সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

মোস্তফা রাতেই বলে রেখেছিল এদফু টেম্পল দেখতে যাবার জন্যে বেরোতে হবে সকাল ছয়টায়। রানা ভাইয়ের ধারণা মোস্তফা কিছুটা সময় হাতে রেখেই বলে। কাজেই খুব ভোরে উঠে পড়লেও আমরা নিচের লবিতে এলাম সোয়া ছয়টার দিকে। তখনও দুবাই মরক্কো বাহরাইনের যাত্রীদের দেখা নেই। সাড়ে ছয়টার দিকে সবাই এসে গেলে জলযান ছেড়ে আমরা ডাঙায় নেমে গেলাম। অন্যদিনের মতো কোথাও কোনো গাড়ি অপেক্ষা করে নেই, কিংবা সরাসরি পায়ে হেঁটে মন্দিরে ঢুকে পড়ারও কোনো ব্যবস্থা নেই। তার পরিবর্তে পথের উপরে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য অশ্বচালিত শকট! সোজা বাংলায় টমটম বা ঘোড়ার গাড়ি।

মিশরে এসে রাজশাহী শহরের প্রধান বাহন দেখে রাজশাহী দুহিতার খুশি হবার কথা! কিন্তু তাঁর মনোভাব বোঝার আগেই মোস্তফার নির্দেশনা অনুসারে আমরা দুজন একটা টাঙ্গায় উঠে বসলাম। তৃতীয় ব্যক্তিটি নিশ্চয়ই রানাভাই হবেন যখন ভাবছি তখনই অপরিচিত আরো একজন আমাদের সাথে এসে জুটলেন এবং মোস্তফার সাথে কিশোর চালকের কী কথপোকথন হলো জানি না, আমাদের অশ্ব শকট একটা আকস্মিক ঝাঁকুনি দিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে শুরু করলো।

এদফু মন্দিরের পথে

খ্রিস্টপূর্ব ৫৭ অব্দে ক্লিওপেট্রার বাবা দশম টলেমি আউলেটাসের আমলে এদফুর মন্দিরের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলেও আমরা দেখতে যাচ্ছি দুই হাজার ঊনআশি বছর পরে। আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট-এর মেসোডেনিয়ান জেনারেল এবং বিশ্বস্ত সঙ্গী প্রথম টলেমি দ্য সেভিয়ার খ্রিস্টপূর্ব ৩০৫ অব্দে নিজেকেই ফারাও প্রথম টলেমি হিসাবে ঘোষণা দিয়ে রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ততোদিনে আলেক্সান্ডারের ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছে এবং প্রকৃত ফারাও সম্রাটগণ তখন বিলুপ্ত প্রাণী। যিশু খ্রিস্টের জন্মের ৩৪১ বছর আগেই শেষ মিশরীয় ফারাওয়ের রাজত্ব শেষ হলে সূচনা হয়েছিল পারস্য রোমান গ্রিকদের রাজত্ব। এদের মধ্যে মিশরের ইতিহাসে টলেমি রাজবংশ সর্বশেষ এবং দীর্ঘতম শাসক রাজবংশ হিসাবে খ্রিস্টপূর্ব ৩০ অব্দে ক্লিওপেট্রার মৃত্যু পর্যন্ত টিকে গিয়েছিল। এদফুর বর্তমান মন্দিরটি প্রাচীন ফারাওদের বাজপাখির মাথাওয়ালা হোরাসের পুরোনো মন্দিরের জায়গাতেই নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। দেশ ও জাতির রক্ষাকর্তা হিসাবে প্রাচীন মিশরে দেবতাদের সর্দার হোরাসের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। সেই কারণে নতুন ফারাও রাজত্বেও তাঁর গুরুত্ব এতটুকু কমেনি। তৃতীয় টলেমির নির্দেশে এদফু মন্দিরের কাজ শুরু হলেও শেষ করতে সময় লেগেছে দেড়শ বছরের বেশি।

নদীর ঘাট থেকে এদফু মন্দিরের দূরত্ব তিন কিলোমিটারের কিছু বেশি। পথের দুপাশ দিয়ে ঘোড়ার পাড়ি চলাচলের বিরাম নেই। ডানদিক দিয়ে যাত্রী বোঝাই এবং বাঁ দিকেরগুলো খালি। খালি টাঙ্গাগুলো নদীর ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে এদফু মন্দির চত্বরে নামিয়ে দিয়েই আবার ছুটছে। এদের ঘোড়ার গাড়ির চাকা চারটি, সামনের দিকের দুটো আকারে ছোট। নগরীর বাহনের মতো এখানকার পথঘাটও চল্লিশ বছর আগের রাজশাহী শহরের মতো। দীর্ঘ জীর্ণ দেয়াল, কিছু বাসভবনে রঙের ছোঁয়া লাগলেও বেশিরভাগই সস্তা চুনকাম করা অথবা পলেস্তারাখসা বসত বাড়ি। পথে কিছু বন্ধ দোকান চোখে পড়ে, দুই একটা কেবল খুলতে শুরু করেছে। একটা বস্তিও কেবল জেগে উঠছে। ঘোড়ার গাড়ির চাকার শব্দ, খুরের খটখট এবং চালকের মুখে ঢাকা বা রাজশাহীর চালকদের মতো সেই একই ধরনের ‘টিক-টক’ শব্দ! নিশ্চয়ই জাতি গোষ্ঠী নির্বিশেষে ঘোড়াদের জন্যে বোধগম্য করেই সহিসদের মুখে এই ভাষা সৃষ্টি হয়েছে।

মন্দিরে ঘোড়াগাড়ি পার্কিং

আমাদের শকট-সঙ্গী, যাকে আমি এতোক্ষণ নেহায়েতই মিশরের কোনো গ্রামাঞ্চল থেকে আসা সাদামাটা আরবি জানা পর্যটক ভাবছিলাম, হঠাৎ করেই তিনি বিশুদ্ধ ইংরেজিতে জানতে চান, ‘হোয়ার আর ইউ ফ্রম স্যার? আই মিন হুইচ কান্ট্রি?’ বললাম, ‘বাংলাদেশ।’ আমি নিশ্চিত ছিলাম, তিনি বাংলাদেশের নাম কখনো শোনেননি। তাই সঙ্গে সঙ্গেই আবার বললাম, ‘হ্যাভ ইউ এভার হার্ড দ্য নেম অফ আওয়ার কান্ট্রি?’ আমাকে অবাক করে দিয়ে তিনি বললেন, ‘ওহ ইয়া। দেয়ার আর লটস অফ পিপল ফ্রম বাংলাদেশ ইন কানাডা?’ ‘সো... ইউ লিভ ইন কানাডা?’ এরপর তিনি তাঁর কানাডাবাসের বিবরণ দিতে শুরু করলেন। বয়সে আমার চেয়েও কিছুটা বড়ো, এলোমেলো পোশাকের ভদ্রলোকের আদি নিবাস মিশরেই। বহু বছর ধরে কানাডা প্রবাসী হলেও প্রতিবছর নভেম্বর ডিসেম্বরে দুতিন মাসের জন্য দেশে আসেন। তার এই ফিরে ফিরে দেশে আসা যতোটা না দেশপ্রেমের জন্য তারচেয়ে বেশি ঠাণ্ডার কারণে। শীত একেবারেই সহ্য করতে পারেন না বলে এ সময় দেশে চলে আসেন। বললেন, স্ত্রী এবং পুত্র কন্যারা আসতে চায় না বলে তিনি একাই ফিরে আসেন, আসবেন যতোদিন বেঁচে আছেন!

বিশাল অভ্যন্তরীণ চত্বর

এদফু মন্দিরের বাইরে যেখানে আমরা ঘোড়ার গাড়ি থেকে নেমে এলাম সেই জায়গাটাকে কী বলবো, পার্কিংজোন, গ্যারেজ নাকি আস্তাবল বুঝতে পারলাম না। দীর্ঘ কয়েকটি সারিতে শতাধিক টাঙ্গার স্থান সংকুলান হতে পারে। সকালে অবশ্য ঘোড়া এবং সহিস করোরই বিশ্রাম নেবার সময় নেই। প্রবেশ পথের বাইরে আমাদের কিছুক্ষণ দাঁড়াতে হলো। দর্শণার্থী ভক্তগণ সমবেত হলেও সম্ভবত মন্দির দ্বার খোলার সময় তখনো হয়নি। করিৎকর্মা মোস্তফা অবশ্য বুকিং কাউন্টার খোলার প্রায় সাথে সাথেই আমাদের প্রবেশ পত্র সংগ্রহ করে নিয়ে এলো এবং অনতি বিলম্বে আমরা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মন্দিরের বাইরের চত্বরে ঢুকে পড়লাম। কিছুটা হেঁটে মূল মন্দির পর্যন্ত পৌছাবার আগেই কয়েকটি ভগ্নদশা প্রাচীর, ধ্বসে পড়া তোরণ এবং প্রকাণ্ড পাথরের স্তূপ পেরিয়ে এগোতে থাকি। এ সব ভেঙে পড়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের নির্মাণ কৌশল এবং স্থাপত্যকলার বিন্যাস দেখে মুগ্ধ হতে হয়। অনেক দেয়ালেই প্রাচীন মিশরের চিত্রকলায় এখনো ফুটে আছে সমকালের সমাজের দৃশ্যাবলী। কিছু দৃশ্য এখনো রঙিন। হায়রোগ্লিফিক লিপিতে কোথাও কোথাও লেখা রয়েছে সেকালের কথা ও কাহিনি। আমাদের ঠিক পেছনে বিশুদ্ধ বঙ্গ ভাষায় উচ্চস্বরে কথপোকথন শুনে ফিরে দেখলাম পশ্চিম বাংলার জনাকয়েক দাদা বৌদি ঠিক আমাদের পেছনেই আছেন।

এদফু মন্দিরের দেয়াল চিত্র

মূল মন্দিরের প্রবেশ পথের বাইরে দুটি বিশাল সুদৃশ্য তোরণের দুপাশে বাজ পাখির রূপ ধারণ করে গ্রানাইট পাথরে নির্মিত দেবতা হোরাস বসে আছেন। গেটের দেয়ালে করা রিলিফের কাজে দশম টলেমি আউলেটাসকে চিত্রিত করা হয়েছে। তিনি তাঁর শত্রুদের আঘাত করছেন আর দেবতা হোরাস তাকিয়ে দেখছেন। সিনিয়ার দাদাদের একজন বলে উঠলেন, ‘দেখেছিস পেঁচার নাকটা কে যেনো ভেঙে দিয়েছে!’ কমবয়েসী দাদা বললেন, ‘ওটা পেঁচা নয় বাজপাখি, দেবতা হোরাস!’

এই নাক-মুখ-মুণ্ডু ভাঙাভাঙির ব্যাপারটা হাজার বছর ধরেই চলছে। তবে নাক ভাঙার পরেও হোরস মহোদয় যে দুই হাজার বছর টিকে আছে, সেই তো অনেক!

স্তম্ভের উপরে অক্ষত সিলিং 

তোরণ পেরিয়ে ভেতরে আমরা একটা বিস্তৃত খোলা চত্বরে ঢুকে পড়ি। তিনদিকে বত্রিশটি স্তম্ভ দিয়ে ঘেরা এই উন্মুক্ত প্রাঙ্গণেই এক সময় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। কেমন ছিল সেই উপাসনা পদ্ধতি! উঠানের তিন পাশের দেয়ালগুলোতে দেখা যায় হোরাস এবং তাঁর স্ত্রী দেবী হাথোরের রিলিফের কাজ। মূল প্রবেশ পথের বিপরীতে আরো একটি ছোট আকারের পথ দিয়ে ভেতরের হল ঘরে ঢুকে পড়া যায়। ভেতরে পা রাখার পরেই অবাক হয়ে লক্ষ করি মিশরের অন্যসব মন্দিরের ছাদ খুলে পড়লেও দীর্ঘ পিলারের উপরে এখানে সিলিংগুলো অক্ষত অবস্থায় এখনো টিকে আছে। বাইরের হলঘরটির বারোটি স্তম্ভের দুপাশে দুটি লম্বা কক্ষ, যার একটি ছিল ধর্মগ্রন্থের পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের লাইব্রেরি আর অন্যটি ছিল পবিত্র উৎসর্গের জন্য সংরক্ষিত। ভেতরের দিকের তুলনামূলক ছোট কক্ষটি ছিল ধুপধুনা বা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সুগন্ধি তৈরির ল্যাবরোটারি। দেবতা হোরাসের উদ্দেশ্যে নিবেদিত নৈবেদ্য উপহার রাখার জন্যেও বরাদ্দ ছিল একটি কক্ষ। এসব নৈবেদ্যের কতোটা পাথরের বাজপাখি আর কতোটা পুরোহিতকূলের ভোগে লেগেছে তা এখন বলা কঠিন। এইসব হলঘর এবং পবিত্র কক্ষগুলোর ভেতর দিয়ে সবশেষে যেখানে পৌঁছালাম সেটিই হচ্ছে এদফু মন্দিরের পবিত্রতম স্থান। ঘষেমেজে পালিশ করা গ্রানাইট পাথরের বেদীতে এখানেই ছিল হোরাসের পবিত্র স্বর্ণমূর্তি।

বাইরের হল পেরিয়ে অভ্যন্তরের কক্ষ আবার কক্ষ পেরিয়ে আরো ভেতরের পবিত্র প্রকোষ্ঠ। এখানে খোলা ছাদ নেই, ফলে অন্ধকার কক্ষের ভেতরে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা আছে। তারপরেও কালো পাথরের দেয়াল চিত্র খুব ভালো করে দেখা যায় না। পবিত্রতম মন্দিরে ছবি তুলতে মানা নেই, কিন্তু কৃত্রিম আলো জ্বালাতে মানা। আধো অন্ধকারে বাজপাখি দেবতার মন্দির দর্শন শেষ করে আমরা উল্টো পথে ফিরতে শুরু করি। এই সময় দেখা হয়ে গেল কানাডা প্রবাসীর সাথে। প্রায় তাঁর সমবয়েসী এক ভদ্রমহিলার হাত ধরে অন্ধকার মন্দির থেকে বাইরে আলোর চত্বরে বেরিয়ে আসছেন। মিশরীয় কানাডিয়ান আমাদের দেখে একটা মৃদু হাসি দিলেন। দেখলাম তাঁর সঙ্গিনীর বয়স হয়েছে, কিন্তু এক সময় যে তিনি অসাধারণ সুন্দরী ছিলেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

হোরাসের পবিত্র কক্ষ

রানা ভাই আমাদের কিছু আগেই বেরিয়ে এসে প্রধান ফটকের সামনে সান্ধ্যকালীন ‘সাইট এ্যান্ড সাউন্ড’ শোর দর্শকদরে জন্যে পেতে রাখা চেয়ারে বসে তাঁর হাতে থাকা ‘ঈজিপ্ট’ বইটির পাতা ওল্টাচ্ছিলেন। অনেকটা সময় হেঁটে একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম বলে আমরাও বসে পড়লে রানা ভাই ইতিহাসের পাতা থেকে কিছুটা উদ্ধৃতি দিলেন।

‘পরিত্যক্ত মন্দিরটি এক সময় নীল নদের পলি এবং মরুভূমি ঝড়ো হাওয়ায় উড়ে আসা বালিতে সম্পূর্ণ দৃষ্টির আড়ালে চলে গিয়েছিল। অষ্টদশ শতকের শেষ দিকে মন্দির তোরণের উপরের অংশ মানুষের চোখে পড়ে। তবে তারও অনেক পরে ফরাসি মিশরবিদ অগাস্ত মেরিয়েট ধুলো মাটি সরিয়ে এদফুর মন্দির বের করে আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।’

রোমের সম্রাট প্রথম থিওডিয়াসের রাজদকীয় আদেশ জারি করে ৩৯১ খ্রিস্টাব্দে রোমানদের সাম্রাজ্যে খ্রিস্টধর্ম ছাড়া অন্য সকল ধর্মের পূজা-অর্চনা, ভক্তি ভাবনা এবং প্রচার প্রচারণা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে ফারাও আমলের আরো অনেক মন্দিরের মতো এদফুর মন্দিরও অবহেলায় অব্যবহারে জীর্ণ হতে থাকে। ধর্মাবতারদের অতি উৎসাহের ফলে অনেক মূর্তির নাক মুখ ভেঙে বা আঁচড়ে দিয়ে বিকৃত করে ফেলা হয়। দেয়ালের সুদৃশ্য রিলিফের কাজগুও এসব ধর্মান্ধ খ্রিস্টান পুরোহিতদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়নি। এদফুর হাইপোস্টাইল হলের অভ্যন্তীর ছাদটি কালো রঙের। ধারণা করা হয়, অখ্রিস্টান পৌত্তলিকদের দেব দেবীর সব ধরনের চিহ্ন মুছে ফেলতে মন্দিরের ভেতের আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল।

এদিক থেকে আফগানিস্তানের মোল্লা এবং রোমান যাজকদের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় খ্রিস্টানরা পরবর্তী সময়ে সভ্য হয়ে উঠলেও মুসলমানরা দুই হাজার বছর পরেও সভ্যতার আলোক বঞ্চিতই থেকে গেছে।

মন্দির গেটের সামনে 

প্রত্ন এলাকা থেকে বেরিয়ে যাবার আগে মোস্তফা আমাদের নয়জনকে আবার একত্রিত করে কিছুটা আরবি এবং কিছুটা অ্যারাবিশ ইংরেজিতে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়ে দিল। সব কথা শোনা বা বোঝার দরকার মনে হলো না, তবে শেষে সে অভ্যাস মতো জোরে একটা হাঁক দিয়ে বললো, ‘তামাম!’ ছোটবেলায় পড়া আরব্য রজনী বা বাদশাহী গল্পের বইয়ের শেষে লেখা থাকতো ‘তামাম শোধ’, যার অর্থ সম্ভবত সমাপ্ত। এখানে মোস্তফার ‘তামাম’ অর্থ ইংরেজিতে ‘ওকে’ অথবা বাংলায় ‘ঠিক আছে?’ ধরনের কিছু একটা হবে। বুঝলাম এদফুর মন্দির দর্শন শেষ, এখন যে যার টাঙ্গায় উঠে ফিরে যেতে হবে জাহাজে।

বাইরে বেরিয়ে দেখলাম অসংখ্য অশ্বশকটে পরিপূর্ণ পার্কিং এলাকা থেকে নিজেদের ঘোড়ার গাড়ি খুঁজে বের করাই কঠিন। সহিসদের চিৎকার চেঁচামেচি, ফেরিওয়ালাদের হাঁক ডাক, চলমান টাঙ্গার খটখট এবং গাইডদের দিক নির্দেশনার মতো হুলস্থুলের ভেতরেও মোস্তফা ঠিকই আমাদের গাড়ি খুঁজে বের করে তুলে দিল। এখন অপেক্ষা শুধু কানাডিয়ান ভদ্রলোকের জন্য! দেখা গেল কিছু দূরে তিনি সেই সাবেক সুন্দরীকে বেশ সাবধনাতার সাথে একটি টাঙ্গায় তুলে দিচ্ছেন। এরপর তাঁর উদ্দেশ্যে সম্ভবত কিছু সাবধান বাণী উচ্চারণ করে তিনি আমাদের গাড়িতে এসে উঠলেন। কে জানে, তিনি হয়তো কানাডার শৈত্য প্রবাহের কারণে নয়, তাঁর বোন, বান্ধবী কিংবা প্রাক্তন প্রেমিকার ঊষ্ণতার কারণেই ফিরে ফিরে মিশরে আসেন।

চলবে...

এসএ/

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

 

Header Ad

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও দেশে গাছ কাটা অব্যাহত থাকায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। আগামীকাল সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনে পাঁচটি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এগুলো হল-

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি দেবেন।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবে, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট আবেদনকারীরা হলেন-অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ বিভাগ মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শককে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‌‘সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলে ঘোষিত হয়। মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুর হোসেন মাসুদ ও মো. মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৬মে থেকে ৮মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামে এখন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’

আজ রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা।

জাপা মহাসচিব বলেন, এখন গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আমার এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলছে, ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আছে। তাহলে সেই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?
এ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্নু বলেন, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, আমার এলাকায় একটা দিন থাকতে, লোডশেডিং হয় কি না তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়। ভাড়ায় যেসব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আছে, তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরও বসে আছে। ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার পরও ভাড়া বাবদ তাদের ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

চুন্নু বলেন, এর আগে সংসদে বলেছিলাম, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজ চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই, তিনি সশরীরে আমার এলাকায় যাবেন দুই-চার দিনের মধ্যে। দেখে আসবেন কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

তিনি বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছেন ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যান। বছরে পাঁচ হাজারের মতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এটি সরকারের সংস্থার হিসাব। ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় ১৪ জন মারা যান। সেই ট্রাকের চালকের ভারি যানবাহন চালানোর কোনো লাইসেন্সই ছিল না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২২ এপ্রিল যে বাসের ধাক্কায় একজন শিক্ষার্থী মারা যান, সেটির ফিটনেসই ছিল না। ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি। এ গাড়ি তো দুর্ঘটনা ঘটাবেই। সড়কে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয় পুরোনো, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, আপনি একটু শক্ত হোন। এসব গাড়ি-অটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে, তাহলে এভাবে মানুষ মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।

সর্বশেষ সংবাদ

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন