বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রতিবন্ধী নাগরিকরা সমঅধিকার নিয়ে বেঁচে থাকুক

আমরা জানি, ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। তবে আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, ২৩শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপুর্ণ দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে। এজন্য দিনটিকে আমরা পতাকা উত্তোলন দিবসও বলি, প্রতিরোধ দিবসও বলি। যদিও উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এদিনটি লাহোর প্রস্তাব দিবস ।

১৯৪০ সালের ২৩শে মার্চ লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ সভায় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এই উপমহাদেশে দুটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব এনেছিলেন। তার একটি হবে উত্তর পূর্ব ভারতকে নিয়ে এবং বাংলাদেশ, অন্যটি পাকিস্তান। তবে নির্মম রাজনৈতিক ইতিহাস ঘটনা প্রবাহকে পাল্টে দেয়। দুটির জায়গায় একটি রাষ্ট্র হয়। মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান, ১৯৪৭ সালে। চব্বিশ বছরের বঞ্চনা, বৈষম্য নিপীড়ন, অত্যাচার, এমনকি আমাদের মাতৃভাষার উপরে যখন আঘাত এসবের বিরুদ্ধে আমাদের পর্যায়ক্রমে জবাব দিতে হয়েছে।

আমি একজন দৃস্টি প্রতিবন্ধী নাগরিক। এই দেশে কোনো প্রতিবন্ধী নাগরিকের, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য কোনো রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। ১৯৫৬ সালে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে আমার চক্ষু বিশেষজ্ঞ আমার মরহুম পিতা-মাতাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, আমার দুটি চোখেরই দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। কাজেই তখন আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অর্থাৎ তখন সবাই বলতেন, অন্ধ হয়ে গেছে। তখন এদেশে আমার লেখা পড়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তখন পূর্ব পাকিস্তান সরকার পরিচালিত হচ্ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আতাউর রহমান খান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তখন এক তরুন তেজস্বী রাজনৈতিক নেতা এবং মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৫৭ সালের ২ এপ্রিল ঢাকায় রোটারি ক্লাব আয়োজন করে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে দৃস্টি প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়। যেহেতু এদেশে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে ছিল না, কোনো শিক্ষক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়, তাই কলকাতা রোটারি ক্লাবের সহায়তায় একজন শিক্ষক প্রয়াত বিভূতি ভূষণকে নিয়ে আসা হয়। আর আমাকে সনাক্ত করা হয় প্রথম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র হিসেবে।

১৯৫৭ সালের ২ এপ্রিল ৭ বছর বয়সে আমি আমার দ্বিতীয় যাত্রা শুরু করি। অর্থাৎ দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে আবারও লেখাপড়া করার জন্য আমার প্রথম স্কুলে যাওয়া। একটি ভাড়াটে বাড়িতে ১৭/৮ ওয়ারি র‌্যাংকিং স্ট্রিট, পুরোনো ঢাকায় আমার প্রথম স্কুল জীবন শুরু। এখনও মনে পড়ে মাস্টার বাবুর হাতে যখন আমার মা আমাকে নিয়ে গেলেন, তার আগে স্কুল উদ্বোধন হয়েছিল ১৫ই মার্চ। সেদিন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান, মাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন, মিসেস চৌধুরী, আপনি মনসুরকে নিয়ে ভাববেন না। সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বটে, কিন্তু আজ থেকে সে পড়ালেখা শিখবে। আমাদের হেড মাস্টার সাহেব তিনি আমাকে বাংলা ব্রেইল পদ্ধতির মাধ্যমে বর্ণমালার সঙ্গে পরিচিত করলেন। ইংরেজি বর্ণমালার সঙ্গে পরিচয় করলেন। বললেন, প্রথমে ইংরেজি বর্ণমালা শিখবে। ছয়টি বিন্দু বা ডট দিয়ে নানানভাবে সাজানো হয়। সেভাবেই শিখলাম। তিন চার দিন সময় লাগল। তারপর বাংলা শেখানো হল। বিভিন্ন বস্তুর আকার প্রকার বোঝানোর জন্য বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আসা হল। পাতার যে ঘ্রাণশক্তি সেটি পরীক্ষা করার চেষ্টা চলল। তারপর দুপুরবেলা মাদুর পেতে সংগীত শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হল। আজও সেই গানটির কথা মনে আছে, জীবনের গভীর অর্থ তখন বুঝি নাই। গানের কথাগুলো ছিল এরকম,

এই করেছ ভাল নিঠুর হে, নিঠুর হে
এই করেছ ভাল
এমনি করে হৃদয়ে মোর
তীব্র দহন জ্বালো
এই করেছ ভাল নিঠুর হে, নিঠুর হে
এই করেছ ভাল।

জীবনের এই প্রান্তে এসে রবীন্দ্রনাথের লেখা এই গানটি আমার মনে হয় যেন প্রতিদিনের প্রার্থনা সংগীত।

খুব মনে হচ্ছে, জাতির পিতা সম্পর্কে একটি কথা বলা উচিত। আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, শুধুমাত্র তার কন্ঠস্বর শুনি নাই, তাকে স্পর্শ করেছি। তার সঙ্গে করমর্দন করেছি। সেটি প্রথম ঘটেছিল ১৯৬৯ সালে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পাকিস্তান থেকে ছয়জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্ব অন্ধ প্রতিবন্ধী সম্মেলনে কলম্বোতে যাবেন। পাকিস্তান থেকে আমরা তিনজন ছাত্র। সে উপলক্ষে ১৯৬৯ এর সেপ্টেম্বরের এক সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যাই। বঙ্গবন্ধু তার কয়েকজন বন্ধু ও সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। আমরা যাব তিনি জানতেন। খুব স্নেহ করলেন, আদর করলেন। বললেন, এই বয়সে তোমরা যাচ্ছ, নিজের দেশেকে তুলে ধরবে। তোমাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলবে। তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেদিন অনেক উৎসাহ অনেক প্রেরণার কথা শুনিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার তার সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। সেটি ২৫শে জানুয়ারি ১৯৭২, পুরানো গণভবনে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী’র সঙ্গে আমাদের আগের দিন দেখা হয়। তিনি যেহেতু রোটারি ক্লাবের চেয়ারম্যান ছিলেন, সে কারণে শৈশব থেকেই আমাকে চিনতেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তার সঙ্গে দৃষ্টি প্রতিবন্দ্বীদের সমস্যা নিয়ে আমরা আলাপ করতে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তোমরা কাল দেখা করতে যাবে, আমি তোমাদের সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। উনি প্রথমে ভুল বুঝেছিলেন। উনি ভেবেছিলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েছি। আমরা তাকে জানিয়েছিলাম, আমরা শৈশব থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। আমরা বলেছিলাম, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত। এটি কোনো কল্যাণজনক কিছু হতে পারে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের অধীনস্ত করা হোক। তিনি সহমত প্রকাশ করে বলেছিলেন, অত্যন্ত ভাল কথা। তিনি বললেন, ‘তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ সাহেবকে আমি এ ব্যাপারে বলে দেব। ‘আমাদের লিখিত স্মারকলিপি তিনি রাখলেন এবং অনেক উৎসাহ দিলেন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল, কিছু অনাহূত জটিলতার কারণে পরিশেষে সেটি আর বদল করা যায়নি। আজও এ দেশের প্রতিবন্দ্বীদের শিক্ষা ব্যবস্থা সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত। অথচ আমরা কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়ি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। অথচ আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

ফিরে আসি ১৯৭৪সালে। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। যেমন প্রতিটি মহকুমার অধীন সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমন্বিত কার্যক্রমে ১০ জন করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। উনি এরকমই নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রক্রিয়াটি তিনি চালু করে দিয়ে গিয়েছিলেন। তার সেই অসম্পূর্ণ কাজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশ বছর পরে সেটি পুনরায় চালু করেছেন। বর্তমানে মেধাবি প্রতিবন্দী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভাতা দেওয়া হয়।

ইতিহাস অনেক লম্বা। অনেক সময় পেরিয়ে গেছে, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কিছু কাজ নিশ্চয় হয়েছে। তবে দুঃখজনক হল, যতটুকু হয়েছে অথবা যেটুকু হবার কথা ছিল, তা খুব বেশি কিছু নয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ সকল প্রকার প্রতিবন্ধীদের নানা সমস্যা, যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। শিক্ষাক্ষেত্র, শিক্ষা শেষে তার কর্মসংস্থান, মর্যাদার সঙ্গে চাকরি করে বেঁচে থাকার পরিবেশ এখনো হয়নি। রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকতে পারে, কিন্তু তাকে বাস্তবায়িত করতে হবে। এ কথা আবারও বলি যে, প্রতিবন্দ্বী মানুষের সমস্যা ব্যাপক। উন্নয়নশীল দেশে এই সমস্যা অনেক গভীর ও অনেক বেশি। আমরা সভ্যতার উষালগ্ন থেকে আজ অব্দি যেভাবে এগিয়ে চলেছি, একসময় প্রতিবন্ধীদের আইসোলেটেড করে রাখতাম, এখন ইনক্লুসিভ করা হয়েছে। এখন আমরা সমঅধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি। আমার বিশ্বাস এই স্বাধীন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় হয়তো একদিন আমি থাকব না, আমি না থাকি, তাতে কি আসে যায়। এদেশের প্রতিবন্ধী নাগরিকেরা সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকুক। আপনারা মনে রাখবেন, আমরা যারা প্রতিবন্ধী মানুষ, আমরা প্রথমে মানুষ, তারপর প্রতিবন্ধী। 


লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি, ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক মানবাধিকার কর্মী

Header Ad

বেঁকে যাওয়া রেললাইনে কচুরিপানা থেরাপি

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র তাপদাহে গাজীপুরে বেঁকে যাওয়া রেলপথ মেরামতে কচুরিপানা, কাঁদা ও পানি থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ইস্ট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু জাফর বলেছেন, সোমবার দুপুরে তীব্র তাপদাহে গাজীপুরের কালীগঞ্জে আড়িখোলা এলাকায় প্রায় ১৫ফুট পরিমাণ রেলপথ বেঁকে যায়।

এতে ওই পথে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পরে মেরামত করে প্রায় এক ঘন্টা পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু করে।

তিনি বলেন, রেলপথে তাপমাত্রা ৫০ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা তার উপরে উঠলে রেলপথ বেঁকে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। সেদিন সেখানকার রেললাইনে তাপমাত্রা ৫৫ডিগ্রি'র মতো ছিল। তাই ঢাকা-নরসিংদী রেলরুটের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়িখোলা এলাকায় রেল লাইন বেঁকে যায়।

এ ধরনের বেঁকে যাওয়া রেলপথ ঠিক করতে প্রথমেই রেলপথ ঠান্ডা করা দরকার হয়। একাজে ব্যবহারে সেখানে বরফ না পাওয়ায় বিকল্প হিসেবে জলাশয় থেকে কচুরিপানা, কাঁদা ও ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ কচুরিপানা বা কাঁদা দীর্ঘ সময় পানি/ঠান্ডা অবস্থা ধারণ করে রাখতে পারে। গাজীপুরেও ওইসব প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া গেছে।

উচ্চতাপ থাকা অবস্থায় রেললাইন চাপ প্রয়োগ করলে তা আরো বেঁকে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আর রেল লাইন ঠান্ডা হলে তা অনেকটাই আগের অবস্থায় চলে যায়। পরে প্রয়োজন হলে চাপ প্রয়োগ করে বাকি অংশ ঠিক করা সম্ভব হয়। উচ্চ তাপমাত্রা থেকে তাপমাত্রা ৩০/৩২ ডিগ্রিতে নেমে আসার পর চাপ প্রয়োগ করা হয়। গাজীপুরেও এ থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানের রেললাইন বেঁকে যায়। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস।

স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস বলেন, তীব্র গরমে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে অন্তত ১৫ ফুট রেললাইন বেঁকে যায়।

বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে প্রকৌশলীদের পরামর্শে রেলপথে পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তা মেরামত করা হয়। মেরামতের পর দুটি ট্রেন ঘটনাস্থল দিয়ে ধীর গতিতে গন্তব্যে চলে গেছে। ডাবল লাইনের অন্য লাইন দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের অধীনে কর্মরত কি-ম্যান (দড়িপাড়া-বড়নগর) মো. বাদশা মিয়া বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে। পরে আড়িখোলা-পূবাইল স্টেশনের মাঝখানে চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে টহলরত রেলওয়ে কর্মচারীরা রেলপথ বাঁকা দেখতে পান। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে, তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্ট্রেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

তিনি আরও বলেন, পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর এক ঘণ্টা পর ওই ট্রেনটি ধীর গতিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিকেল ৪টার দিকে তিতাস কমিউটার নামের আরও একটি ট্রেন ধীর গতিতে বেঁকে যাওয়া স্থান অতিক্রম করে।

এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন সেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলেই। বয়সটাও এখন ৪৩ ছুঁই ছুঁই। ব্যাট হাতে দেখা যায় শুধু আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। প্রতিবার দলের নেতৃত্বে থাকলেও এবার চেন্নাইকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন না, দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে। ব্যাটসম্যান হিসেবেও নিজের ভূমিকা বদলেছেন। উইকেটে আসেন হাতে গোনা কিছু বল বাকি থাকতে। এসেই ঝড় তোলেন।

যখনই ক্রিজে আসেন, চার-ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়িয়ে দেন। এই নতুন ভূমিকাতেও মহেন্দ্র সিং ধোনি পুরোপুরি সফল। মজার ব্যাপার হলো, এমন ‘হাইরিস্ক গেম’ খেলেও ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত আউট হননি।

ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৯টি, ব্যাটিং করেছেন ৭ ইনিংসে। ৭ ইনিংস ব্যাট করে খুব বেশি বল খেলেননি—৩৭টি। এই ৩৭ বলে রান করেছেন ৯৬, স্ট্রাইকরেট—২৫৯.৪৫। ছক্কা মেরেছেন ৮টি, চার ৯টি। বল খেলার সংখ্যাটা অবশ্যই খুব বেশি নয়। তবে মনে রাখতে হবে ধোনি এই ৩৭ বলের প্রায় প্রতিটিতেই খেলেছেন বাউন্ডারির জন্য। সে ক্ষেত্রে আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকে আরও বেশি।

ধোনি কয়েকটি বলের জন্য ক্রিজে এসে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, এমন উদাহরণও আছে। এই যেমন গত ১৪ এপ্রিল ‘আইপিএল ক্লাসিকো’য় মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে।

ইনিংসের ২০তম ওভারে উইকেট এসে ৪ বলে ৩ ছক্কায় করেন ২০ রান। সেই ম্যাচটি চেন্নাই শেষ পর্যন্ত ২০ রানেই জেতে। এরপরের ম্যাচেই লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে করেন ৯ বলে ২৮ রান।

সেদিন অবশ্য ম্যাচটি জিততে পারেনি চেন্নাই। তবে ম্যাচের শেষ ওভারে যেভাবে ১০১ মিটারের ছক্কা মেরেছিলেন ধোনি, তাতে তাঁর বয়সটা আসলেই ৪২ কি না, তা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ জেগেছিল! ধোনি এরপর আরও দুই ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন। এই ২ ম্যাচ মিলিয়ে খেলার সুযোগ হয়েছে মাত্র ৩ বল, তাতেই দুটি চার মেরেছেন।

গত মৌসুম থেকেই মূলত ধোনি চেন্নাইয়ের ইনিংসের একদম শেষভাগে ব্যাটিংয়ে নামতে শুরু করেন। গত আইপিএলে ১২ ইনিংসে বল খেলেছিলেন মাত্র ৫৭টি, রান করেছিলেন ১০৪। এবারও নিশ্চয় আরও কিছু বল খেলবেন ধোনি।

ফিনিশার হিসেবে ধোনি এমনিতেই কিংবদন্তি। তবে তাঁর ম্যাচ শেষ করার নিজস্ব একটা ধরন ছিল। শুরুতে কিছু সময় নিতে পছন্দ করতেন। এরপর শেষে গিয়ে সেটা পুষিয়ে দিতেন। তবে এখন ধোনি জানেন, সেই সুযোগটা তিনি পাবেন না। শরীরটাও হয়তো সায় দেবে না। তাই নতুন ভূমিকা বেছে নিয়েছেন। আর কীভাবে সেই ভূমিকায় সফল হতে হয়, সেটার প্রমাণ তো ম্যাচের পর ম্যাচ করেই যাচ্ছেন।

 

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান পাঁচ ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতার পাশাপাশি এর বাইরে কোনো বিষয়ে আগ্রহী কিনা-মতামত জানতে চেয়েছে ওয়াশিংটন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব (দ্বিপাক্ষিক-পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের চলমান অংশীদারিত্বের আরও ব্যাপ্ত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি ক্ষেত্র এবং এর বাইরে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে মতামত জানতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অনুরোধ করেছে।

ঢাকার এক দায়িত্বশীল কূটনীতিক বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে বলা আছে, দেশটির কোন কোন খাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতাম, সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা আলোচনা হয়েছে। এটা আসলে নতুন কিছু না। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব এনগেজমেন্ট আছে সেগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে বা নতুন করে কোনো বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা—সেগুলো আমরা আলোচনা করি বা কোনো কনসার্ন থাকলে সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি খাত সম্পর্কে এ কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে একটি অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানো, পরিবেশগত সুরক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন; এক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর বা বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। তৃতীয়ত, নিরাপত্তা সহযোগিতা—এটার মধ্যে এন্টি টেরোরিজম অ্যাসিসটেন্ট রয়েছে; পুলিশ-র‌্যাবের তহবিল রয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তার সংক্রান্ত অংশীদারত্ব ইস্যু রয়েছে। তারপর মানবিক সহায়তা বিষয় রয়েছে, যা মধ্যে রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয় যুক্ত। এছাড়া রাইটস ইস্যুস আছে; এর মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র বা লেবার রাইটস ইস্যু আছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভোট শেষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন জানায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। পরবর্তী সময়ে ভোট নিয়ে নিজেদের অনঢ় অবস্থানের জানান দিলেও বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশের কথা জানান খোদ ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ‘আলোচিত’ রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলনে একই বার্তা দেন।

তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার সরকার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাইডেনের চিঠির পর ওই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করেন তার (মার্কিন প্রেসিডেন্টের) বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ওই প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ছিলেন। আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল।

ওই সফরে এইলিন লাউবাখেরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠক শেষে ড. হাছান জানিয়েছিলেন, তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় এবং আমরাও চাই একটি নতুন সম্পর্ক। যেহেতু দুদেশেরই সদিচ্ছা আছে, সুতরাং এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, গভীরতর ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের উভয় দেশ উপকৃত হবে।

অন্যদিকে, বাইডেনের বিশেষ সহকারী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করছেন।

বাইডেনের সেই চিঠির প্রতিউত্তরের একটি কপি এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এছাড়া ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান হোয়াইট হাউজে ওই চিঠির মূল কপি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব এবং দুই দেশের নাগরিকদের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা করে।

সবশেষ, চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্ব এক‌টি প্রতি‌নি‌ধিদল নিয়ে ঢাকা সফর করে গেছেন।

মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবাস্তয়নে যে সব রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন সেসব রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ে কাজ করছে তারা। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই সিরিয়াস বিষয়। এই কৌশলে এবং একইসঙ্গে চীনকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের (২০২৩) মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে দেশটির অব্যাহত নজরদারির কথা বলা হয়। পরবর্তী সময়ে অব্যাহতভাবে দেশটি নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।

৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

গত ১৭ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।

সর্বশেষ সংবাদ

বেঁকে যাওয়া রেললাইনে কচুরিপানা থেরাপি
এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
নওগাঁয় মাঠে ধান কাটতে গিয়ে গরমে কৃষকের মৃত্যু
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী
মে দিবসের কর্মসূচিতে এসে গরমে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু
টাঙ্গাইলে সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা
ভারতের নির্বাচনি প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
পুলিশ হেফাজতে সালমান খানের বাড়িতে হামলার অস্ত্রদাতার আত্মহত্যা
দুই মাস পর ইলিশ ধরতে নেমেছেন জেলেরা
গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন? হতে পারে বড় বিপদ
নিজ এলাকায় জানাজায় গিয়ে মোবাইল হারালেন ধর্মমন্ত্রী
মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হচ্ছে!
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা
বিমানের খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী, দুইদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী