ হয় না। মিজানের তেমন কোনো কাজও নেই। বললে না করবে না। মিজানকে ফোনে বললাম-কোনো কাজ আছে, চার-পাঁচ দিন। মিজান জানাল সে যেতে পারবে। শুরু হলো আমাদের যাত্রা।

অনেকদিন পর ঢাকার বাইরে যাচ্ছি উৎসাহে দুইদিন আগে গিয়ে ট্রেনের টিকেট কেটে নিলাম। শুক্রবার যথারীতি আমরা মিলিত হলাম কমলাপুর রেল স্টেশনে। টিকেট অনুযায়ী আমরা সিটে গিয়ে বসলাম। এমন সময় আরও দুজন আমার সিটে বসতে পাশে এসে দাঁড়াল। কারণটা প্রথমে বুঝলাম না। একই সিট নম্বরে দুইজন যাত্রী থাকতে দেখেছি। কিন্তু তিনজনের সিট হলো কি করে। আশেপাশের সবাই এ নিয়ে কানাঘুষা শুরু করল। অবশেষে টিটি এসে টিকেট দেখতে চাইল। আমার টিকেট দেখে টিটি আমার মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল আপনার ট্রেন আগামীকাল ছাড়বে। আমি বললাম, মানে! টিটি বললেন টিকেটে তারিখ দেখুন। ততক্ষণে ট্রেনে হাসাহাসি শুরু হয়ে গেল। আমি আর মিজান কোরোমতে ট্রেন থেকে নেমে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম মিজান আমার ওপর রাগ করবে। কিন্তু ট্রেন থেকে নেমে হো হো করে হেসে উঠল। বলল অনিন্দ্য তোর তো মাথাই ঠিক নেই ফিচার কি লিখবি। আমি অবশ্য বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। মিজান সেটা বুঝতে পেরে বেশিক্ষণ ঠাট্টা করল না, আমার হাত থেকে টিকেট দুটো নিয়ে কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে বলল আমার কাছে আগামীকালের দুটি টিকেট আছে কারো লাগলে সেটা নিতে পারেন। ইতোমধ্যে কাউন্টারে টিকেট শেষ হয়ে গিয়েছিল। মিজান বলার সঙ্গে সঙ্গে দুজন ভারতীয় লোক কাছে এসে টিকেট দুটি কিনে নিতে কাউন্টারে দেখাল। কাউন্টার থেকে জানাল টিকেট ঠিক আছে। পরে তারা টিকেট দুটি কিনে নিল। 

মিজান বলল চল যাত্রা পথে বাধা পড়েছে। কাল যাই। আমি বললাম না। দেখ মিজান আমি কোনো বাধা টাধা বিশ্বাস করি না। আমি আজই যাব। পরে আমরা বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দিলাম। যাত্রার পুরো পথ মিজান আমাকে খেপিয়েছে।          

আমরা চট্টগ্রাম গিয়ে পৌঁছালাম রাত সাড়ে এগারটা। আমাদের হাতছাড়া ট্রেনটাও আমাদের সঙ্গে চট্টগ্রামে পৌঁছাল। মিজানকে বললাম চল কিছু খেয়ে একবারে স্টেশনে ঢুকি। আমরা স্টেশনে গেলাম রাত তখন সোয়া বারটা। স্টেশনে মানুষজন খুব একটা নেই। স্টেশনের ভিতরে এক পাশে একটা টিনেজার গ্রুপ বসে আছে। কাছে গিয়ে জানতে পারলাম দলটি রাঙামাটি যাবে। সকালে ওদের যাত্রা সময়। রাতে স্টেশনে থেকে খরচ বাঁচাচ্ছে। অপর দিকে কয়েকজন দরিদ্র শ্রেণির লোক বসে আছে। আমরা তাদের ঠিক উল্টোপাশের চেয়ারে গিয়ে বসলাম। বিকেলের ধকলটা বারবার মনে হচ্ছিল। বলা যায় আমার বোকামিটা আমাকে তারা করছিল। আর আমার সাংবাদিকতার জীবনে ঢাকার বাইরে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেটাকে কীভাবে ভাল করা যায় তা নিয়ে ও ভাবনা হচ্ছিল।

হঠাৎ মিজান আমাকে আমাদের ঠিক উল্টোপাশে বসে থাকা একটি মেয়ের দিকে দৃষ্টি দিতে বলল। মিজান চট্টগ্রামের ছেলে। এত রাতে একটি মেয়েকে রেল স্টেশনে একা বসে থাকতে দেখে তার সন্দেহ হলো। মিজান আমাকে বলল অনিন্দ্য দেখ তোর ফিচারের একটা আইটেম হতে পারে। আসলে আমার অ্যাসাইনমেন্টটা ছিল চোখের সামনের ঘটনাকে বর্ণনা করা। আর এত রাতে স্টেশনে একা কোনো মেয়েকে দেখে যে কেউই এর কারণ জানতে চাইবে। আমি মিজানকে বললাম চল আলাপ করে আসি। কাছে গিয়ে মিজান বলল, প্লিজ আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি। মেয়েটি বলে উঠল জী, বলতে পারেন। আপনি তো জানতে চাইবেন আমি এত রাতে এখানে কি করছি। দেখুন এ পর্যন্ত আমি অন্তত গোটা দশেক লোককে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। মেয়েটি উত্তেজিত হয়ে গেল। আমি এখানে বসে আছি তাতে কী কারো শান্তি নস্ট হয়েছে। 

আমি বললাম, দেখুন আমি একজন সাংবাদিক। আমরা যা করছি তা আমাদের পেশার দায়িত্ব থেকেই করছি। তা ছাড়া আপনাকে দেখে ভদ্র ঘরের মেয়ে মনে হয়। এত রাতে এখানে বসে আছেন সুতরাং কৌতুহল তো থাকবেই। আপনি কথা বলতে চান না সেটা আলাদা কথা। এমন সময় স্টেশনের এক গার্ড এসে আমাদের উদ্দেশে বলল কি ভাই মেয়েটা একা বসে আছে ওকে বিরক্ত করছেন কেন। গার্ডের পিছনে তিন চার জন চেংরা ছেলে। মিজান এগিয়ে গিয়ে চাটগাঁয়ের ভাষায় আমাদের পরিচয় দিল। গার্ড তখন নরম সুরে বলল আগে বলবেন তো। আমিতো ভাবছি মেয়েটাকে একা পেয়ে বিরক্ত করছেন। আমি আর কথা বাড়ালাম না মিজানকে বললাম চল এখানে দাঁড়িয়ে থেকে সময় নস্ট না করে স্টেশনটা ঘুরে দেখি। 

 

(চলবে)

 

Header Ad
Header Ad

আমরা ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরিফ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (বামে) এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পাল্টা হামলাকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, "পাকিস্তানি সেনারা মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের আগ্রাসন রুখে দিয়ে প্রমাণ করেছে, পাকিস্তান আর ১৯৭১ সালের সেই দুর্বল রাষ্ট্র নয়। আমরা আমাদের ইতিহাসের প্রতিশোধ নিয়েছি।"

বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে "অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস"-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাতে এসব কথা বলেন শেহবাজ। তিনি এই সামরিক অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, “এই অপারেশন পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সেনারা দুর্দান্ত সাহস ও দ্রুততায় শত্রুর জবাব দিয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে ভারত ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানকে পরাজিত করে। এর আগে পাকিস্তান ভারতের বিমান ঘাঁটিতে ‘অপারেশন চেঙ্গিস খান’ চালায়, যার জবাবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

শেহবাজ বলেন, “ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে—পাকিস্তানের সাহসী সেনারা কীভাবে ভারতের অপ্ররোচিত আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে। তারা শুধু বর্তমানের নয়, অতীতের অপমানেরও জবাব দিয়েছে।”

পাক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীকে কারা প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। আজও সেই একই শক্তি বেলুচ লিবারেশন আর্মি এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে। এর পেছনে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

মোদির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে শেহবাজ বলেন, “আপনার জ্বালাময়ী বক্তব্য নিজের কাছে রাখুন। পাকিস্তান শান্তি চায়, কিন্তু কেউ যেন আমাদের শান্তির আহ্বানকে দুর্বলতা না ভাবে। যদি আপনি আরেকবার আগ্রাসনের চেষ্টা করেন, তাহলে ফলাফল আপনার কল্পনার বাইরে হবে।”

সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের পানি প্রবাহ বন্ধ করার হুমকির জবাবেও কড়া অবস্থান নেন শেহবাজ। তিনি বলেন, “পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। এটি পাকিস্তানের লাল লাইন। এই সীমা লঙ্ঘন করা হলে চরম পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”

শেহবাজের সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ও বিমানবাহিনী প্রধানসহ অন্যান্য শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।

Header Ad
Header Ad

পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ নার্সিং শিক্ষার্থীরা, শাহবাগে যান চলাচল শুরু

পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ নার্সিং শিক্ষার্থীরা, শাহবাগে যান চলাচল শুরু। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন ডিপ্লোমা নার্সিং শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মে) রাত ৯টার দিকে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন।

পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নার্সিং শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ মোড়ে পৌঁছান। শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিলেও শিক্ষার্থীরা তা অতিক্রম করে মোড়ে অবস্থান নেন, ফলে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভ চলাকালে রাত ৯টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরাতে লাঠিচার্জ শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীরা কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

আহত শিক্ষার্থী আভি শেখ বলেন, "আমরা পুলিশের কাছে মাত্র ১০ মিনিট সময় চেয়েছিলাম, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক ছেড়ে যেতে পারি। কিন্তু সেই সময় না দিয়ে তারা সরাসরি লাঠিচার্জ করে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।" তিনি আরও জানান, "আমরা এখন শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছি এবং সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।"

লাঠিচার্জের পর শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় ছেড়ে যাওয়ায় সেখানে যান চলাচল আবারও স্বাভাবিক হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোড়ে অবস্থান নিয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ রিকশাচালককে দেড় লাখ টাকা অনুদান, পাবেন চাকরিও

ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশাচালকের হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেন ডিএনসিসি প্রশাসক। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশাচালককে দেড় লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সেইসঙ্গে তাদের চাকরির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

বুধবার (১৪ মে) ডিএনসিসি ভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রশাসকের নিজ কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিন চালকের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকার চেক তুলে দেন তিনি।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, "মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা এই সহায়তা দিয়েছি। তবে এটা এককালীন। ভবিষ্যতে মূল সড়কে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করলে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তিনি আরও জানান, চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে এরই মধ্যে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) ডিএনসিসি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) যৌথভাবে আসাদগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল সড়কে চলাচলরত অবৈধ ব্যাটারিচালিত বেশ কিছু রিকশা জব্দ করে। কিছু রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন কয়েকজন চালক।

এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে ডিএনসিসি প্রশাসকের। পরে তিনি দ্রুত সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন।

ডিএনসিসি প্রশাসক আরও জানান, রাজধানীর প্রধান সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা অপসারণ করা হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অনুমোদিত মডেলে ব্যাটারিচালিত রিকশা উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে কয়েকটি কোম্পানিকে।

তিনি বলেন, "এসব রিকশাচালককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধ রিকশা পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হবে। ব্র্যাকের সহায়তায় প্রায় এক লাখ রিকশাচালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা চলতি মাসেই শুরু হবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরিফ
পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ নার্সিং শিক্ষার্থীরা, শাহবাগে যান চলাচল শুরু
অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ রিকশাচালককে দেড় লাখ টাকা অনুদান, পাবেন চাকরিও
বিশ্বের ‘সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা মারা গেছেন
পিএসএলে দল পেলেন সাকিব আল হাসান!
বিজিবির অভিযানে মেহেরপুর সীমান্তে ৯৪ লাখ টাকার স্বর্ণসহ আটক ২
আ.লীগ সরকারের করা চুক্তিতে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো সম্ভব: দুদক
আইপিএলে ডাক পেলেন মোস্তাফিজ, বিসিবি জানে না কিছুই!
টাঙ্গাইলে জেমসের কনসার্টে মোবাইল চুরির হিড়িক, থানায় ১২৯ জিডি
ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৬ মে
আত্মপক্ষের সুযোগ হারালেন টিউলিপ সিদ্দিক
১ মাস না যেতেই পাল্টে গেল ডেসটিনির রফিকুলের দলের নাম
অশ্লীলতার অভিযোগে ৬ অভিনেত্রী ও ৩ নির্মাতার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল থেকে রেইড: আসিফ মাহমুদ
ইসরায়েলের বিমানবন্দরে হুথিদের মিসাইল হামলা (ভিডিও)
আইপিএলে ৬ কোটিতে মুস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস
টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতার কারখানায় ডাকাতি, গ্রেফতার ৯
সেলিব্রিটি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন গিগাবাইট টাইটানস, উচ্ছ্বসিত সিয়াম-মেহজাবীনরা
এপ্রিলে আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার মিরাজ
সমাবর্তনে ড. ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়