শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আন্দোলনের ভাষা ও ভাষা আন্দোলন

মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়া এবং হাতে পায়ে শিকল পড়ানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন কীভাবে স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত হলো তা বুঝতে হলে একুশের কথা সামনে চলে আসে। শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের ভূখণ্ডের মানুষের দীর্ঘদিনের। যে কোনো সংগ্রামের একটা সূচনা বিন্দু থাকে, স্বাধীনতার জন্য মরণপণ লড়াইয়েরও তেমনি শুরু খুঁজতে হলে প্রথমেই আসে ৫২ সালের কথা।

৭১ এ অর্জিত এই স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুটা হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ৮ ফাল্গুন বা ২১ ফেব্রুয়ারি যে বেদনা এবং যে চেতনা জাগিয়ে দিয়েছিল তা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছিল। বৈষম্য বেদনা জাগিয়েছিল বলেই মুক্তির চেতনার জন্ম হয়েছিল।

ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের পর আলোচনার টেবিলে ভারত ভাগ হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথম যে প্রশ্ন এল এই রাষ্ট্রের সংবিধান কেমন হবে। শুধু মুসলমানদের জন্য কেন, কোনো ধর্মের ভিত্তিতেই কি কোনো দেশ হতে পারে? যদি তাই হত তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশের অধিবাসিই তো মুসলমান, তাহলে তারা সবাই মিলে একটা দেশ হতে পারে না কেন? আবার এক দেশে বহু ধর্মের মানুষ থাকলে তাদের পরিচয় কী হবে? আবার ভারতে যে মুসলমানরা থেকে গেলেন তাদের পরিচয় কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারা গেলেও আশ্বস্ত করা হয়েছিল এই বলে যে, একদিন হিন্দু আর হিন্দু হিসেবে নয়, মুসলমান আর মুসলমান হিসেবে নয় তারা সবাই বিবেচিত হবেন পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে। অর্থাৎ ধর্মীয় পরিচয় আর নাগরিক পরিচয় এক হবে না। একেবারে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপরীতমুখী যাত্রা! তাহলে এত সাম্প্রদায়িক লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু কীসের জন্য? এই টানা পোড়নে পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নে তাই দীর্ঘ সময় লেগে গেল। ১৯৪৭ সালে জন্ম নিল পাকিস্তান আর তার ৯ বছর পর ১৯৫৬ সালে প্রণীত হল সংবিধান। এই সময়টাতে সংবিধান না থাকলেও রাষ্ট্র পরিচালনার ব্রিটিশ প্রবর্তিত বিধান তো ছিল, তা দিয়েই চলছিল সব।

রাষ্ট্রের ধর্ম নিয়ে সমাধানে আসতে না আসতেই প্রশ্ন এল রাষ্ট্রের ভাষা কি হবে? এক ধর্ম, এক দেশ, এক ভাষা এই ধরনের চিন্তা থেকেই মুসলমান, পাকিস্তান এবং উর্দু ভাষাকে সমার্থক করার আয়োজন চলছিল সর্বত্র। এই সময় ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় এলেন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ। ২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ( বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত গণসম্বর্ধনায় তিনি বললেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, অন্য কোনো ভাষা নয়। ভাষা আন্দোলনকে তিনি মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন। তার বক্তব্যের প্রতিবাদ হয় সমাবেশের মধ্যেই।

এর পর ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে স্টুডেন্টস রোল ইন নেশন বিল্ডিং শীর্ষক বক্তৃতায় তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার দাবিকে বাতিল করে দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে একটি এবং সেটি অবশ্যই উর্দু। কারণ উর্দুই পাকিস্তানের মুসলিম পরিচয় তুলে ধরে। ছাত্ররা সমস্বরে না, না বলে জিন্নাহর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। ক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার ভাষার দাবিকে তাচ্ছিল্য করে ২৮ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করেন জিন্নাহ।

জিন্নাহ চলে গেছেন কিন্তু উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেতে পারেননি। প্রশ্ন ছিল, উর্দু কি পাকিস্তানের কোনো প্রদেশের ভাষা? সিন্ধু, বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ প্রত্যেকেরই তো আলাদা ভাষা। ভাষা দিয়ে কি ধর্মের পরিচয় তুলে ধরা যায়? আরবি ভাষায় কি মুসলমান ছাড়া কেউ কথা বলে না? আরবের খ্রিস্টান, ইহুদি ধর্মাবলম্বী মানুষরাও তো আরবি ভাষায় কথা বলে। এ কথা তো সত্য যে মানুষ যত দ্রুত ধর্মান্তরিত হতে পারে তত সহজে ভাষান্তরিত হতে পারে না। আরবের মুসলমান আর ইন্দোনেশিয়ার মুসলমান ধর্মে এক হলেও ভাষা এবং সংস্কৃতিতে তারা এক নয়। আর পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কথাও যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে যে ভাষায় ৫৪ শতাংশ মানুষ কথা বলে তাদের দাবি কি অগ্রগণ্য বলে বিবেচিত হবে না?

ভাষা আন্দোলনের মূল সুর ছিল গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক। রাষ্ট্র তার নাগরিককে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করবে না। এই ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া ও বসবাস করা মানুষরা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রের নাগরিক। যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যুক্তি হবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভিত্তি, যুক্তি যদি সঠিক হয় তাহলে তা গ্রহণ করতে হবে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল শহীদ মিনার। এখানে ছিল না কোনো ধর্মের বিভাজন। তারা জীবন দিয়েছিলেন এই ভূখণ্ডের সব মানুষের মুখের ভাষার জন্য। তাই সব ধর্মের মানুষ যেন শ্রদ্ধা জানাতে পারে সে উদ্দেশ্যেই নির্মিত হয়েছিল শহীদ মিনার। সংগ্রামের প্রতিজ্ঞা বা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনার এখনো মানুষের মিলনক্ষেত্র।

একুশ শিখিয়েছিল আত্মসমর্পণ নয় আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই করতে। একুশ মানে মাথা নত না করা। এটা আমাদের কাছে এখনো একটি প্রেরণাদায়ক কথা। প্রবল শক্তির কাছে বা যুক্তিহীনতার কাছে আত্মসমর্পণ করে প্রাণে বেঁচে থাকা যায় কিন্তু সম্মানের সঙ্গে বাঁচা যায় না। স্বাধীনতার সঙ্গে মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিল মানুষ তা অর্জন করতে হলেও যুক্তিই হবে অন্যতম হাতিয়ার। ভাষার দাবিতে লড়াই পথ দেখিয়েছে নাগরিক অধিকার অর্জন করতে হলে ভোটের অধিকার দরকার। বৈষম্য দূর করার প্রথম পদক্ষেপ হল সকলের ভাতের অধিকার। সে কারনেই স্লোগান উঠেছিল কেউ খাবে আর কেউ খাবে না, তা হবে না, তা হবে না। আর এ সব দাবিকে একসাথে যুক্ত করেছিল একটি দাবি, যা হলো— এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে হবে।

আন্দোলন থামে না তার পরিণতিতে না যাওয়া পর্যন্ত। তাই ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করে স্বাধীন হলাম কিন্তু বন্দি হয়ে গেলাম পুঁজির কাছে। মুখের ভাষায় পড়তে হলে যে শিক্ষা লাগে তাতো আমরা জানি। সেই শিক্ষা ক্রমাগত ব্যয়বহুল পণ্যে পরিণত হচ্ছে ফলে তা চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। শিক্ষার উপর আক্রমণের পাশাপাশি আক্রমণ আসছে সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের উপর। ছাত্রদের ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে অতীতের সংগ্রামের ইতিহাসকে।

ভাষা চিন্তার বাহন। মায়ের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জীবন দিলেও সে ভাষায় কথা বলতে গেলে যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ লাগে, দেশে কি এখন সে অবস্থা আছে? এই প্রশ্নে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোনো উত্তর নেই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর ভোটের অধিকারের জন্য লড়তে হচ্ছে এখনো। নানা ধরনের কালাকানুন আর সাম্প্রদায়িক বাতাবরণে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে গণতান্ত্রিক পরিবেশ। মাথা নত না করার সাহস দিয়েছে একুশ, আর মাথা নত করে রাখার পরিবেশ তৈরি করেছে রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্র জনগনের ট্যাক্সে চলে সেই রাষ্ট্র জনগণকে দেখায় ভয়। ফলে দেশ, অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে গেলে বন্ধু স্বজনরাও পরামর্শ দেয় এবং বলে, বাদ দাও তো এ সব, কি দরকার রাজনীতির বিষয়ে মাথা ঘামিয়ে!

এই ভয় আর ভরসাহীনতার রাষ্ট্র তো আমরা চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম রাষ্ট্রটা হবে জনগনের এবং জনগণকে ভরসা দেবে।

একুশ যে চেতনা জাগিয়েছিল তার মর্মে ছিল মুক্তির আকুতি। শোষণ থেকে মুক্তি, বৈষম্য থেকে মুক্তি আর মুক্তি অপমান থেকে। এই চেতনা ছড়িয়ে গেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনায়। কোনো মানুষ যেন তার মাতৃভাষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেই লড়াইকে এগিয়ে নিতে একুশ যেন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে আরও বহুদিন।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

আরএ/

Header Ad

৬০ বছর বয়সে সেরা সুন্দরীর খেতাব, কে এই আর্জেন্টাইন নারী?

আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ। ছবি: সংগৃহীত

৬০ বছর বয়সে সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টাইন নারী আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ। গেল বুধবার বুয়েনস এইরেস প্রদেশের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সেরা সুন্দরীর মুকুট জিতেছেন তিনি।

আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ বিশ্বের প্রথম নারী যিনি ৬০ বছর বয়সে কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলেন। বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিলেন তিনি। আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ শুধু বিউটি কুইন নন, পেশায় তিনি একজন সাংবাদিক এবং আইনজীবী।

আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ। ছবি: সংগৃহীত

মুকুট জয়ের পর অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নতুন এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। আমরা একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছি, যেখানে নারীদের শারীরিক সৌন্দর্য নয়, মূল্যবোধ দিয়ে বিচার করা হয়।’

মিস ইউনিভার্স গত বছর ঘোষণা করেছিল, প্রতিযোগীদের জন্য আর বয়সের সীমা থাকবে না। এই বছরের শুরু থেকে, ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কোনো নারী প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য বলে বিবেচ্য হবেন। এর আগে শুধুমাত্র ১৮-২৮ বছর বয়সী নারীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারতেন।

আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজের আর্জেন্টিনার সেরা সুন্দরী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর লক্ষ মিস ইউনিভার্স ওয়ার্ল্ডে অংশ নেওয়া। যা চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে।

শুধু আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ নয়, এ বছর ইউনিভার্স প্রতিযোগী ৪৭ বছর বয়সী হেইদি ক্রুজকে নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। তিনি চলতি বছর ডমিনিকান রিপাবলিকের হয়ে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।

গোবিন্দগঞ্জে দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

গ্রেপ্তার প্রেমিক মনিরুল ইসলাম। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রেমিকার সাথে একাধিক পুরুষের সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহ থেকে প্রতিশোধ নিতে দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে প্রেমিক মনিরুল ইসলাম (২০)। এ ঘটনায় প্রেমিক মনিরুলসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৭ জুলাই) গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম উপজেলার শালমারা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। আর ধর্ষণে অংশ নেওয়া তার দুই বন্ধু হলো- একই গ্রামের মজনু শেখের ছেলে অসীম শেখ (২০) ও শরিফুল শেখের ছেলে শহীদ শেখ (২২)। ধর্ষকদের মধ্যে শহীদ পলাতক রয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (গোবিন্দগঞ্জ চৌকি) আদালতে হাজির করলে গ্রেপ্তার দুই আসামি ১৬৪ ধারায় ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

মনিরুল তার জবানবন্দিতে বলেন, শালমারা গ্রামের ১৪ বছরের এক কিশোরীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেম চলাকালীন সে জানতে পারে ওই কিশোরীর সাথে আরো কয়েক জনের সম্পর্ক রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার সহযোগী বন্ধু অসীম ও শহীদকে সাথে নিয়ে গত ৪ এপ্রিল ওই কিশোরীকে কৌশলে তার বাড়ির পিছনে ডেকে এনে সকলে মিলে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এই ঘটনাটি উভয় পক্ষই চাপা দিলেও পরবর্তীতে কিশোরীটি অসুস্থ হওয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে গত ১৯ এপ্রিল ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ্ বলেন, মামলার অভিযুক্ত ৩ জনের মধ্যে মনিরুল ও অসীমকে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

হজের প্রথম ফ্লাইট ৯ মে

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ময়মনসিংহের টাউন তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, হজ প্যাকেজে গতবারের চেয়ে ১ লাখ ২ হাজার টাকা কম নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ভালোভাবে চলছে। আগামী ৯ মে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী ৮ তারিখে উদ্বোধন করবেন।

সমাজ গঠনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে সব ধর্মের মানুষের কাছেই তাদের নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই শ্রেণির মানুষগুলোকে আমরা যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে যদি তাদের আরেকটু শাণিত বা দক্ষ করে তুলতে পারি, তাহলে দেশ ও জাতি অনেক বেশি রিটার্ন পেতে পারে।

জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র হজ। প্রতিবছর একমাস আগে থেকে শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা করা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও।

সর্বশেষ সংবাদ

৬০ বছর বয়সে সেরা সুন্দরীর খেতাব, কে এই আর্জেন্টাইন নারী?
গোবিন্দগঞ্জে দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
হজের প্রথম ফ্লাইট ৯ মে
স্বর্ণের দাম আরও কমলো
আজও দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা
বনানীতে সড়কের মাঝে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন
টাঙ্গাইলে ইসতিসকার নামাজ শেষে মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল তিন বিদেশি শক্তি: জিএম কাদের
উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে দেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা: রিজভী
চিফ হিট অফিসার একটি টাকাও বেতন নেন না: মেয়র আতিক
বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস
বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৩ জনের
সরকারি স্কুল খুলছে রোববার, শ্রেণি কার্যক্রম চলবে যেভাবে
শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় নওগাঁয় ইসতিসকার নামাজ
জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে তিন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ
ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী
ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
কোটি টাকার মাদকসহ সংগীত শিল্পী এনামুল কবির গ্রেপ্তার
টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে কলকাতাকে হারাল পাঞ্জাব