সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

চালু হলো দেশের দীর্ঘতম রেলপথ

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৩ বছর প্রতীক্ষার পর অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো আন্তনগর ট্রেন বুড়িমারী এক্সপ্রেস। তবে এটি আপাতত লালমনিরহাট-ঢাকা রেলপথে চলাচল করব। ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে ঢাকার পথে ১১টি স্টেশনে থামবে আর ঢাকা থেকে বুড়িমারীতে ফেরার পথে ১২টি স্টেশনে থামবে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে বুড়িমারী-ঢাকা রুটে ফিতা কেটে ট্রেনটির উদ্বোধন করা হয়।

বুড়িমারী রেল স্টেশন থেকে ট্রেনটি চালু হওয়ায় নতুন করে ভারত, ভুটান, নেপালের পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন হলো। ট্রেনটি যাত্রা শুরু করায় লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা এবং পাটগ্রাম উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হল।

পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন গণমাধ্যমে বলেন, আমাদের দাবি অতি দ্রুত বুড়িমারী রেলস্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ করে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে যেন চলাচল করে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিম ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‌বুড়িমারী রেলস্টেশনে ওয়াস পিড ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত লালমনিরহাট রেলস্টেশন থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে চলাচলা করবে।

প্রসঙ্গত, উদ্বোধন ঘোষণা করেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মতিয়ার রহমান, রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল ও পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পূর্ণ চন্দ্র রায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম।

Header Ad
Header Ad

আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি

হিরো আলম ও রিয়ামনি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় হঠাৎ আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতাল ভর্তি, আর তাতে ছুটে যাওয়া স্ত্রী রিয়ামনির। সব মিলিয়ে আবারো আলোচনার কেন্দ্রে উঠেছে হিরো আলম ও রিয়ামনির সম্পর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন ছড়িয়ে পড়ে ‘ডিভোর্স হয়েছে’ এমন তথ্য, তখনই রিয়ামনি জানিয়ে দিলেন—“আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমানে এসব বলেছিলেন।”

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়ামনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমি বারবার বলেছি, আমাদের মাঝে তৃতীয় একজন ঢুকে পড়েছিল। সেখান থেকেই যত জটিলতা। এখন ধীরে ধীরে হিরো আলম ঠিক হচ্ছেন। শিগগিরই তিনি মিডিয়ার সামনে আসবেন, তখন সব পরিষ্কার হবে।”

এদিকে হিরো আলমের অতীত অভিযোগ ছিল রিয়ামনিকে ঘিরেই। বাবার মৃত্যুর সময় পাশে না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সংসার না করার ঘোষণা দেন। তখন রিয়ামনি বিষয়টিকে ব্যক্তিগত ক্ষোভ বলে মন্তব্য করেছিলেন। বলেন, “উনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাই এমন কথা বলছেন।”

তবে এরপর রিয়ামনি পারিবারিক আদালতে ১২ লাখ টাকার দেনমোহর ও ভরণ-পোষণের দাবি করে একটি মামলা করেন। তার ভাষায়, “আমি এখনো কোনো তালাকনামা হাতে পাইনি। আইনি দিক থেকে এখনো আমি তার স্ত্রী। সে আমার খোঁজখবরও নেয় না। তাই দেনমোহর ও ভরণ-পোষণের জন্য আদালতে মামলা করেছি।”

অন্যদিকে, হিরো আলম গত ২১ জুন স্ত্রী রিয়ামনির বিরুদ্ধে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় পরকীয়ার অভিযোগ এনে মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, রিয়ামনিকে ভাড়াবাড়িতে অপর একজন পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে মারধর করা হয় এবং তার গলার সোনার চেইন চুরি হয় বলে উল্লেখ করেন হিরো আলম।

এতসব নাটকীয় ঘটনার মাঝেই ২৮ জুন সকালে বগুড়ার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় হিরো আলমকে। প্রাথমিকভাবে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছুটে যান রিয়ামনি। হাসপাতালের সঙ্গেই আবার নতুন করে আলোচনায় আসে তাদের সম্পর্ক।

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—যদি সত্যিই তালাক হয়ে থাকে, তাহলে রিয়ামনি কেন নিজেকে হিরো আলমের স্ত্রী হিসেবে দাবি করছেন? রিয়ামনির জবাব পরিষ্কার, “কোনো কাগজপত্র ছাড়াই তালাকের ঘোষণা দিয়ে মিডিয়ায় বলে বেড়ানো হচ্ছে। আমি এখনো আইনত তার স্ত্রী। আর আমি এখনো ওর প্রতি দায়িত্বশীল।”

Header Ad
Header Ad

সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা

ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের হাল ধরেছে অন্তর্বর্তী সরকার। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তারা নিয়েছে একের পর এক উদ্যোগ। বাজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ইলিশ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে স্পষ্ট বার্তাও দেন—ইলিশ আগে দেশের মানুষের জন্যই সংরক্ষিত হবে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয় বাজার তদারকি।

তবে সব উদ্যোগ ও কড়াকড়ি সত্ত্বেও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাছ ‘ইলিশ’ এখনও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে পানি বাড়ছে, বৃষ্টিও হচ্ছে নিয়মিত—তবু চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের সরবরাহ অপ্রতুল।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঘাটে আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৫০০ মণ ইলিশ আসত, এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ৫০-১০০ মণে। ফলে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও জোগান কম থাকায় দাম আকাশছোঁয়া।

রোববার (২৯ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ কেনার আগ্রহ থাকলেও দাম শুনে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ একান্ত প্রয়োজনে বা দূরপাল্লা থেকে আসায় এক-দু’টি ইলিশ কিনছেন শুধু।

রাজধানী ঢাকা থেকে আসা আবু রায়হান বলেন, "তিন নদীর মোহনায় ঘুরতে এসেছি। ইলিশ ঘাট ঘুরে দেখলাম। তবে স্তুপ করে ইলিশ নেই, দামও অনেক বেশি। সাধ্যের মধ্যে হলে একটা কিনে নিয়ে যাব।"

চাঁদপুর শহরের বাসিন্দা সায়েম মিয়া বলেন, “ঢাকা থেকে অতিথি এসেছে, ইলিশ খাওয়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাজারে এসে দেখি প্রতি কেজি ইলিশ আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। বাধ্য হয়ে একটিই কিনে হোটেলে আপ্যায়ন করেছি।”

ইলিশ ব্যবসায়ী নবীর হোসেন জানান, “মৌসুম চলছে, কিন্তু পদ্মা-মেঘনায় জালে ইলিশ ধরা পড়ছে খুবই কম। আগে দক্ষিণাঞ্চলের ট্রলারগুলো চাঁদপুরে ৪০০-৫০০ মণ মাছ আনত। এখন পদ্মা সেতু হওয়ায় সেই মাছ ঘাটে আসে না। প্রতিদিন আসে মাত্র ৫০ থেকে ১০০ মণ। যদি বৃষ্টি বাড়ে ও নদীর পানি বাড়ে, তাহলে ইলিশ ধরা পড়বে বেশি—দামও কমবে।”

আরেক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, “এখনকার ইলিশ বড় সাইজের, দামও বেশি। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন ক্রেতা আসেন, দরদাম করেন, কিন্তু অনেকেই না কিনে ফিরে যান। এতে বিক্রি কমেছে।”

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সবেবরাত সরকার জানান, বাজারে এখন এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২,৩০০-২,৪০০ টাকায়। ৫০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ ১,৭০০-১,৮০০ টাকায় এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ২,৮০০-৩,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) দেশের সব ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে বন্ধ থাকবে শেয়ারবাজারের লেনদেনও। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু শাখা খোলা থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত ছুটির তালিকা অনুযায়ী, প্রতিবছর ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বর ‘ব্যাংক হলিডে’ হিসেবে পালিত হয়। এ দিনগুলোতে বার্ষিক হিসাব-নিকাশ এবং আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার কাজ সম্পন্ন করতে ব্যাংকের সাধারণ লেনদেন বন্ধ রাখা হয়।

ফলে এদিন কোনো ব্যাংক শাখা থেকে টাকা জমা বা উত্তোলন করা যাবে না। বন্ধ থাকবে চেক নিষ্পত্তি, ডিমান্ড ড্রাফট, পে অর্ডার, এটিএম থেকে নগদ উত্তোলন, এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক লেনদেনসহ অন্যান্য সব ধরনের লেনদেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন
এনবিআরের কমপ্লিট শাটডাউন প্রত্যাহার, বেনাপোল কাস্টমসে কার্যক্রম শুরু
কুবি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রক্টরিয়াল বডির জরুরি নির্দেশনা
ঢাকাস্থ ধুনটের সুধীজন কল্যাণ ফোরামের ঈদ পুনর্মিলনী ও নির্বাচন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ প্রকাশ
বিশ্বের প্রথম রোবট ফুটবল ম্যাচ আয়োজনে চীনের নতুন ইতিহাস
পালিয়ে যাওয়ার দশ মাস পর প্রথম চেহারা দেখালেন ওবায়দুল কাদের
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
বায়ুদূষণ রোধে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে সরানোর ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৭২ ফিলিস্তিনি
ভুয়া মামলা ও নির্দোষকে হয়রানি রোধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে নতুন বিধান যুক্ত: আসিফ নজরুল
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে একমত সব দল, আনুপাতিক ভোটে অনৈক্য: আলী রীয়াজ
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা স্থিতিশীল
বসুন্ধরা থেকে নিখোঁজ এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহিরা সাভার থেকে উদ্ধার (ভিডিও)
বিধ্বস্ত মেসির মায়ামি, পিএসজির সামনে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আট
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ধসে পড়ল তিনটি ভবন