সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

যেভাবে লেখা হলো আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি, ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু-গড়া এ ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। কালজয়ী এই গানের রচিয়তা বরেণ্য সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। কিংবাদন্তি এই লেখকের স্মৃতি আমরাও ভুলতে পারি না। অমর হয়ে থাকবেন শ্রদ্ধেয় গাফফার চৌধুরী। কালজয়ী এই গানটির প্রথম সুর দিয়েছিলেন আবদুল লতিফ। পরে তা প্রয়াত কিংবদন্তি সুরকার আলতাফ মাহমুদের সুরে সবার মনপ্রাণ কেড়ে নেয়।

১৯৫৪ সালের প্রভাতফেরীতে প্রথমবারের মতো আলতাফ মাহমুদের সুরের গানটিই গাওয়া হয়। গানটি লেখা হয় ৫২’র ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিতে কবিতা হিসেবে। যা ছিল ৩০ লাইনের। পরবর্তীতে এই কবিতার প্রথম ছয়টি লাইনই গান হিসেবে গাওয়া হয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা/ আমি তোমায় ভালোবাসি’র পর সর্বাধিক জনপ্রিয় বাংলা গানের তালিকায় আছে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি।

গানটির পেছনের গল্প আবদুল গাফফার চৌধুরী তুলে ধরে ছিলেন বাংলা একাডেমির একটি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে। তাঁর সেই গল্পটি ছিল- ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকার তৎকালীন প্রাদেশিক আইন পরিষদ ভবনের (বর্তমান জগন্নাথ হল) সামনে গুলিবর্ষণ করা হয়। শহীদ রফিকের লাশ পড়ে আছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহিঃবিভাগের বারান্দায়। তার মাথার খুলি উড়ে গেছে গুলিতে। এই খবর শুনে গাফফার চৌধুরী তার বন্ধুরা মিলে ছুটে যান হাসপাতালে। শহীদ রফিকের লাশ দেখে তার মনে শোকাবেগে গুঞ্জরিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। হাসপাতালের পাশে মেডিক্যাল কলেজের ব্যারাক-হোস্টেলের সামনে তখন ছাত্র জনতার ভিড়। সেসময় গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হয় তার এক বন্ধু সৈয়দ আহমদ হোসেনের সঙ্গে।

তিনি জানতে চান গাফফার চৌধুরী কী মিছিলে ছিলেন? তখন তিনি বলছেন- হ্যাঁ ছিলাম। গুলি শুরু হতেই মেডিক্যাল হোস্টেলের ভিতর আশ্রয় নেই। এখন হাসপাতালের বহিঃবিভাগের মেঝেতে ১ জন শহীদের মৃতদেহ দেখে এলাম। তাকে দেখে মনে হয়েছে, আমার আপন ভাই। মনে মনে একটি কবিতার লাইনও তৈরি হয়েছে- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’।

তখন কবিতার লাইনটি শুনে আহমদ হোসেন তার হাত চেপে ধরে বললেন- এই কবিতাটি এখনই লিখে ফেলুন। গাফফার চৌধুরী বললেন- রাস্তায় দাঁড়িয়ে কি কবিতা লেখা যায়? হোস্টেলে ফিরে গিয়ে লিখব। তখন আহমদ হোসেন বললেন, আপনি হেটে আরমানিটোলা পর্যন্ত যেতে যেতে কবিতাটি হারিয়ে যাবে। আপনি আমার সাইকেলটা নিন, তাড়াতাড়ি হোস্টেলে গিয়ে কবিতাটি লিখুন। গাফফার চৌধুরী তখন ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র।

এদিকে, সরকারের নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ ও ছাত্রাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানানো হয়, রাতেই তাদের ছাত্রাবাস ছেড়ে যেতে হবে। গাফফার চৌধুরী কাপড়চোপড় গোছানোর জন্য দোতলায় নিজের কক্ষে যান। তখন তার মনে হলো কবিতার কয়েকটি লাইন অন্তত লিখে রাখা দরকার। না হলে কবিতাটি মন থেকে হারিয়ে যাবে। টেবিলে বসে কবিতার ৫-৬ লাইন লিখে ফেললেন, বাকিটা আর তখন লেখা হয়নি তার।

ঢাকা কলেজের তখন আরেকটি ছাত্রাবাস ছিল বেগম বাজারে, নাম-নুরপুর ভিলা। হোস্টেল সুপরিন্টেডেন্ট ছিলেন দর্শনের অধ্যাপক সাঈদুর রহমান। তারই ছেলে শফিক রেহমান। তিনি থাকেন হোস্টেলের গেস্ট হাউজের দোতলায়। ওই রাতে গাফফার চৌধুরী শফিক রেহমানের কাছে গিয়ে উঠলেন। সেখানেই কবিতাটির আরও কিছু অংশ লেখা হলো। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি শোক র‌্যালিতে পুলিশের লাঠিচার্জে অনেকের সঙ্গে গাফফার চৌধুরীও আহত হন, পায়ে মারাত্মক ব্যথা পান। তার সহপাঠী দাউদ খান মজলিশ তাকে নিয়ে যান বংশালে তার এক আত্মীয়ের বাসায়। সেই বাসার এক চিলে কোঠায় তিনি থাকতেন। সেখানে বসে একুশের কবিতাটি শেষ করার চেষ্টা করেন গাফফার চৌধুরী।

কিন্তু অসুস্থতার কারণে তা হয়ে উঠেনি। এরপর তিনি ভর্তি হন ঢাকা মেডিক্যালে। সেখানে এসে আহমদ হোসেন জানতে চাইলেন- কবিতাটি লেখা শেষ হয়েছে? গাফফার চৌধুরী বললেন, অর্ধেকের মতো হয়েছে। তখন আহমদ হোসেন তার হাত চেপে ধরে অনুরোধ করেন কবিতাটি আজই শেষ করে দিতে। আহমদ হোসেন তাকে কাগজ-কলম এগিয়ে দিয়ে বললেন, কবিতাটি এখনই শেষ করে দেন। অবশেষে গাফফার চৌধুরী পুরো কবিতাটি লেখা শেষ করলেন। গানটিতে মোট ৩০ লাইন থাকলেও প্রভাত ফেরির গান হিসেবে প্রথম ৬ লাইন গাওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে ১৯৬৯ সালে জহির রায়হান তার ‘জীবন থেকে নেওয়া’ সিনেমায় গানটি ব্যবহার করেন। একুশের এই গান আজ আর কেবল বাংলাদেশের গান নয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের ইউনেস্কোর এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফলে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিশ্বের ১৯৩টি রাষ্ট্রে গাওয়া হয় এই গানটি। বর্তমানে এই গানটি ইংরেজি, হিন্দি, মালয়, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানিসহ ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়।
এসএম/এএজেড

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৭২ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান ও স্থল হামলায় রবিবার (২৯ জুন) আরও অন্তত ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ, যারা শুধুমাত্র খাদ্য সহায়তা গ্রহণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ত্রাণকেন্দ্রে অপেক্ষা করছিলেন।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, দিনভর চলা এ হামলার অধিকাংশই হয়েছে গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলে। গাজার মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, শুধু ওই এলাকাগুলোতেই নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৭ জন।

গাজা শহর থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা মুয়াত আল-কালহুত জানান, জেইতুন, সাবরা ও আল-জাওইয়া বাজার এলাকাগুলোতে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর আহতদের ঢল নামে উত্তর গাজার আল-আহলি হাসপাতালে। সেখানে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, “অনেক শিশু ও বৃদ্ধ আহত অবস্থায় হাসপাতালে ছুটে আসছেন। পর্যাপ্ত বেড ও চিকিৎসাসামগ্রী না থাকায় অনেকেই মেঝেতে শুয়ে আছেন।”

একইসঙ্গে ইসরায়েল পূর্ব গাজা শহরে লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও, তার ঠিক পরপরই শুরু করছে ভারী বোমা হামলা, যা হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

রবিবারের হামলায় নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহর উত্তরে অবস্থিত একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তা নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনি। বিতরণ কেন্দ্রগুলো বর্তমানে পরিচালনা করছে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (Gaza Humanitarian Foundation - GHF), যেটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সরাসরি সমর্থনপুষ্ট।

গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, GHF কর্তৃক সহায়তা বিতরণ শুরুর (মে মাসের শেষদিক থেকে) পর থেকে ইসরায়েলি সেনারা প্রায় নিয়মিতভাবেই এসব কেন্দ্রে ভিড় করা মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত ৫৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং চার হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

গাজা বর্তমানে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে বহু মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর একাধিক প্রতিবেদনে এই অবরোধ ও বর্বরতাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হলেও ইসরায়েলের দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ভুয়া মামলা ও নির্দোষকে হয়রানি রোধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে নতুন বিধান যুক্ত: আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

ভুয়া মামলা দায়ের এবং নিরপরাধ ব্যক্তিকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি বন্ধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে নতুন একটি বিধান যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

রোববার (২৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, “বর্তমান সরকার নিজেদের আমলের কিছু অপব্যবহার নিয়ে বিব্রত এবং সেসব ইস্যু সমাধানে উদ্যোগী। তার মধ্যে অন্যতম হলো ভুয়া মামলা ও নিরপরাধ ব্যক্তিকে মামলায় জড়ানো। বিষয়টি নিয়ে দেশের ক্রিমিনাল ল’ এক্সপার্ট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(ক)/১৭৩(অ) নামে একটি নতুন বিধান সংযোজন করা হয়েছে।”

এই বিধানে বলা হয়েছে— কোনো পুলিশ কমিশনার বা জেলা পর্যায়ের পুলিশ সুপার যদি মনে করেন কোনো মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রাথমিক তদন্ত (Preliminary Investigation) করার নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন, তাহলে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তা নির্দেশ দিতে পারবেন। সেই প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বিবেচনায় ম্যাজিস্ট্রেট যদি দেখেন অভিযোগপত্রে নির্দোষ ব্যক্তি জড়িত, তাহলে বিচার-পূর্ব পর্যায়ে (pre-trial stage) তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে পারবেন।

আসিফ নজরুল জানান, “এ ব্যবস্থার ফলে বিচার বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করে ভুয়া মামলা ও মামলা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের অহেতুক গ্রেপ্তারের সুযোগ কমবে। তবে যারা প্রকৃত অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।”

কুমিল্লার মুরাদনগরের আলোচিত ধর্ষণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড. আসিফ নজরুল বলেন, “এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। ঘটনাটি ঘটার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনে সরকার সময়োপযোগী সংশোধন এনেছে। এর বাস্তব উদাহরণ মাগুরার মামলায় দেখা গেছে। মুরাদনগরের ঘটনাতেও দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।”

Header Ad
Header Ad

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে একমত সব দল, আনুপাতিক ভোটে অনৈক্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সংসদ সদস্য নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আনুপাতিক পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।

রোববার (২৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।

আলী রীয়াজ বলেন, "প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদে প্রতিনিধি পাঠানোর সংখ্যাানুপাতিক পদ্ধতির বিষয়ে অধিকাংশ দল ইতিবাচক হলেও কিছু দল স্পষ্ট আপত্তি জানিয়েছে। তবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের প্রশ্নে প্রায় সব দলই নীতিগতভাবে সম্মত।"

তিনি আরও বলেন, "ভোটগ্রহণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলবে এবং আশা করা যায় ভবিষ্যতে দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য গড়ে উঠবে। আপত্তি জানানো দলগুলোও পরবর্তী বৈঠকে তাদের অবস্থান আরও পরিষ্কার করবে।"

আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তির ভিত্তিতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) বাতিল করে নতুন কাঠামোতে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ প্রতিষ্ঠান কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং তথ্য কমিশনের প্রধান ও সদস্য নিয়োগে কাজ করবে।

নিয়োগ কমিটির কাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সংসদ বহাল থাকাকালীন কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, উচ্চকক্ষ থাকলে তার স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা ও অন্য বিরোধীদলগুলোর একজন প্রতিনিধি। এছাড়া রাষ্ট্রপতির একজন প্রতিনিধি (অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ ব্যক্তি) এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন আপিল বিভাগের বিচারপতি থাকবেন।"

আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, তা হলো সংসদ বাতিল থাকাকালে, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নিয়োগ কমিটির কার্যকারিতা থাকবে কি না। অধিকাংশ দল মত দিয়েছে, সে সময়ে এই কমিটি কার্যকর রাখার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় নিয়োগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে সীমিতভাবে হতে পারে, তবে অন্যান্য কমিশনে নয়।

আগামী ২ জুলাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী বৈঠকের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে সংশোধিত প্রস্তাব ও অবশিষ্ট মতপার্থক্যগুলো নিয়ে আরও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আলী রীয়াজ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৭২ ফিলিস্তিনি
ভুয়া মামলা ও নির্দোষকে হয়রানি রোধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে নতুন বিধান যুক্ত: আসিফ নজরুল
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে একমত সব দল, আনুপাতিক ভোটে অনৈক্য: আলী রীয়াজ
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা স্থিতিশীল
বসুন্ধরা থেকে নিখোঁজ এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহিরা সাভার থেকে উদ্ধার
বিধ্বস্ত মেসির মায়ামি, পিএসজির সামনে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আট
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ধসে পড়ল তিনটি ভবন
র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ নারী দল
অবশেষে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করল এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স: জানুন কীভাবে পাওয়া যায় অস্ত্র রাখার অনুমতি
ভুলবশত ব্যাগে ম্যাগাজিন, বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত: আসিফ মাহমুদ
মৌলিক সংস্কারে ঐকমত্য এখনও অনেক দূর: আখতার হোসেন
ঢাকায় চালু হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয়
এনবিআরের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে দুদক
বিএনপি–ছাত্রদলের বিরুদ্ধে শিবিরের পরিকল্পিত অপপ্রচারের অভিযোগ নাছিরের
আবাসিক হোটেল থেকে স্বামী–স্ত্রী ও ছেলের লাশ উদ্ধার
প্রথমবারের মতো ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স
ইমাম-খতিবদের বেতন ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি
আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে সেই ফজর আলীর ছবি ভাইরাল
জনগণ ও অর্থনীতির স্বার্থে ছাড় নয়, এনবিআর কর্মীদের উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা