বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঘুষ খেয়ে ৫৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ভোটার বানান সাবেক ইসি সচিব!

নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫৫ হাজার ৩১০ জন শরণার্থীকে এদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে ভোটার বানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আওয়ামী লীগের হয়েও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার খায়েশ ছিল তার। এজন্য নিজের ভোটব্যাংক বাড়াতে এই দুর্নীতির আশ্রয় নেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হেলালুদ্দীন।

সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত রোহিঙ্গা ডাকাতের কাছে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র অনুসন্ধানে গিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কিন্তু হাসিনা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজন জড়িত থাকায় বিষয়টি আর আলোর মুখ দেখেনি। উল্টো দুদকের যে কর্মকর্তা এই বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন তারই চাকরি চলে যায় ‘ঠুনকো অজুহাতে’।

দুদক সূত্র জানায়, অবসরের পর কক্সবাজারের ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ ও ইসলামপুর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনের অংশ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে নাগরিকত্ব দিয়ে ভোটার বানান হেলালুদ্দীন। এই প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে হয় তাকে।

দুদকের ধারণা, এই চক্র শুধু ঈদগাঁও, ইসলামাবাদেই নয়, বরং কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, লামা, আলীকদমে আশ্রয় নেওয়া আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে ভোটার বানিয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ায় লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। পরে নির্বাচন কমিশনও আলাদা একটি তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায়। নির্বাচন কমিশন ও দুদকের করা চাঞ্চল্যকর ওই তদন্ত প্রতিবেদন দুটি দৈনিক জাতীয় পত্রিকার হাতে এসেছে।

২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী আমলা হিসেবে পরিচিত হেলালুদ্দীন আহমদ। দুদক সূত্র জানায়, অবসরের পর নির্বাচন করার খায়েশ থেকে ওই এলাকায় আশ্রিত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভোটার বানাতে শুরু করেন তিনি। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারার কাজ হয়। একদিকে যেমন এলাকায় তার ভোটার তৈরি হয়। অন্যদিকে প্রতিটি এনআইডি কার্ড দেওয়ার জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

দুদক ও নির্বাচন কমিশনের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, হেলালুদ্দীনের গড়ে তোলা সিন্ডিকেটটি শুধু তার নির্বাচনী এলাকাতেই থেমে থাকেনি। বরং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করেছে তারা। তবে পতিত সরকারের বাধায় বিস্তারিত অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি। বিস্তারিত অনুসন্ধান করতে পারলে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা অন্তত ৫ লাখ রোহিঙ্গাকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হতো, যার মধ্যে অন্তত ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে পাসপোর্টও দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলম। এ সময় তার কাছ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড পায় পুলিশ, যা ইস্যু করা হয় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে। ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে নুর ওই এনআইডি সংগ্রহ করে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তদন্তে নামে দুদক। এতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।

হেলালুদ্দীনের নাম এলো যেভাবে

২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তদন্তের স্বার্থে দুদকের একটি অনুসন্ধানী টিম চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজে ব্যবহৃত আটটি ল্যাপটপ হারিয়ে যাওয়ার তথ্য পায় দুদক। তবে সাতটি ল্যাপটপের ব্যাপারে জিডি ও মামলা রেকর্ড করাসহ আইডি ব্লক করার কথা জানানো হলেও ইসির দাবি করা মিরসরাই থেকে খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটপের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি অজ্ঞাত কারণে।

৪৩৯১ আইডি নম্বরের ল্যাপটপটির আইডিও ব্লক করা হয়নি তখনও। ওই একটি ল্যাপটপ দিয়েই ২০১৬ সাল থেকে টানা ৩ বছর ধরে ৫৫ হাজার ৩১০ জন রোহিঙ্গাকে ভোটার বানানো হয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজারই কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার বাসিন্দা। অনুসন্ধানী দল ইসির সার্ভারে ঢুকে দেখতে পায়, ভোটার হওয়ার জন্য যে নিবন্ধন ফর্ম ব্যবহার করা হয় তার সিরিয়াল নম্বর ৪১৮৬৬৩০১ হতে ৪১৮৬৬৪০০ পর্যন্ত ১০০টি ফর্মের একটি বই একটি অফিসের নামে ইস্যু করার নিয়ম থাকলেও এর ৬৩টি ফরম ব্যবহার করা হয়েছে দেশের ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে।

এ ছাড়া ২৩৯১ নম্বরের ল্যাপটপ থেকে যে ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে ভোটার বানানো হয়েছে তাদের কারোর ক্ষেত্রেই পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র আপলোড করা হয়নি নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে। অনুসন্ধান চলাকালেই সে সময়ের নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুউদ্দীন ফোন করে দুদকের অনুসন্ধানী টিমকে অভিযান অসমাপ্ত রেখেই ফিরে আসতে চাপ দেন। এতেই হেলালের নাম সন্দেহের তালিকায় আসে দুদকের।

যেভাবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হতো

মূলত চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের পিয়ন জয়নাল আবেদিন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য সুন্দর দে, নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মহিউদ্দিন তারেখ, সৈকত বড়ুয়া, শাহ জামাল ও পাভেল বড়ুয়া টেকনিক্যাল কাজগুলো করতেন। নির্বাচন অফিসে বসে অফিসের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেই ভুয়া ভোটার তৈরির কাজ করতেন তারা।

এ ছাড়া জয়নালের বাঁশখালীর বাড়িতে আলাদা সার্ভার রুম বসিয়েও অফিস টাইমের পড়ে সবাই মিলে রোহিঙ্গাদের ভোটার বানানোর এই কাজ চালিয়ে গেছেন টানা তিন বছর। এসব কাজে ডাবলমুরিং নির্বাচন অফিসের স্ক্যানার, ফিঙ্গারিং মেশিন, আইরিশ ডিটেক্টর ও সিগনেচার প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিসের আরেক অফিস সহায়ক নুর আহম্মদ ও আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারী ঋষিকেশ দাশ ভোটার নিবন্ধন ফরমগুলো চুরি করে জয়নালের কাছে দিত। প্রক্রিয়া শেষে তথ্যগুলো কথিত খোয়া যাওয়া ৪৩৯১ নম্বরের ল্যাপটপ থেকে আপলোড করতেন জয়নাল। আর ঢাকা থেকে সেগুলো দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের আইডি ও মডেম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে ইমপোর্ট দিতেন সত্য সুন্দর দে ও মহিউদ্দিন তারেখ।

রোহিঙ্গা ইস্যু থাকায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার ৩২ উপজেলাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করে খাতা-কলমে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তৈরি করা নিবন্ধন ফরমের ৪১টি কলাম যথাযথভাবে পূরণ করাসহ পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন অফিসের প্রত্যয়নপত্র, বিদ্যালয়ের সনদ, জাতীয়তা সনদ, জন্মনিবন্ধন, ভূমিসনদ, উদ্যোক্তা সনদের প্রয়োজন হয়।

এসব ডকুমেন্টের কোনোটির ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির সত্যায়নপত্রসহ সব ডকুমেন্টের সফটকপি নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে আপলোড করতে হয়। কিন্তু এই ৫৫ হাজার ৩১০ জনের একজনের ক্ষেত্রেও পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্ট নেই ইসিতে।

হেলালুদ্দীনের সহযোগী হিসেবে যারা

রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, পাসপোর্ট পেতে সহায়তা করা ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১০৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এরা সবাই হেলালুদ্দীনের সিন্ডিকেটের সদস্য।

এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন হেলালের ভাই নাইক্ষ্যংছড়ি কলেজের শিক্ষক মুজিবুর রহমান, নির্বাচন কমিশনের তৎকালীন পরিচালক খোরশেদ আলম, কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, কক্সবাজার জেলা সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন, চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, নির্বাচন কমিশন ঢাকার টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য সুন্দর দে, ডাবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অফিসার সৈকত বড়ুয়া, শাহ জামাল, কক্সবাজার পূর্ব গোমাতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক নুর আহম্মদ, নির্বাচন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মহিউদ্দিন তারেক, আউট সোর্সিং কর্মচারী ঋষিকেশ দাশ, পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসার আবদুল লতিফ শেখ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল, সরফরাজ কাদের রাসেল, জেলা নির্বাচন অফিসের উচ্চমান সহকারী মাহফুজুল ইসলাম, সাবেক চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার খোরশেদ আলমসহ ১০৬ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই সিন্ডিকেটে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আইনজীবী, শিক্ষক সবাই রয়েছে।

রোহিঙ্গা ভোটার জালিয়াতি ধরায় চাকরি যায় দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের

দুদকের পরিচালক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের অনুসন্ধানী কমিটি গঠিত হয়। তবে কার্যত অনুসন্ধানের সব কাজ করেন উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। ২০১৯ সাল থেকে টানা দুই বছর অনুসন্ধান শেষে ২০২১ সালের ১৬ জুন প্রথম একসঙ্গে ৫টি মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই দিনই হেলাল উদ্দিনের প্রভাবে তাকে বদলি করা হয় পটুয়াখালীতে। এর কয়েকদিন পর চাকরিবিধি লঙ্ঘন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয় তাকে।

সূত্র: আমার দেশ

 

 

Header Ad
Header Ad

আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী

বক্তব্য রাখছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন- শেখ হাসিনার পতন ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পতন। শেখ হাসিনার পতনে রাজনৈতিক দলের শ্রম ও ঘাম আছে। শেখ হাসিনার পতনে যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছেন তাদের ভূমিকা আছে। আল্লাহর রহমতে দেশের জনগণের দ্বারা শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও গুরুতর পতন হবে। অন্য কেউ যদি করেন তারও হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধুকে কেউ ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধকে ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। স্বাধীনতাকেও ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। তাই স্বাধীনতা অক্ষয় ও অমর। বঙ্গবন্ধুও তেমন অক্ষয় ও অমর।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু আওয়ামী লীগদের দাওয়াত করতে বলেছিলাম। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে। মানুষের অন্তরে তো বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ না। মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ তো নিষিদ্ধ না। নিষিদ্ধ আইনের ধারা হতে পারে। মানুষের অন্তরের ধারা না।

তিনি আরও বলেন- স্বাধীনতা আমাদের, স্বাধীনতা বাংলাদেশের। স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ-বিএনপির না। অধ্যাপক ইউনুস ও এনসিপিদের না। স্বাধীনতা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা। সে জন্য এই স্বাধীনতার প্রতি যারাই হস্তক্ষেপ করবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অন্যকে শিকার করতে হবে। বিরোধীকে সম্মান দিতে হবে। চোর ও ডাকাতকে ইচ্ছে হলেই মেরে ফেললাম এটা চলবে না। তাকেও আইনের আশ্রয় দিতে হবে।

এ সময় সখীপুর উপজেলা শাখার কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি আব্দুস সবুর খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন- কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ হাবীব, কালিহাতী উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, সখীপুর উপজেলা শাখার কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ বলেছেন, ‘আমরা কোনো জোট গঠন করছি না।’ সম্প্রতি চীনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি জোট গঠন হয়েছে বলে খবরের প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে বাংলাদেশ চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গঠন করছে কি না— জানতে চাওয়া হয় উপদেষ্টার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো জোট গঠন করছি না। মূলত, উদ্যোগটি চীনের এবং এটি একেবারেই অফিসিয়াল পর্যায়ে, রাজনৈতিক কোনো পর্যায়ে না।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ওখানে একটা প্রদর্শনী হচ্ছিল, সেখানে সাইডলাইনে তিন দেশের পররাষ্ট্রসচিব বসে আলাপ-আলোচনা করেছি। আলাপ-আলোচনা পুরোপুরি ছিল কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি; এগুলো নিয়ে। আপনারা জোট গঠনের যে কথা বলছেন, এ ধরনের কোনো কিছু ছিল না। এটা নিতান্তই একটি প্র্যাকটিক্যাল সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির ব্যাপার। আমরা মনে হয় না, এটা নিয়ে আর কোনো কিছু হতে দেওয়া উচিত।

কুনমিংয়ের ওই বৈঠকে তিন পক্ষের সহযোগিতা বাস্তবায়নে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) গঠনের কথা এসেছে চীন ও পাকিস্তানের দিক থেকে। বৈঠকটি নিয়ে তিন দেশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও মিল ছিল না। তাহলে বাংলাদেশ জোট গঠনের কথা ডিনাই করছে কি না—

এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, কোনোটিই ডিনাই করার প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের যেটুকু উল্লেখ করেছি, এটাতে বোঝা যায় এটাতে স্ট্রাকচারাল বড়সড় কোনো ব্যাপার ছিল না। প্রত্যেকটা দেশ নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখেছে। আমরাও তাই করেছি। যদি ভবিষ্যতে কোনো অগ্রগতি হয় তখন আপনারা জানতে পারবেন।

ত্রিপক্ষীয় যে জোট গঠনের কথা আসছে এটা তৃতীয় কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে কি না— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই নয়। এটা আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি। টার্গেট করার বিষয় এখানে নেই। এরকম আরও কোনো দেশ যদি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করতে চায় আমি তো কোনো সমস্যা দেখি না। সেটাও আমি করতে রাজি।

তিনি বলেন, ধরুন ভারত যদি করতে চায় কানেক্টিভিটি নিয়ে, নেপাল বা অন্য কোনো দেশকে নিয়ে, আমরা রাজি আছি। এটা হলে আমি কালকেই করতে রাজি। যেহেতু চীন ও পাকিস্তান ছিল যার কারণে হয়তো আপনারা মনে করছেন হঠাৎ করে কেন হলো। এটাকে খুব বেশি স্পেকুলেট করার সুযোগ নেই।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানোর পর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদদের নামে নামকরণ করা মোট ৯৭৭টি স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে বেশিরভাগ নাম পরিবর্তনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ বছরে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, যেমন সেনানিবাস, বিমানঘাঁটি, নৌবাহিনীর জাহাজ, মেগা সেতু, মহাসড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, গবেষণা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনার নাম শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও দলীয় নেতাদের নামে রাখা হয়েছিল।

বর্তমানে নতুন সরকার ওইসব স্থাপনাকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখতে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এসব নাম পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানানো হয়। বাকি যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন বাকি রয়েছে, সেগুলোর প্রক্রিয়া চলমান।

তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে (ভিডিও)
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!
সব সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
জেলার সব প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের ঘোষণা দিলেন ডিসি
রংপুরে চিকিৎসা অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতালকে ২ লাখ জরিমানা
টাঙ্গুয়ার হাওরে গাঁজা সেবন দায়ে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড
৮৩ লাখ মাদকাসক্ত দেশে, গাঁজা সেবনকারী সবচেয়ে বেশি
নতুন গিলাফে আবৃত পবিত্র কাবা শরিফ