রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১২

বিষাদ বসুধা

অফিসের গেটের সামনে মোহিনীকে বহনকারী পাজেরো জিপটি এসে থামে। ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পেছনের দরজা খোলার জন্য এগিয়ে যায়। দরজা খুলে কুর্ণিশের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকে সে। এই কাজটি মোহিনীর পছন্দ নয়। অনেকবার ড্রাইভারকে তিনি বলেছেন। ওমন কুর্ণিশের ভঙ্গিতে তুমি দাঁড়াবে না। আমার ভালো লাগে না। তারপরও সে এই কাজটি করে। আসলে এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আগে যেখানে সে চাকরি করত— সেখানে এ রকম নির্দেশনাই ছিল। সেখানে সে টানা দশ বছর চাকরি করেছে। অজ্ঞাত কারণে তার চাকরি চলে যায়। মাস খানেক আগে সে মোহিনীর ড্রাইভার হিসেবে যোগ দিয়েছে। দশ বছরের অভ্যাস হঠাৎ করে বদলাবে কি করে?

মোহিনী হাতে ব্যাগ নিয়ে গাড়ি থেকে নামল। দুএক কদম সামনে এগোতেই মোহিনী কিছুটা হোচট খেলেন। তিনি গেটের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেনও। চারদিকে তাকিয়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করলেন। হঠাৎ তার বুকটা কেমন যেন কাঁপন দিয়ে উঠল। আগে কখনো এমনটি হয়নি। এমন থমথমে পরিবেশও কখনো দেখেননি। হাজারো প্রশ্ন তার মাথায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে। পরিবেশটা এমন মনে হচ্ছে কেন? কি হয়েছে? কোনো অঘটন কি ঘটেছে?

মোহিনী মনে মনে ভাবেন, নিশ্চয়ই কিছু ঘটেছে। তা না হলে এমন লাগবে কেন? এমন হবেই বা কেন? আমার নিজের অফিস। অথচ নিজের কাছেই অচেনা মনে হয়। কি ঘটতে পারে? এমনটি ভাবতে ভাবতেই মোহিনীর সিঁড়ির উপর পা রাখলেন। এরমধ্যেই মোহিনীর একান্ত সহকারি শাহনাজ বেগম হুড়মুড় করে তার সামনে দাঁড়াল। কাচুমাচু করে বলল, সরি ম্যাম, একটু দেরি হয়ে গেল!
শাহনাজ, অফিসে কি হয়েছে বলো তো?
জি ম্যাম বলছি। আপনি অফিসে বসার পর বলি!
আচ্ছা ঠিক আছে। অফিসের কি অবস্থা? সবাই এসেছে তো?
জি ম্যাম।
অফিসের কারো কোনো সমস্যা হয়েছে?
জি ম্যাম।

কার সমস্যা? কি সমস্যা? তুমি এমন রাগঢাক কেন করছ? তাড়াতাড়ি বলো।
বলছি ম্যাম। আপনি বসুন।

মোহিনী হাতের ব্যাগ পাশে রেখে নিজের চেয়ারে বসলেন। শাহনাজ বেগম এই সময়টুকুর জন্যই অপেক্ষা করছিল। মোহিনী চেয়ারে বসার পরই বলল, ম্যাম একটা দুঃসংবাদ আছে।
সেটাই তো আমি জানতে চাচ্ছি। দুঃসংবাদটা কি?

শফিকুর রহমান সাহেব করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার লাশ পরিবারের কাছে দেয়নি। সরকারিভাবে দাফন করা হয়েছে।
তাই নাকি! ওহ! বুঝতে পারছি। ছোঁয়াচে রোগ। অন্যদের মধ্যে যাতে না ছড়াতে পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা। আচ্ছা, তার বাসায় কে কে আছে?
তার স্ত্রী আর দুই ছেলে মেয়ে।
তার স্ত্রীকে ফোনে ধরো। আমি কথা বলব।
জি ম্যাম।

শাহনাজ বেগম মোহিনীর কক্ষ থেকেই ফোন করে শফিকুর রহমানের বাসায়। শফিকুর রহমানের স্ত্রী সুলেখা ফোন ধরেন। শাহনাজ বেগম ফোনে বলে, আমি শফিক সাহেবের অফিস থেকে বলছি। ম্যাম কথা বলবেন। তারপর সে ফোনের রিসিভারটা মোহিনীর হাতে এগিয়ে দেয়। মোহিনী ফোন ধরতেই টেলিফোনের ওপাশ থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসে। মোহিনী ফোনের রিসিভার কানে ধরে থাকেন। মোহিনী কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। কান্নার শব্দ তাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। তার চোখে পানি আসে। তিনিও কাঁদেন। এক পর্যায়ে সুলেখা বললেন, আমরা বুঝতেই পারলাম না, কিভাবে কী হয়ে গেল! হঠাৎ করেই শফিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোমায় চলে যায়। সেখান থেকে আর ফিরল না। আমরা তাকে এক নজর দেখতেও পারলাম না! এখন আমাদের কি হবে? আজ বিকালে আমাদের তিনজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাবে। আমরাও আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষা করবে।
মোহিনী বেদনাহত কণ্ঠে বললেন, আপনি কোনো চিন্তা করবেন না ভাবি। আমরা আছি আপনার পাশে। আমরা থাকবো সব সময়। আমাদের প্রতিষ্ঠানেই আপনি চাকরি করবেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুলেখা শফিক বললেন, ধন্যবাদ আপা। শুনছি আপনি মানুষকে অনেক উপকার করেন। সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন। সেই জন্যই কিছুটা ভরসা পাচ্ছি। অন্তত ছেলে মেয়ে নিয়ে পথে বসতে হবে না।

না না। কি বলেন? এ ধরনের নেতিবাচক চিন্তা মনেও আনবেন না। যে কোনো প্রয়োজনে আমাকে ফোন দেবেন। কোনো রকম দ্বিধা রাখবেন না। শফিক সাহেব অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানে অনেক দিয়েছেন। আমরা থাকতে তার পরিবার বিপদে হাবুডুবু খাবে তা হতে পারে না। আপনাদেরকে কোন হাসাপাতালে নেবে, কুর্মিটোলায় নাকি মুগদাতে?
সম্ভবত কুর্মিটোলায়। আমি জানাবো। আপনার মোবাইল নম্বরটা যদি দেন…।

মোহিনী মোবাইল নম্বর দিয়ে সুলেখা শফিকের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। তারপর শাহনাজ বেগমকে উদ্দেশ করে বললেন, তুমি ওনার সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রেখ। যখন যা দরকার হয় তা দিও। তাকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো রকম কার্পণ্য করবে না। তুমি বরং এখনই তার বাসায় কাউকে দিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও। বুঝতে পারছ?
জি ম্যাম।
দেরি কোরো না। উনি হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার হাতে যেন টাকাটা পৌঁছে।
জি জি।
আর শোন, প্রশাসনের জিএমকে আমার কক্ষে পাঠাও।
জি ম্যাম।

শাহনাজ বেগম বের হয়ে নিজের কক্ষে যায়। ইন্টারকমে প্রশাসনের জিএম আবুল কালামকে ফোন মোহিনীর কক্ষে যাওয়ার জন্য বলে। আবুল কালাম সঙ্গে সঙ্গে মোহিনীর কক্ষে এসে হাজির হয়। মোহিনী তাকে উদ্দেশ করে বলেন, শফিক সাহেবের সঙ্গে যারা কাজ করতেন তাদেরকে হোম কোয়ারিন্টিনে পাঠিয়ে দেন। পুরো অফিসকে আবারও খুব ভালো করে সেনিটাইজ করান। বাইরের লোক আসা-যাওয়া আপাতত বন্ধ রাখুন। আর অফিসের সামনে সেনিটাইজ করার যাবতীয় ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। বুঝতে পারছেন?
জি জি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কোথাও সেনিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু কি সেনিটাইজার! ডেটল, স্যাভলন থেকে শুরু করে জীবানু নিরোধন যা যা আছে সব কিনে নিয়ে গেছে।
বলেন কী!
তাহলে আর বলছি কী ম্যাম! হুজুগে বাঙালি কি খামাখা বলে! মানুষ পাগলের মতো বাজার থেকে সব কিনে নিয়ে গেছে। যে যা পেরেছে। আমরা কারওয়ান বাজারে লোক পাঠিয়েছি। যেখান থেকে ফোন করে জানালো কিচ্ছু নেই! পরে আর কী করা, ডেটল কোম্পানিকে বললাম, আমাদেরকে কিছু সেনিটাইজার দিতে। ওরা বলল, কাল সকালে ব্যবস্থা করবে।
মাই গড! এই অবস্থা! তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে! যার টাকা ছিল সে কিনে নিয়ে গেছে। যার টাকা নেই সে নিশ্চয়ই এগুলো কিনতে পারেনি! তাদের সংখ্যাই তো বেশি। তাদের কি হবে?
তাদের আর কী হবে? তাদের ভরসা আল্লাহ!

দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়েন মোহিনী। কিছুক্ষণ পর তিনি বললেন, আরেকটা কথা, আমরা তো অনেককে ছুটি দিয়েছি তাই না?
জি ম্যাম।
তারপরও এতো লোক কেন?
ম্যাম, তারা আমাদের অফিসের গাড়িতেই যাতায়াত করে।
তা করুক। তাদের মুভমেন্ট তো হচ্ছে। ব্যবসা অনেক করেছি। এখন মানুষের বাঁচা-মরার প্রশ্ন। আগে বাঁচতে হবে। বেঁচে থাকলে অনেক ব্যবসা করা যাবে। এরমধ্যেই আমাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ লোককে আমরা হারিয়েছি। আর কাউকে হারাতে চাই না।
জি ম্যাম।

চলবে…

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১১

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

Header Ad

সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করে দেশের অন্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছে বর্তমান সরকার।

আজ রোববার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির কর্মকর্তারা ছিলেন।

উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রাজধানীতে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী’র নেতৃত্বে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর বেইলি রোডে পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে দলটির কয়েকজন নেতা। 

এসময় রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করার পরে আবার উপজেলা নির্বাচন করছে। এই ডামি নির্বাচনে দেশের গণতন্ত্রকামী কোনো দল অংশগ্রহণ করছে না।

রিজভী আরও বলেন, বর্তমানে দেশের জনগণ ভোট দিতে পারে না। তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বানাতে পারে না। দেশের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বর্তমান ডামি নির্বাচনের সরকারের প্রধান।

সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, দেশের জনগণকে আহ্বান জানাই, আপনারা এই ডামি সরকারের অধীনে ডামি নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করবেন না। এখানে যারা উপস্থিত আছেন সবাই কোনো না কোনো উপজেলার বাসিন্দা, আপনারাও কেউ ভোট দেবেন না।

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ রফিকূল ইসলাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডাঃ জাহিদুল কবির, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ,সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান রয়েল, সহ সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিশু, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হামিদ, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, ডাঃ মুশফিক, আশরাফুল আসাদ-সহ নেতৃবৃন্দ।

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে হোটেলের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে এক হোটেল বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে। ওয়াজেদ আলী খান উপজেলার ২নং ঘাটাইল ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকার মৃত সোনা খার ছেলে।

রবিবার (০৫ মে) সকালে উপজেলার ঝাইকা রাস্তায় নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার (০৪ মে) রাত ১১টায় উপজেলায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রায়হান খান ও নিহতের পরিবার জানিয়েছেন, শনিবার রাতে হোটেলে কাজ শেষ করে ঘাটাইল থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় আকাশে ঘনঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। রাত ১১ টায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোডে একটি বজ্রপাত ওয়াজেদ আলীর ওপর পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

রবিবার সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে ঝাইকা রাস্তায় নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওয়াজেদ আলী একজন হোটেল বাবুর্চি ছিলেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, শনিবার রাতে বজ্রপাতে এক হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ বজ্রপাতে ঝলসে গেছে।

সর্বশেষ সংবাদ

সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা
নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী