সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

গণহত্যার স্বীকৃতি পেতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান তৌফিক-ই-ইলাহীর

বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে দেশের বিশিষ্টজন ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা বীর বিক্রম ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘হলকাস্টের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মান বাহিনী দ্বারা ইহুদি নিধন উপর কত সিনেমা হয়েছে, অস্কারও পেয়েছে। এগুলো দিয়েই তো তারা হলকাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছে। তাই আমাদেরও ধৈর্য ধরে শিল্পের মাধ্যমে, সংস্কৃতির মাধ্যমে, আমাদের ইতিহাসের মাধ্যমে, লেখাপড়ার মাধ্যমে এটাকে উপরে আনতে হবে। যখন পারব তখন একটি শক্তিশালী দেশও এটা শুনবে।’

শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মানবাধিকার প্রশ্ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকের সঞ্চালনা করেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু।

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের সত্ত্বার একটি বিপর্যয় ঘটে। তারা আমাদের কিছুই মনে করত না, সেখানে আমাদের কাছে তারা হেরেছে। আমাদের কাছে তাদের লাখের বেশি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে। তাই বাস্তবতা জানতে হবে।’

তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াবে। কোনও উদ্যোগ নিলে তারা সেটা অবমূল্যায়ন করবে। সুতরাং আমরা সবাই মিলে যখন কাজ করবো তখন একটা কমন পরিকল্পনা নিতেই হবে। সেটা আমরা সবাই ফলো করবো। একটা প্ল্যাটফর্ম থাকতে হবে। তা না করে বিভিন্নভাবে কাজ করলে হবে না, যোগ করেন তিনি।

ড. তৌফিক-ই-ইলাহীবলেন, ‘আজ ইউক্রেন যুদ্ধে বিচার হয়ে এক বছরের মাথায় ইন্ডাইটমেন্ট হচ্ছে। আর আমরা বলছি আমাদের হাজার হাজার লাখ লাখ লোক মারা গেছে। ছবি আছে, ডকুমেন্টেশন আছে। কেউ কিছু ভাবছে না। সুতরাং আমাদের অবস্থান নিতে হবে। এই অবস্থান নেওয়ার জন্য কিছু পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত হোক, রাজনীতিবিদ হোক, সমাজসেবক হোক এখন আপনাদের কথা শুনবে।’

গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিকশিত করবে জানিয়ে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি হওয়ার আগে ওই সময়ের ঘটনা নিয়ে অনেকে কাজ করেছেন।’

এ নিয়ে কীভাবে সামনে অগ্রসর হওয়া যায় তা চিন্তা করা দরকার। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে আমি অনেক সময় বলি, স্মৃতি আমাদের নাড়া দেয়; কিন্তু ইতিহাস নাড়া দেয় না। নতুন প্রজন্মের মধ্যে আমাদের এই তথ্যগুলো জীবিত রাখতে হবে। সেটা কারিকুলাম বা অন্যান্য সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে হতে পারে। তা না হলে এই ঘটনা শক্তি হারাবে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন ইতিহাসবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান, মানবাধিকারকর্মী রোকেয়া কবীর, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এবং প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি আসিফ মুনীর।

এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি

ছবি: সংগৃহীত

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক তীব্র উত্তেজনায় পরিণত হয়। ৭ মে রাতে ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের ৯টি অবস্থানে হামলা চালিয়ে তার কোড নাম দেয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতীয় বাহিনী তাদের ড্যাসল্ট রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে প্রায় ২৩ মিনিটের জন্য হামলা চালায়, যা পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করার লক্ষ্যে ছিল।

পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও তাদের বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট ব্যবহার করে। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত ৮৭ ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তান ভারতের ৩টি রাফাল যুদ্ধবিমান এবং ১২টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে। এই সময়ে উভয় দেশের অর্থনীতি এবং পুঁজিবাজারেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ভারতের ক্ষতির পরিসংখ্যান:

- ভারতীয় পুঁজিবাজারে প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- বিমান চলাচল খাত প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে।

- আইপিএল বন্ধ হয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়েছে।

- সামরিক খরচ বাবদ ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।

- যুদ্ধবিমান হারানোর কারণে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- বাণিজ্য এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্নের কারণে আরও ২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

পাকিস্তানের ক্ষতির পরিসংখ্যান:

- পাকিস্তান ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

- পাকিস্তানের শেয়ারমার্কেট ৪.১ শতাংশ পতন ঘটিয়ে ২.৫ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে।

- বিমান পরিবহণ খাতে ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- পিএসএল ক্রিকেট বন্ধ হয়ে ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- সামরিক খরচ বাবদ ২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।

এই ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ শুধু আকাশপথে সীমাবদ্ধ ছিল না, এর মাধ্যমে উভয় দেশের পুঁজিবাজারে ধস এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের কারণে মুদ্রার অবমূল্যায়ন, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন এবং বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষতি হয়েছে, যা দুই দেশকেই ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ফেলেছে।

Header Ad
Header Ad

আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে

ছবি: সংগৃহীত

বিগত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের মধ্যে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল গরমের তীব্রতা অনুভব করছে, যার ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪২ ডিগ্রিতে। এই অবস্থায়, যখন জনজীবন অসহ্য হয়ে উঠেছে, তখন দেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মোস্তফা কামাল পলাশ।

রোববার (১১ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মে মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে 'শক্তি', যা শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম।

মোস্তফা কামাল পলাশ আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে ভারতের ওড়িশা উপকূল এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে বিশেষভাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে এর স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি।

এর আগে, আবহাওয়া অধিদপ্তরও জানিয়েছিল যে, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১ অথবা ২টি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিতে এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদেরও সাবধান থাকতে হবে।

Header Ad
Header Ad

কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পরিচালিত পাকিস্তানের সাহসী সামরিক প্রতিরোধ ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে দেশটির জনগণ। রোববার (১১ মে) সারাদেশে ‘শোকরিয়া দিবস’ পালন করছে পাকিস্তান। দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়, সশস্ত্র বাহিনীর অতুলনীয় সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং জাতির ঐক্য ও দৃঢ় মনোবলকে সম্মান জানাতেই এই দিবস পালন করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ ছিল শত্রুর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী, সমন্বিত ও কার্যকর জবাব। এ অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান কৌশলগত, কূটনৈতিক এবং সামরিক সব পর্যায়েই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। “মহান আল্লাহর কৃপায় আমরা সাফল্য ও সম্মান অর্জন করেছি,” বলেন তিনি।

শাহবাজ শরিফ তার বক্তব্যে আরো জানান, শত্রু পক্ষের একের পর এক উসকানিমূলক আচরণের পরও পাকিস্তান সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়েছে এবং পূর্ণ প্রস্তুতির মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও জাতীয় স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় পাকিস্তান কখনো পিছিয়ে থাকবে না।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি
আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে
কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান
নওগাঁয় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে যুবক নিহত
‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ দেশে বিভক্তির সুযোগ নেই: আমীর খসরু
ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
একদিনে চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে নতি স্বীকার: তোপের মুখে মোদী
সংগঠন নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন
শ্রীলঙ্কায় বাস খাদে পড়ে ২১ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু
আলোচনার টেবিলে ভারত-পাকিস্তান, গুরুত্ব পাচ্ছে সিন্ধু চুক্তি ও কাশ্মির ইস্যু
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১৪ জন আটক
আ. লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বারবার পত্র দিয়েছে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইলে গ্রেফতার আতঙ্কে ভাইয়ের জানাজায় অংশ নেননি আ.লীগের দুই নেতা
বিরামপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, ছেলে আহত
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে: আসিফ নজরুল
রাজধানীতে বিদেশি অস্ত্র-বোমাসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার (ভিডিও)
আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয়ের দাবি নুরুল হক নুরের
লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে ছদ্মবেশে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ