শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পর্যটনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ

অর্থনীতিতে চাহিদা তত্ত্ব অনুযায়ী, একটি স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দ্রব্যের চাহিদা বেড়ে গেলে এর মূল্য বাড়ে। আবার সরবরাহ বাড়লে ওই দ্রব্যের মূল্য কমে। তবে সরবরাহকারী ও বিক্রেতা এক হয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করলে অর্থনীতির চাহিদা তত্ত্ব আর কাজ করে না। তখন দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয় এবং ইচ্ছামতো মূল্য বাড়ানো হয়। ফলে ক্রেতা সাধারণ তাদের ভোক্তা অধিকার হারান। পণ্যের ন্যায্য মূল্য ছাড়াও ভোক্তা অধিকারের মধ্যে আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত। যেমন- পণ্যের মান, মূল্য অনুযায়ী মান, সরবরাহের সময়, সরবরাহের স্থান ইত্যাদি।

সমাজাবজ্ঞানীরা বলছেন যে, এই সব কিছু ঠিক রাখতে হলে সুশাসন ছাড়া সম্ভব নয়। সুশাসনের অভাবে বাজারের ভাষা ও জনগণের ভাষার মধ্যে ব্যাপক ফারাক হয়ে হয়। বাজারে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেয় এবং মানুষের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষাগুলো পীড়নের মুখে পড়ে। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি, পণ্যের মান হ্রাস, সেবায় বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি সমভাবে পরিলক্ষিত হয়। এই অবস্থায় আমরা খুব সহজেই একে বাজার অর্থনীতির উপর চাপিয়ে দিয়ে দায় মুক্ত হই। আরও বিপদের কথা হলো রাষ্ট্র যখন এই অবস্থাকে সমর্থন করে, ক্রেতা সাধারণ তখন হতাশায় প্রমাদ গুণে।

দৈনন্দিন জীবনে অপাংক্তেয় ও অশুভ শক্তিকে প্রতিদিন অসহায়ভাবে মোকাবিলা করতে হচ্ছে আমাদের মানুষকে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ এখন জীবনধারার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৈরি হচ্ছে সামাজিক অভ্যন্তরীণ ক্ষত ও অসহনীয় যন্ত্রণা। অসহায় মানুষ এর প্রতিকারের জন্য নিষ্ফল চেষ্টা করে বটে, তবে তাতে কোনো ফল পায় না। আবার তাতে কারো কিছু যায় আসেও না। অসহায়ত্ব দিনে দিনে বোঝা হয়ে সমাজে গ্লানিকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে। এভাবেই রাজনীতি ও সুশাসনের বিকৃত রূপের মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মানুষ ভোক্তা অধিকার হারিয়ে লাচার হয়ে পড়েছেন।

সাধারণ মানুষ ভোক্তা অধিকার হারালে সমাজে তার প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ভোক্তাগণ সমাজের অংশ। সমাজ টিকে থাকে তাদের কর্ম, চিন্তা ও দর্শনের দিয়ে। তাদের উৎপাদিত পণ্য, সেবা ও চেতনা বর্তমান ও ভবিষ্যত সময়ের প্রধান উপকরণ হিসেবে সমাজ পরিচালনা করে। ফলে ভোক্তাদের দুর্ভোগ সমাজে ক্রমসঞ্চিত নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। যা এক কাল থেকে অন্য কালে হেঁটে যায় - ইতিহাসে একে মন্দ ঘটনা বলে উদ্ধৃত করা হয়।

আমাদের দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণীত হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পণ্যের মোড়কীকরণ না করা, মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা, ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে বিক্রয় করা, ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা, খাদ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মেশানো, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন, ওজন ও পরিমাপে কারচুপি, নকল পণ্য প্রস্তুত, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়, সেবাগ্রহীতার জীবন ও নিরাপত্তা বিপন্ন করা এবং সর্বোপরি কোনো সেবা প্রদানকারী অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা অসতর্কতা দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য বা জীবনহানি ঘটানো শান্তিযোগ্য অপরাধ। অথচ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের আরো কতগুলি বিষয় যেমন পণ্য ও সেবার মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি এবং মূল্য বৃদ্ধির রূপরেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষোক্ত এই দুটি বিষয় নির্ধারণের ব্যর্থতায় ভোক্তা অধিকার সম্যকভাবে কার্যকর হচ্ছে না।

এবার পর্যটনের দিকে নজর দেওয়া যাক। পর্যটনের প্রধান ভোক্তা পর্যটক। একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে কিছুটা সময়ের জন্য পর্যটকগণ ভ্রমণে যান। ওই সময় তাদের প্রয়োজন পড়ে জীবনমুখী নানা ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য পণ্য ও সেবার। যাপিত জীবনের একটা অংশে এরা ভ্রমণ করেন; আগ্রহী হন বিশ্রাম, বিনোদন বা জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা লাভের আশায়। এদের ভ্রমণকে কেন্দ্র করে পৃথিবীতে পর্যটন শিল্প আজ তৃতীয় বৃহত্তম শিল্পের আকার ধারণ করেছে। বৈশ্বিক জিডিপির ১০% আসে পর্যটন থেকে, ১০% কাজও সৃষ্টি করেছে পর্যটন খাত। তাই পর্যটকদেরকে যত্ন করার দায়িত্ব স্থানীয় মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের। উল্লেখ্য যে, পর্যটক প্রধান ভোক্তা হলেও গন্তব্যে বসবাসকারী মানুষ, পর্যটন সেবাদানকারী ব্যক্তিবর্গ এমনকি ওই স্থানে যাওয়া অন্যান্য মানুষও তাদের ভোক্তা অধিকার থেকে ব্যাপকভাবে বঞ্চিত হন। পর্যটনের জন্য অন্যদের অধিক মূল্যে পণ্য ও সেবা ক্রয় করতে হয়, যার ফলে গন্তব্যের সুনাম নষ্ট হয়।

কিন্তু নিষ্ঠুর বাস্তবতা হলো পর্যটন স্থানগুলিতে গমনাগমনের যানবাহনের মূল্য, বিশেষত আকাশযানের মূল্য সারা পৃথিবীতিতেই নিয়ন্ত্রণহীন। জুয়া খেলার মতো বিমান ভাড়া নিয়ে চলে নানা ধরনের কারসাজি। কখন বাড়ে আর কখন কমে তা কেউ বলতে পারে না। কেউ নিয়ন্ত্রণও করে না। বৈশ্বিক এই অনুশীলন থেকে অন্যরা শিক্ষা লাভ করে অবশিষ্ট সেবা যেমন খাদ্য, আবাসন, দর্শনীয় স্থানের প্রবেশ মূল্য, বিনোদন মূল্য ইত্যাদি সবই প্রতিদিন মাত্রা ছাড়িয়ে বাড়তে থাকে। এই অবস্থার জন্য ভ্রমণরত মানুষ অসহায় হয়ে পড়েন। ভ্রমণের সকল আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে পরিণত হয়ে যায়। ফলে পর্যটন ভোক্তাগণ নিত্যদিন তাদের ভোক্তা অধিকার হারান।

ভোক্তাগণ অধিকার হারালে কী হবে? এটি খুবই একটি সংবেদনশীল প্রশ্ন। আমরা হয়তো এর গভীরতায় প্রবেশ করতে চাই না। তবে বিষয়টি তলিয়ে দেখা দরকার বলেই আমার ধারণা। নিচে এর একটি তুলনামূলক উপসংহার তুলে ধরছি।

প্রথমত, সাধারণ ভোক্তাগণ মূল্য বৃদ্ধি ও অন্য কোনো কারণে পণ্য ক্রয় বাধাগ্রস্ত হলে প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য ভোগহ্রাস পদ্ধতিতে জীবন নির্বাহ করবেন। অনেকে কিছু পণ্য উৎপাদনের চেষ্টা করতে পারেন। কেউ কেউ পণ্য প্রতিস্থাপন কৌশলও বেছে নিতে পারেন। অর্থাৎ কৃচ্ছ্রতার আশ্রয় গ্রহণ করাই হবে ভোক্তাদের প্রধান চেষ্টা। এই চিত্রটি অর্থনীতিতে একটি বড় ধাক্কা দেবে এবং সমাজে অনাচারের জন্ম দিবে। নিম্ন আয়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ বাঁচার জন্য শ্রমের মূল্য বাড়াবে, যা আবার পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। সাধারণের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ না করতে করতে পারলে এই অনাচারের শিকার হতে হবে কমবেশি সকলকেই।

অন্যদিকে পর্যটন ভোক্তাদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে একটি গন্তব্যে পর্যটন পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি ও মান হ্রাস হলে ভ্রমণকে আপদকাল হিসেবে বিবেচনা করে পর্যটনগণ বাধ্য হবেন পণ্য বা সেবা ক্রয় সংকোচন করে ভ্রমণ শেষ করতে। তবে পরবর্তীতে উক্ত গন্তব্যে গমনে অবশ্যই এরা বিমুখ হবে। এই বিমুখতা গন্তব্যের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পর্যটকদের পরিমাণ হ্রাস পেলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কর্মচ্যুতি ঘটবে। বিনিয়োগকারীগণ তাদের বিনিয়োগ নিয়ে বিপদে পড়বেন। ব্যাংকগুলো তাদের ব্যাংকগুলোকে তাদের ঋণ তুলে আনতে হিমশিম খেতে হবে। সর্বোপরি উক্ত গন্তব্য তার আয়ুষ্কাল দ্রুত হারাবে। যা গন্তব্যের বিনিয়োগকারীদেরকে ‘ট্যুরিজম রিফিউজি’তে পরিণত করতে পারে।

এই অবস্থায় আমাদের করণীয় নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়ন জরুরি। পর্যটন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে অন্তত নিচের ৫টি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে প্রত্যক্ষভাবে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। সঙ্গে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে।

১. পর্যটন আবাসন যেমন হোটেল, মোটেল, রেস্টহাউজ ইত্যাদির খুচরা মূল্য ৯০ দিন পূর্বে ঘোষণা করতে হবে। করপোরেট রেট, বিশেষ মূল্য এবং বিজনেস টু বিজনেস মূল্য আলাদা ও অপ্রকাশিত থাকতে পারে।
২. গন্তব্যের যানবাহনের পরিবহণ মূল্য অন্তত ৩০ দিন পূর্বে নির্ধারণ করে ঘোষণা করতে হবে।
৩. খাদ্য মূল্য মান নির্ধারণসহ অন্তত ১৫ দিন পূর্বে ঘোষণা করতে হবে।
৪. স্থানীয় গাইডদের নামের তালিকা ও মূল্য ৯০ দিন পূর্বে ঘোষণা করতে হবে। উল্লেখ্য যে, গাইড প্রশিক্ষণ ও মান অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করা বাঞ্ছনীয়।
৫. গন্তব্যের স্থানীয় বাজার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যেন নিত্যপণ্য, স্যুভেনির ইত্যাদি কোনো কিছুই অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় না করতে পারে।

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা

এসএন

Header Ad
Header Ad

ভারতে বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সেনা অভিযানের পাল্টা জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। এ অভিযানের আওতায় ইতোমধ্যে গতকাল শুক্রবার রাতে ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এই স্থাপনাগুলোর মধ্যে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটি, উধামপুর বিমান ঘাঁটি, গুজরাট বিমান ঘাঁটি, রাজস্থান বিমান ঘাঁটি এবং ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রাহমোসের একটি মজুতস্থান উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিও নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চত করেছেন।

পাল্টা এ হামলায় ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। দেশটির নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১২০ কিলোমিটার।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ওই কমর্কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতের হামলায় ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের বারামুলা জেলার উরি শহরে ভারতীয় সেনবাহিনীর একটি ব্রিগেডের হেডকোয়ার্টার এবং সরবরাহ বা রসদ ডিপো, নাগরোটা শহরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ব্যাটারি ধ্বংস হয়েছে।

এছাড়া ভারতের পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ সিস্টেমও ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়ে ধ্বংস করেছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭। শুক্রবারের হামলায় এটিকে সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন পকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। নিহত এই পর্যটকদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

এ ঘটনায় সিন্ধু নদের পানি বণ্টনচুক্তি ও পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কয়েকটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, ভিসা বাতিলসহ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।

দুই দেশের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মিরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক সংক্ষিপ্ত সেনা অভিযান পরিচালনা করে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী। নয়াদিল্লির তথ্য অনুযায়ী, এ অভিযানে ৭০ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের দাবি, নিহত হয়েছে ৩১ জন এবং আহত হয়েছে ৫৭ জন।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর তিন দিনের মধ্যে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান।

Header Ad
Header Ad

শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ‘ব্লকেড’ দিবেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত

গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে আজ গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে এই গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।

একইসঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতেও এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে রাজধানীর অন্যান্য পয়েন্ট যেমন মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরা, সায়েন্সল্যাবসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন ‘শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারাদেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দেবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না, ব্লকেড খুলে দিন।’

এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাতে শাহবাগ থেকে গণজমায়েতের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও সহযোগী নেতাদের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে বিচার নিশ্চিত ও জুলাই ঘোষণাপত্রের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি, ২৫ ঘণ্টা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। আমরা জানি না এ কর্মসূচির শেষ কোথায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করা হয়, কতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা

সভাপতি শাহীন সুমন ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন কবির টুটুল। ছবি: সংগৃহীত

দফায় দফায় পেছানোর পর অবশেষে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে আগামী দুই বছরের জন্য পরিচালক সমিতির নতুন নেতৃত্ব পেয়েছেন দুই শাহীন!

শুক্রবার (৯ মে) নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে জানানো হয়, এতে সভাপতি পদে শাহীন সুমন ১৬৬ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন মুশফিকুর রহমান গুলজারকে। অন্যদিকে মহাসচিব পদে ১৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন কবির টুটুল, তিনি হারিয়েছেন সাফিউদ্দিন সাফিকে।

এদিন সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল লতিফ।

নির্বাচিত অন্যরা হলেন সহসভাপতি আবুল খায়ের; উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম; কোষাধ্যক্ষ সায়মন তারিক; প্রচার, প্রকাশনা ও দফতর সচিব ওয়াজেদ আলী; আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব বন্ধন বিশ্বাস; সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর মেয়াদি পরিচালক সমিতির নেতৃত্বে নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন—ছটকু আহমেদ, শাহাদাৎ হোসেন, পল্লী মালেক, জাকির হোসেন, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, সাইদুর রহমান, হাবিবুল ইসলাম, জয় সরকার, গাজী মাহবুব ও বুলবুল বিশ্বাস।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচনের ফলাফল। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচিত উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৫৯ জন ভোটারের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৩৯১।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে দুটি প্যানেল। এর মধ্যে মুশফিকুর রহমান গুলজার–সাফিউদ্দিন সাফি প্যানেলে সভাপতি ও মহাসচিব পদপ্রার্থী ছাড়া সম্পাদকীয় পদে প্রার্থী ছিলেন—আবুল খায়ের বুলবুল (সহসভাপতি), সালাউদ্দিন (উপমহাসচিব), সায়মন তারিক (কোষাধ্যক্ষ), আবদুর রহিম বাবু (সাংগঠনিক সম্পাদক), রফিক শিকদার (প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব), এস ডি রুবেল (আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব) ও মুস্তাফিজুর রহমান মানিক (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব)।

অন্য প্যানেলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন টানা দুইবারের মহাসচিব শাহীন সুমন। তিনি প্যানেল গড়েছেন শাহীন কবির টুটুলকে নিয়ে। এই প্যানেল থেকে সম্পাদকীয় পদে প্রার্থী ছিলেন—মন্তাজুর রহমান আকবর (সহসভাপতি), কবিরুল ইসলাম রানা (উপমহাসচিব), সেলিম আজম (কোষাধ্যক্ষ), ওয়াজেদ আলী বাবুল (প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব), বন্ধন বিশ্বাস (আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব) ও সাইফ চন্দন (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব)।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান
শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ‘ব্লকেড’ দিবেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
ছয়টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত, পড়েছে নিজেদের রাজ্যেই
শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান
ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল
আটকের পরও যে ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে
নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
কাশ্মীরে ফের বিএসএফের গুলি, ৭ পাকিস্তানি নিহত: দিল্লির দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী
নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির টিন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের বিষয় নয়’: যুক্তরাষ্ট্র
দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অফিস
আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি
টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার