বুধবার, ৮ মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ওজোন স্তরে ফাটল ধরেছে

যদিও বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি, কিন্তু অভিযোগ রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জনগণের খাদ্যাভ্যাসের কারণে সমগ্র বিশ্বে অতিমারী (কোভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে বিশ্ববাসীকে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে ২০২০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে যেমন, তেমনি বিশ্ব অর্থনীতিকে পর্যুদস্ত করে দিয়েছে। কবে নাগাদ সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে বিশ্ববাসী তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। যদিও ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ চলছে বিশ্বের জনগণের মাঝে, তথাপিও বিশ্ববাসী এখনও নিরাপদ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট জানিয়েছে, করোনা বা কোভিড-১৯ বিশ্ব থেকে শিগগিরই বিতাড়িত হচ্ছে না। তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়িয়েছে। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বে থেকেই যাচ্ছে। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, তবে কি চীনের জনগণের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে এখন বিশ্ববাসীকে? আবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, চীনের ‘ভাইরাস ব্যাংক’ থেকে কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলে থাকেন বাদুড় থেকে কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে। সেক্ষেত্রেও স্থানটি চীনেরই একটি প্রদেশের কথা বলা হয়েছে। যদিও অভিযোগগুলো এখনো প্রমাণিত হয়নি, আবার অভিযোগের ভিত্তি নেই সে কথাও বলা যাবে না। কারণ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উৎপত্তি চীন থেকেই এটা সত্যি। কীভাবে ছড়িয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভিযোগের তীর চীনের দিকেই তাক করানো আছে। সেই অভিযোগটির রেশ কাটতে না কাটতেই চীন আরেকটি অভিযোগের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। হালে চীন ক্লোরোফ্লুরো কার্বন বা সিএফসি উৎপাদন করে পৃথিবীর ছাদে ফাটল ধরাচ্ছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতে বসানো এয়ার মনিটরিং স্টেশনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। চীনের এই অগ্রাহ্য মনোভাব মানবজাতি তথা সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য এক অশনিসঙ্কেত বলে মনে করছি আমরা। সেই বিষয়েই অর্থাৎ সিএফসি গ্যাস উৎপাদনের কুফল নিয়ে আলোকপাত করছি এখন। তার আগে আমরা জেনে নেই পৃথিবীর ছাদ সম্পর্কে, যেটি ওজোন গ্যাস বা ওজোনস্তর নামে পরিচিত।

ওজোন গ্যাস সম্পর্কে সর্ব সাধারণের খুব একটা ধারণা নেই। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত এমন মানুষও বিষয়টি নিয়ে হ-য-ব-র-ল পাকিয়ে ফেলেন। লাজ-লজ্জ্বার কারণে বিষয়টি কারো কাছে জেনে নিতেও পারছেন না। এছাড়াও অধিকাংশ মানুষ বিষয়টির বিপরীত বোঝেন। যেমন, ‘ওজোন দিবস’ সামনে এলে মানুষের মনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়, কোন ধরনের ওজোনকে বুঝানো হচ্ছে? পরিমাপ নাকি অন্য কিছু! তাই ‘ওজোন’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর প্রয়োজন বোধ করছি আমরা। তাতে কিছুটা হলেও স্বচ্ছ ধারণা পাবেন পাঠক। বিষয়টি সম্পর্কে আলোকপাতের আগে শব্দটার বাংলা বানানের পার্থক্য ও অর্থ জানিয়ে দিচ্ছি আমরা। যেমন- বাংলা শব্দ ‘ওজন’ হচ্ছে পরিমাপ, আর ইংরেজী শব্দ ‘ওজোন’ হচ্ছে একধরনের গ্যাসের নাম, যার অবস্থান বায়ুমণ্ডলের ১৫-৩০ কিলোমিটার (মতান্তরে ২৫-৫০ কিলোমিটার) উচ্চতায়। ওজোনস্তর তীব্র গন্ধযুক্ত হালকা নীল বর্ণের গ্যাসীয় পদার্থ। এটি ক্ষতিকর গ্যাস হলেও পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ফলে বলা যায়, এটি হচ্ছে প্রকৃতির পর্দা বা পৃথিবীর ছাদ। যে পর্দা বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অথবা ভূপৃষ্ঠে বিকিরণ ঘটাতে বাধা সৃষ্টি করে। সোজাকথা, ওজোনস্তর হচ্ছে পৃথিবীর ফিল্টার। সূর্যের প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে ছেঁকে বিশুদ্ধ করে পৃথিবীর জন্য ১০-৪২ (কমবেশি হতে পারে) ডিগ্রি সেলসিয়াস পাঠায়। যা আমাদের কাছে সুষম তাপমাত্রা হিসেবে পরিচিত।

আমরা জানি, সূর্য থেকে বিচ্ছুরিত অতিবেগুনি তেজস্ক্রিয় রশ্মি পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এই রশ্মি ওজোন গ্যাসের কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বা ওজোন গ্যাস তেজস্ক্রিয় রশ্মি শোষণ করে নেওয়ার ফলে ভূপৃষ্ঠের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় থাকে এবং ক্ষতিকর রোগ থেকে মানুষ মুক্তি পায়। বিশেষ করে সূর্যের তেজস্ক্রিয় রশ্মি ওজোন গ্যাস শোষণ করে নেওয়ায় ত্বক ক্যান্সার ও চোখের রোগ থেকে মুক্তি মিলে। সেই প্রকৃতির রক্ষাকবচ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আজ। বিশেষ করে ভূপৃষ্ঠে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারের কারণে ওজোনস্তর ক্ষয়ে যাচ্ছে। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘সিএফসি’ (এ গ্যাস বিভিন্ন ধরনের স্প্রে, এয়ারকন্ডিশনের যন্ত্র এবং রেফ্রিজারেটরে বেশি থাকে) গ্যাসের বহুল ব্যবহারের কারণে ওজোনস্তর দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে। এতে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে ওজোনস্তরে। সেই গর্ত গলে তেজস্ক্রিয় রশ্মি ভূপৃষ্টে নেমে আসছে। বলে নেয়া ভালো, ওজোনস্তরের পুরুত্ব খুব বেশি নয়। মৌসুমভেদে ও ভৌগলিক কারণে এই পুরুত্বের পরিমাণ কমবেশি হয়।

ওজোনস্তরের পুরুত্ব পাতলা হয়ে দক্ষিণ মেরুতে এন্টার্কটিকার ওপরে বিশাল গতের্র সৃষ্টি করেছে, যে গর্তের আয়তন প্রায় ৪০ লাখ বর্গকিলোমিটার। সুখবর হচ্ছে, সেই গর্ত ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হয়ে আসছিল বিশ্ববাসীর সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে। অথবা বলা যায়, পরিবেশবিদদের আন্দোলনের ফলে বিশ্ববাসী সচেতন হয়েছেন। সেই সচেতনার মধ্যেও চীন পুনরায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে। যার ফলে সঙ্কুচিত হয়ে আসা ওজোনস্তরে ফাটল ধরাচ্ছে চীনের উৎপাদিত ক্লোরোফ্লুরো কার্বন বা সিএফসি গ্যাস।

 

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট

Header Ad

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেও ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ৭ মে সব বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত এই আলোচনার সূত্রপাত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে উত্থাপিত এ আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের দিনটা (৭ মে) আমার জীবনের অনন্য দিন, কারণ আমি সেদিন দেশে ফিরে এসেছিলাম শত বাধা অতিক্রম করে। আমাকে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক উপদেষ্টাও ফোনে বলেছিল আপনি আসবেন না, আপনি বাইরে থাকেন, যা যা লাগে করব। আবার কেউ কেউ ধমকও দিয়েছিল। এ কথা বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে ফিরলে ওই এয়ারপোর্টেই মেরে ফেলে দেবে। আমি বলেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, আমি নিজের দেশের মাটিতেই তো কিন্তু আমি আসব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল এয়ারলাইন্সকে নিষেধ করা হয়েছিল, আমাকে বোর্ডিং পাস যেন না দেওয়া হয়। আমেরিকায় তিন ঘণ্টা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে লন্ডন পর্যন্ত আসি। লন্ডনে যেদিন আমি বিমানে উঠতে যাব উঠতে দেওয়া হয়নি। সে দিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেভাবেই হোক আমি দেশে ফিরব। এমনকি আমি যখন এয়ারপোর্টে রওনা হই, তখন অনেকে আমাকে ফোনে বলেছে আপনি আসবেন না, আসলে আপনাকে মেরে ফেলে দেবে। আমি পরোয়া করিনি। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী ভাইদের প্রতি।

শেখ হাসিনা বলেন, তখন বলা হয়েছিল যে কেউ যেন এয়ারপোর্ট না যায়। এমনকি আমার দলের ভেতর থেকেও। তখন দলের যিনি সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সবাইকে বলে দিয়েছিলেন এয়ারপোর্টে গেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আর আমাদের নেতা-কর্মী কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না। আমি শুধু একটাই মেসেজ দিয়েছিলাম সবাই থাকবে। আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি, সবাই থাকবা, তবে ঘাসের সঙ্গে থাকবা, আমি বলেছিলাম আমার প্লেনটা না নামা পর্যন্ত, আমি দরজা খুলে না বের হওয়া পর্যন্ত তোমরা বের হবে না।

তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আমি গাড়িতে উঠলে আমাকে একটা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ড্রাইভারকে বলেছিলাম যেদিকে মানুষ যাচ্ছে সেদিকে যাবা, ফ্লাইওভারের উপরে উঠবা না। হাজার হাজার মানুষ তখন রাস্তায়। আমার দলের কিছু লোকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুধু সংবর্ধনা নয় আমাকে নিরাপত্তাও দিয়েছে নেতা-কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, সেই সময় কালে ভদ্রে দুই এক জন আমার কাছে আসতে পারত। সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ, আমি গেরিলা কায়দায় বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আমি হাসপাতালে যাই। সেদিন সেখানে আমি খুব কড়া কথা বলি, আমি বলেছিলাম সে সময় দেশ চালাচ্ছে কে? পরের দিন সকালে পুলিশ এসে হাজির। আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে সংসদ ভবনের এক পরিত্যক্ত নোংরা ভবনে। সেখানেই আমাকে বন্দি করে রাখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু এই দিন নয়, ৮৩ সালেও এরশাদ সাহেব আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল ৩০ হেয়ার রোডে লাল দালানে। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এরশাদ সাহেব আমাকে আরও কয়েকবার গ্রেপ্তার করে। আমি মতিয়া আপা, সাহারা আপা (এখন নেই) আমাদের তিনজনকে এক সঙ্গে নিয়ে কন্ট্রোল রুমে সারা রাত বসিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, বার বার গ্রেপ্তার সরাসরি গুলি বোমা গ্রেনেড সব কিছু অতিক্রম করে আজকে এখানে এসে জনগণের সেবা করতে পারছি। এখন আমি শুধু দাঁড়িয়েছি, বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাতে, দলের নেতা-কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে।

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর

স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! শুধু তাই নয়। স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করেন স্ত্রী।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে। যদিও অভিযুক্ত মহিলার অভিযোগ, স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে স্বামী তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। যার জেরে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিসের কাছে দাবি করেছেন অভিযুক্ত স্ত্রী। খবর: জি ২৪ ঘণ্টা

তবে পুলিশ এই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগে ২৮ বছরের ওই স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। নির্যাতিত স্বামী বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তার অভিযোগ, অভিযুক্ত মেহের জাহান ২৯ এপ্রিল দুধে নেশার সামগ্রী মিশিয়ে স্বামীকে সেই দুধ পান করতে বাধ্য করেন। এরপর স্বামী বেহুঁশ হয়ে পড়লে স্বামীর হাত-পা বেঁধে তার সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। শুধু তাই নয় সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তার সারা শরীর পুড়িয়ে দেয়। এমনকি গোপনাঙ্গেও ছ্যাঁকা দেয়। গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।

জানা গেছে, গত নভেম্বরের ১৭ তারিখ সেওহারা থানা এলাকার সাফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা মেহের জাহানকে বিয়ে করেন মান্নান। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের কয়েকদিন পর তিনি দেখতে পান যে তার স্ত্রী মদ্যপ এবং ধূমপান করেন। তিনি বাধা দিলে স্ত্রী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।

পাল্টা মেহের জাহানেরও অভিযোগ, স্বামী মান্নান তার উপরে নির্যাতন চালান বিবাদের সময়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর করছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (৭ মে) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এ পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি।

এদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি হস্তান্তর করেন।

এসময় সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর
বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’: দেবপ্রিয়
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন
বন্ধুদের আড্ডায় রাসেল ভাইপারের ছোবল, প্রাণ গেল রাবি শিক্ষার্থীর
সিক্স-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির জাপান, গতি ফাইভ-জি’র চেয়ে ২০ গুণ
হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তৃতীয় বিয়ের আলোচনার মধ্যে ‘তুফান’ নিয়ে হাজির শাকিব খান
ডেঙ্গুতে আমার মা মারা গেছেন, আর কেউ যেন মারা না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিনেমায় আসছেন সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া
৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু : মন্ত্রী
টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন
ডামি ও প্রতারণার উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই : রিজভী
কারওয়ান বাজারে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে লাগবে ডোপ টেস্ট
ম্যাডোনার কনসার্টে হাজির ১৬ লাখ দর্শক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল যেসব সংবাদমাধ্যম