শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক উন্নয়নে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সুদৃঢ় হবে

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলছে নাফ নদী। এই নদীপথ পাড়ি দিয়ে অত্যাচারিত, নির্যাতিত, বিতাড়িত ও প্রাণভয়ে জীবন বাজী রেখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অথচ এই নদী পথেই চলতে পারে দুদেশের মধ্যকার ব্যবসা বাণিজ্য, দুদেশের নদী বন্দরে ভিড় করতে পারে পণ্যবাহী জাহাজ। নদীতে ভেসে বেড়াতে পারে পর্যটক ভরা নৌযান, যেগুলোতে করে পর্যটকরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দর্শনীয় জায়গাগুলো দেখতে পারে। বাংলাদেশের এই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা একটা বাধা হিসেবে থাকলেও দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ চলমান রাখতে হবে।

বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। দুই দেশ ঐতিহাসিক ও সামাজিকভাবে একে অন্যের কাছাকাছি হলেও দুই দেশের মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের অভাব রয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি বার্মা (বর্তমানের মিয়ানমার) বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, সেদিক দিয়ে বার্মার স্থান প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে। এর পরপরই ১৯৭২ সালের ২১ মার্চ বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। বাংলাদেশের সফল কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলে ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট নে উইন বাংলাদেশ সফরে আসে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নে উইনের সঙ্গে আন্তরিক ও ফলপ্রসূ সময় কাটান। একটা সফল ও উষ্ণ নৌ ভ্রমণের মধ্যে দিয়ে বার্মা-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর রিভার ক্রুজ ডিপ্লোমেসি নতুন দিগন্তের সূচনা করে। বিদায় বেলায় যৌথ ইশতেহারে উভয় নেতা ‘বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্ত সব সময় শান্তি ও শুভেচ্ছার সীমান্ত হিসেবে বজায় থাকবে এবং তাতে দুই দেশের জনগণের চিরস্থায়ী মৈত্রীই প্রতিফলিত হবে’ বলে তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক উন্নয়নে কৌশলগত, কূটনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, জনকূটনীতিসহ সমন্বিত বহুমুখী দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচির উপর জোর দিতে হবে।

একবিংশ শতাব্দীতে উন্নয়নের মহাসড়কে স্থান করে নেওয়া বাংলাদেশের পেছনে ফিরে না তাকিয়ে সামনের দিনগুলোতে প্রতিবেশী দেশ, আঞ্চলিক দেশ ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে বাণিজ্য, যোগাযোগ, কূটনীতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতেই হবে। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে আসিয়ান দেশগুলো ও চীনের মধ্যে যেমন যোগাযোগের বন্ধন স্থাপন করতে পারে তেমনি ভারতের সেভেন সিস্টারসের সঙ্গেও বাংলাদেশের যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে। এসব উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে একমাত্র বাধা মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধ এবং বহু বছর ধরে চলা জাতিগত সংঘর্ষ। এই সহিংসতা বন্ধ করতে পারলে মিয়ানমার উন্নয়নের পথে অনেক এগিয়ে যেতে পারবে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশও দুদেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও যোগাযোগের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০টির মতো দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক থাকলেও সেসবের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই যা দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের বাণিজ্যিক যোগাযোগ মিয়ানমারের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ ভারত, থাইল্যান্ড ও চীনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের জন্য ২০০৭ সালে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে অগ্রগতি ধীর। পারস্পরিক সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে সংযোগ উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এবং মিয়ানমারের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপনের জন্য চীন ও ভারত উভয়কেই বিবেচনায় নিতে হবে।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার মিলে চকোরিয়া থেকে আলীকদম ও মদক হয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কালেতোয়া পর্যন্ত একটা সড়ক নির্মিত হলে তা কিউকতাও-পালতোয়া সংযোগকারী সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। কালাদান মাল্টিমোডাল প্রকল্পের এই সড়কটি ভারতের মিজোরামকে চীন এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। সড়কটি নির্মিত হলে মিয়ানমার, চীনসহ আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ সহজ হবে। এতে বাংলাদেশ ও চীনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবহন খরচ ও সময় কমবে এবং রাস্তা নির্মাণের ফলে এই এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন হবে।

এশিয়ান হাইওয়ে চালু হলে তা দুই দেশের মধ্যে স্থল সংযোগ উন্নত করবে ও এই পথে সার, প্লাস্টিক, সিমেন্ট, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য পণ্যের বাণিজ্য প্রসারে ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন খুব শিগগিরই চালু হবে। এই রেললাইন নেপাল, ভুটান ও উত্তর-পূর্ব ভারতে সম্প্রসারণ করে আন্তঃ দেশীয় যোগাযোগ উন্নত করা সম্ভব। প্রস্তাবিত ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক এবং এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে যদি এই রুটটি চীন থেকে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের গুনদুম হয়ে তিন দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে পারে এতে পুরো অঞ্চল লাভবান হবে।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সংযোগে তেমন উল্লেখযোগ্য নয়, উন্নত বাণিজ্য যোগাযোগের মাধ্যমে দুই দেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) সদস্য। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়াতে পারলে চীন ও ভারতের উপর তাদের নির্ভরতা কমে যাবে এবং ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশ আসিয়ান ও সার্কের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসেবে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হলে আসিয়ান সদস্য হিসেবে মিয়ানমার বাংলাদেশের মাধ্যমে সার্ক মুক্ত-বাণিজ্য অঞ্চলে বাণিজ্য বাড়াতে পারবে।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এই দুই অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে মিয়ানমার ভুটান, নেপাল ও ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চল বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য একটি বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে কাজ করতে পারে। রাখাইনের কৃষিপণ্যের একটি টেকসই বাজার প্রয়োজন এবং বাংলাদেশ একটা আদর্শ বাজার হতে পারে।

বাংলাদেশের পোশাক ও কৃষি শিল্পে অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে মিয়ানমার উপকৃত হতে পারে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশ মিয়মিত বিরতিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা রেঙ্গুনে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করতে পারে। মিয়ানমার উন্নত উৎপাদন সুবিধা সম্পন্ন প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং বাংলাদেশ থেকে ইলেকট্রনিক্স ও ফার্মাসিউটিক্যালস আমদানির মাধ্যমে লাভবান হতে পারে। মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়াতেও কাজ করতে পারে।

বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশের অর্থনীতিতে বেশ বড় ভূমিকা রাখছে এবং বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ১৪০টি দেশে এই ওষুধ রপ্তানি হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে মিয়ানমারে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ২.৭৬ মিলিয়ন ডলারের ওষুধ রপ্তানি হয়েছে; যা মোট ওষুধ রপ্তানির প্রায় ১৫ শতাংশ। রোহিঙ্গা ইস্যু ও জান্তা সরকারের অধীনে সীমান্ত এলাকায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান চলা সত্ত্বেও মিয়ানমারে ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে। মিয়ানমারের ওষুধের মোট চাহিদার মাত্র ৫ শতাংশ বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির মাধ্যমে পূরণ হয়েছে। মিয়ানমারের ওষুধ খাতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি আরও বাড়ানো সম্ভব।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার জন্য অন্যান্য সম্ভবনাময় ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। মিয়ানমারে কাঠ, টিন, দস্তা, তামা, টংস্টেন, কয়লা, মার্বেল, চুনাপাথর, প্রাকৃতিক গ্যাস, জলবিদ্যুৎ ইত্যাদির প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জ্বালানি সহযোগিতা পেতে পারে এবং প্রয়োজনীয় খনিজদ্রব্য আমদানি করতে পারে। মিয়ানমারে প্রচুর চুনাপাথর ও বাঁশ রয়েছে, বাংলাদেশ মিয়ানমারে সিমেন্ট কারখানা ও কাগজের মিল স্থাপন করতে পারে। মিয়ানমারও বিশ্বের প্রাকৃতিক কাঠের প্রধান সরবরাহকারী। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার যৌথভাবে মাছ, কাঠ প্রক্রিয়াকরণ, ক্লিংকার শিল্প, গ্যাস ও খনিজ আহরণ, বস্ত্র এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে।

মিয়ানমার কৃষিপণ্যেরও বড় উৎপাদক। ২০১৯ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পেঁয়াজ সংকটের সময়, মিয়ানমার বাংলাদেশকে পেঁয়াজ সরবরাহ করেছিল। বাংলাদেশ মিয়ানমার সম্পর্ক উন্নয়ন হলে এসব ক্ষেত্রে পরনির্ভরশীলতা কমে যাবে। মিয়ানমার বাংলাদেশে বৈধ ভাবে গবাদি পশু পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে এবং এতে উভয় দেশ উপকৃত হবে। বাংলাদেশে মিয়ানমারের পণ্য বার্মিজ পণ্য হিসেবে পরিচিত, এদেশে এই পণ্যের ক্রেতা আছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের উচিত সীমান্ত হাট প্রতিষ্ঠা করলে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে।

বাংলাদেশে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য আকর্ষণীয় বৌদ্ধ মন্দির, বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র, তীর্থস্থান, বৌদ্ধ ধর্মের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ঐতিহাসিক স্থান আছে। বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সঙ্গে মিলে একটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় এসব নিদর্শন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করেছে। বান্দরবান জেলার স্বর্ণ মন্দির বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মন্দির। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৌদ্ধের উপস্থিতির চিহ্ন বৌদ্ধ উপাসক এবং পর্যটকদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণ। বাংলাদেশি বৌদ্ধদের জন্য মিয়ানমারে ধর্মীয় পর্যটন এবং মিয়ানমারের জনগণের জন্য বান্দরবনের স্বর্ণমন্দির, ময়নামতি বৌদ্ধ বিহার, রামু ইত্যাদি পরিদর্শন করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পর্যটন খাতে ও উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সৈকত দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করা যায়। এক দেশে বেড়াতে এসে তারা দুদেশের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। পর্যটনের উন্নয়নে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে কার্যকর চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে।

দুই দেশের জনগণের মধ্যেকার সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ছাত্র বিনিময়, শিক্ষা বৃত্তি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা গেলে বাংলাদেশ মিয়ানমার সম্পর্ক ক্রমান্নয়ে উষ্ণ ও আন্তরিক হবে। মিয়ানমার ও রাখাইনের জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের মধ্যে যোগাযোগ দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক এবং বিশ্বাসের ভিত্তি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষাবিদ, ছাত্র, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মধ্যে সম্পৃক্ততা জোরদার হলে উভয় দেশ নানাভাবে উপকৃত হবে।

বাংলাদেশ মিয়ানমারের মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা করতে পারে এবং একই সঙ্গে ক্ষুদ্রঋণ, শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। রাখাইন অঞ্চল উন্নত হলে বাংলাদেশও উপকৃত হবে এবং এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করবে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এনজিওগুলো মিয়ানমারে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে মিয়ানমারের মানবসম্পদ উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে। বাংলাদেশের দুর্যোগ ও ত্রাণ কার্যক্রমে বহু বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় মিয়ানমার বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। আন্তঃসীমান্ত ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, মানব পাচার, অস্ত্র ও মাদক পাচার সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করতে পারে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে জলদস্যু নিয়ন্ত্রণ, মাদক ও মানব পাচার, সন্ত্রাসবাদ এবং পরিবেশ নিরাপত্তার নিশ্চিতের মতো অপ্রচলিত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে একত্রে কাজ করতে পারে।

মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি, দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি তিনি চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, লাওস ও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। মিয়ানমারের স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণ মিয়ানমারের জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অনেক উত্থান-পতন থাকলে ও পারস্পরিক সুবিধার পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বৃহত্তর স্বার্থে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য উভয় দেশেরই মনোযোগী হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক, সামরিক ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটিয়ে উভয় দেশ উপকৃত হতে পারে। বহু বছর ধরে উভয় দেশের মধ্য এ ধরনের নিবিড় যোগাযোগ বিভিন্ন কারনে স্থাপিত হয়নি। একবিংশ শতাব্দীতে এসে দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান রোহিঙ্গা সংকটে মধ্যেও এই যোগাযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসলে এ ধরনের উদ্যোগ এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে এটাই প্রত্যাশা।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) হাসান মো. শামসুদ্দীন: মিয়ানমার ও রোহিঙ্গাবিষয়ক গবেষক

এসএন

Header Ad
Header Ad

ভারতে বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সেনা অভিযানের পাল্টা জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। এ অভিযানের আওতায় ইতোমধ্যে গতকাল শুক্রবার রাতে ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এই স্থাপনাগুলোর মধ্যে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটি, উধামপুর বিমান ঘাঁটি, গুজরাট বিমান ঘাঁটি, রাজস্থান বিমান ঘাঁটি এবং ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রাহমোসের একটি মজুতস্থান উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিও নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চত করেছেন।

পাল্টা এ হামলায় ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। দেশটির নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১২০ কিলোমিটার।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ওই কমর্কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতের হামলায় ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের বারামুলা জেলার উরি শহরে ভারতীয় সেনবাহিনীর একটি ব্রিগেডের হেডকোয়ার্টার এবং সরবরাহ বা রসদ ডিপো, নাগরোটা শহরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ব্যাটারি ধ্বংস হয়েছে।

এছাড়া ভারতের পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ সিস্টেমও ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়ে ধ্বংস করেছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭। শুক্রবারের হামলায় এটিকে সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন পকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। নিহত এই পর্যটকদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

এ ঘটনায় সিন্ধু নদের পানি বণ্টনচুক্তি ও পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কয়েকটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, ভিসা বাতিলসহ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।

দুই দেশের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মিরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক সংক্ষিপ্ত সেনা অভিযান পরিচালনা করে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী। নয়াদিল্লির তথ্য অনুযায়ী, এ অভিযানে ৭০ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের দাবি, নিহত হয়েছে ৩১ জন এবং আহত হয়েছে ৫৭ জন।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর তিন দিনের মধ্যে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান।

Header Ad
Header Ad

শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ‘ব্লকেড’ দিবেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত

গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে আজ গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে এই গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।

একইসঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতেও এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে রাজধানীর অন্যান্য পয়েন্ট যেমন মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরা, সায়েন্সল্যাবসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন ‘শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারাদেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দেবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না, ব্লকেড খুলে দিন।’

এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাতে শাহবাগ থেকে গণজমায়েতের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও সহযোগী নেতাদের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে বিচার নিশ্চিত ও জুলাই ঘোষণাপত্রের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি, ২৫ ঘণ্টা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। আমরা জানি না এ কর্মসূচির শেষ কোথায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করা হয়, কতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা

সভাপতি শাহীন সুমন ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন কবির টুটুল। ছবি: সংগৃহীত

দফায় দফায় পেছানোর পর অবশেষে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে আগামী দুই বছরের জন্য পরিচালক সমিতির নতুন নেতৃত্ব পেয়েছেন দুই শাহীন!

শুক্রবার (৯ মে) নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে জানানো হয়, এতে সভাপতি পদে শাহীন সুমন ১৬৬ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন মুশফিকুর রহমান গুলজারকে। অন্যদিকে মহাসচিব পদে ১৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন কবির টুটুল, তিনি হারিয়েছেন সাফিউদ্দিন সাফিকে।

এদিন সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল লতিফ।

নির্বাচিত অন্যরা হলেন সহসভাপতি আবুল খায়ের; উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম; কোষাধ্যক্ষ সায়মন তারিক; প্রচার, প্রকাশনা ও দফতর সচিব ওয়াজেদ আলী; আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব বন্ধন বিশ্বাস; সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর মেয়াদি পরিচালক সমিতির নেতৃত্বে নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন—ছটকু আহমেদ, শাহাদাৎ হোসেন, পল্লী মালেক, জাকির হোসেন, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, সাইদুর রহমান, হাবিবুল ইসলাম, জয় সরকার, গাজী মাহবুব ও বুলবুল বিশ্বাস।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচনের ফলাফল। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচিত উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৫৯ জন ভোটারের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৩৯১।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে দুটি প্যানেল। এর মধ্যে মুশফিকুর রহমান গুলজার–সাফিউদ্দিন সাফি প্যানেলে সভাপতি ও মহাসচিব পদপ্রার্থী ছাড়া সম্পাদকীয় পদে প্রার্থী ছিলেন—আবুল খায়ের বুলবুল (সহসভাপতি), সালাউদ্দিন (উপমহাসচিব), সায়মন তারিক (কোষাধ্যক্ষ), আবদুর রহিম বাবু (সাংগঠনিক সম্পাদক), রফিক শিকদার (প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব), এস ডি রুবেল (আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব) ও মুস্তাফিজুর রহমান মানিক (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব)।

অন্য প্যানেলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন টানা দুইবারের মহাসচিব শাহীন সুমন। তিনি প্যানেল গড়েছেন শাহীন কবির টুটুলকে নিয়ে। এই প্যানেল থেকে সম্পাদকীয় পদে প্রার্থী ছিলেন—মন্তাজুর রহমান আকবর (সহসভাপতি), কবিরুল ইসলাম রানা (উপমহাসচিব), সেলিম আজম (কোষাধ্যক্ষ), ওয়াজেদ আলী বাবুল (প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব), বন্ধন বিশ্বাস (আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব) ও সাইফ চন্দন (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব)।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান
শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ‘ব্লকেড’ দিবেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
ছয়টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত, পড়েছে নিজেদের রাজ্যেই
শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান
ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল
আটকের পরও যে ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে
নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
কাশ্মীরে ফের বিএসএফের গুলি, ৭ পাকিস্তানি নিহত: দিল্লির দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী
নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির টিন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের বিষয় নয়’: যুক্তরাষ্ট্র
দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অফিস
আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি
টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার