সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

পালানোর সময় কিলঘুষি দিয়ে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তকে আটক

মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার পথে একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করেছেন স্থানীয় জনতা।

বাকি দুইজন হলেন- একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান ও প্রাইভেটকার চালক। চালকের নাম জানা যায়নি।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে তাদের আটক করা হয়।

রোববার রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

তারা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তারাসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জন সাংবাদিক। আন্দোলনে নিহত রিয়ানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক গত ২৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দাখিল করেন।

একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমার বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে। আমাকে আমার স্যার মোজাম্মেল হোসেন বাবু সীমান্তে দিয়ে আসার কথা বলেন। তারপর আমি নিয়ে আসার পথে দশটি মোটরসাইকেল পথরোধ করে। আমাদেরকে আটকিয়ে কিলঘুষি দিয়ে, আমাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা চেক করে সবকিছু নিয়ে যায়। কি কি নিছে আমি বলতে পারবো না।

এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চান মিয়া বলেন, তাদেরকে সাধারণ জনগণ সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে সকাল ৬টার দিকে ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। আটক চারজন বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

বায়ুদূষণ রোধে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে সরানোর ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত

বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং সে লক্ষ্যে পুরনো মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িগুলো পর্যায়ক্রমে সড়ক থেকে তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (৩০ জুন) সচিবালয়ে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে চীনের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা জানান। উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ রোধে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে এবং এজন্য একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি আরও জানান, শীতকাল শুরুর আগেই, অর্থাৎ অক্টোবরের আগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো মেরামত করা হবে। পাশাপাশি নতুন করে ২৫০টি পরিবেশবান্ধব যানবাহন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা কেবল কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবায়নের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দূষণের অন্যতম উৎস হিসেবে গণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িগুলো ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়।

প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জমা দেওয়া হয়েছে এবং আজ বেলা সাড়ে ১১টায় এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারিক প্যানেল গঠিত হয়েছে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে। অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। প্রসিকিউটর তামিম জানান, চিফ প্রসিকিউটর সরকারের ব্যস্ততার কারণে রবিবার অভিযোগ দাখিল সম্ভব হয়নি।

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশন দপ্তরে জমা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত প্রতিবেদনে ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ২৪ জুন প্রতিবেদনটি চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী। তবে তদন্তের স্বার্থে বাকি আসামিদের নাম প্রকাশ করেননি প্রসিকিউটর। আবু সাঈদ ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত প্রথম শহীদ, যার হত্যাকাণ্ড ঘিরে সারাদেশে তীব্র প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গ্রহণ করে বিচার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৭২ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান ও স্থল হামলায় রবিবার (২৯ জুন) আরও অন্তত ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ, যারা শুধুমাত্র খাদ্য সহায়তা গ্রহণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ত্রাণকেন্দ্রে অপেক্ষা করছিলেন।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, দিনভর চলা এ হামলার অধিকাংশই হয়েছে গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলে। গাজার মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, শুধু ওই এলাকাগুলোতেই নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৭ জন।

গাজা শহর থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা মুয়াত আল-কালহুত জানান, জেইতুন, সাবরা ও আল-জাওইয়া বাজার এলাকাগুলোতে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর আহতদের ঢল নামে উত্তর গাজার আল-আহলি হাসপাতালে। সেখানে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, “অনেক শিশু ও বৃদ্ধ আহত অবস্থায় হাসপাতালে ছুটে আসছেন। পর্যাপ্ত বেড ও চিকিৎসাসামগ্রী না থাকায় অনেকেই মেঝেতে শুয়ে আছেন।”

একইসঙ্গে ইসরায়েল পূর্ব গাজা শহরে লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও, তার ঠিক পরপরই শুরু করছে ভারী বোমা হামলা, যা হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

রবিবারের হামলায় নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহর উত্তরে অবস্থিত একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তা নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনি। বিতরণ কেন্দ্রগুলো বর্তমানে পরিচালনা করছে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (Gaza Humanitarian Foundation - GHF), যেটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সরাসরি সমর্থনপুষ্ট।

গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, GHF কর্তৃক সহায়তা বিতরণ শুরুর (মে মাসের শেষদিক থেকে) পর থেকে ইসরায়েলি সেনারা প্রায় নিয়মিতভাবেই এসব কেন্দ্রে ভিড় করা মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত ৫৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং চার হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

গাজা বর্তমানে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে বহু মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর একাধিক প্রতিবেদনে এই অবরোধ ও বর্বরতাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হলেও ইসরায়েলের দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বায়ুদূষণ রোধে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে সরানোর ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৭২ ফিলিস্তিনি
ভুয়া মামলা ও নির্দোষকে হয়রানি রোধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে নতুন বিধান যুক্ত: আসিফ নজরুল
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে একমত সব দল, আনুপাতিক ভোটে অনৈক্য: আলী রীয়াজ
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা স্থিতিশীল
বসুন্ধরা থেকে নিখোঁজ এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহিরা সাভার থেকে উদ্ধার
বিধ্বস্ত মেসির মায়ামি, পিএসজির সামনে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আট
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ধসে পড়ল তিনটি ভবন
র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ নারী দল
অবশেষে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করল এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স: জানুন কীভাবে পাওয়া যায় অস্ত্র রাখার অনুমতি
ভুলবশত ব্যাগে ম্যাগাজিন, বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত: আসিফ মাহমুদ
মৌলিক সংস্কারে ঐকমত্য এখনও অনেক দূর: আখতার হোসেন
ঢাকায় চালু হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয়
এনবিআরের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে দুদক
বিএনপি–ছাত্রদলের বিরুদ্ধে শিবিরের পরিকল্পিত অপপ্রচারের অভিযোগ নাছিরের
আবাসিক হোটেল থেকে স্বামী–স্ত্রী ও ছেলের লাশ উদ্ধার
প্রথমবারের মতো ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স
ইমাম-খতিবদের বেতন ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি