শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘চিনির বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে’

দফায় দফায় দাম বাড়ার পরও বাজারে চিনির সংকটকে সিন্ডিকেটের কবলে নিত্যপণ্যের বাজার বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

তিনি বলেন, চিনির দাম বৃদ্ধির জন্য খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিল মালিকদের দুষছেন। অন্যদিকে মিল মালিকরা গ্যাস সংকটকে দায়ী করছেন। আসলে এসব কিছু নয়, সিন্ডিকেট করে চিনির দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা। এসব খোঁড়া অজুহাতে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার নামান্তর।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, নিত্যপণ্যের কষাঘাতে জনজীবন যখন দুর্বিষহ, তখন চিনি নিয়ে সিন্ডিকেট করে জনগণকে বিষিয়ে তোলা হচ্ছে। ৫০-৫৫ টাকার চিনি কোনোভাবেই ১১০ টাকা হতে পারে না। সরকারের ছত্রছায়ায় একটি সিন্ডিকেট পুরো বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আর খেসারত দিচ্ছে জনগণ।

তিনি বলেন, ভোক্তাদের অভিযোগ, ভোজ্যতেলের মতো চিনির বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটরা। এ জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

তিনি আরও বলেন, জিনিসপত্রের দাম কমলে নির্দেশনা পৌঁছাতে মাস পেরিয়ে যায়। আর দাম বাড়লে ঘোষণার আগেই বাজারে তা কার্যকর হয়ে যায়। এভাবে সিন্ডিকেট করে জনগণকে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের টাকা।

এসজি

Header Ad

টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু, আটক ৩

ছুরিকাঘাতে নিহত মো. সাইম। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে মো. সাইম (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কিশোরকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এরআগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর এলাকার রানাগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইম একই গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে ও স্থানীয় আজিম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের রানাগাছা নামক স্থানে (বাড়ির পাশে) যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় স্কুলছাত্র মো. সাইম।

পরে তার চার বন্ধুর সঙ্গে পাশের গ্রামের ওবায়দুল পাগলার বাড়িতে যান। ওবায়দুল পাগলার বাবার সাথে তাদের কোন এক বন্ধুর পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওবায়দুল সাইমকে ছুরিকাঘাত করে। তার বন্ধুরা সাইমকে ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

এ সময় সাইমের মা ছেলের কি হয়েছে জানতে চাইলে তারা জানায় মাঁচা (বাঁশ দিয়ে তৈরি বসার স্থান) থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়ে অজ্ঞান হয়েছে। তার মাথায় পানি ঢালতে গিয়ে স্বজনরা দেখতে পায় মো. সাইমের বুক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। দ্রুত তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মামা সোহাগ জানান, তার ভাগ্নে সাইমকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটেছে যে কারণে তার ভাগ্নেকে মেরে ফেলতে হল- তা তিনি জানেন না।

ঘারিন্দা ইউনিয়নের সদস্য সাদ্দাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে তিনি দ্রুত সাইমকে হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন জানান, বন্ধুর ডাকে সাইম সহ চার বন্ধু ওই গ্রামের ওবায়দুল পাগলার বাড়িতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওবায়দুল ছুরিকাঘাত করে। তখনই সাইমের মৃত্যু হয়। পরে ওবায়দুল পাগলাকে স্থানীয়রা পালিয়ে যেতে দেখেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

আজ ২৭ এপ্রিল, ‘অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার কৃষক ও মেহনতী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা এ কে (আবুল কাশেম) ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

মহান এ নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য এ কে ফজলুল হকের অসীম মমত্ববোধ, ভালবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। এ কে ফজলুল হক এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃষকদের অধিকার আদায়ে এ কে ফজলুল হক সবসময় সোচ্চার ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তিনি দরিদ্র কৃষক এবং প্রজাদের স্বার্থরক্ষায় কৃষি ঋণ আইন এবং প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেন। জমিদাররা রায়তদের ওপর যে আবওয়াব ও সেলামি ধার্য করতেন, তিনি তা বিলোপ সাধন করেন। তাঁর সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাঁকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিলো। শোষণ, বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাঙালি জাতিকে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ করে দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু, আটক ৩
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের