মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

দেশীয় সাহেবরা বিদেশিদের কান ভারী করছে: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র যে শুধু বিদেশিরাই করে তা নয়। বিদেশিরা যেন ষড়যন্ত্র করতে পারে, সেজন্য আমাদের দেশীয় কিছু সাহেব তাদের কান ভারী করছে। এরা গিয়ে বিদেশিদের বলে বাংলাদেশের মানুষ বড় কষ্টে আছে, বহু অত্যাচারে আছে। কই কষ্ট, কই অত্যাচার?

রবিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার টি আলী কলেজ মাঠে এবি ব্যাংক লিমিটেড আয়োজিত কৃষি ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কৃষককে ১৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির এক নেতা নাকি বলেছেন, 'বাংলাদেশে নির্বাচন বা বাংলাদেশের ভাগ্য ও সমস্যা বাংলাদেশের লোকজন মিটাতে পারবে না। দুই দল আওয়ামী লীগ-বিএনপিও মিটাতে পারবে না। এটা মিটাতে নাকি যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যকে লাগবে'। অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। বাংলাদেশে কী হবে, না হবে সেটা বাংলাদেশের জনগণ বুঝবে এবং চাইবে। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমাদের স্বাধীনতার উৎস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি আরও বলেন, একটা কথা সঠিক, আমরাও সেটা বুঝি। আমরাও চেষ্টা করি সেটা লাঘব করার। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে আমরা জানি। কিন্তু এটা কেন হচ্ছে? এই দাম তো পাঁচ বছর আগে বাড়েনি। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সবকিছু ঊর্ধ্বগতি। যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব এই জায়গায় পৌঁছেছে।

এবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিমুল এহসান খান ও কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম প্রমুখ।

এসজি

Header Ad
Header Ad

ভারত-ইসরায়েলের পাকিস্তানে একযোগে হামলা পরিকল্পনা!

ছবি: সংগৃহীত

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে টানা ১২ দিনের যুদ্ধের রেশ কাটতে না কাটতেই দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে পাকিস্তানকে ঘিরে ভারত ও ইসরায়েলের সম্ভাব্য যৌথ হামলার পরিকল্পনা নিয়ে নানা তথ্য ও বিশ্লেষণ প্রকাশিত হচ্ছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

পাকিস্তানের খ্যাতনামা সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হামিদ মীর সম্প্রতি তার এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টে দাবি করেছেন, ভারত ও ইসরায়েল বর্তমানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার ভাষ্যমতে, ২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানের একটি কূটনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত পরাজয়ের পর ভারত ব্যাপকভাবে পশ্চিমা অস্ত্র সংগ্রহ করছে, যার মধ্যে ইসরায়েলের সহযোগিতা রয়েছে।

১৮ জুন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের ভূরাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী মেইর মাসরি বলেন, "ইরানের হামলার পর আমরা পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করার চেষ্টা করতে পারি।" তার এই মন্তব্য আরবি ভাষায় পোস্ট করা হলেও তা আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং পাকিস্তানিদের মধ্যে নতুন করে শঙ্কা তৈরি করে।

এছাড়া ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেও পাকিস্তানবিরোধী বক্তব্য, হুমকি এবং পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি কিছু পোস্টে পাকিস্তানকে “পরবর্তী লক্ষ্য” হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

ইসরায়েলের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও সাইবার যুদ্ধ সরঞ্জাম উৎপাদনকারী একাধিক প্রতিষ্ঠান এখন ভারতে কারখানা স্থাপন করেছে। এই যৌথ উদ্যোগের পেছনে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থ নাকি কৌশলগত প্রস্তুতি— তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে।

হামিদ মীর আরও বলেন, “কাশ্মীরকে আরেকটি গাজা বানাতে চায় ভারত, আর সেজন্য ইসরায়েলের কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায় তারা।” তার দাবি, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের বিহার রাজ্যের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানবিরোধী কৌশলগত জয় আদায় করে নিতে পারেন।

পাকিস্তান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোনো তীব্র প্রতিবাদ জানায়নি, তবে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এই ইঙ্গিতকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। বিশেষ করে, পাকিস্তানের ইরান-সমর্থনমূলক অবস্থান ইসরায়েলকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং ভারত এই পরিস্থিতিকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভারত বা ইসরায়েলের সরকারিভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানকে ঘিরে এই আলোচনা বা যুদ্ধের আশঙ্কা শুধু গুজব নয়, বরং একটি কৌশলগত চাপ তৈরির অংশও হতে পারে। এতে করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক অবস্থান নড়বড়ে হয়ে পড়বে—এমনটাই অনেকে মনে করছেন।

ভারত-ইসরায়েল যৌথভাবে পাকিস্তানে হামলা চালাতে চায়—এমন কোনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া না গেলেও, বিভিন্ন ইঙ্গিত ও বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটে উত্তেজনার ঘনঘটা বাড়ছে। যুদ্ধ নাকি কেবল একটি কৌশলগত বার্তা—তা সময়ই বলে দেবে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি ক্রমেই অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে।

তথ্যসূত্র: জিও নিউজ

Header Ad
Header Ad

ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জেরে থাই প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মোড় নিয়েছে। ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপের জেরে দেশটির সংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে আলোচিত ওই কথোপকথনে পেতংতার্ন তাকে “চাচা” বলে সম্বোধন করেন এবং থাই সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সমালোচনা করেন।

এই ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তার অপসারণ দাবিতে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়, যার প্রেক্ষিতে আদালত তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। আদালতের নয়জন বিচারকের মধ্যে সাতজন বরখাস্তের পক্ষে রায় দেন। একই সঙ্গে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে উপ-প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ঘটনার মাধ্যমে থাই রাজনীতিতে প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের আরেক সদস্য ক্ষমতা হারানোর মুখে পড়লেন। পেতংতার্ন হতে যাচ্ছেন এই পরিবারের তৃতীয় সদস্য যিনি পূর্ণ মেয়াদ শেষ করার আগেই ক্ষমতা হারাবেন। এর আগে তার পিতা থাকসিন এবং ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা সামরিক হস্তক্ষেপে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন।

পেতংতার্নের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ইতোমধ্যেই টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণশীল মিত্র দল জোট ত্যাগ করেছে, ফলে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর মুখে পড়েছে।

এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে, কারণ একই দিনে পেতংতার্নের পিতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধেও শুরু হয় রাজকীয় অবমাননার মামলা। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি নয় বছর আগে একটি দক্ষিণ কোরিয়ান সংবাদপত্রে রাজপরিবার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। বর্তমানে তিনি “লেসে মাজেস্তে” আইনের আওতায় বিচারাধীন।

থাকসিন থাইল্যান্ডের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একজন। ১৫ বছর নির্বাসনে থাকার পর তিনি ২০২৩ সালে দেশে ফেরেন। তার ফেরার পেছনে রাজনৈতিক সমঝোতা কাজ করেছিল, যা হয়েছিল তার দল পিউ থাই পার্টি এবং সেনাবাহিনী ও রাজপরিবার ঘনিষ্ঠ রক্ষণশীল গোষ্ঠীর সঙ্গে।

 

থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

৩৮ বছর বয়সী পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী এবং সবচেয়ে কমবয়সী প্রধান নির্বাহী। স্রেত্তা থাভিসিন বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। তবে দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই তিনি চাপে ছিলেন। দেশের দুর্বল অর্থনীতি চাঙ্গা করতে না পারায় জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাস পায়—যেখানে মার্চে তার জনপ্রিয়তা ছিল ৩০.৯ শতাংশ, তা গত সপ্তাহে কমে দাঁড়ায় মাত্র ৯.২ শতাংশে।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপের দায় স্বীকার করে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বলেন, এটি ছিল সাম্প্রতিক সীমান্ত সমস্যা নিয়ে “কৌশলগত আলোচনা”। কিন্তু রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা বলছেন, এতে থাই সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং এটি ছিল কম্বোডিয়ার প্রতি অযথা নমনীয়তা।

সব মিলিয়ে থাইল্যান্ড এখন রাজনৈতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। পেতংতার্নের ভাগ্য নির্ধারণ করবে সংবিধানিক আদালতের চূড়ান্ত রায়, যা রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ ও উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

স্বৈরাচার পতনে ১৬ বছর অপেক্ষা নয়, তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "জুলাই শুধু একটি মাস নয়, এটি গণজাগরণ, ঐক্য ও গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতীক। চলুন, সবাই মিলে এই জুলাইকে পরিণত করি গণজাগরণ এবং জাতীয় ঐক্যের মাসে।"

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাসব্যাপী ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ স্মরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে।

ড. ইউনূস আরো বলেন, স্বৈরাচার পতনের জন্য যেন ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়—এই লক্ষ্যেই কাজ চলছে। তিনি শক্ত কণ্ঠে বলেন, "আগামী দিনে কেউ যদি স্বৈরাচার হবার চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ যেন সঙ্গে সঙ্গে তাদের পতন ঘটায়। কারণ যখন জনগণ রাস্তায় নামে, তখন কোনো শক্তিই তা থামাতে পারে না।"

তিনি জানান, আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছি যে, পথ যতই কঠিন হোক না কেন, জনগণের ঐক্য এবং গণজাগরণই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়। জুলাই আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল—ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার রুখে দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। বর্তমান সরকারও সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে আর কখনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।

ড. ইউনূস স্মরণ করিয়ে দেন, ১৬ বছর আগে একটি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। "আমরা তাৎক্ষণিকভাবে টার্গেট পূরণ করেছিলাম, কিন্তু মূল লক্ষ্য ছিল একটি নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি নির্মাণ। আমাদের প্রত্যাশা, প্রতি বছর এই মাসটিকে স্মরণ করা হোক এবং স্বৈরাচারের ছায়া পড়লেই তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হোক।"

তিনি জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ ও অংশগ্রহণকারীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, "মাসব্যাপী এই কর্মসূচি কেবল স্মৃতিচারণ নয়, এটি একটি নতুন শপথ—গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি জনগণকে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ জাগানো এবং মুক্তির জন্য ত্যাগের স্মৃতি অমলিন রাখা।"

ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, "গত বছরের জুলাইয়ে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ঐক্য পুনরায় গড়ে তোলার সময় এসেছে। শিক্ষার্থীদের সাহসিক আন্দোলন আমাদের পথ দেখিয়েছে। চলুন এই জুলাইকে গণতন্ত্র রক্ষার নতুন প্রত্যয়ের মাস হিসেবে গড়ে তুলি।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারত-ইসরায়েলের পাকিস্তানে একযোগে হামলা পরিকল্পনা!
ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জেরে থাই প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত
স্বৈরাচার পতনে ১৬ বছর অপেক্ষা নয়, তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আল হিলাল
যে বিশেষ গুণেই তাপসের হৃদয়ে জায়গা করে নেন বুবলী!
আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস
বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ
বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প