মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

আমরাও আসছি খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের

আমরাও মাঠে আসছি, আমরাও মাঠে নামব। মাঠেই খেলা হবে। মোকাবিলা করা হবে আর যার যা কিছু ফ্রি স্টাইলে বাংলাদেশে হতে দেব না বলে কঠোর বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আমরা রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছি। তারা যেভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে রাজপথ মনে হয় আমরা ভুলে গেছি। আমরা আছি। অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন। আমরাও আছি।’

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এক জরুরি সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। 

তিনি আরও বলেন, ‘এই শোকের মাসে হয়তো কিছু কিছু প্রোগ্রাম সেভাবে করতে পারছি না। আমরাও আসছি খেলা হবে। মোকাবিলা হবে আর যার যা কিছু ফ্রি স্টাইলে বাংলাদেশে হতে দেব না।’

ওবায়দুল কাদের, ‘এই শোকের মাসে হয়তো কিছু কিছু প্রোগ্রাম সেভাবে করতে পারছি না আমরাও আসছি খেলা হবে। মোকাবিলা হবে আর যার যা কিছু ফ্রি স্টাইলে বাংলাদেশে হতে দেব না।’

তিনি বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দাম বেড়েছে। সেসব দেশে সরকারকে দায়ী করে কোনো মিছিল কোনো দেশে হয়েছে? বাংলাদেশে শুধু ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে। বাংলাদেশে আজকে যত দোষ সব নন্দ ঘোষ, যত দোষ শেখ হাসিনা সরকারের। যে সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়ন অর্জনে রোল মডেল হয়েছিল। সারা দুনিয়ার কাছে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। যে সরকার করোনা, বন্যায় ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থা নিয়ে সারা দুনিয়ায় প্রশাংসা অর্জন করেছে। অর্থনীতিকে স্ট্যাবল করেছে। সেই সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। তারা সরকারকে উৎখাত করবে, এই সরকারকে সহযোগিতা করবে না। এটা তারা জানান দিয়েছে। মঞ্চ টঞ্চ কত কিছু করছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য কমলে আমরাও এখানে সমন্বয় করব। এটা বলার পরও আজকে বিএনপিসহ তাদের দোসররা মাঠে নেমেছে। এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে, বিষোদগার করছে। জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়ে নানান কথা বলছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার ১ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিয়েছে। আর কত ভর্তুকি দেবে? তারপরও বলেছি, আমাদের নেত্রী বলেছেন আপনারা একটু ধর্য্য ধরুন। আমার মনে হয় এই ক্রাইসিস থেকে সম্ভাবনার পথ তিনি খুলতে পারবেন। সে আত্মবিশ্বাস নেত্রীর আছে। সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।

তিনি বলেন, সংয়কট সাময়িক, সংকট কেটে যাবে। সংকট উত্তরণের জন্য সব কিছুই শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে করে যাচ্ছেন। তারপরও একটি মহল বিএনপি এবং তার দোসররা আজকে কান ঝালা পালা করে প্রতিদিন। প্রতিদিন অশ্রাব্য ভাষায় সরকার প্রধানকে গালি গালাজ করে হত্যার হুমকি দেয়, বিষোদগার করে। তারপরও তারা সবাই আছে, সবাই বক্তৃতা করছে, সবাই ভাষণ দিচ্ছে, কাউকে তো সরকার গ্রেফতার করেনি? কাউকে তো নির্যাতন করেনি। আজকেও (১১ আগস্ট) বড় সমাবেশ করেছে। সেখানে তো পুলিশ কিছু করেনি। এখন আপনি যদি পুলিশের উপর চড়াও হোন অস্ত্র নিয়ে তখন পুলিশ কি করবে?

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আর এভাবে চলতে পারে না। আমরা রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছি। তারা যেভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে রাজপথ মনে হয় আমরা ভুলে গেছি। আমরা আছি। অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন। আমরাও আছি এই শোকের মাসে হয়তো কিছু কিছু প্রোগ্রাম সেভাবে করতে পারছি না। শোকের মাস এই মাস আমাদের ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি বিজড়তি। তবুও আমরা চিন্তা করেছি এই সব অপপ্রচার মিথ্যাচার সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

আমাদেরও প্রতিবাদ করতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে হবে। সেজন্য আমরা ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস পালন করি। আগামী ১৭ আগস্ট আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠন নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করব। সেদিন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিকাল ৪টায় বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেষ হবে। আমাদেরও মাঠে নামতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ভারত-ইসরায়েলের পাকিস্তানে একযোগে হামলা পরিকল্পনা!

ছবি: সংগৃহীত

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে টানা ১২ দিনের যুদ্ধের রেশ কাটতে না কাটতেই দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে পাকিস্তানকে ঘিরে ভারত ও ইসরায়েলের সম্ভাব্য যৌথ হামলার পরিকল্পনা নিয়ে নানা তথ্য ও বিশ্লেষণ প্রকাশিত হচ্ছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

পাকিস্তানের খ্যাতনামা সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হামিদ মীর সম্প্রতি তার এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টে দাবি করেছেন, ভারত ও ইসরায়েল বর্তমানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার ভাষ্যমতে, ২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানের একটি কূটনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত পরাজয়ের পর ভারত ব্যাপকভাবে পশ্চিমা অস্ত্র সংগ্রহ করছে, যার মধ্যে ইসরায়েলের সহযোগিতা রয়েছে।

১৮ জুন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের ভূরাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী মেইর মাসরি বলেন, "ইরানের হামলার পর আমরা পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করার চেষ্টা করতে পারি।" তার এই মন্তব্য আরবি ভাষায় পোস্ট করা হলেও তা আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং পাকিস্তানিদের মধ্যে নতুন করে শঙ্কা তৈরি করে।

এছাড়া ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেও পাকিস্তানবিরোধী বক্তব্য, হুমকি এবং পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি কিছু পোস্টে পাকিস্তানকে “পরবর্তী লক্ষ্য” হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

ইসরায়েলের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও সাইবার যুদ্ধ সরঞ্জাম উৎপাদনকারী একাধিক প্রতিষ্ঠান এখন ভারতে কারখানা স্থাপন করেছে। এই যৌথ উদ্যোগের পেছনে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থ নাকি কৌশলগত প্রস্তুতি— তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে।

হামিদ মীর আরও বলেন, “কাশ্মীরকে আরেকটি গাজা বানাতে চায় ভারত, আর সেজন্য ইসরায়েলের কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায় তারা।” তার দাবি, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের বিহার রাজ্যের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানবিরোধী কৌশলগত জয় আদায় করে নিতে পারেন।

পাকিস্তান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোনো তীব্র প্রতিবাদ জানায়নি, তবে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এই ইঙ্গিতকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। বিশেষ করে, পাকিস্তানের ইরান-সমর্থনমূলক অবস্থান ইসরায়েলকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং ভারত এই পরিস্থিতিকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভারত বা ইসরায়েলের সরকারিভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানকে ঘিরে এই আলোচনা বা যুদ্ধের আশঙ্কা শুধু গুজব নয়, বরং একটি কৌশলগত চাপ তৈরির অংশও হতে পারে। এতে করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক অবস্থান নড়বড়ে হয়ে পড়বে—এমনটাই অনেকে মনে করছেন।

ভারত-ইসরায়েল যৌথভাবে পাকিস্তানে হামলা চালাতে চায়—এমন কোনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া না গেলেও, বিভিন্ন ইঙ্গিত ও বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটে উত্তেজনার ঘনঘটা বাড়ছে। যুদ্ধ নাকি কেবল একটি কৌশলগত বার্তা—তা সময়ই বলে দেবে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি ক্রমেই অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে।

তথ্যসূত্র: জিও নিউজ

Header Ad
Header Ad

ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জেরে থাই প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মোড় নিয়েছে। ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপের জেরে দেশটির সংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে আলোচিত ওই কথোপকথনে পেতংতার্ন তাকে “চাচা” বলে সম্বোধন করেন এবং থাই সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সমালোচনা করেন।

এই ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তার অপসারণ দাবিতে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়, যার প্রেক্ষিতে আদালত তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। আদালতের নয়জন বিচারকের মধ্যে সাতজন বরখাস্তের পক্ষে রায় দেন। একই সঙ্গে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে উপ-প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ঘটনার মাধ্যমে থাই রাজনীতিতে প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের আরেক সদস্য ক্ষমতা হারানোর মুখে পড়লেন। পেতংতার্ন হতে যাচ্ছেন এই পরিবারের তৃতীয় সদস্য যিনি পূর্ণ মেয়াদ শেষ করার আগেই ক্ষমতা হারাবেন। এর আগে তার পিতা থাকসিন এবং ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা সামরিক হস্তক্ষেপে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন।

পেতংতার্নের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ইতোমধ্যেই টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণশীল মিত্র দল জোট ত্যাগ করেছে, ফলে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর মুখে পড়েছে।

এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে, কারণ একই দিনে পেতংতার্নের পিতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধেও শুরু হয় রাজকীয় অবমাননার মামলা। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি নয় বছর আগে একটি দক্ষিণ কোরিয়ান সংবাদপত্রে রাজপরিবার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। বর্তমানে তিনি “লেসে মাজেস্তে” আইনের আওতায় বিচারাধীন।

থাকসিন থাইল্যান্ডের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একজন। ১৫ বছর নির্বাসনে থাকার পর তিনি ২০২৩ সালে দেশে ফেরেন। তার ফেরার পেছনে রাজনৈতিক সমঝোতা কাজ করেছিল, যা হয়েছিল তার দল পিউ থাই পার্টি এবং সেনাবাহিনী ও রাজপরিবার ঘনিষ্ঠ রক্ষণশীল গোষ্ঠীর সঙ্গে।

 

থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

৩৮ বছর বয়সী পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী এবং সবচেয়ে কমবয়সী প্রধান নির্বাহী। স্রেত্তা থাভিসিন বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। তবে দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই তিনি চাপে ছিলেন। দেশের দুর্বল অর্থনীতি চাঙ্গা করতে না পারায় জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাস পায়—যেখানে মার্চে তার জনপ্রিয়তা ছিল ৩০.৯ শতাংশ, তা গত সপ্তাহে কমে দাঁড়ায় মাত্র ৯.২ শতাংশে।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপের দায় স্বীকার করে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বলেন, এটি ছিল সাম্প্রতিক সীমান্ত সমস্যা নিয়ে “কৌশলগত আলোচনা”। কিন্তু রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা বলছেন, এতে থাই সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং এটি ছিল কম্বোডিয়ার প্রতি অযথা নমনীয়তা।

সব মিলিয়ে থাইল্যান্ড এখন রাজনৈতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। পেতংতার্নের ভাগ্য নির্ধারণ করবে সংবিধানিক আদালতের চূড়ান্ত রায়, যা রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ ও উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

স্বৈরাচার পতনে ১৬ বছর অপেক্ষা নয়, তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "জুলাই শুধু একটি মাস নয়, এটি গণজাগরণ, ঐক্য ও গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতীক। চলুন, সবাই মিলে এই জুলাইকে পরিণত করি গণজাগরণ এবং জাতীয় ঐক্যের মাসে।"

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাসব্যাপী ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ স্মরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে।

ড. ইউনূস আরো বলেন, স্বৈরাচার পতনের জন্য যেন ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়—এই লক্ষ্যেই কাজ চলছে। তিনি শক্ত কণ্ঠে বলেন, "আগামী দিনে কেউ যদি স্বৈরাচার হবার চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ যেন সঙ্গে সঙ্গে তাদের পতন ঘটায়। কারণ যখন জনগণ রাস্তায় নামে, তখন কোনো শক্তিই তা থামাতে পারে না।"

তিনি জানান, আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছি যে, পথ যতই কঠিন হোক না কেন, জনগণের ঐক্য এবং গণজাগরণই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়। জুলাই আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল—ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার রুখে দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। বর্তমান সরকারও সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে আর কখনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।

ড. ইউনূস স্মরণ করিয়ে দেন, ১৬ বছর আগে একটি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। "আমরা তাৎক্ষণিকভাবে টার্গেট পূরণ করেছিলাম, কিন্তু মূল লক্ষ্য ছিল একটি নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি নির্মাণ। আমাদের প্রত্যাশা, প্রতি বছর এই মাসটিকে স্মরণ করা হোক এবং স্বৈরাচারের ছায়া পড়লেই তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হোক।"

তিনি জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ ও অংশগ্রহণকারীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, "মাসব্যাপী এই কর্মসূচি কেবল স্মৃতিচারণ নয়, এটি একটি নতুন শপথ—গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি জনগণকে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ জাগানো এবং মুক্তির জন্য ত্যাগের স্মৃতি অমলিন রাখা।"

ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, "গত বছরের জুলাইয়ে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ঐক্য পুনরায় গড়ে তোলার সময় এসেছে। শিক্ষার্থীদের সাহসিক আন্দোলন আমাদের পথ দেখিয়েছে। চলুন এই জুলাইকে গণতন্ত্র রক্ষার নতুন প্রত্যয়ের মাস হিসেবে গড়ে তুলি।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারত-ইসরায়েলের পাকিস্তানে একযোগে হামলা পরিকল্পনা!
ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জেরে থাই প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত
স্বৈরাচার পতনে ১৬ বছর অপেক্ষা নয়, তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আল হিলাল
যে বিশেষ গুণেই তাপসের হৃদয়ে জায়গা করে নেন বুবলী!
আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস
বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ
বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প